কুড়ানো মানিক -৮।
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ রবিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০১১ (৭:৫৬ অপরাহ্ণ)
১।দুনিয়ার জীবনে সন্মান মালের দ্বারা হাছিল হতে পারে,তবে আখেরাতের সন্মান শুধুমাত্র আমলের দ্বারাই অর্জিত হতে পারে। (হযরত ওমর রা:)
২।এবাদতে একাগ্রতার বিষয়টি হৃদয়-মনের সাথে সম্পৃক্ত।বিশেষ অঙ্গভঙ্গি একাগ্রতার আলামত হতে পারে না।
(হযরত ওমর রা:)
৩।জালেমকে ক্ষমা করা মজলুমের উপর জুলুম করার সামিল। (হযরত ওমর রা:)
৪।আশ্চয্যান্বিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে দেখে যে -
ক। মৃত্যকে অবধারিত জানার পরও হাস্য কৌতুকে সময়ক্ষেপন করার মত দুঃসাহস দেখায়,
খ।দুনিয়াকে ক্ষনস্হায়ী জানার পরও এর প্রতি আকর্ষনবোধ করে।
গ।তকদিরকে যথার্থ বলে বিশ্বাস করার পরও কোন কিছু হাতছাড়া হয়ে গেলে শোকাবিভুত হয়।
ঘ।হাসরের হিসাব সত্য বলে জানার পরও ধন সম্পদ সঞ্চয় করে।
ঙ। দোযখকে যথার্থ জানার পরও পাপে লিপ্ত হয়।
চ। আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করার পরও অন্যের উপর ভরসা করে।
ছ।জান্নাত যথার্থ জানার পরও দুনিয়াতে আরাম আয়েশ তালাশ করে।
জ।শয়তানকে শত্রু জানার পরও তার অনুসরন করে।
-( হযরত ওসমান রা:)
৫।হে মানব সকল আল্লাহপাক তোমাদিগকে তার আনুগত্যের জন্যই সৃষ্টি করেছেন,তোমরা কিনা অন্যের আনুগত্য করতে উৎসাহ বোধ কর। -( হযরত ওসমান রা:)
৬।অতিরিক্ত বিনয় মোনাফেকির আলামত। -( হযরত ওসমান রা:)
৭।দুনিয়াকে যে যত বেশী চিনেছে, সে এর দিক থেকে ততবেশী নিস্পৃহ হয়েছে।-( হযরত ওসমান রা:)
৮।পার্থিব জীবনের ভোগবিলাশ অনন্তজীবনের প্রাপ্য হ্রাস করে দেয়।-( হযরত ওসমান রা:)
৯।শান্তির সাথে জীবন যাপন করার পরও যে ব্যক্তির আকাঙ্খা মিটে না,তার পক্ষে তৃপ্ত হওয়া সম্ভব না।-( হযরত ওসমান রা:)
১০।আমল বিহীন এলেম অনেক সময় উপকারী হতে পারে কিন্তু এলেম বিহীন আমল কখনও উপকারী হয় বলে আমার জানা নেই।-( হযরত ওসমান রা:)
১১।নিজের বোঝা যত কমই হোক তা অন্যের উপর চাপাতে চেষ্টা করোনা।-( হযরত ওসমান রা:)
১২।আখেরাতের চিন্তা বাদ দিয়ে যত কিছুই করা হোক তার সবটুকুই দুনিয়াদারী।-( হযরত ওসমান রা:)
১৩।মুখ বন্ধ করে ফেলাই ক্রোধের সর্বোত্তম চিকিৎসা।-( হযরত ওসমান রা:)
১৪।জিহ্বার স্খলন পদস্খলনের চেয়েও বেশী বিপদজনক।-( হযরত ওসমান রা:)
১৫।জান্নাতে যাওয়ার পর ক্রন্দন করা যেমন অকল্পনীয় ব্যাপার হবে, তেমনি দুনিয়ার জীবনে হাসিউল্লাসও যে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষে অচিন্তনীয় ব্যাপার।-( হযরত ওসমান রা:)
১৬।পোষ্যদের জন্য যে ব্যক্তি মেহনত করে সে মেহনত জেহাদেরত ব্যক্তির পুন্যের সমান।-( হযরত ওসমান রা:)
১৭।কটুভাষী ব্যক্তি তিন প্রকার লোককে আহত করে।প্রথমত নিজ আত্বাকে ,দ্বিতীয়ত যার প্রতি মন্দ কথা বর্ষীত হয় তাকে এবং তৃতীয়ত যে তা শুনে তাকে।-( হযরত ওসমান রা:)
১৮আল্লাহ পাক থেকে যা কিছু আসে তা হৃষ্টচিত্তে মেনে নিতে পারলে দুনিয়াই তার জন্য জান্নাত হয়ে যায়। ( হযরত ওসমান রা:)
১৯।বান্দা যে পর্যন্ত ভোগ এবং ধনাঢ্যতা থেকে সম্পুর্ন নিস্পৃহতা এবং অতি সাধারন জীবন যাপনের প্রতি পুর্ন আকর্ষন অনুভব করতে না শিখে, সে পর্যন্ত ঈমানের গভীর তাৎপর্য আত্নস্হ করতে সক্ষম হয় না।( হযরত ওসমান রা:)
২০।মানুষের হক সম্পর্কে যে ব্যক্তি সচেতন নয়,সে আল্লাহর হক সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না।( হযরত ওসমান রা:)
২১।বছরান্তেও যে ব্যক্তি কোন দুঃখ-বেদনার সন্মুখীন হয় না,তার উচিৎ ভেবে দেখা যে,আল্লাহ পাক তার প্রতি অসন্তুষ্ট নয়তো ? (হযরত আলী রা:)
২২।সব বিষয়ে তাড়াহুড়া করাও এক ধরনের পাগলামী।সাধারনত এ ধরনের লোক পদে পদে লান্চিত হয়। (হযরত আলী রা:)
২৩।সুস্হ থাকার জন্য হলেও হিংসা পরিত্যগ কর।কারন হিংসা মানুষকে ভিতর হতে গলিয়ে দেয়। (হযরত আলী রা:)
খুব জরুরী কথা, আপনাকে ধন্যবাদ।
আলহামদোলিল্লাহ। শুকরিয়া জরুরী কথা গুলি লেখার জন্য।
জাজাকাল্লাহ ।