লগইন রেজিস্ট্রেশন

All Muslim Brothers are trying their BEST to Bring ISLAM under the Brilliant LIGHT

লিখেছেন: ' Fiqriyatu Fiddin' @ শনিবার, জুলাই ৩১, ২০১০ (৩:৫৩ অপরাহ্ণ)

মূর্তি নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা : বিভ্রান্তি ও বাস্তবতা
সম্প্রতি কল্পকথার গল্পে বিভোর হুমায়ুন আহমেদের লেখা থেকে (প্রথম আলো, ২৭ অক্টোবর) জনমনে একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। আমি প্রথমে সে অংশটুকু উদ্ধৃত করছি। “আমাদের মহানবী (স: ) কাবা শরিফের ৩৬০ টি মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেয়ালের সব ফ্রেসকো নষ্ট করার কথাও তিনি বললেন। হঠাৎ তাঁর দৃষ্টি পড়ল কাবার মাঝখানের একটি স্তম্ভে। যেখানে বাইজেন্টাইন যুগের মাদার মেরির একটি অপূর্ব ছবি আঁকা। নবীজী স: সেখানে হাত রাখলেন এবং বললেন, ‘এই ছবিটা তোমরা নষ্ট করো না’। কাজটা তিনি করলেন সৌন্দর্যের প্রতি তাঁর অসীম মমতা থেকে। মহানবীর স: ইন্তেকালের পরেও ৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মপ্রাণ খলিফাদের যুগে কাবা শরীফের মতো পবিত্র স্থানে এই ছবি ছিল। এতে কাবা শরিফের পবিত্রতা ও শালীনতা ক্ষুন্ন হয়নি। মহানবীর স: প্রথম জীবনীকার ইবনে ইসহাকের (আরব ইতিহাসবিদ, জন্ম: ৭০৪ খৃষ্টাব্দ মদিনা, মৃত্য: ৭৬৭ খৃষ্টাব্দ বাগদাদ) লেখা দি লাইফ অব মোহাম্মদ গ্রন্থ থেকে ঘটনাটি বললাম। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত বইটি অনুবাদ করেছেন আলফ্রেড গিয়োম (প্রকাশকাল ২০০৬, পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৫২)”

আলফ্রেড অনূদিত ‘দি লাইফ অব মুহাম্মদ’ গ্রন্থটি খৃষ্টান লোকদের নবীবিদ্বেষী মনোভাবের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বৈ কিছুই নয়। হুমায়ুন আহমেদ সেই রচনাকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের ভাবতেও অবাক লাগে খৃষ্টানদের ইসলামের নবীবিদ্বেষী লেখাকে তিনি বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া কিভাবে গ্রহণ করলেন?

প্রথমে ইবনে ইসহাক সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। তিনি রাসূলুল্লাহর স: প্রথম জীবনীকার। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখি করে গিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার কোনটিই আজ অবশিষ্ট নেই। তার মৃত্যুর পর তার ছাত্র ‘বাক্কাকী’ তার কাজগুলো সম্পাদনা করে আবার লিখেন। কিন্তু সেগুলোও পরে নষ্ট হয়ে যায়। পরে বাক্কাকীর ছাত্র ‘ইবনে হিশাম’ তা পুনরায় সম্পাদনা করে নবীজীর স: জীবনী গ্রন্থ লিখেন, যা আজো ‘সীরাতে ইবনে হিশাম’ নামে আমাদের কাছে আছে। ইবনে ইসহাকের অপর এক ছাত্র ‘সালামা ইবনে ফজল’। তিনিও বাক্কাকীর ন্যায় ইবনে ইসহাকের কাজগুলো সম্পাদনা করেন। কিন্তু কালক্রমে তাও হারিয়ে যায়। এরপর সালামার ছাত্র ‘ইবনে জারীর তাবারী’ তা পুণরায় সম্পাদনা করেন। তার সম্পাদনাটি বর্তমানে ‘তারীখে তাবারী’ নামে আমাদের হাতে আছে। ইবনে হিশাম আর তাবারীর রচনার মাঝে পার্থক্য হল, ইবনে হিশাম তার সম্পাদনাকালে ইবনে ইসহাকের ভিত্তিহীন বর্ণনাগুলো বাদ দিয়েছেন এবং আরো কিছু নির্ভরযোগ্য বর্ণনা যোগ করেছেন। আর তাবারী ইবনে ইসহাকের অধিকাংশ বর্ণনা উল্লেখ করেছেন এবং নিজেও অনেক বর্ণনা যোগ করেছেন। এতে তিনি ইবনে হিশামের মত এত সতর্কতা অবলম্বন করেননি। আলফ্রেড গিয়োম ১৯৫৫ সালে তাবারী ও ইবনে হিশাম থেকে কেবল ইবনে ইসহাকের বর্ণনাগুলো সংকলন করে দি লাইফ অব মোহাম্মদ গ্রন্থটি লিখেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে তা ২০০৩ ও ২০০৬ এ পুণ:মুদ্রিত হয়। (উইকিপিডিয়া অনলাইন)

এবার আসা যাক কাবা শরিফের ভেতর মাদার মেরির ছবি প্রসঙ্গে। ইবনে ইসহাকের জীবনী গ্রন্থের দুই ধারক তাবারী ও ইবনে হিশাম কেউই এ বর্ণনাটি উল্লেখ করেন নি। এ দুটো জীবনী গ্রন্থ ছাড়াও প্রসিদ্ধ-অপ্রসিদ্ধ কোন জীবনী গ্রন্থেই এর উল্লেখ নেই। তাহলে প্রশ্ন, আলফ্রেড গিয়োম তা পেলেন কোথা থেকে? ‘আখবারে মাক্কা’ নামে ‘আযরাকী’ রচিত এক ইতিহাস গ্রন্থ হতে এ বর্ণনা পাওয়া যায়। আলফ্রেড গিয়োম সেখান থেকে তা নিজে সংযোজন করেছেন,এটা ইবনে ইসহাকের কোন বর্ণনা নয়।

আর ‘আখবারে মাক্কা’..?। আল্লামা আব্দুর রহমান বিন ইয়াহয়া মুয়াল্লিমী (মৃত্যু: ১৩৮৬ হি: ) তার মাকামে ইব্রাহীম কিতাবে এ বর্ণনাটি উল্লেখ করে বলেন, “আযরাকী তো নিজের ব্যাপারেই নির্ভরযোগ্য নয়। কোন ইমাম তাকে নির্ভরযোগ্য বলেননি। ইমাম বুখারী, ইবনে আবি হাতিম, কেউই তার বর্ণনা আনেননি। বরং “আল ইকদুস সামীন” গ্রন্থে গ্রন্থকার তার জীবনী উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, আমি কাউকে তার জীবনী উল্লেখ করতে পাইনি। অতএব সে হাদীস বিশারদদের নিয়মানুসারে ‘মাজহুল’, যার পরিচয় অজ্ঞাত।” (মাকামে ইব্রাহীম, পৃ:৫৬) সুতরাং, তার কথা নির্ভরযোগ্য নয়।

এখন যে বর্ণনা নিয়ে এত হট্যগোল সে প্রসঙ্গে পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আযরাকী উক্ত বর্ণনা চারটি সুত্রে বর্ণনা করেন। যার প্রতিটিই বিচ্ছিন্ন সুত্র, অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী ও গোজামিল বক্তব্য থাকায় হাদীস বিশারদদের কাছে একেবারেই গ্রহণ যোগ্য নয়। এর বিপরীতে জাবের রাঃ বর্ণনা করেন, “মক্কা বিজয়ের দিন নবী (সাঃ) ওমর (রাঃ) কে নির্দেশ দিলেন যেন তিনি কাবা শরিফের ভিতরের সব ছবি নষ্ট করে দেন। অতঃপর ছবি নষ্ট করার আগে নবী (সাঃ) কাবা শরিফের ভিতর প্রবেশ করেন নি। (আবু দাউদ, বায়হাকী, আহমদ) এছাড়া আযরাকীর উক্ত বর্ণনা টা বুখারী তে এভাবে এসেছে, “নবী (সাঃ) যখন কাবা শরিফের কাছে আসলেন, তখন তিনি তাতে মূর্তি থাকাবস্থায় প্রবেশ করতে সংকোচ করলেন। এরপর তিনি নির্দেশ দিলে সেগুলো বের করা হল। তখন সেখানে ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আঃ) এর মূর্তিও ছিল, তাদের হাতে ভাগ্য নির্ধারণী তীর ছিল। নবীজী (সাঃ) তা দেখে বললেন, আল্লাহ তাদের (যারা এগুলো বানিয়েছে) ধ্বংস করুন। তারা কি জানত না যে, ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আঃ) কখনো এসব ভাগ্য নির্ধারণী তীর ব্যবহার করেননি? এরপর তিনি কাবা শরিফে প্রবেশ করলেন এবং চতুর্দিকে তাকবীর ধ্বনি দিলেন, তবে তাতে কোন নামাজ পড়লেন না। (বুখারীঃ ১:২১৮, আবু দাউদ:১:২৭৭, রশীদিয়া লাইব্রেরী দিল্লী) এভাবে হাদিসের অন্যান্য নির্ভরযোগ্য কিতাবেও এসেছে। এর পরের যে অংশটুকু আযরাকী বর্ণনা করেন যে, নবীজী (সাঃ) ঈসা ও মরিয়ম (আঃ)-এর ছবি নষ্ট করতে নিষেধ করেন, তা কেউ বর্ণনা করেন নি। এটি সম্পূর্ণই বানোয়াট।

এ প্রসঙ্গে আরো কিছু বর্ণনা উল্লেখ করা যেতে পারে- উসামা বিন যায়দ (রাঃ) বলেন, আমি নবীজীর (সাঃ) সাথে কাবা শরিফের ভিতর প্রবেশ করলাম। তিনি তাতে কিছু ছবি দেখতে পেলেন। তখন তিনি এক বালতি পানি আনতে বললেন। আমি আনলাম। এরপর তিনি তা দিয়ে সেগুলো মুছে দিলেন এবং বললেন, “আল্লাহ ঐ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করুন, যারা এমন জিনিসের আকৃতি দেয় যা তারা সৃষ্টি করতে পারবে না”। (আবু দাউদ) এ হাদিস অনুসারে নবীজী (সাঃ) স্পষ্টতই সব ছবি নষ্ট করেন এবং এতে ঈসা ও মরিয়ম (আঃ)-এর আকৃতি অক্ষুন্ন থাকার কোন প্রমাণ নেই। অপর বর্ণনায় আছে, “ওমর (রাঃ) কাবার ভেতরে ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) এর মূর্তি দুটো প্রথমে নষ্ট করেননি। নবীজী (সাঃ) ভেতরে ঢুকে তা দেখে বললেন, ওমর, আমি কি তোমাকে বলিনি যে, ভেতরে কোন মূর্তি বা ছবি রাখবে না। আল্লাহ তায়ালা এর নির্মাতাদের ধ্বংস করুন। এরপর তিনি মরিয়ম (মেরি)-এর ছবি দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, এখানে যত ছবি আছে সব মুছে দাও। আল্লাহ ঐ সম্প্রদায় কে ধ্বংস করুন যারা এমন কিছুর আকৃতি দেয়, যা তারা সৃষ্টি করতে পারে না। (ওয়াকিদী)

বলতে পারি আমরা স্পষ্টতই বলব, কাজটা যে নবী (সাঃ) সৌন্দর্য্যরে প্রতি তাঁর অসীম মমতাবোধ থেকে করেছেন, তাতো স্পষ্ট নয়। আযরাকীও তো এ কথা বর্ণনা করেননি। তাহলে কি তা জাল হাদীসের মাঝে মনগড়া সংযোজন নয়? এভাবে একটা দুর্বল, বানোয়াট, জাল ও ভিত্তিহীন হাদীসের ভিত্তিতে ইসলামে এত বড় বিভ্রান্তি ছড়ানো কি ঠিক? ছবি ও মূর্তি হারাম হওয়ার ব্যপারে নবীজী (সাঃ) এর অসংখ্য বর্ণনা, যার কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, এর বিপরীতে এই দুর্বল বর্ণনা কতটুকু গ্রহণযোগ্য? এটা কি নাটক-উপন্যাসের মত ইসলামের স্পর্শকাতর বিধানে অসতর্ক হস্তক্ষেপ করার দুঃসাহস নয়? আর ভাস্কর্য তো সর্বকালের সকল ইমামদের মতেই নিষিদ্ধ, কোনরূপ দ্বিমত নেই তাতে। এছাড়া ছবির বর্ণনা দিয়ে ভাস্কর্যের বৈধতার প্রমাণই বা হয় কিভাবে? কাবা শরিফে পূজোর মূর্তি ধ্বংস করার পরও ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) এর দুটো মূর্তি ছিল। যেগুলো পূজোর নয়, বরং আরবরা তা ভাগ্য নির্ধারণে ব্যবহার করত। সেগুলো তাদের জন্য মডেল ও সৌন্দর্য্যরে প্রতীক ছিল। কিন্তু আফসোস! সৌন্দর্য্যরে প্রতি অসীম মমতা যে নবীর (সাঃ), তিনি নিজেই সেগুলো নির্মমভাবে ভাঙতে নির্দেশ দিলেন। আবার সাথে সাথে জোর কণ্ঠে এও বললেন, “আল্লাহ এর নির্মাতাদের ধ্বংস করুন”। আমার মনে হয়, হুমায়ুন সাহেবের নজরে মূর্তির এই হাদিসটি আসেনি। কিন্তু এতসব ‘ইন্টেরেস্টিং ব্যাপার’র মাঝে কি ইসলামের ব্যাপারে অজ্ঞতা, মূর্খতা ও সতর্কহীনতাই ফুটে উঠে না? নাকি এটা ‘বড় বড় লেখকের চরম ভুল’। সে যাই হোক, একটা কথা না বললেই নয়, হুমায়ুন সাহেব কিন্তু নবীজীর (সাঃ) ফুল-প্রীতির হাদিস দিয়েই তাঁর সৌন্দর্য্য প্রীতির প্রমাণ দিতে পারতেন। খুঁজে খুঁজে এই জাল হাদীস উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন ছিল না।

তবে যেগুলো অসম্পূর্ণ, শুধু একটি হাত, বা পা ইত্যাদি, সেগুলো হারাম নয়। আয়েশা (রা: ) এর পুতুলটি এমনি ছিল। তা মূলত একটি কাপড়ের দলা ছিল, যাকে তিনি পুতুল বলে উল্লেখ করেছেন। নবীজী (সাঃ) এটাকে নিছক কাপড়ের দলা দেখেই প্রশ্ন করেছেন, আয়েশা! এটা কি? অন্যথায় সম্পূর্ণ পুতুল হলে প্রশ্ন করার প্রয়োজনই পড়ত না। আর এটাকে আয়েশা (রাঃ) সুলায়মান (আঃ) এর ঘোড়ার ন্যায় ঘোড়ার পুতুল বলাতেই নবীজী (সাঃ) হেসে মজা করেছেন। এ কথাটুকুই হুমায়ুন সাহেবের ভাষায়, “আমরা সবাই জানি, হযরত আয়েশা (রাঃ) নয় বছর বয়সে নবীজীর (সাঃ) সহধর্মিনী হন। তিনি পুতুল নিয়ে খেলতেন। নবীজীর তাতে কোন আপত্তি ছিল না, বরং তিনিও মজা পেতেন এবং কৌতূহল প্রদর্শন করতেন।” নবীজীর আপত্তি ছিল না কারণ তা ছিল অসম্পূর্ণ। আর এটাকে আয়েশা (রাঃ) ঘোড়া বলে উল্লেখ করায় তাঁর শিশুসুলভ আচরণে নবীজী (সাঃ) হাসেন।

সারকথা, ইসলাম মূর্তিকে অনুমোদন করে না। তা উপাসনার জন্যই হোক আর অন্য কোন কারণেই হোক।

হুমায়ুন সাহেব ইরান ও লিবিয়ায় এবং শেখ সাদী ও শেখ ফরিদদুদ্দীন আত্তার (রহঃ)-এর মাজারের সামনে ভাস্কর্যের কথা উল্লেখ করেছেন। কোথায় কি ভাস্কর্য আছে তা ইসলামের দলিল নয়। দলিল হলো কোরআন ও হাদিস।

ইসলামের বিরুদ্ধে কয়েকটি অপপ্রচারের জবাব
বি:দ্র: এই পোষ্টটি আইডি ফোরামে একটি লেখার জবাবে লেখা। মূল লেখকের বক্তব্যগুলো ইটালিক ও বোল্ড করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এরপর জবাব দেয়া হয়েছে।….
আপনি লেখাটা শুরু করেছেন ব্যান হবেন কিনা এই ভয়ে ভীত আপনি- তা বলে, যেন পাঠক প্রথমেই আপনার প্রতি সহমর্মী হয়ে উঠেন। এরপর একাত্তরের পাক বাহিনীর বর্বরতার ঘটনা শুনিয়ে পাঠকের অন্তরকে ইমোশনাল করে নিয়েছেন। যেন ইমোশনের মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা সবরকম কথা সহজেই পাঠকের অন্তরে গুঁজে দিতে পারেন।
একাত্তরের ধর্ষণ আর পৈষাচিকতা আপনাকে ইসলামের ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করেছে; একাত্তরের ঘটনা পড়ে আপনি ইসলামের ইতিহাসের এক নতুন রূপ খুঁজে পেয়েছেন, যা ১৪০০ বছর ধরে মুসলিমরা আড়াল করে রেখেছিল।
শুরুতে আপনার লেখাটিকে মৌলিক লেখা মনে করেছিলাম, আর আপনার গবেষণাকে ধরে নিয়েছিলাম মৌলিক কোনো গবেষণা।
কিন্তু আজ যেভাবে গুগল ভাইয়া আপনাকে এই ফোরামে নিয়ে এসেছে, এভাবেই যে এই লেখার বিষয়গুলো একদিন গুগল ভাইয়াই আপনাকে বের করে দিয়েছিল, তা বুঝতে কিন্তু আর সময় নিতে হয় নি। পাঠক বন্ধুরা! গুগল ভাইয়াকে একটু খোঁচা দিলেই এই লেখার অনুরূপ হাজারো আর্টিকেল আপনি আন্তর্জালের আন্ডারওয়ার্ল্ডে খুঁজে পাবেন। আবার গুগল ভাইয়াকে একটু অন্যভাবে খোঁচালে ঠিক এসব আর্টিকেলের আবার হাজারটা উত্তরও পেয়ে যাবেন।
প্রিয় লেখক! আপনি আপনার লেখায় মোটামুটি কয়েকটি কথা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন, যার একটির পক্ষেও তেমন কোনো রেফারেন্স আপনি উপস্থাপন করতে পারেননি।
১. লোভ ও ভয় দেখিয়ে ইসলাম প্রচার করা হয়।
২. ইসলামে দাস প্রথা।
৩. নবীজী স. সাফিয়্যা রা: কে বিয়ে করেছেন জোর করে, তার প্রেমে পড়ে।
আপনি ইতিহাসে নিজ থেকে (নিশ্চিত ভাবেই গুগল ভাইয়ের সাহায্যে)কিছু কাল্পনিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন, যার পক্ষে কোনো রেফারেন্স আপনি উপস্থাপন করতে পারেননি। বরং পাক বাহিনীর বর্বরতার গল্পের রঙে আপনি ইসলামের ইতিহাসকে রাঙাতে চেষ্টা করেছেন।
আপনি বলেছেন,
মুহাম্মদ ইসলাম ধর্মের ঘোষনা দেয়ার পরে তার দলে বেশ কিছু মানুষ যোগ দেয় এবং বিপুল পরিমানে মানুষ তার প্রচারিত ধর্মের বিরোধীতা করে। বিরোধীতার প্রধান উদ্দেশ্য অবশ্য ছিল রাজনৈতিক। সে সময়ে আরবের মক্কায় দুটো গ্রুপ শক্তিশালী ছিল, একটা গ্রুপের সদস্য মুহাম্মদ নবী হবার দাবী করায় অন্য গ্রুপটি নিজেদের কর্তৃত্ব হারাবার ভয়ে মুহাম্মদের প্রবল বিরোধীতা করে।
বিরোধিতার প্রধান উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয়। নবীজীর স. জীবনী যারা রচনা করেছেন, তারা সবাই এ ঘটনা উল্লেখ করেছেন যে, আরবরা নবীজীর স. কাছে পুরো আরবের রাজত্বের অফার নিয়ে এসেছিল, যা তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিরোধিতা যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই হত,তাহলে তা সেদিনই মিটে যেত।
নতুন প্রচারিত ধর্মে যোগদানের জন্য মুহাম্মদকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে, আল্লাহর নামে তিনি তার গ্রন্থ কুরআনে বলেছেন যে ইসলামের পথে জিহাদ করলে স্বর্গে অসংখ্য হুর গেলমান পাওয়া যাবে, দুধের সমুদ্র থেকে শুরু করে মদের নদী এমন কিছু নাই যে মুহাম্মদ লোভ দেখান নাই। এ সকলই নতুন প্রবর্তিত ধর্মে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য।
নতুন ধর্মে যোগদানের জন্য কুরআনের মাধ্যমে জিহাদের প্রতি আহ্বান, সে জন্য হুর,গেলমান,মদ –এসবের লোভ! হাহা! ঐতিহাসিকরা সবাই একমত যে, নবীজীর স. মক্কী জীবনের ১৩ বছর কোনো জিহাদ হয়নি। অথচ এই ১৩ বছর ছিল ইসলাম প্রচারের প্রথম ১৩ বছর। প্রথম তের বছর যে ধর্ম প্রচার করতে যুদ্ধের প্রয়োজন হয়নি, পরের দশ বছর সেই একই ধর্ম প্রচার করতে যুদ্ধ করতে হল?
মানুষ সব সময়েই দুটী জিনিষের বাধ্য- লোভ আর ভয়। মুহাম্মদ দোযখের ভয় জনগনকে এমনভাবেই দেখিয়েছেন যে সেই ভয়েই অনেক দুর্বল হ্নদয়ের মানুষ সাথে সাথে ইসলাম কবুল করে। একই সাথে ছিল ইসলামে যোগ দিলে অশ্লীল লাভের প্রতিশ্রুতি, বেহেশত নামক পতিতাপল্লী এবং সুরীখানার প্রবেশাধিকার। দুইয়ে মিলে ভালভাবেই চলছিল মুহাম্মদের নতুন ধর্ম।
খালেদ বিন ওয়ালীদ, আবু সুফিয়ান, ওমর, হামযা রা: সবাই দুর্বল হৃদয়ের মানুষ! নবীজীর স.একার কী শক্তি ছিল! সুবহানাল্লাহ! যে, তার ভয়ে ওমরের মত লোক তলোয়ার নিয়ে এসে ইসলাম কবুল করে ফিরে যায়… হায়!
বেশ কিছু সাহাবী মুহাম্মদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলো যুদ্ধে প্রাপ্ত গনমতের মালের মধ্যে নারীদের ধর্ষণ করা জায়েজ কিনা।
শব্দটা গনমত নয়, গনীমত। আর এরকম কোনো শানে নুযূল আয়াতের ক্ষেত্রে বর্ণিত নেই।
পরম করুনাময় আল্লা তালাহ সাথে সাথে ওহী লাজিল করে বসলেন।
“তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।(সুরা ৪:২৮)
ভুল রেফারেন্স। এই রেফারেন্সে এরকম কোনো আয়াত কুরআনে নেই। অন্য কোথাও এই আয়াত আছে, তবে যে প্রেক্ষাপট আপনি বর্ণনা করেছেন, তা নিছক বানোয়াট।
দক্ষিণ হস্ত বলতে কি বুঝায় নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নাই, ডান হাত বলতে বুঝায় শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত। ডান হাত শক্তি বা তলোয়ারের প্রতীক এটা নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা।
বানোয়াট ব্যাখ্যা। ‘মিলকুল ইয়ামীন’ একটা আরবী Idiom বা phrase. এটাকে শাব্দিক অনুবাদ করা আরবী ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞ যিনি, তারই কাজ।
কোরাণের ৪:২৪ নং আয়াত (সুরা নিসা)ঃ “তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় জালালান বলেন- “অর্থাৎ, যাদেরকে তারা যুদ্ধের ময়দানে আটক করেছে, তাদের সাথে সহবাস করা তাদের জন্যে বৈধ, যদি তাদের স্বামীগণ দারুল হরবে জীবিতও থাকে” (দারুল হরব অর্থ- অমুসলিম রাষ্ট্র বা দেশ)।
(অর্থাৎ স্বামী জীবিত আছে, এমন যুদ্ধবন্দীও ধর্ষনের উপযোগী)
শব্দটা জালালান নয়, জালালাইন। সেখানে যেটাকে দারুল হরব বলা হয়েছে, সেটা বর্তমানে সব অমুসলিম রাষ্ট্র বা দেশকে বলা যায় না। আর স্বামী জীবিত থাকলেও যুদ্ধবন্দীর সাথে সহবাস করার বিধান ছিল, যদি তার অনুমতি রাষ্ট্রনায়ক দিতেন, যদি সেটা ব্যক্তির গনীমতের বন্টনে পড়তো, তাও বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে। ধর্ষন করার অনুমতি কখনো ছিল না। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা।
**দক্ষিন হস্তের অধিকার বা ‘মালাকুল ইয়ামিন’ বলতে বুঝায় ক্রীতদাস বা দাসী (স্লেভস কিংবা মেইডস), যা যুদ্ধবন্দী হিসেবে কিংবা বাজার হতে ক্রয়সুত্রে মুসলমানদের দখলে আসে। ক্রীতদাসী মুসলমানদের দখলে আসলে তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ এবং সঠিক। বর্তমান যুগেও যদি কোন কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসে, এই নিয়ম পালন করা বৈধ এবং সঠিক।
কিছুক্ষণ আগে দক্ষিণ হস্তের ব্যাখ্যায় বললেন,“শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত”। আবার এখানে বলছেন, ক্রীতদাস বা দাসী। ক্রীতদাসী মুসলমানদের অধিকারে আসলেই তার সাথে সহবাস বৈধ ছিল না। যদি সে তার স্বামী ছাড়া বন্দী হত, যদি সে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া না পেত, এরপর যদি সে কারো বন্টনে পড়ত, তাহলেই কেবল আরো কিছু শর্তসাপেক্ষে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য সে হালাল ছিল।
বর্তমান যুগে কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসলে এ বিধান থাকবে না। কারণ এখন সব কাফেরদের দেশকে গড়পড়তা দারুল হরব বলা যায় না। আর দারুল হরব না হলে ঐ বিধান থাকবে না।
সেসব দাসীর সম্ভোগ এজন্যই বৈধ ছিল কারণ স্বামী-স্ত্রীর একজন দারুল হরবে আর একজন দারুল আমানে ছিল। উভয়ে যদি যুদ্ধবন্দী হত, তাহলে সম্ভোগ বৈধ ছিল না। দার বা দেশগত পার্থক্য হলে সেসময় বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিধান ছিল। ফলে অন্যকে বিবাহ করা, কিংবা, অন্যের দাসী হয়ে তার দ্বারা সহবাসকৃত হওয়া বৈধ ছিল।
8:69 -”But (now) enjoy what ye took in war (booty), lawful and good; but fear God…”Maal-E-Ganimat”)
আয়াতে আছে, فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا এখানে الاكل শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যার অর্থ খাওয়া, eating. এটাকে কীভাবে enjoy অর্থ করা হল, বুঝলাম না। eating অর্থ করলে এ আয়াতটি গনীমতে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্য বা সর্বোচ্চ নগদ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে। কেবল enjoy অর্থ করলেই তা দাসীর সম্ভোগের প্রতি ইঙ্গিত করে, যা বানোয়াট অর্থ। এ জন্যই কি জোর করে eating কে enjoying অর্থ করা হল?
8:67 -”It is not fitting for an Apostle that he should have prisoners of war until He thoroughly subdued the land….” (Allah insisting Prophet to kill all the prisoners, and should not keep any prisoners alive)
বন্ধনীর ভেতরের ব্যাখ্যাটি যিনি করেছেন, তিনি নিশ্চয় এও বলে দিয়েছেন যে, এই আয়তটির বিধান মানসুখ/রহিত হয়ে গেছে। যদি তিনি না বলে থাকেন, তাহলে নিশ্চিত রূপেই তিনি আয়াতটির প্রতি অবিচার করেছেন। আপনার পূর্বোল্লিখিত তাফসীরে জালালাইনে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় দেখুন লেখা আছে যে, এ আয়াতটির বিধান ৪৭:৪ আয়াতের মাধ্যমে রহিত হয়ে গেছে। যেখানে বলা আছে যে, হয় যুদ্ধবন্দীদের প্রতি দয়া করে বিনা মুক্তিপণে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, নয়তো মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
Sura-47:4 -”when you meet the unbelievers, strike off their heads; then when you have made wide Slaughter among them, carefully tie up the remaining captives” (Allah encouraging Muslims to accept booty spoils of war “
আপনি আয়াতের যে অংশটুকু এখানে লিখেছেন, সে অংশের পরের অংশটুকুই আমি ওপরে উল্লেখ করেছি। যাতে বলা হয়েছে, এরপর হয় যুদ্ধবন্দীদের প্রতি দয়া করে বিনা মুক্তিপণে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, নয়তো মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। এখানে কি Allah encouraging Muslims to accept booty spoils of war, নাকি Allah encouraging Muslims to free booty spoils of war?
গাজওয়ায় যেসব নারীদের বন্দী হতো, তাদের মধ্য থেকে মুহাম্মদ স্বয়ং বেশ কয়েকজনকে নিজের স্ত্রী কিংবা উপপত্নী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। সবচেয়ে সুন্দরী এবং সবচেয়ে সেক্সি মেয়েটিকেই তিনি নিজের জন্যে রাখতেন।
কোন রেফারেন্স?
মুহাম্মদের মহানুভবতা আর পরম করুনাময় চরিত্রের আরেকটা দ্বার আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। তিনি নিজের জামাইদেরকেও তিনি যুদ্ধবন্দিনীদের ভাগ দিতে কসুর করেননি, হযরত আলী এবং হযরত ওসমানকেও তিনি উদারভাবে মালে গনীমৎ বন্টন করেছেন। নীচের হাদিসটিতে দেখা যাবে, কীভাবে হযরত ফাতেমার স্বামী নবী জামাতা শেরে খোদা হযরত আলী বন্দিনীর সাথে সেক্স করছেন, যে বন্দিনীকে তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।
আপনার শব্দচয়নেও যৌবনজ্বালা, দুঃখিত, যৌবনযাত্রার প্রভাব লক্ষণীয়!!
একদিক বিবেচনা করলে মহম্মদকে (দঃ) বরং বেশ উদারই মনে হয় এ ক্ষেত্রে। এই অধুনিক যুগেও কয়টা শ্বশুর আছে যে নিজের মেয়ের জামাইকে অন্য মেয়ের সাথে সেক্স করতে দেখেও সহ্য করবে কিংবা তার জন্যে একটি সেক্স-পার্টনার জুটিয়ে দেবে?
সহি বুখারিঃ ভলিউম-৫, বুক নং-৫৯, হাদিস নং-৬৩৭:
বুরাইদা কর্তৃক বর্ণিতঃ
নবী আলীকে ‘খুমুস’ আনতে খালিদের নিকট পাঠালেন (যুদ্ধলব্ধ মালের নাম খুমুস)। আলীর উপর আমার খুব হিংসা হচ্ছিল, সে (খুমুসের ভাগ হিসেবে প্রাপ্ত একজন যুদ্ধবন্দিনীর সাথে যৌনসঙ্গমের পর) গোসল সেরে নিয়েছে। আমি খালিদকে বললাম- “তুমি এসব দেখ না”? নবীর কাছে পৌছলে বিষয়টি আমি তাকে জানালাম। তিনি বললেন- “বুরাইদা, আলীর উপর কি তোমার হিংসা হচ্ছে”? আমি বললাম-“হ্যা, হচ্ছে”। তিনি বললেন-“তুমি অহেতুক ইর্ষা করছ, কারণ খুমুসের যেটুকু ভাগ সে পেয়েছে তার চেয়ে আরও বেশী পাওয়ার যোগ্য সে”।
হাদীসে যে রেফারেন্স উল্লেখ করেছেন, সে রেফারেন্সে হাদীসটি পেলাম না। পাওয়া গেলে বুঝা যেত বন্ধনীর ভেতর ব্যাখ্যার নামে আপনি কী অপব্যাখ্যা করেছেন।
মহম্মদের (দঃ) সবচেয়ে প্রামান্য এই জীবনচরিত ইবনে ইসহাকের লেখা সিরাত এ রাসুল্লাল্লাহ (যে রচনাকে মুসলিম বিশ্বে সর্বদা রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করা হয়) পাঠ করে আমরা জানতে পারি, হুনায়েনের যুদ্ধে এক বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেওয়া হলো, কারণ তার মুখমন্ডল ছিল শীতল, বক্ষদেশ সমতল, সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ছিল না তার এবং বুকে দুধের ধারা শুকিয়ে গেছে। সুতরাং ছয়টি উটের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হলো (রেফারেন্স-১০, পৃ-৫৯৩)।
এটাও পাওয়া যায়নি। কোন ছাপার রেফারেন্স দিলেন তা উল্লেখ করলেন না?
এবার আসুন যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মাল হিসেবে নারীদের গর্ভধারন বন্ধ করার জন্য মুহাম্মদের অনুসারীরা কি করতেন, গর্ভধারন করলে নারী আর ধর্ষণের উপযোগী থাকে না, সুতরাং জিহাদী সাহাবী এবং মুহাম্মদের গর্ভবতী গনিমতের মালের কোন প্রয়োজন ছিল না।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
মালে গনীমৎ (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। (তারপর তিনি বলেন) – “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত”।
আপনার এসব বক্তব্যের মূল কথা ইসলামে দাস প্রথার প্রচলন। আমার জবাবের শেষে কিছু লিংক থাকবে, তাতে সে সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।
জিহাদিদের উন্মত্ত ধর্ষণপ্রক্রিয়ার ফলে যদি বন্দিনীটির গর্ভসঞ্চার হয় তাহলে কী হবে? অনেক জিহাদিই চাইত না যে তাদের সেক্স-মেশিনটি তাড়াতাড়ি গর্ভসঞ্চার করে বসুক, সুতরাং তারা বীর্যপাতের ঠিক পুর্বমুহুর্তে লিঙ্গটি বের করে নিয়ে আসত। এই প্রথা সম্পর্কে মহম্মদের (দঃ) মনোভাব ছিল ঘোলাটে, কখনও তাকে এই প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়, কখনও বা তাকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়।
যেই মুহাম্মদ স্ত্রীদের সাথে সহবতের সময় বীর্য ভিতরে ফেলে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়াতে উতসাহিত করেছেন এবং জন্মনিয়ন্ত্রনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তিনিই আবার বন্দিনীদের ধর্ষণের সময় বির্য বাইরে ফেলে বন্দিনীদের ধর্ষনের উপযোগী রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথমে বললেন, নবীজীর স. মনোভাব ছিল ঘোলাটে। আবার পরে তাঁর অবস্থান আপনিই পরিস্কার করে দিলেন, বললেন, “তিনিই আবার বন্দিনীদের ধর্ষণের সময় বির্য বাইরে ফেলে বন্দিনীদের ধর্ষনের উপযোগী রাখার পরামর্শ দিয়েছেন”। !!
নবীজীর স.সকল বক্তব্য একত্রিত করলে যে মনোভাব পরিস্কার হয়, তাতে তিনি বাইরে বীর্যপাত অপছন্দ করতেন বলেই বুঝা যায়। আপনার উল্লিখিত হাদীসেও একই অবস্থা। এ থেকে কীভাবে আপনি বিপরীত পক্ষে সিদ্ধান্ত দিলেন? (এই বলে যে, তিনি যুদ্ধবন্দী দাসীর ক্ষেত্রে বাইরে বীর্যপাতের পরামর্শ দিয়েছেন?)
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৯, বুক নং-৯৩, হাদিস নং-৫০৬:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
বানুমুস্তালিক গোত্রের সাথে যুদ্ধকালে কিছু বন্দিনী তাদের (মুসলমানদের) দখলে আসে। তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। সুতরাং বাইরে বীর্যপাতের বিষয়ে নবীর নিকট জানতে চাইল তারা। নবী বলেন- “এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে উত্তম। কারণ আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করবেন তা লেখা হয়ে আছে, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”। ক্কাজা বলেন- “আমি আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে নবী বলেছেন -‘আল্লাহর আদেশে আত্মার সৃষ্টি, আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন আত্মার সৃষ্টি হয় না”।
“তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে।“ –এখানে আরবী শব্দ: أحببنا العزل – দুটি আরবী শব্দকে কি সুন্দর তেরটি বাংলা শব্দে অনুবাদ করলেন! হাহ! শব্দদুটির প্রকৃত অনুবাদ, “আমরা আযল করতে চাইলাম”। আযল অর্থ বাইরে বীর্যপাত। এটুকু কথাকে রসকস মিলিয়ে কি সুন্দর রূপ দিয়েছেন আপনি!
সহী বুখারী হাদীস #143, page-700 :Sulaiman Ibne Harb…Aannas Ibne Malek (ra) narrated, “in the war of Khaiber after the inhabitants of Banu Qurayza was surrendered, Allah’s apostle killed all the able/adult men, and he (prophet) took all women and children as captives (Ghani mateer maal).. Among the captives Safiyya Bint Huyy Akhtab was taken by Allah’s Apostle as booty whom He married after freeing her and her freedom was her Mahr.”
বাংলাঃ যুদ্ধে জেতার পরে আল্লাহ রাসুল সকল প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষকে হত্যা করলেন এবং তিনি তাদের সকল নারী এবং শিশুকে বন্দী হিসেবে নিলেন।
এটা ভাই কোন হাদীসের বাংলা করলেন?
সহী বুখারী হাদীস (#149, page-704): Ahmed Ibne Saleh…Annas Ibne Malek narrated, “….when we told Apostle of Allah about the paragon beauty of Safiya Bint Huyay (who was newly wed and the husband was killed in the battle), then Allah’s Apostle sanctioned her for himself…”
বাংলা; সদ্য বিবাহিতা এক নারীকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে পাবার পরে(তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল যুদ্ধে) আল্লার রাসুল তাকে নিজের জন্য রাখলেন।
হাদীসের আগে পরের অংশগুলো কী করলেন?
“সীরাত এ রাসুলাল্লাহ বই থেকে” (page 464):
“Then they surrendered, and the apostle confined them in Medina in the quarter of al-Harith, a woman of B. al-Najjar. Then the apostle went out to the market of Medina (which is still its market today) and dug trenches in it. Then he sent for them and struck off their heads in those trenches as they were brought out to him in batches. This went on until the apostle made an end of them. Among them was the enemy of Allah Huyayy b. Akhtab and Ka`b b. Asad their chief, and they were brought with their hands bound to their neck by a rope.
মহম্মদের উপপত্নীদের অধিকাংশই ছিল হয় ইহুদি নয়তো খৃষ্টান। (রায়হান, জওয়াহিরা ও সাফিয়া ছিল ইহুদি, মারিয়া কিবতি ছিল খৃষ্টান)।
ইহুদী-খৃষ্টান যদি ইসলাম গ্রহণ করে, তারপরও কী ইহুদী-খৃষ্টান থাকে? তাহলে তো বলতে হয়, নবীজীর স. সব সাহাবী ছিলেন হয় ইহুদী, নয়তো খৃষ্টান, নতুবা কাফির-মুশরিক। নয়জন স্ত্রীর মধ্যে চারজন কি অধিকাংশ?
মুখ এবং স্বীয় ধর্ম বাঁচাতে ইসলামপন্থীরা এখন সমস্বরে বলে উঠবেন যে মহম্মদ বড়োই দয়ালু ছিলেন, ঐসব অসহায় তরুনীদের দুঃখ দেখে তার কোমল প্রাণ কেঁদে উঠল। তাই তিনি তাদের গ্রহন করে দাসী হিসেবে বিক্রি হওয়ার হাত থেকে তাদের রক্ষা করেছেন। তারা আমাদেরকে আরও বিশ্বাস করতে বলবেন যে ঐসব বন্দিনীরা মহম্মদকে বিয়ে করে খুবই সুখী হয়েছিল কারণ মহম্মদকে দেখামাত্র তার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিল তারা। কী অবিশ্বাস্য অপুর্ব যুক্তি, কি অসাধারন মনন! মাত্র ঘন্টাকয়েক আগে যার হাতে তার স্নেহময় পিতা প্রাণ দিয়েছে, বড় আদরের ভাইটি অকালে ঝরে গেছে, প্রেমময় স্বামীর প্রিয় মুখটি অশ্বের খুরাঘাতে দলিতমথিত হয়েছে- সেই হত্যাকারীর প্রেমে সে রাতারাতি পাগল হয়ে গেল !
ইসলামপন্থীদের মুখ ও ধর্ম কোনো আশঙ্কায় নেই যে, তাদের বাঁচাতে নিজ থেকে আপনাদের মতো বানোয়াট কিছু বলতে হবে। ইতিহাসই ইসলামপন্থীদের পক্ষে কথা বলছে। সফিয়্যা রা. এর জীবনী আর নবীজীর স. প্রতি তাঁর ভালোবাসার ইতিহাসই আপনার জবাব দিয়ে দিবে।
মুহাম্মদ যা করেছেন, সে যুগে তাই ছিল রীতি। অনেকেই করেছেন, আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে হিটলার-সকলেই। কিন্তু মথায় রাখতে হবে তারা কি পরম পুজনীয় হবার যোগ্যতা রাখে কিনা! একবিংশ শতাব্দির দোরগোড়ায় এসে কতগুলি খোড়া যুক্তি দিয়ে সেই বন্য রীতিকে জাষ্টিফাই করা অমানবিক। মানবতার প্রতি চরম অবমাননাকর।
যুক্তি দিয়ে জাস্টিফাই করার প্রয়োজন নেই। গুগল ভাইয়াকে খোঁচা দিন, তিনি আপনাকে ইতিহাস ভাইয়ার সন্ধান দিবে। যিনি আপনাকে কোনো রকম যুক্তির আশ্রয় নেয়া ছাড়াই সব কিছুর উত্তর দিয়ে দিবেন।
কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর পরিচালিত অভিযানের পেছনে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে কাফের রমনীদের রসালো শরীরের প্রতি জিহাদিদের অপরিমিত লোভ। এতই প্রচন্ড ছিল সেই লোভ যে কাংখিত নারীটি করায়ত্ত হওয়ার পর বিন্দুমাত্র বিলম্ব সইতো না জিহাদিদের। বন্দিনীদের ঋতুস্রাবও নিবৃত্ত করতে পারতো না তাদের, তার মাঝেই বন্দিনীদের উপর চড়ে বসতো তারা। এমতবস্থায় স্বয়ং আল্লাহপাককে বাণী নিয়ে এগিয়ে আসতে হলো, ডিক্রি জারী করতে হলো যে পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরেই কেবল বন্দিনীদের ধর্ষণ করা যাবে।
বানানো বক্তব্য। আল্লাহর সব বক্তব্যকে কোনো কারণের ভিত্তিতে এসেছে মনে করা বোকামী। নিজ গুণে আল্লাহ তায়ালা অনেক কিছু বলেছেন। তিনি বিধান প্রণেতা, বিধান বর্ণনা করেছেন তিনি। মানুষ এমন করত, তাই তিনি তেমন বলেছেন এরূপ বলতে রেফারেন্স লাগে, যা আপনার বক্তব্যে অনুপস্থিত।
ঐসব ইসলামী সৈনিকদের যৌনতাড়না এতটাই বর্বর ও ঘৃন্য ছিল যে তারা এমনকি কোনপ্রকার গোপনীয়তা অবলম্বনেরও ধার ধারত না। এমনও হয়েছে যে স্বামীদের সামনেই বন্দিনীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে জিহাদিরা। স্ত্রীকে এক নরপশু খাবলে খাচ্ছে, বন্দী স্বামী চোখ মেলে তাই দেখছে।
কোন রেফারেন্স? স্বামীর সাথে স্ত্রী বন্দী হয়ে আসলে তাকে দাসী বানিয়ে ভোগ করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
পরাজিত শত্রুটির সামনেই তার স্ত্রীকে ভোগ করতে বেশী পছন্দ করত। এ এক ধরণের যৌনবিকৃতি, যার কিছু নমুনা আমরা দেখেছি একাত্তরে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। অথবা ২০০১ এ বিএনপির বিজয়ের সময়। পাঞ্জাবি এবং পাঠান সৈন্যরা একাত্তরে বাঙালি রমনীদের উপর যা করেছে, তার পুর্ণ সমর্থন মেলে এই হাদিসগুলি হতে। ইয়াহিয়ার জল্লাদ বাহিনী একাত্তরে যা কিছুই করে থাকুক, ইসলামী শাস্ত্রের বাইরে কিছু করেনি। ইসলামের প্রাথমিক গাজওয়াগুলিতে নবীর বাহিনী ঠিক এমনটিই করত।
“ইয়াহিয়ার জল্লাদ বাহিনী একাত্তরে যা কিছুই করে থাকুক, ইসলামী শাস্ত্রের বাইরে কিছু করেনি”। পাক বাহিনীর বর্বরতা দিয়ে আপনি ইসলামের পবিত্রতাকে জাস্টিফাই করলেন। !!
অনেক জিহাদিই পৌত্তলিক স্বামীটির সামনে তার স্ত্রীর উপর বলাৎকার করতে দ্বিধান্বিত ছিল। মুহাম্মদ এখানে বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন, তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে জিহাদিরা যা করতে চায় তা করতে না দিলে বিপদের সম্ভাবনা আছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আল্লাহ যদি এই আনন্দোৎসবের অনুমতি না দেন, জিহাদিরা বেঁকে বসতে পারে, তাদের সমর্থন শূন্যে মিলিয়ে যেতে খুব বেশী দেরী হবে না। সুতরাং নবী মহামহিম আল্লাহর মধ্যস্থতা করলেন, তরিৎগতিতে আসীম করুনাময় আল্লার আরশ থেকে মঞ্জুরি নেমে এলো। মহান আল্লাহ কাফের রমনীদের (বিবাহিতা হলেও) ভোগ করার অনু মতি প্রদান করে ধন্য করলেন জিহাদিদের। কিছু কিছু জিহাদি স্বামী বর্তমান থাকতেও বন্দিনীদের সাথে সেক্স করে এবং কেউ কেউ তা করতে দ্বিধাগ্রস্থ হয়। (সুনান আবুদাউদঃ ১১:২১৫০)।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বলেন- “হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসুল (দঃ) আওতাসে এক অভিযান পাঠান। তাদের সাথে শত্রুদের মোকাবেলা হলো এবং যুদ্ধ হলো। তারা তাদের পরাজিত করল এবং বন্দী করল। রাসুলুল্লাহর (দঃ) কয়েকজন অনুচর বন্দিনীদের স্বামীদের সামনে তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করতে অপছন্দ করলেন। তারা (স্বামীরা) ছিল অবিশ্বাসী কাফের। সুতরাং মহান আল্লাহ কোরাণের আয়াত নাজেল করলেন- “সমস্ত বিবাহিত স্ত্রীগণ (তোমাদের জন্যে অবৈধ); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী (যুদ্ধবন্দিনী)- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। অর্থাৎ- পিরিয়ড শেষ হলে তারা তাদের জন্যে বৈধ (৪:২৪)।
আপনার উল্লিখিত রেফারেন্সে হাদীসটি পেলাম না। দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত আপনি অনুবাদ ভুল করেছেন। “স্বামীদের সামনে” অনুবাদটি ভুল হবে। কারণ আয়াতে বলা হচ্ছে স্বামীদের বর্তমানে/জীবদ্দশায়। যদি স্বামীরা দারুল হরবে থাকে, তাহলে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে যুদ্ধবন্দী স্ত্রীদের বন্টনের পর শর্তসাপেক্ষে তারা বৈধ হবে। দেখুন ৪:২৪ এর ব্যাখ্যায় জালালাইনে কী বলা আছে। উপরে আপনি একই রেফারেন্স আরেকবার উল্লেখ করেছেন। সেখানে একবার উত্তর দিয়েছি।
যুদ্ধবন্দিনীর সাথে সহবাস বৈধ, তবে শর্ত থাকে যে তার মাসিক স্রাব শেষ গেছে কিংবা গর্ভবতী হলে তার গর্ভ খালাস হয়ে গেছে। তার যদি স্বামী থেকে থাকে, বন্দী হওয়ার পর সে বিবাহ বাতিল বলে গন্য হবে। (কোরাণ-৪:২৪, সহি মুসলিম-৮:৩৪৩২)।
তার যদি স্বামী থেকে থাকে, বন্দী হওয়ার পর সে বিবাহ বাতিল বলে গন্য হবে। – যদি স্বামী দারুল হরবে থাকে, তাহলে এই বিধান। যদি স্বামী স্ত্রী উভয়ে বন্দী হয়ে আসে তাহলে বিবাহ ভাঙবে না।
সহি মুসলিমঃ বুক নং-৮, হাদিস নং-৩৪৩২:
আবু সাইদ আল খুদরি (রাঃ) বলেছেন যে হুনায়েনের যুদ্ধকালে আল্লাহর রাসুল (দঃ) আওতাস গোত্রের বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠান। তারা তাদের মুখোমুখি হলো এবং তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। যুদ্ধে পরাজিত করার পর কিছু বন্দী তাদের হাতে আসল। রাসুলুল্লার কিছু সাহাবি ছিলেন যারা বন্দিনীদের সাথে সহবাস করতে বিরত থাকতে চাইলেন, কারণ তাদের স্বামীরা ছিল জীবিত, কিন্তু বহু ঈশ্বরবাদী। তখন মহান আল্লাহ এ সম্পর্কিত আয়াতটি নাজেল করলেন- “এবং বিবাহিত নারীগণ তোমাদের জন্যে অবৈধ, তবে যারা তোমাদের দক্ষিন হস্তের অধিকারে আছে তাদের ছাড়া”।
একই কথা রিপিট করলেন।
বানু আল-মুস্তালিক গোত্রের বন্দিনীদের ক্ষেত্রে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতে মহম্মদ অনুমতি দেননি, তবে বন্দিনীদের ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে তার কোন নিষেধ ছিল না (৫:৫৯:৪৫৯)।
বানানো বক্তব্য। রেফারেন্সটা কীসের?
পরিশেষে বলব, গুগল ভাইয়া যেভাবে আপনার লেখার সূত্রে আপনাকে এই ফোরামে নিয়ে এসেছে, সেই একই ভাবে তিনি আপনাকে আপনার লেখার উত্তরও পাইয়ে দিতে পারেন। যেহেতু লেখাটা আপনার মৌলিক নয়, আলী সীনা ছদ্মনাকী মানুষটা আরো আগে এসব লিখেছেন, বলেছেন, কাজেই, এসবের কোনো উত্তর মুসলিমরা দেন নি, তা মনে করা বোকামী। সদিচ্ছা থাকলে উত্তর পেতে দেরী হবার কথা নয়।
তারপরও কিছু লিংক আপনার খিদমতে পেশ করছি। আশা করি উপকৃত হবেন।
http://www.time4truth.com/refutations.htm
http://www.islamic-awareness.org/index.html
http://www.call-to-monotheism.com/
http://www.faithfreedom.com/
http://www.muslim-answers.org/

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৫৪৪ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৪ টি মন্তব্য

  1. লেখাটা ভাল কিন্তু খাপছাড়া। এভাবে না লিখে কোন লেখার বিরুদ্ধে লিখছেন, সেটা কোথায় প্রকাশ হয়েছিল এগুলো উল্লেখ করে লিখলে ভাল হত।
    দু’টো বা তার বেশি টপিক এক লেখাতে কাভার না করলেই ভাল হয়।
    আর হেডিংটাতো বাংলায় দেয়া উচিত।

  2. আরেকটু গুছিয়ে লেখুন। বোল্ড/ইটালিক কোনটাই কাজ করে নাই।
    কোনটা অভিযোগ কোনটা জবাব আলাদা করা মুশকিল।

    আর, হেডিং এবং নিক বাংলায় হলে ভালো হত!

  3. আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করব?masrurdhaq@gmail.com

    Fiqriyatu Fiddin

    @masrur hasan,আপনি আমাকে লিখুন – আমাদের MODERATOR এর হেল্প নিয়ে।