আল্লাহওয়ালাদের নামাজের দৃষ্টান্ত ।
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৬, ২০১০ (১২:২৩ অপরাহ্ণ)
১।হযরত ইবনে সিরিন রঃ যখন নামাজে দন্ডায়মান হতেন,আল্লাহর ভয়ে তার চেহারা বিবর্ন হয়ে যেত ।
২।মুসলিম ইবনে ইয়াসার রঃ যখন নামাযে দন্ডায়মান হতেন,তখন আল্লাহর ভয়ে লোকের কথাবার্তা তার কর্নগোচর হতো না।
৩।হযরত সা’আদ ইবনে মা’আয বলেন, ”আমি এমন কোন নামাজ পড়ি নাই,যাহার মধ্যে আমি কোন পার্থিব চিন্তা করেছি।
৪।হযরত মোজাহিদ রঃ বলেন,”হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জোবায়ের রাঃ যখন নামাজে দাড়াইতেন,তাহাকে একখন্ড কাষ্ঠের মত মনে হত। অর্থাৎ আল্লাহর ভয়ে তিনি একেবারে অনুভুতিহীন নিশ্চল জড় পদার্থের মত হয়ে যেতেন। তাহার অবস্হা দেখে লোকের ধারনা হত তিনি সম্ভবত চোখের সামনে দোজখের ভয়াবহ দৃশ্য অবলোকন করছেন। ”
৫।গোলাম আতাবাহ রাঃ যখন তীব্র শীতের মৌসুমে নামাজে দন্ডায়মান হতেন তখন তাহার সমস্ত শরীর বহিয়া দরদর বেগে ঘর্ম নিগৃত হত।লোকে এর কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিতেন,আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হতে আমার লজ্জা ও ভয় উপস্তিত হয়,তাই এভাবে শরীর ঘর্মাক্ত হয়ে যায়।
৬।মুসলিম ইবনে ইয়াসার রাঃ একবার যে গৃহে নামাজ পড়ছিলেন,হঠাৎ ঘটনাক্রমে তাতে একবার আগুন ধরে যায়।বসরা শহরের বহু লোক দৌড়ে এসে শোরগোল করে আগুন নিভাতে চেষ্টা করতে লাগলো । কিন্তু কি আশ্চর্য্য ! এই দুর্যোগ ,এত লোকের সমাগম ও তাদের শোরগোল ।মুসলিম ইবনে ই্য়াসির কিছুই টের পেলেন না।তিনি পরম একাগ্রতার সাথে নামাজেই মগ্ন রইলেন।নামাজ শেষ হবার পর তিনি জানতে পারলেন যে,গৃহে আগুন লেগেছিল এবং লোকজন তা নিভিয়েছে।
আরেকবার তিনি জামে মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন।এমন সময় ছাদের একটি ভারী বর্গা ছুটে এসে তার একেবারে পার্শ্বে এসে পতিত হল।উপস্হিত লোকজন চিৎকার শুরু করে দিল।কিন্তু তিনি এসব কিছুই জানতে পারলেন না।
৭।আম্মার ইবনে জোবায়ের বলেন,একবার তিনি জুতা সামনে রেখে নামাজ পড়ছিলেন।জুতার তলাটি নুতন ছিল।উহার দিকে তাহার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো।নামাজ শেষ করেই তিনি জুতা ধরে দুরে নিক্ষেপ করলেন এবং এর পর তিনি আর কখনো জুতা পরিধান করেননি।
৮।রাবিয়া ইবনে খোশাইম একবার নামাজ পড়ছিলেন।তাহার সামনে একটি বহুমুল্যবান ঘোড়া বাধা ছিল।চোর তাহার সামনে থেকে ঘোড়াটিকে রশি খুলে নিয়ে গেল।কিন্তু তিনি কিছুই টের পেলেন না।
গ্রন্হ সূত্রঃ – হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রঃ লিখীত ” গুনিয়াতুত ত্বালেবিন ”
জাযাকাল্লাহ।