কার কথা গ্রহন করবো ?
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ রবিবার, অগাষ্ট ২২, ২০১০ (৫:১৬ অপরাহ্ণ)
সন্মানিত পাঠক মন্ডলী বিদাত বা জাল হাদীসের ব্যপারে যুগযুগ ধরে সারাবিশ্বের বরেন্য আলেমরা যে কথা বলছেন তাদের কথা শুনবো নাকি ইনটেরনেট নামের ফুটপাতের লেকচারার বা পাশ্চাত্য দাজ্জালী শক্তির কুকুর সৌদী সরকারের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত মাদ্রাসা থেকে পড়ে আসা বা তাদের পাচাটা আলেম নামধারী ব্যক্তিদের, নাকি এরশাদ/খালেদা/হাসিনা সরকারের মন্ত্রীত্ব গ্রহন কারী আলেমদের কথা শুনবো ? সম্ভব হলে জানাবেন।
৩৮৩ বার পঠিত
আলহামদুলিল্লাহ, আপনার কাছে যার জ্ঞান ভাল মনে হয় তাকেই মানবেন। সবচেয়ে ভাল হয় আপনি নিজে পড়াশোনা করে আলিম হয়ে যান, অথবা নিজের ছেলেকে বানান।
যে পশ্চিমের দালালী করেছে সে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে।
তবে যে গালি দেয় সে দেখিয়ে দেয় সে কি পরিবেশে বড় হয়েছে, তার বাবা-মা তাকে কি শিখিয়েছে। আল্লাহর রসুল (সাঃ) তার সবচেয়ে বড় শত্রুকেও গালি দিয়েছেন বলে আমার জানা নাই। তবে সামু, আমারব্লগ এর নাস্তিকদের সুন্নাত গালাগালি করা, এটা দেখেছি।
@আবু আনাস,”তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট” কোরানের এই আয়াত পড়েননি ? আব্দুল ওহাব নাজদির সমর্থনে সৌদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কি পরিমান আলেমকে হত্যা করা হয়েছে তা কি আপনি জানেন ?সৌদ সরকার কাদের সহায়তায় ও কাদেরকে বিতারিত করে ক্ষমতায় এসেছে সম্ভব হলে জানাবেন।যাদের ভিসা প্রথা ও কোটা ব্যবস্হা চালুর জন্য প্রতি বৎসর হাজার হাজার লোক হজ্বের মত একটি ফরজ এবাদৎ পালন করা থেকে বন্চিত হচ্ছে এবং প্রতারনা ও শোষনের স্বীকার হচ্ছে তাদেরকে পশু ছারা আর কি বলতে পারেন।আর সৌদি সরকারের পুলিশ বাহিনি বৃদ্ধ হাজিদের সাথে কিরুপ বেয়াদপ সুলভ আচরন করছে তা আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি।বেশীর ভাগ পুলিশের মোখেই দাড়ী নেই।মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ থেকে বেদাতের নামে রাসুল পাক সাঃ ও সাহাবীদের বিভিন্ন চিন্ন ধ্বংশ করে দিচ্ছে অথচ মক্কার হোটেল থেকে কাবা শরীফে যাওয়ার পথে সৌদি রাজার জৌলুসপুর্ন সানগ্লাস যুক্ত ঝুলান বিড়াট ছবি আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি।
তাছারা প্রতিটি হোটেলের প্রবেশ পথেও ফেরাউনের মত সব রাজাদেরও ছবি বাধ্যতামুলকভাবে ঝুলিয়ে থাকতেও দেখেছি।এখন বলতে পারেন।এতে আলেম ওলামাদের দোস কোথায়।হেরেম শরীফের খাদেম সৌদি রাজার অধিনে চাকুরী একজন আলেম হয়ে কিভাবে করতে পারে ?কারন পবিত্র কোরানে আল্লাহ পাক বলেন ”একমাত্র আলেমগনই আল্লাহকে ভয় করে”।আর আল্লাহকে যারা ভয় করে তারা এইসব বাদশাহদের অধীনে কিরুপে চাকুরী বা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিরুপে লেখা পড়া করতে পারে। অন্তত এই বাদশাহদের ওাকালতি করার সাহস পাবে না।আর আপনি তাই করলেন এবং আর এই বাদশাহদের ওকালতি করতে গিয়ে আমার বাবা মার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোললেন।এখন নিজের অবস্হান আপনি নিজেই যাচাই করুন এবং তওবা না করে থাকলে সৌদী বাদশাহদের সংগে আপনিও আল্লাহর পক্ষ থেকে এর প্রাশ্চিত্যের জন্য প্রস্তুত থাকুন। পরিশেষে আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তার পাকড়াও আসার আগেই আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন।কারন আল্লাহর পাকড়াও খুবই কঠিন।আমিন।
@দেশী৪৩২, ভাই আপনার সৌদি সরকারের প্রতি খুব রাগ। কিন্তু কিছু প্রশ্ন করব দয়া করে উত্তর দিবেন:
১)হজ্বে হাজার হাজার লোক হয়। কতো লোক আসলো কিংবা আসবে, তাদের থাকা খাওয়া ব্যবস্হা করবে কিভাবে যদি কোন কন্ট্রল না থাকে।
২)কিছু লোক হজ্ব ও ওমরার নামে সৌদি এসে পালিয়ে যায়, সেটাকি আপনি কিভাবে দেখেন, যদি তারা কন্ট্রল না করে, তবে তাদের economy, law & order কন্ট্রল করা কি তাদের জন্য কঠিন হবেনা?
৩)আমাদের reputation তো আমরাই কি খারাপ করি নাই? শুধু সৌদি কেন দুনিয়ার সবাই তো আমাদের নিচু চোখে দেখে, সে ব্যপারে আপনার মত কি?
৪)সরকারের জন্য আলেমদের গালি দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক। আমাদের দেশের আলেমদের কি বলবেন। তারা তো secular সরকারের under এ বসবাস করতেছে। তাদের ব্যপারে কি মত।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে জীবনে ইসলামকে ধারন করার তৌফিক দিন। আমিন
@pathkhuji,আল্লাহপাক যখন হজ্ব ফরজ করেছেন তখন কি আপনার প্রদত্ত বিষয়গুলি জানতেন না ? যে ভবিস্যতে লোক সৌদী এসে পালিয়ে যাবে।ইসলাম আসার পুর্বে কোরাইশরা কাবা শরীফে লোকদের ভিসা খুজতেন না বরং লোকদের খেদমত করতে পারাকে নিজেদের ধন্য মনে করতেন।আমরা মোসলমান হয়ে লাভ কি হলো।সৌদিদের দ্বারা হাজিদের খেদমত?আকাশ কুসুম কল্পনা।বরং বর্তমানে একজন লোকের হজ্ব করতে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়।এই টাকা দিয়ে একই পরিবেশে ইউরোপের যে কোন দেশে কমপক্ষে প্রায় ৬ মাস থাকা যাবে।অথচ এখানকার একজন সাধারন কর্মচারীর বেতন মাসে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা।অপর দিকে সৌদীতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।তাছারা হজ্ব ব্যবস্হাপনায় সাড়া বিশ্বের মোসলমানদের আহ্বান করছে না কেনো ?
@pathkhuji,আরো জানতে হলে http://www.youtube.com/watch?v=IJkA5F44xS8&feature=related এখানে শুনুন।
@pathkhuji,সউদী বাদশাহর বন্ধু দেখুন-http://www.youtube.com/watch?v=QRhDzpJV2TM&feature=related
@pathkhuji, কি ভাই আপনি সৌদী সরকারকে কেমন ভালবাসেন তাতো বললেন না ।আপনার জন্য কাবা শরীফের প্রধান খাদেম ও
সৌদি সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে আরেকটি উপহার
http://www.youtube.com/watch?v=y7yhR20ny7k&NR=1
@pathkhuji, try to watch please http://www.youtube.com/watch?v=oqy6azq6MsY&feature=related
@আবু আনাস, সউদী বাদশাহর বন্ধু দেখুন-http://www.youtube.com/watch?v=QRhDzpJV2TM&feature=related
@আবু আনাস,কাবা শরীফের খাদেম ও সৌদি মাদ্রাসার প্রধান পৃষ্ঠপোঠক এর কর্মকান্ড
http://www.youtube.com/watch?v=y7yhR20ny7k&NR=1
@আবু আনাস, try to watch please http://www.youtube.com/watch?v=oqy6azq6MsY&feature=related
ইসলাম ব্লগে মুখের ভাষা সংযত রাখা ভাল বলে মনে করি।আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন-আমীন।
@মুজিব৭, সউদী বাদশাহর বন্ধু দেখুন-http://www.youtube.com/watch?v=QRhDzpJV2TM&feature=related
@মুজিব৭,try to watch please http://www.youtube.com/watch?v=oqy6azq6MsY&feature=related
এত উত্তেজিত কেন ভ্রাতা। সংযত হোন!
@সাদাত, সেদিন এক নওমুসলিম ইটালিয়ান পুর্বপরিচিত হিসেবে আমার বাসায় এসেছিল।উনি হানাফি মাযহাবের। একসাথে ইফতার করলাম। তার শহরের মসজিদটি এই ওহাবিরা দখল করেছে।নও মুসলিম হিসেবে তাকেতো কোন উপকার করেই না বরং বিদাত বিদাত বলে তাকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক নির্যাতন করছে।জুমার নামাজ জোহরের সময়ের পুর্বে শেষ করে দিচ্ছে। উনি ভদ্রভাবে হাতে দলীল নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করেছেন।উনার কোন কথা না শুনে বরং তারা চিল্লা চিল্লি করেছে।অথচ উনার হাত ধরে এ পর্যন্ত ৪/৫ জন ইটালিয়ান মোসলমান হয়েছে।এরকম একজন লোককে তারা কোন কদরতো দিচ্ছেই না বরং উল্টোটা করছে।ওহাবিদের সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল তারা শুধু লেখা লেখি নিয়েই ব্যস্ত।কিন্তু তাদের এই মাস্তানসুলভ আচরন দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম।তারা মসজিদের ভিতর রীতিমত মাস্তানী শুরু করেছে।সে আমাকে দেখালো ইটালিতে ১০ই আগষ্ট চাদ দেখা অসম্ভব।কিন্তু এই লোকেরা সবাইকে ১১ তারিখ থেকে রোজা রাখিয়েছে।http://www.crescentmoonwatch.org/nextnewmoon.htm এই ওয়েবে গিয়ে আপনিও ব্যপারটি দেখবেন।পরিশেষে আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে হেদায়ে্ত দান করুন। আমিন।
@সাদাত, try to watch please http://www.youtube.com/watch?v=oqy6azq6MsY&feature=related
সবর
@হাফিজ, try to watch please http://www.youtube.com/watch?v=oqy6azq6MsY&feature=related
হুদায়ফা বিন আল-ইয়ামান (রা:) বর্ণনা করেছেন,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
” নুবুয়্যত (নিজেকে বুঝিয়েছেন) তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে যতদিন আল্লাহ তা রাখতে ইচ্ছা করেন, তারপর আল্লাহ তা তুলে নিবেন যখন আল্লাহ তা তুলে নিতে চান।
তারপর খিলাফত আসবে যা নুবুয়্যতের দিক-নি্র্দেশনা অনুসরন করবে, তা (খিলাফত) ততদিন থাকবে যতদিন আল্লাহ তা রাখতে ইচ্ছা করেন, তারপর আল্লাহ তা তুলে নিবেন, যখন আল্লাহ তা তুলে নিতে চান।
তারপর প্রচন্ড নিষ্ঠুর শাষকদের রাজত্বকাল আসবে (মুসলিম রাজা-বাদশাদে শাষনকাল !) এবং তা ততদিন থাকবে যতদিন আল্লাহ তা রাখতে চান।
তারপর নির্মম স্বৈরশাষকদের (আমাদের সময়ের শাষকগণ !) শাষনকাল আসবে, এরা ততদিন থাকবে যতদিন আল্লাহ তা রাখতে ইচ্ছা করেন, তারপর আল্লাহ তা তুলে নিবেন, যখন আল্লাহ তা তুলে নিতে চান।
তারপর খিলাফতের আগমণ ঘটবে যা নুবুয়্যতের নির্দেশনা মেনে চলবে । ”
তারপর হুদায়ফা (রা:) বলেন, ” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে থাকলেন”
[ আস সিলসিলাহ আস সাহিহ ভলিউম -১, নং-৫ ]
(দুর্বল অনুবাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)
@হাসান আল বান্না, try to watch please http://www.youtube.com/watch?v=oqy6azq6MsY&feature=related
হিংসা এবং ঘৃণা মানুষকে এমন অন্ধ করে দেয় যে তারা ছবি ঝুলানোর পাপ আর নবজাতক শিশুকে জবাই করে মেরে ফেলার মত পাপের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা। এ সময় মানুষ অন্ধভাবে অন্যের দোষ খুঁজতে থাকে এবং নিজের সম্পর্কে বেখেয়াল হয়ে যায়। তাই রসুল(সাঃ) বলেছেন –
“সন্দেহ থেকে সাবধান কারণ সন্দেহের বশে কিছু বলা জঘন্যতম মিথ্যা। অন্যের দোষ খুঁজোনা, আঁড়ি পেতোনা, পাল্লা দিওনা, হিংসা করোনা, ঘৃণা করোনা আর অন্যকে ফেলে মুখ ঘুরিয়ে চলে যেওনা। হে আল্লাহর বান্দারা একে অপরের ভাই হয়ে যাও। [বুখারি ও মুসলিম]”
আমি যখন অন্য মানুষের দোষ খোঁজার মধ্যে জীবনের সার্থকতা দেখব তখন মনে রাখা উচিত হবে যে আমার কাজের কন্য আমি আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করব। সৌদি বাদশা ‘আল-ওয়ালা আল বারা’ না বুঝে, না পালন করে পাপ করছে, সেটার জবাব সে দেবে।
আর আমি তার দোষ খুঁজে জনসমক্ষে প্রচার করে রসুল (সাঃ) এর আদেশ লঙ্ঘনের পাপের জবাব আমাকে দিতে হবে।
@আবু আনাস, বোবা শয়তানের সজ্ঞা সম্ভব হলে জানাবেন। ধন্যবাদ।