IRAQ…Lets not wipe it off !!!
লিখেছেন: ' Fiqriyatu Fiddin' @ সোমবার, জুন ৭, ২০১০ (৯:১৩ অপরাহ্ণ)
ইরাকে ভয়াবহ জেনেটিক বিপর্যয়ঃ ধ্বংস হোক এই দানব-সভ্যতা
ইঙ্গ-মার্কিন সভ্যতায় মানবতার কোনো সন্তান নেই। বস’বাদে এর সূচনা, পাশবিকতায় সমাপ্তি। শোষণ, নিপীড়ন, কপটতা ও মিথ্যাচার হল এর নানা অঙ্গের ভূষণ। এই সভ্যতা-জননীর মানস-সন্তানেরাই আজ গোটা পৃথিবীকে নরক বানিয়ে ছেড়েছে। সন্দেহ নেই, গোটা মানবজাতির জন্য এই সভ্যতা এক অভিশাপ। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের নামে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদে যে ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে, এককথায় তা নজিরবিহীন। ইরাক ও আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন বর্বরতার চিহ্ন এখনো দগদগে। প্রতিনিয়ত তা থেকে রক্ত ঝরছে। আজ এই সত্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, একটি নির্জলা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ইসলামী সভ্যতার প্রাচীন লীলাভূমি ইরাককে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও মানবতার প্রবক্তারাই লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য নারী ও শিশুর উপর পঙ্গুত্বের অভিশাপ চাপিয়ে দিয়েছে। সমপ্রতি ইরাকে দেখা দিয়েছে মারাত্মক জেনেটিক বিকৃতি। জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী শিশু। আগামী পঁচিশ বছর পর্যন্ত এই অবস্থা বিদ্যমান থাকবে বলে ইরাকী চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমাদের বিশ্বাস, এই সভ্যতার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। ইঙ্গ-মার্কিন দানব-শক্তি ও তার দোসররা বিভিন্ন মুসলিম জনপদে যে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে-এর পরিণাম তাদেরকে ভুগতে হবে, লক্ষ কোটি মানব-সন্তানকে তারা যে নরক-যন্ত্রণার মুখোমুখী করেছে-এর প্রায়শ্চিত্যও তাদেরকে করে যেতে হবে। আজ শুধু ফররুখের ক্ষমাহীন কণ্ঠে বলতে ইচ্ছে করে- হে জড়-সভ্যতা!/মৃত সভ্যতার দাস/স্ফীতমেদ শোষকসমাজ!/মানুষের অভিশাপ নিয়ে যাও আজ;/তারপর আসিলে সময়/বিশ্বময়/ তোমার শৃঙ্খলগত মাংসপিণ্ডে পদাঘাত হানি/নিয়ে যাব জাহান্নাম-দ্বার-প্রান্তে টানি/ আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও/ধ্বংস হও/তুমি ধ্বংস হও
সমপ্রতি ইরাকে দেখা দিয়েছে মারাত্মক জেনেটিক বিকৃতি। জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী শিশু।
তাহলে প্রশ্ন সন্ত্রাসী কে ? আমেরিকা নাকি মুসলিম বিশ্ব ?
এমেরিকা এ পর্যন্ত যেখানেই যুদ্ধ বাধিয়েছে সেখানেই গনবিধ্বংষী অস্ত্র প্রয়োগ করেছে। শুরু হয়েছিল হিরোশিমা নাগাসিকা দিয়ে, তারপর, ভিয়েতনাম-আফগানিস্তান, ওয়াজিরিস্তান, অতিসম্প্রতি ইয়ামেনেও তারা ক্লাষ্টার নিক্ষেপ করেছে, এবং এমেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এই ক্লাষ্টার প্রয়োগের জবাবদিহীতা চাইলেও তারা নিশ্চুপ রয়েছে। মোটের কথায় যে দেশেই এমরিকার সাথে বাঝাবাঝি হয়েছে সেখানে নির্বিচারে কাপুরুষচিত মিজাইল আর মানবহীন বিমানের মাধ্যমে এমেরিকা এমন অস্ত্র প্রয়োগ করে যার শিকার হয় সাধারণ বেসামরিক মানুষ। শিশু-মহিলা এবং অসৈনিক জনগন। যুদ্ধনীতি পরিপন্থী এসব অমানবিক হামলাকে তারা সন্ত্রাসদমন! আখ্যা দেয় অথচ কথিত সন্ত্রাসীদের আত্নঘাতী! হামলাগুলোতেও আছে সুন্দর চয়ন, যেমন কেবল এম্বেসি, বা সোলাডার চেক পয়েন্ট, বা ক্যাম্প ও সেনাবহরে কিংবা সিভিল নয় আবার সামরীকও নয় তবে এমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যাতে হামলা করলে এমেরিকার অর্থনৈতিক এবং রাস্ট্রীয় ক্ষতি হয় এমন জায়গাগুলোতেই হামলা করেন।
তারা যদি শক্তির বড়াইয়ে একটি শতকধরে কাপুরোষিত বিমানের সাহায্যে নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে তাতে ক্ষুদ্ধ হয়ে কিছু অতি ইমোশনাল মানুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে এখানে মানবিকতা লংঘনের সূত্রপাত কারা করে সেটা বিবেচ্য হবে।
প্রথাগত যুদ্ধে নীতিগত দিক বজায় রাখলে তারাযে পেরে উঠবে না এটা তাদের জানা হয়েগেছে অনেক আগেই, তাই কোন রাষ্ট্রেই সন্ত্রাসবিরোধী! যুদ্ধে এমেরিকা প্রথাগত হামলা বেছে নেয় নি, যা ইতিমধ্যে আমি আলোচনা করেছি। তাহল শত্রু যদি কাপুরোষিত চোরাগুপ্তা এবং সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় এমন হামলার পথ বেছে নেয় তখন তা নিয়ন্ত্রন ও শত্রুকে পরাস্ত করতে কিভাবে যুদ্ধ করা যাবে এ নিয়ে যুদ্ধ বিশেজ্ঞ আলেমদের আলাদা ডিরেক্টরি এবং ডকুমেন্টারি আছে, এগুলোকে সামরীক প্রয়োজন এবং সুন্নাহের আলোকে বিচার করে অতিসাময়িক বিবেচনায় আনাহবে । এ নিয়ে কয়েকটি লেখাও পড়েছিলাম এর একটিতে সরাসরে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল ” আত্নঘাতি হামলার একটি শরয়ী পর্যালোচনা” বইটি সৌদি একজন ডক্টরের তত্বাবোধানে লিখিত ছিল। পাকিস্তানের একদল গবেষকও এ বিষয়ে কিছু ফতোয়া কোড করেছিলেন।