নিজেকেই প্রশ্ন করে উত্তর না পেয়ে ভাইদের কাছে জানতে চাই – দীন ইসলাম এর ডাক বা তাবলীগ করার সাথে সাথে কি awami league – BNP ও করা জাবে? মানে, এদের রাজনীতির সংগে একমত পোষণ করা জাবে?
লিখেছেন: ' Fiqriyatu Fiddin' @ মঙ্গলবার, এপ্রিল ১০, ২০১২ (১২:১৭ পূর্বাহ্ণ)
ইসলাম কি উপরের প্রশ্নটার উত্তর দেয়নি?
৫২৭ বার পঠিত
তাবলীগ কোন সংঘটন নয়। একটি আন্দোলন। এর মাধ্যমে ইসলামের মৌলিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং আমলের গুরুত্ব মানুষের সমানে তুলে ধরা হয়।
@আবদুস সবুর,আপনার সাথে একমত – কিন্নু প্রশ্নটা ছিল – এর সাথে কি লীগ/BNP ও করা জাবে?
আমার মনে হয় অবশ্যই না। কারন দুটিই ইসলাম বিদ্বেষি। কেউ প্রকাশ্য কেউ অপ্রকাশ্য।
@জাহিদ,জাহিদ ভাই একটু ডিটেইল লিখেন বা অন্য কেউ??!!
আমার মনে হ্য় সবাই ক্লিয়আর না।তাবলীগ জামাতের কাজে যুক্ত থাকা আবার একই সাথে লীগ বিএনপি করা কি শারিয়াহ সম্মত?
@Fiqriyatu Fiddin,ঠিকই বলেছেন। ধারনা করা যাচ্ছে তাবলীগ জামাতকে আক্রমন করাই আপনার এই পোস্টের উদ্দেশ্য। আমিও আপনার সাথে একমত। তাবলীগ জামাত নামে যে সংগঠন আছে তা নিঃসন্দেহে একটা গোমড়া সংগঠন। এই সংগঠনের সাথে জড়িত বেশীর ভাগ লোকই আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে ভোট দেয়। যারা দুই দলই প্রকাশ্য কুরফীতে লিপ্ত। এদের কুফরের দায় এই তাবলীগ জামাত এড়াতে পারবে না। এদের যে লোকবল তাতে এরা রাজনৈতিক দল খুললে কম পক্ষে ২০-২৫টা সিট পেত যা সংসদীয় গনতন্ত্রে কিং মেকার হোওয়ার জন্য যথেষ্ট। তখন ইসলামের বড় বড় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সহজ হয়ে যেত। নিজেরা রাজনৈতিক দল না খুললেও যদি চরমোনাই হুজুরকে ভোট দিত তাহলে অন্তত ১০০ সিট পেতেন হুজুর। এদের এস্তেমায় সারা দুনিয়ার লোকজন আসে ওখানে শুধু আখেরী মুনাজাতের আগে একবার বলে দিলেই হত কিন্তু কখনোই বলবে না। এরা এমন ভাবে রাজনীতির মত একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এড়িয়ে যায় যেন রাজনীতি করা পাপ! অথচ ভোট দেয় নৌকায়। না হলে এত তাবলীগের সাথী থাকতে এদেশে আওয়ালী লীগ ক্ষমতায় আসে কিভাবে? এদের ভোটগুলো কোথায় যায়? এটা ভন্ডামী ছাড়া কিছু না।
@guest,সহমত। প্রতি বছর ইজতিমাতে যেই নাম্বারের হিসেব দেয়া হয়, তার সাথে ইসলামি দল বা ডানপন্থী রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই এদেশে থাকার কথা না।
@Fiqriyatu Fiddin, ইসটিমায় যে নাম্বার দেয়া হয় এটা একটা ভাওতাবাজী। আমি জানি না এটা এসতিমা কতৃপক্ষ থেকে না মিডিয়ার পক্ষ থেকে। এসতেমায় জমির পরিমান ১৬০ একর। অর্থাৎ ৬৯৬৯৬০০ বর্গফুট একেকটা মানুষ কমপক্ষ ৫ ফুট তাদের চওড়া ২ ফুটের কম নয় এই হিসেবে কমপক্ষে ১০ বর্গফুট জায়গা লাগে। এই হিসেবে ঐখআনকার ধারণ ক্ষমতা ৬৯৬৯৬০ অর্থাৎ সাত লাখের কম। তাও যদি ধরে নিই যে বাঁশ, টয়লেট, মন্ঞ, বেদেশীদের থাকার স্থান ইতাদি নেই এবং সব মানুষ জেলখানার মত গাদাগাদি করে থাকে। তাই বাস্তবে এই সংখ্যা ৪ লাখও হবে না। অথচ পত্রিকায় ৭০ লাখ পর্যন্ত দেখানো হয়। আর যারা আসে তারা বেশীর ভাগই নামযশ শুনে দেখতে আসে যেমন একটা মেলা দেখতে আসা হয়। যারা শুধু মাত্র এসতেমার লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে আসে এমন লোকের সংখ্যা ১ লাখও হবে না। এই সংখ্যা দিয়ে আসলে কিছু আশা করা যায় না।
তাবলিগ প্রচলিত কোনো দল নয়। এই তাবলীগ করতে হলে আপনাকে কিছু করতে হবে বা আপনাকে কিছু না করতে হবে এরকম কোনো শর্ত নাই। এই কথার মধ্যে আপনার উত্তর হয়ে গেছে। তারপরেও একটু বিস্তারিত বলি।
তাবলিগ রোগের চিকিতসা করে না। রুগীর চিকিতসা করে। তার মানে তাবলিগ করলে আপনি অমুক দল করতে পারবেন বা পারবেন না বলে যদি শর্ত দেওয়া হয় যা আপনি মনে করেছেন তাহলে অনেক মানুষ দীন শিক্ষা থেকে দূরে থাকবে। যেমন অনেক মানুষ আছে যারা হোমিও চিকিতসা করে না শুধু খানা পিনাতে বেঁচে চলতে হবে বলে। আবার অনেকে ভাল কাজের ওয়াদা করে না পালন করতে পারবে না বলে। এই সব মুর্খতা তা আমিও জানি । কিন্তু আমি আর আপনি যেই সমাজে বাস করছি তাও খেয়াল রাখতে হবে। কৌশল হচ্ছে মানুষকে কোনো ভাবে সঠিক দীনের বুঝ মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পারলে সে প্রয়োজন মনে করবে যে আমাকে এটা ছাড়তে হবে আর ওটা করতে হবে। আপনি প্রথম থেকেই তাকে যদি বলেন এটা করতে পারবেন আর ওটা করতে পারবেন না। তাহলে সে বলবে আপনার চিকিতসা আমার দরকার নাই। তাই আমি দেখেছি অনেক মানুষ তাবলিগে যাওয়ার পরে অনেক কিছু নিজেই ত্যাগ করেছে। তাই আবারও বলছি তাবলিগ করতে হলে কিছু করার বা না করার শর্ত নাই। তাবলিগে গিয়ে দেখেন । তারপর সব বুঝে যাবেন। যত দিন তাবলিগে নিজে যাবেন না তত দিন আপনার মাথায় ঢুকবে না আমি কি বলেছি তা।
@habib008,জাযাকাল্লাহ হাবিব ভাই। ১৯৯৫-১৯৯৭ এই কাজের সাথে থাকার তৌফিক হয়েছিল। ২০ বছর তাবলীগ জামাতের সাথে থেকেও, নিজ নিজ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও যারা এখনো বি এন পি/ আ লীগ এর ভুত, মুজিব-জিয়ার গুনোগান, আর এই অনিসলামিক রাজনিতি সবি একসাথে বয়ে বেরান, সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করেন – আমি তাদের কথা বলছি। জতবার এরা মুজিব – জিয়আর নাম নেন, ততবার নবীজির নাম নিলেতো পরপারের নাজআতের পথ খোলা থাকতো।
@Fiqriyatu Fiddin,আপনার প্রশ্নটা আসলে বুঝা যাচ্ছে না। তাবলীগ একটা আ’মালের নাম। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এই আ’মালটা করতেন। তাঁর সাহাবাহরাও করতেন। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠানোই হয়েছিল এই আ’মালের জন্য। তবে আ’মালটা করতে হয় রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকায়। এছাড়া এই আ’মালে কোন ফল পাওয়া যাবে না। যেমন রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকা ছাড়া নামায পড়লে কোন ফল পাওয়া যাবে না। তাই তাবলীগ কোন দল, সংগঠন বা আন্দোলন নয়। কেউ যদি অন্য কোন তরীকায় করে তা নিঃসন্দেহে নিঃস্ফল। যে কোন আ’মাল রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকা থেকে যত দূরে হবে তা থেকে উপকারও তত কম পাওয়া যাবে এবং আল্লহ সুবাহানহু ওয়া তায়া’লার রহমাত থেকেও তা তত দূরে সরবে। যেমন নামাযের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব সবই রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার অন্তর্ভুক্ত। যদি সব পুরাপুরি আদায় করা যায় তবে পুরাপুরি উপকার পাওয়া যাবে, পুরাপুরি রহমত পাওয়া যাবে। যদি ফরয বা ওয়াজিব ছুটে যায় তো নামাযই ফাসেদ হয়ে যাবে। যদি সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে যায় তো যত তত তার নেকি কম হবে, নামায ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাবলীগের আ’মালও অনুরূপ।
১৯৯৫-১৯৯৭ পর্যন্ত করতেন তাহলে কি এখন করেন না? রসুলুল্লহ সল্লল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তো আমৃত্যু করেছেন। এটাই রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকা। কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির দোষ দেখা এবং দোষ দেখে আ’মাল ছেড়ে দেয়া এই উভয়ই রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার বাইরে। কোন মদ্যপ ব্যক্তি নামায পড়ে তাই বলে কি আপনি নামায ছেড়ে দিবেন?
তবে আমারও একই প্রশ্ন যে নামায পড়ে সে কি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করতে পারবে? অথবা যে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করে সে কি নামায পড়তে পারবে? বা অন্য কোন আ’মাল যেমন তাবলীগ করতে পারবে? ইসলাম কি তাকে এই অধিকার দেয়? আরও সহজ ভাষায় যে লোক কোন কারণে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করে ইসলাম কি তার অন্যান্য আ’মাল করার অধিকার কেড়ে নেয়? যেমন নামায পড়ার অধিকার বা রোযা রাখার অধিকার বা হজ্জ করার অধিকার বা যাকাত দেয়ার অধিকার বা নিজের ঈমান প্রকাশ করার অধিকার বা ঈমানী কালেমা মুখে উচ্চারণ করার অধিকার বা অন্যকে যে কোন সৎ কাজে আহবানের অধিকার বা অন্যকে যে কোন অসৎ কাজ থেকে কৌশলে হোক বা জোর করে হোক বা মুহাব্বাতে হোক ফিরানোর অধিকার যাকে পরিভাষায় তাবলীগ বলা হয়ে থাকে।
আপনি আমার এই প্রশ্নের জবাব দিলে আমি আপনার প্রশ্নটা ভালো ভাবে বুঝতে পারব। তখন আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা সহজ হবে ইনশা আল্লহ।
@guest, “১৯৯৫-১৯৯৭ পর্যন্ত করতেন তাহলে কি এখন করেন না? রসুলুল্লহ সল্লল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তো আমৃত্যু করেছেন। এটাই রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকা। কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির দোষ দেখা এবং দোষ দেখে আ’মাল ছেড়ে দেয়া এই উভয়ই রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার বাইরে। কোন মদ্যপ ব্যক্তি নামায পড়ে তাই বলে কি আপনি নামায ছেড়ে দিবেন?” – এই সময়টা তাবলীগ এর সাথে কাজ করার তৌফিক হয়েছিল। ” কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির দোষ দেখা এবং দোষ দেখে আ’মাল ছেড়ে দেয়া এই উভয়ই রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার বাইরে” – আমাল ছেড়ে দেইনি, কিচ্নু ভীত হয়েছি উনাদের নেত্রিত্ব দানকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির “উদাহরন সর্বস্ব” নসিহত, আকাঈদ এর কম আলোচনা [বিষেশ করে আকাঈদ এর সাথে আমাল এর সাংঘ্ষিক, দৈনন্দিন ভুল গুলো একেবারেই উপেখ্খিত, উনারা এটাকে হিকমত বলে চালিয়ে নেন], আর “আল ইতিদাল ফি মারাতিবির রিজাল – মাওলানা যাকারিয়া রাহিমাহূললাহ” কিতাবটি পড়ে [এই কিতাবে তিনি নিজেই লিখেছেন যে উনি রাজনীতি এড়িয়ে চলেন এবং এর বেপারে কম জানেন]।
যেকোন বাস্তব চিত্র তুলে ধোরলে উনারা যখন উদাহরন দিতে থাকেন, তখন আমারো প্রশ্ন জাগে – উম্মাহ যখন – আক্রান্ত তখন উনারা – এর চিকিতসা করনেন না, বাকি উপসগ এর চিকিতসা করবেন বলে ঠিক করেছেন।
ইসলাম কে দীন হিসেবে উপস্থাপন করতে কি উদাহরন আগে না মুলনীতি আগে? একটি প্রশ্নের উত্তর একটি উদাহরন, আরো উদাহরন….এই কি দাওয়াত??? আমি যতদুর জানি, কোন উদাসরন ও গ্রহনযোগ্য হয় একটি সহীহ উসুল এর ভিত্তিতে।
@Fiqriyatu Fiddin,আপনি যে কোন দলের এইটাই বুঝা যাচ্ছে না। অনেকেই তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীনের বুঝ পায় পরে জামাত, আহলে হাদীস, চোরমোনাই, পীরের জামাত ইত্যাদি জামাতে যোগ দেয়।
আপনি কিছু উদাহরণ দিলে ভালো করতেন, যেহেতু তাদের সাথে আপনার দুই বছর কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে। সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হত।
@guest,এবং সকল ভাইদের জন্য একটু বড় করে লিখি – ইসলামি দীন শিখ্খা ও দাওয়াত দুটোই কিভাবে সুন্নাহ অনুযায়ী হবে?
ইসলামী দাওয়াহ বহন করার পদ্ধতি
নিম্নোক্ত প্রবন্ধটি প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক শাইখ তাকী উদ্দীন আন-নাবহানি (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক লিখিত ‘নিযামুল ইসলাম’ বইটির খসড়া অনুবাদ-এর একাংশ হতে গৃহীত
ইসলাম অনুসরণ করার কারণে মুসলিমরা বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়েনি, বরং তাদের অধঃপতন শুরু হয়েছে যখন থেকে তারা ইসলামকে অনুসরণ করা ছেড়ে দিয়েছে, তাদের ভুমিতে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশের সুযোগ দিয়েছে এবং তাদের মন পশ্চিমা ধ্যান ধারণায় আচ্ছন্ন হতে দিয়েছে। তাদের অধঃপতন শুরু হয়েছে যখন তারা ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বকে পরিত্যাগ করেছে, এর দাওয়াহকে অবহেলা করেছে এবং এর নিয়মকানুন (আহকাম) গুলোর অপপ্রয়োগ করেছে। কাজেই পুনর্জাগরণের জন্য মুসলিমদের ইসলামী জীবন যাত্রা পুনরায় শুরু করতে হবে। অবশ্য তাদের এ ইসলামী জীবন যাত্রার পুনরাবৃত্তি সম্ভব হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পুনরায় ইসলামী দাওয়াহ শুরু করবে এবং এই দাওয়াহর মাধ্যমে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সম্ভব হবে যে রাষ্ট্র ইসলামের প্রতি আহবানের মাধ্যমে ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব বহন করবে।
এক্ষেত্রে পরিস্কার থাকা জরুরী যে মুসলিমদের পুনর্জাগরণের জন্য ইসলামী দাওয়াহ’র মাধ্যমে ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বকে বহন করতে হবে, এটা একারনে যে একমাত্র ইসলামই সমগ্র বিশ্বকে পরিশুদ্ধ করতে পারে এবং এ কারনেও যে প্রকৃত পুনর্জাগরণ ইসলাম ব্যতিত সম্ভব নয়, তা মুসলিমদের জন্যই হোক কিংবা অমুসলিমদের জন্যই হোকনা কেন। এরই ভিত্তিতে ইসলামী দাওয়াহর কাজটি সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
বিশ্বের কাছে দাওয়াহ কে নিয়ে যেতে হবে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব হিসেবে যা থেকে সকল ব্যবস্থা বিকশিত হয় এবং এই বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের উপর ভিত্তি করেই সকল চিন্তাধারা গঠিত, এবং কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই, এইসব চিন্তাধারা থেকেই জীবনের প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গীর উপর প্রভাববিস্তারকারী ব্যক্তির সকল ধারণা বিকশিত হয়।
বর্তমানে দাওয়াহ করতে হবে ঠিক যেমনি ভাবে অতীতে দাওয়াহ হয়েছিল এবং তা রাসূলুল্লাহ (সা) এর দৃষ্টান্তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। এক্ষেত্রে তার পদ্ধতি (Method) থেকে সাধারণভাবে কিংবা সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয়গুলোতে সামান্যতম বিচ্যূতিরও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে যুগের পার্থক্য কোনরূপ গুরুত্ব বহন করেনা, কারণ এ পার্থক্য শুধুমাত্র উপায় ও ধরণেই (Means & Style) সীমাবদ্ধ। কিন্তু যুগ কিংবা স্থান পরিবর্তনের ফলে মানব জীবনের মৌলিক বিষয়াদি (essence) ও বাস্তবতা (reality) পরিবর্তিত হয়নি, এবং কোন দিন তা পরিবর্তিত হবেওনা।
কাজেই দাওয়াহর জন্য প্রয়োজন স্পষ্টবাদিতা, সাহস, শক্তিমত্তা, চিন্তাধারা ও ইসলামী ফিকরাহ ও তরীকাহর (আদর্শ ও পদ্ধতি) সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ যে কোন কিছুর মুখোমুখি হয়ে তার অসারতা কে চ্যালেঞ্জ করার মনোভাব, এক্ষেত্রে পরিস্থিতি ও এর পরিনতি যাই হোক না কেন।
চূড়ান্ত সার্বভৌমত্ব (সিয়াদা) যে ইসলামী আদর্শের জন্য, ইসলামী দাওয়াহ এ বিষয়টির অপরিহার্যতাই তুলে ধরে, তা অধিকাংশ লোকের পছন্দ হোক বা না হোক, তাদের নিকট গৃহীত হোক বা প্রত্যাখ্যাত হোক কিংবা তারা এর বিরুদ্ধাচারণ করুক, প্রচলিত প্রথার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হোক বা না হোক (এগুলোর কোনটাই বিবেচ্য বিষয় নয়)।
দাওয়াহকারীগণ (হামিলুদ দাওয়াহ) মানুষকে তোষামোদ করেনা, কর্তৃপক্ষের প্রতি সৌজন্য প্রদর্শন করেনা, কিংবা মানুষের প্রচলিত ঐতিহ্য ও রীতি নীতিকে গ্রাহ্য করেনা, এবং মানুষ তাকে গ্রহণ করবে কি করবে না তার প্রতিও মনোযোগ দেয়না। বরং সে শুধুমাত্র আদর্শের প্রতি অনুগত থাকে এবং অন্য কোন কিছুর প্রতি মনোযোগ না দিয়ে জীবনাদর্শটি প্রচার করে। তার জন্য অন্য আদর্শের অনুসারীদের তাদের স্বীয় আদর্শে অনুগত থাকার কথা বলা অনুমোদিত নয়। বরং তাদের প্রতি কোনরূপ বল প্রয়োগ ছাড়াই ইসলামী জীবনাদর্শ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়, কারণ দাওয়াহর দাবী হচ্ছে, ইসলামের পাশাপাশি অন্য কোন জীবনাদর্শ থাকবেনা এবং সার্বভৌমত্ব কেবল ইসলামেরই জন্য।
“তিনিই প্রেরণ করেছেন রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহ যাতে তা অন্য সকল ব্যবস্থার উপর জয়যুক্ত হতে পারে যদিও বা মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।” (সুরা তাওবা: আয়াত ৩৩)
রাসূলুল্লাহ (সা) এ পৃথিবীতে এসেছিলেন তার সত্যবাণী (রিসালাত) সহ এবং তিনি সমগ্র বিশ্বের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তিনি (সা) যে সত্যের প্রতি মানুষকে আহ্বান করতেন তা তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন এবং তিনি সকল লাল কালো (মানুষের) অর্থাৎ সবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, এক্ষেত্রে ঐতিহ্য, প্রথা, ধর্ম, আদর্শ, শাসক ও জনগণ ইত্যাদি কোন বিষয়কেই তিনি গ্রাহ্য করেননি। রাসুলুল্লাহ (সা) ইসলামের বাণী ব্যতিত আর কোন কিছুর প্রতিই মনোযোগ দেননি। তিনি কুরাইশদের মিথ্যা উপাস্যগুলোকে উপেক্ষা করে ইসলামের দাওয়াহ শুরু করেন। তিনি তাদের আদর্শকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তাদের অস্বীকার করেছিলেন অথচ তিনি ছিলেন একা, বিচ্ছিন্ন, তার কোন সাহায্যকারী ছিলনা, তার অস্ত্রও ছিলনা, শুধুমাত্র ছিল ইসলামের প্রতি দৃঢ় ও গভীর আস্থা ও বিশ্বাস এবং এর প্রতিই তিনি আহ্বান করেছিলেন। তিনি (সা) তৎকালীন আরবদের প্রথা, ঐতিহ্য, ধর্ম ও আদর্শের প্রতি মনোযোগ দেননি। এ বিষয়ে তিনি সৌজন্যতা দেখাননি কিংবা তাদের গ্রাহ্য করেননি।
একই ভাবে, দাওয়াহ বাহকদের সবকিছুকেই চ্যালেঞ্জ করতে হবে। তন্মধ্যে প্রতিকূলতার শিকার হতে হলেও, প্রচলিত প্রথা, ঐতিহ্য, ক্ষয়িষ্ণূ চিন্তাধারা, ধারণা, জনমত, ইত্যাদি যা কিছু ভ্রান্ত সবকিছুর বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ করতে হবে। তাকে অপরাপর আদর্শ ও ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে যদিও বা এতে সে ঐসব আদর্শ ও ধর্মের অনুসারীদের গোঁড়ামী ও উগ্রবাদের শিকার হতে পারে কিংবা ভ্রান্ত মতাবলম্বীদের শত্রুতার শিকার হতে পারে।
দাওয়াহর ক্ষেত্রে কোনরূপ ছাড় না দিয়ে (তা যতই ছোট হোক না কেন) ইসলামী আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মানসিকতা থাকতে হবে। দাওয়াহকারী কোন রূপ আপোসরফা, ছাড় দেয়া, অবহেলা, স্থগিতকরণ বা বিলম্বন মেনে নেয় না। বরং সে দাওয়াহ’র বিষয়টিকে সামগ্রিকভাবে নিয়ে নিশ্চিতভাবে এর তাৎক্ষণিক সমাধানে সচেষ্ট হয়। সে সত্যের ক্ষেত্রে (বাধাদানকারী) কোন মধ্যস্থতাকারী গ্রহণ করেনা। রাসূলুল্লাহ (সা) সাকিফ গোত্রের প্রতিনিধিত্বকারী দলের তাদের মূর্তি আল-লাত-এর ধ্বংসের পূর্বে তিন বছর অক্ষত রাখার অনুরোধ গ্রহণ করেননি; তিনি তাদের ইসলাম গ্রহণের পূর্বশর্ত হিসাবে সালাত থেকে অব্যহতি দেননি। তিনি তাদের অনুরোধ অনুযায়ী আল-লাত কে দুবছর এমনকি একমাসের জন্যও রাখাও মেনে নেননি। তিনি এ অনুরোধগুলো দৃঢ়ভাবে ও চূড়ান্তভাবে, কোনরূপ দ্বিধা ও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই অস্বীকার করেন। কারণ খুব সহজভাবে, মানুষ হয় বিশ্বাস করবে অথবা করবেনা এবং চূড়ান্ত পরিণতি হয় জান্নাত অথবা জাহান্নাম। অবশ্য রাসূলুল্লাহ (সা) তাদের একটি অনুরোধ রেখেছিলেন, তা হচ্ছে তিনি তাদের নিজহাতে মূর্তিগুলো ধ্বংস করতে বাধ্য করেননি, বরং আবু সুফিয়ান ও আল মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ কে মূর্তিগুলোকে ধ্বংস করার আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি সুনিশ্চিতভাবেই পরিপূর্ণ আকীদা ও তা বাস্তবায়নে যা কিছু প্রয়োজন তা থেকে কম কিছুই গ্রহণ করেননি। এই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি (সা) বিভিন্ন উপায় ও ধরণ গ্রহণ করেছিলেন কারণ তা সরাসরি ইসলামী আকীদা’র প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত নয়। কাজেই ইসলামী দাওয়াহ প্রচারের ক্ষেত্রে ইসলামী ধারণার (ফিকরাহ) এবং এর প্রয়োগের পরিপূর্ণতার ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে। ইসলামী ফিকরাহ ও তরীকাহ’য় কোনরূপ আপোষ করা যাবেনা। এর দাবী অনুযায়ী যে কোন ওয়াসীলা (উপায়) ব্যবহারে কোন ক্ষতি নেই।
ইসলামী দাওয়াহর ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর প্রতিটি কাজই দাবি করে যে তার একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য (objective) থাকবে। এবং এটাও দাবি করে যে দাওয়াহ কারী সর্বদা লক্ষ্য ও তা অর্জনের জন্য (গৃহীত) কাজগুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকবে এবং এ লক্ষ্য অর্জনে বিরামহীনভাবে চেষ্টা করে যাবে। কাজেই দাওয়াহকারী কখনোই কাজ ছাড়া শুধুমাত্র চিন্তায়ই সন্তুষ্ট থাকবেনা, নয়তো এটি একটি ইন্দ্রিয়-অবসাদগ্রস্থ কল্পনাপ্রসূত দর্শনে পরিনত হবে (فلسفة خيالية مخدرة)। তেমনি সে কোন লক্ষ্য ছাড়া শুধুমাত্র চিন্তা ও কাজেও সন্তুষ্ট থাকবেনা, নয়তো এটি তার জন্য একপ্রকার (ফলাফলবিহীন) বৃত্তাকার গতিতে (حركة لولبية) পর্যবসিত হবে যা চূড়ান্ত ভাবে ক্লান্তি ও হতাশা বয়ে আনে। বরং দাওয়াহকারীকে সার্বক্ষণিকভাবে, তার চিন্তার সাথে কাজের একটি যোগসূত্র স্থাপন করতে হবে এবং এ দুয়ের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে অর্জনে কাজ করবে যা সম্পন্ন করার একটি ব্যবহারিক উপায় থাকবে এবং পরিশেষে বাস্তব রূপ লাভ করবে।
রাসূলুল্লাহ (সা) মক্কায় ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব বহন করেছিলেন। তিনি যখন বুঝতে পারলেন, মক্কার অধিবাসীরা ইসলামকে ব্যবস্থা হিসাবে গ্রহণ করবেনা, তখন তিনি মদীনায় ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি মদীনায় রাষ্ট্র স্থাপন করেছিলেন, এভাবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এর বাণী পৌঁছিয়েছিলেন, এবং উম্মাহ কে তার অবর্তমানে ইসলাম প্রচারের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং ঠিক তার অনুসৃত পদ্ধতিতেই অগ্রসর হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। কাজেই মুসলিমদের খলীফার অবর্তমানে ইসলামের দাওয়াহ করার ক্ষেত্রে ইসলামের প্রতি আহ্বান ও ইসলামী জীবন ধারা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজটিও অন্তর্ভূক্ত হতে হবে, যে রাষ্ট্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ববাসীর কাছে প্রচারিত হবে। এভাবেই ইসলামী রাষ্ট্রের মাধ্যমে দাওয়াহ উম্মাহর মধ্যে ইসলামী জীবনধারা ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট একটি আহ্বানে পরিণত হবে এবং শুধুমাত্র ইসলামী বিশ্বে সীমাবদ্ধ স্থানীয় দাওয়াহর পরিবর্তে তা বিশ্বজনীন এক সার্বিক দাওয়াহতে পরিণত হবে।
ইসলামের প্রতি আহ্বানের মধ্যে পরিষ্কারভাবে বিদ্যমান মতাদর্শগুলোর সংশোধন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করণ থাকতে হবে, এবং একে অবশ্যই জনগণের সমস্যার সমাধান দিতে হবে। যাতে করে জীবনের সর্বস্তরে দাওয়াহ স্বীয় ঔজ্জ্বল্যে স্পষ্ট হয়ে উঠে। রাসূলুল্লাহ (সা) মক্কার লোকদের নিকট নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করে শোনাতেন,
“ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।” (সুরা লাহাব: আয়াত ১)
“নিশ্চয়ই এগুলো এক সম্মানিত রাসূলের কথা, এগুলো কোন কবির কথা নয়, তোমরা খুব সামান্যই তা বিশ্বাস কর।” (সুরা হাক্কাহ: আয়াত ৪০-৪১)
“ধ্বংস হোক যারা ওজনে কম দেয়, যারা নিজেরা বুঝে নেয়ার সময় পরিপূর্ণ পরিমাণ অনুযায়ী বুঝে নেয় কিন্তু অন্যকে দেয়ার সময় কম দেয়।” (সুরা মুতাফফিফিন: আয়াত ১-৩)
“এবং যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে নহর প্রবাহিত হয়, এটিই সর্বোত্তম সাফল্য।” (সুরা আল বুরূজ: আয়াত ১১)
মদীনায় তিনি তিলাওয়াৎ করে শোনান,
“সালাত প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত আদায় কর।” (সুরা বাক্বারাহ: আয়াত ৪৩)
“তোমরা অভিযানে বের হয়ে পড় হালকা বা ভারী (রণসম্ভার) অবস্থায়, এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের জান দিয়ে, সম্পদ দিয়ে, এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা তা বুঝতে।” (সুরা আত-তাওবা: আয়াত ৪১)
“হে ঈমানদারগণ যখন তোমরা নিজেদের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋণের লেনদেন কর তখন তা লিপিবদ্ধ কর, তোমাদের মধ্য থেকে কোন ন্যায় সঙ্গত লেখক তা লিপিবদ্ধ করবে।” (সুরা আল বাক্বারাহ: আয়াত ৮২)
“সম্পদ যেন শুধুমাত্র তোমাদের মধ্যে ধনীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়।” (সুরা হাশর: আয়াত ৭)
“আগুনের অধিবাসীর ও জান্নাতের অধিবাসীরা সমান নয়, জান্নাতের অধিবাসীরাই সফলকাম।” (সুরা হাশর: আয়াত ২০)
এভাবেই ইসলামী দাওয়াহ’র মাধ্যমে মানুষের কাছে ইসলামী ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া উচিৎ যার মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিদিনের সমস্যার সমাধান করতে পারে। কারণ ইসলামী দাওয়াহ সফল হওয়ার পেছনের রহস্য হচ্ছে এটি খুবই স্পষ্ট এবং মানুষের কাছে তার জীবনের সমাধান দেয়ার সময় সমস্যাগুলো মানবীয় সমস্যা (human problem) হিসেবে দেখে, এবং এর মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যার আমূল পরিবর্তন ঘটায়।
দাওয়াহকারীদের পক্ষে দাওয়াহর দায়িত্ব পালন ও যথাযথভাবে তার কর্তব্য পালনের বিষয়টি অত্যন্ত দুরূহ যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের মনের অন্তঃস্থলে পরিপূর্ণতা অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রোথিত হয়। তাদের অবিরাম সত্যের সন্ধান ও তাদের লব্ধ জ্ঞানকে ক্রমাগত নিরীক্ষার মাধ্যমে স্বীয় উপলব্ধিকে বিজাতীয় চিন্তাধারা থেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে এবং এধরণের বিজাতীয় চিন্তাধারা অর্থের দিক থেকে আপাত গ্রহণ যোগ্য মনে করে তাতে সংশ্লিষ্ট হয়ে যাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। এটি তাদের চিন্তা ধারণা কে পরিচ্ছন্ন ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করবে। শুধুমাত্র চিন্তার বিশুদ্ধতা ও পরিচ্ছন্নতা ইসলামের সাফল্য ও তা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
দাওয়াহকারীদের আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ থেকে এই বাধ্যতামূলক দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। তাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রত্যাশায় এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। তাদের কাজের মাঝে কোন বৈষয়িক লাভ বা মানুষের প্রশংসা প্রত্যাশা করা উচিত নয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ব্যতিত তাদের অন্য কিছুর পিছনেই ধাবিত হওয়া উচিৎ নয়।
@Fiqriyatu Fiddin,মহানবী (সা.) এর দাওয়াতী জীবন ২৩ বছরের। এই ২৩ বছর আমাদের মত ম্যাড়মেড়ে ২৩ বছর ছিল না। প্রতিটি দিন বরং প্রতিটি ক্ষণই ছিল একেকটা উল্লেখযোগ্য মুহুর্ত। কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য নমুন ও আদর্শ। এই কারণেই নবীজির দাওয়াতী জীবন ও দাওয়াতী জিন্দেগী বুঝা সহজ নয়। অবশ্যই আল্লাহ যার জন্য সহজ করেন সে বাদে। এজন্যই কোন একজন আলেমের বিেশ্লষণ একটা পুরা আ’মাল বা মেহনত বুঝার জন্য যথেষ্ট নয়। আসল ব্যপার হল সবাইকে সহযোগী হিসেবে দেখলে আর কোন সমস্যা থাকে না। আমরা সাবার কাছ থেকে সব কিছু আশা করি। বাস্তবে অন্তত বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা প্রায় অসম্ভব। জনসাধারণের মধ্যে এই যোগ্যতা নেই। এটা এক দিনে নষ্ট হয়নি, তাই সারতেও একটা লম্বা সময় লাগবে। বাস্তবিক মুসলমান এমন আকিদাহ পোষণ করছে যা ঐ সময়ে কাফের রা করত। ঐ যুগের মানুষ আল্লাহ কে মানত কিন্তু সাথে মুর্তির শক্তিকেও ভয় করত যা অমূলক ছিল, আজও মুসলমান আললাহ কে ভয় করে কিন্তু এটম বা আমেরিকার শক্তি ভয় করে যা অমূলক। আল্লাহ তায়াল বাতিলের সব শক্তিকে মাকড়শা জালের সাথে তুলনা করেছেন। ঐ যুগে মানুষ মুর্তিতে সব সমাধান দেখত আজ মানুষ আমেরিকাতে সব সমাধান দেখছে। মাদরাসা পড়ুয়া অনেক কে পাওয়া যাবে যারা আমেরিকা বা ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ পেয়ে দাঁড়ি কেটে ফেলেছে। কিছু দিন আগে ইউকে তে এক বাংালী সংসদপদপ্রার্থী দেখেছিলাম যে সিলেটের কোন এক মাদ্রাসায় হাফেজী ও অন্যান্য দ্বীনী শিক্ষা গ্রহণ করেছে।
যাই হোক আপনার উপরের বিশ্লষণের সাথে তাবলীগের সম্পর্ক বুঝা যাচ্ছে না। আরও স্পষ্ট বিশ্লেষণ চাই। মানুষের কাছে হক বাতিল পরিষ্কার হওয়া দরকার।
শাইখ তাকী উদ্দীন আন-নাবহা রহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।
@guest,আস্সালাম। আপনার প্রথম প্যারাগ্রাফ এর সাথে একমত। আমার ডিটেইল লেখার সাথে শুধু তাবলীগের নয়, যেকোন ইসলামি দাওয়াহ কাযক্রম, আন্দোলন, সংগঠন – এর দাওয়াহর মূলনীতির সম্পক আছে। শেখ তাকীউদ্দীন প্রথম তাই একজন দাওয়াহকারীর কাছে তুলে ধরেছেন। পযায়ক্রমে প্রকৃত দাওয়াহ ও সমাজের পরিবতন, সবই আসে।
আর নবীজির [সাঃ] ২৩ বছর এর জীবনকে সামনে রেখেই আমাদের সব উসূল, অবল্মবন, দাওয়াহ চালাতে হবে, “৭০% ইসলাম+২০%গণতন্র+ ১০% নিজেদের হিকমাহ ” দিয়ে নয়। আমি অবাক হয়ে রই, যখন আমাদের সনামধণ্য আলেমগণ [কেউ কেউ, এটা আমভাবে সবার জন্য নয়, আমি আমলেমদের ব্যাপারে কোন কথা বলতে দি্ধা বোধ করি] – হিকমাহর অথ একদমই উল্টে দেন, যদিও তিনিই তাফসীরের ক্লাসে হিকমাহর অথ শেখান।
” আসল ব্যপার হল সবাইকে সহযোগী হিসেবে দেখলে আর কোন সমস্যা থাকে না। ” এবং ” মানুষের কাছে হক বাতিল পরিষ্কার হওয়া দরকার।” আপনার এই দুই কথা পরস্পর বিরোধী মনে হচ্ছে। আমি সকল ইসলামি কাযক্রমকে একি উদ্দেশে প্রণোদিত বলেই ধরে নিতে চাই, যা মুসলিম উম্মাহর একতার জন্য দরকার।ভিন্ন পন্থার অনুসারী হতে পারে কিন্তু একে অন্যের বিরোধী নয়। তাই এখ্খেত্রে তাবলীগি জামাতকে বাতিল বলতে রাজি নই।
শায়েখ তাকি উদ্দীন নাবাহানী [রাঃ] এর জীবন – ইংলিশে আছে, বাংলা করতে হবে –
Sheikh Muhammad Taqiuddin al-Nabhani
Sheikh Muhammad Taqiuddin bin (son of) Ibrahim, bin (son of) Mustafah, bin (son of) Ismail, bin (son of) Yusuf al-Nabhani. He belonged to the ancient Arab tribe of Bani Nabhan, from North Palestine. He was born in the village of Ijzim, within the district of Haifa, in 1909. While his father was also a scholar of Islamic jurisprudence, and accordingly worked as a lecturer in Islamic Law or Shari’ah, his mother mastered the Islamic sciences and was also an Islamic scholar. She had been taught by her father, the famous Ottoman poet, Islamic scholar, and Islamic judge Sheikh Yusuf an-Nabhani, who was appointed as judge at different Shariah courts in Jenin, Constantinople, Mosul, Latakia, Jerusalem and Beirut. The Islamic surroundings in which Taqiuddin grew up in, contributed to the consolidation of his personality, so he was able to memorise wholly & rehearse the entire Qur’an by heart at 12 years of age. Through his grand-father, he was introduced into the then relatively sound world of politics of the Ottoman Khilafah. His grandfather (father of his mother) Sheikh Yusuf an-Nabhani was known to have strong ties with high-ranking state personalities in Istanbul, Iraq, Syria, Palestine and Lebanon. His grandfather was Yusuf bin Ismail bin Yusuf bin Hasan bin Mohammed An-Nabhani Al-Shafii (Abu Al-Mahasin). He was a prominent judge in the Ottoman state and was in charge of judicial affairs in the Jenin area that belongs to the Nablus district in Palestine.
Education
The sagacity and intelligence he was able to show during Islamic study circles held by his grandfather, convinced the latter, that the exposed capacity should be promoted by all means. Instead of accomplishing his secondary Shari’ah legal education in Haifa, al-Nabhani headed for Cairo, where in 1928 he boldly enrolled at both the al-Azhar University and the Dar-ul-Ulum college of Cairo at the same time. He graduated from both, according to the traditional education curriculum, in 1932, obtaining the Universal Shari’ah Diploma, with excellent academic achievement. At al-Azhar he attended different extra-curricula circles, held by famous scholars such as Sheikh al-Akhdar Hussein, where he showed capacity during debates and discussions.
Career
On his return to Palestine he worked as a teacher from 1932 to 1938, but because he abhorred the corruption in this field at that time, he shifted to the judiciary. In his eyes, education and all the hereto-related curricula were laid down by Western colonialist nations, and were therefore prone to corruption. Judiciary, he felt was a safer haven, as it rested in its entirety on Islamic jurisprudence and the Ottoman Islamic laws were still applied. He applied to the high court in Palestine, which consequently appointed him in different judicial areas in Bisan, Tiberias and later Haifa. He also held the position of a legal Assessor from 1940 to 1945. From this date until Palestine was occupied in 1948 he held a very high position at the court of Haifa. The exodus from Palestine that followed, took him to Syria, nevertheless, a short while later he was summoned back to Jerusalem which at the time wasnot occupied by Israel, where he was appointed as Shari’ah judge or Qadi in the Court of Appeal, where he remained until 1951. He stepped down in 1951 and went to Amman, where he held numerous lecturer posts at the faculty of Islamic Sciences.
Politics
The political activities of Sheikh Taqiuddin an-Nabhani started very early. Before establishing Hizb ut-Tahrir he had no organised political activity, save for the period in his teens and twenties he had spent with the famous mujahid Sheikh Izz ad-Din al-Qassam, whom he helped lay down plans for the well known revolutionary upheavals against British colonial rule, and against plans to set up the state of Israel by the Zionist movement. He also met with the Muslim Brotherhood, and exchanged views with Sayyid Qutb. Many of his early al-Azhar colleagues later bore witness to his tireless activity in attending political and Islamic study circles. They also praised his contribution to numerous political discussions during which he did not abstain from criticising the internal circumstances, which he believed had led to the political and intellectual downfall of both the Muslims and the Islamic Caliphate. In addition, he used to urge the Ulema at al-Azhar to give up the adopted lassitude vis-à-vis the Ummah and her affairs and appealed to them to seek the best way for revival.
On his return to Palestine, he became more and more aware of the Westernisation of the Islamic Ummah by colonial powers such as Britain and France. The loss of Palestine in 1948 together with the failure of a coup attempt by Abdullah al-Tall in Jordan to which al-Nabhani had been party convinced him that only a structured and deep intellectual work could bring the nation back to its glory and strength. Consequently he began preparations relating to the Party structure, literature and the like, as early as 1949 while he was still a judge at al-Quds. In his first written work, which appeared in January 1950 under the title Inqadh Filastin (Saving Palestine), he showed how deeply rooted Islam had been in Palestine since the seventh century. He also analysed the main cause for the set backs which had befallen the Arabs which, as he said, was due to nothing but the fact that the Ummah had resigned and submitted itself to the greedy colonial powers. In August 1950 he sent a long letter, published later as a book entitled Risalat al-Arab “The Message of the Arabs”, to the members of the Culture Summit of the Arab League in Alexandria, Egypt. In his exposition of the matter, he stressed upon the point that the true and real message of the Arabs is Islam, on whose basis alone the intellectual, and hence, political revival of the Ummah could be achieved. As no reaction was forthcoming by the Summit members to this letter, Sheikh Taqiuddin an-Nabhani was now convinced, more than at any time before, that establishing a political party was essential.
Hizb ut-Tahrir
While employed at the Ibrahimiyya School al-Nabhani contacted numerous individuals and personalities such as his colleagues As’ad and Rajab Bayyud Tamimi and Abdul Qadeem Zallum and other about the formation of a political party.
By the end of 1952, and early 1953, the whole matter was put into practice and Hizb ut-Tahrir was established in al-Quds Jerusalem. Taqiuddin an-Nabhani together with Dawud Hamdan, Ghanim Abduh, Munir Shuqayr and Dr. Adil al-Nablusi in accordance with the until then practiced Ottoman Law of Societies, sent a notice to the governor of Jerusalem and the Jordanian government, informing the authorities about the establishment of the Party. The Jordanian government however, reacted instantly, and issued a decree banning the Party, and declaring its activities illegal. Hizb ut-Tahrir, nevertheless, ignored this action and continued with its work in al-Quds, al-Khalil, Nablus and other towns and villages. Harsh reactions were to follow by the government against the Party members, and these continue until this day.
Consequently the “Preaching and Guiding Law” was issued in 1954, with the objective of banning Party members from giving talks in mosques. Despite harsh repression, the Party has been able to grow immensely, stretching its work throughout the Muslim world, and even reaching remote parts of the globe like Aceh.
After al-Nabhani left Jordan for a short trip to Damascus and Beirut sometime in 1955 the Jordanian government passed an edict effectively barring al-Nabhani ever returning to the kingdom. Consequently al-Nabhani re-located to Damascus and later Beirut from where he led the party.
During 1973 whilst on a trip to Iraq, al-Nabhani was imprisoned by Iraqi security services and severely tortured. He was spared only due to the Iraqi security services misidentifying him as a scribe of the party and not its leader. His release was secured soon after however, upon the intervention of a prominent Lebanese personality to whom al-Nabhani was related by marriage.
Death
Due to the continuous harassment and persecution by the Jordanian government al-Nabhani was forced into giving up his role in public life. Sheikh Taqiuddin an-Nabhani died in Beirut on 20 December 1977, and was buried at the al-Auza’i cemetery.
His Books
Saving Palestine – 1950
The Message of the Arabs – 1950
The System for Society – 1950
The System of Islam – 1953
The Ruling System in Islam – 1953
The Economic System in Islam – 1953
The Social System in Islam -1953
The Party Structure -1953
The Concepts of Hizb ut-Tahrir – 1953
The Islamic State – 1953
The Islamic Personality (in three volumes) – 1960
Political Concepts of Hizb ut-Tahrir – 1969
Political View of Hizb ut-Tahrir – 1972
Introduction to the Constitution or the Reasons That Make it Obligatory – 1963
The Khilafah – 1967
Presence of Mind – 1976
A Burning Call to the Muslims from Hizb ut-Tahrir – 1965
Thinking – 1973
The Jurisprudence of Prayer (Salah)
@guest, youtube link: http://www.youtube.com/watch?v=EDGETkxng9E
@habib008
তাবলিগ রোগের চিকিতসা করে না। রুগীর চিকিতসা করে।
অনেক মানুষ তাবলিগে যাওয়ার পরে অনেক কিছু নিজেই ত্যাগ করেছে।
@kawsartex, আস্সালাম। “তাবলিগ রোগের চিকিতসা করে না। রুগীর চিকিতসা করে।” এর মানে কি? একটু বুঝিয়ে বলবেন। হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররাও একথা বলে।একটা ইসলামি আন্দোলন এর ব্যাপারে এভাবে উদাহরন দিয়েন না।
ভাইদের আবার বলি – নিজেকেই প্রশ্ন করে উত্তর না পেয়ে ভাইদের কাছে জানতে চাই – দীন ইসলাম এর ডাক বা তাবলীগ করার সাথে সাথে কি awami league – BNP ও করা জাবে? মানে, এদের রাজনীতির সংগে একমত পোষণ করা জাবে? ইসলাম কি উপরের প্রশ্নটার উত্তর দেয়নি ।
ইসলাম কি বলে, আমাদের জানার ইচ্ছা শুধু সেটা – তাবলীগ জামাত কি বলে, জামাতে ইসলামী কি বলে , এসব নয়। মানে ইসলামের মৌলিক আকাঈদ শিখ্খা কি এটা ইজাজত দেয়? আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে মাফ করবেন!
@Fiqriyatu Fiddin,হমম, তাবলীগ, পাল্লা ধানের শীষ-সব সাপেরই একই বিষ! চরমোনাইতেই সব সমাধান!! হাত পাখা নিয়ে আসছে ইসলামের ঠান্ডা হাওয়া!!!
@guest, – হাসাইলেন ভাই। এর মোধে চরমনাই ঢুকলো কেমনে? উনিতো এক জানাজাতে গিয়ে বল্লেন যে – “আজ আমি সরকারের বিরূদ্ধএ কিছু বলবনা, উনাদের কথা দিয়ে আসছি”। সত্য- অসত্য, যানাবেন!!!
@Fiqriyatu Fiddin, এটা আমাদের চরমোনাইয়ের ভাইয়েরা ভালো বলতে পারবেন। নূর হোসেন ভাইয়ের উত্তরের অপেক্ষায়…….
দীন ইসলাম এর ডাক বা তাবলীগ করার সাথে সাথে কি সৌদী শাসকদের একনায়কতন্ত্র ও সমর্থন করা যাবে? মানে, এদের রাজনীতির সংগে একমত পোষণ করা যাবে?
বা অন্যান্য কবীরা গুনাহে (কুদৃষ্টি, গীবত, শরঈ পর্দা লংঘন প্রভৃতি) লিপ্ত থাকা যাবে?
@Ahmed,হমম
বেসিক কোশ্চেন
। তাবলীগের কনসেপ্টটাই পরিষ্কার না। তাবলীগ বলতে আমি কোন দল বা সংঘঠনকে বুঝাচ্ছি না। আমি বলতে চাচ্ছি আল্লাহর দিকে ডাকার যে আমল তা। আপনি যেসব কবিরা গুনাহের কথা উল্লেখ করেছেন তাতে যদি কেউ লিপ্ত হয় তাহলে কি সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়? (যেমন টা কারেজীরা দাবী করত?) যদি হয় তাহলে তো আর কোন প্রশ্ন থাকল না, যে চিরদিনের জন্য জাহান্নামী, তার জন্য আমাদের কোন সহানুভুতি নেই। তার জন্য হিদায়েতের দোয়াই শুঢু করতে পারি। যদি না হয় তাহলে আমার প্রশ্ন থাকবে তাবলীগ কি জিনিস? এটা যদি নামায বা রোজা বা অন্যান্য আমলের মত একটা আমল হয় এই প্রশ্নটা কেন? একজন বেনামাযী রোযা রাখলে যদি কোন প্রশ্ন না ওঠে, একজন মদখোর নামায পড়লে যদি কোন প্রশ্ন না ওঠে, একজন বিদাতী কালেমা পড়লে যদি প্রশ্ন না ওঠে, একজন বিএনপি নেতা বিবাহ করলে যদি প্রশ্ন না ওঠে (ামি ধরে নিচ্ছি বিবাহ করাটাও একটা আমল যেহেতু বিবাহ না করেও যৈবিক চাহিদা পুরা করা যায়। সাধারনত বিদেশে যাদের ধর্মের বুঝ আছে তারাই বিবাহ করে। বাকিরা লিভটুগেদার করে।) একজন আওয়ামী নেতা হজ্জ করলে যদি প্রশ্ন না ওঠে, একজন রাজনীতিবিদ তাবলীগ করলে প্রশ্ন উঠছে কেন?আর তাবলীগ যদি কোন আমল না হয়তাবলীগ আসলে কি জিনিস?