কর্তৃপক্ষ কে অনুরোধ । আমার সপ্ন । (যে আমার মতের সাথে একমত প্লিজ মন্তব্য করেন আর আপনার সপ্ন টুকু জানান)
লিখেছেন: ' রাতদিন' @ মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৫, ২০১০ (৯:০৬ পূর্বাহ্ণ)
পিস ইন ইসলাম ব্লগ একটি সময় উপোযোগি ব্লগ । কারন বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম নিয়ে লিখতে গেলে হয়ত ওয়াচে থাকতে হয় কিংবা ব্যান হইতে হয় । কখন ও , কখন ও লিখা ছাপা হয় না । এই সময় পিস ইন ইসলাম ব্লগ আমাদের সুযোগ করে দিল, লিজের মত করে লিখতে । আমি আজ কোন কিছু লিখার নিয়ত ছিল না , কিন্তু বাধ্য হয়ে লিখতে বসলাম । তুষার নামে এক ব্লগার কে ব্যন করা হয়েছে । আমি বলেছিলাম সে সত্য বা মিথ্যা যা ই বলুক তাকে সুযোগ দেওয়া হক । নয় তো অন্য ব্লগ গুলির সাথে পার্থক্য থাকল কই । ইসলাম মত প্রকাশে বাধা দেয় না । দয়াকরে বুঝতে চেষ্টা করুন । তাকে অন ব্যন করুন ।
মিথ্যা, সত্য সব সময় থাকবে, এখন, মানুষকে সত্য বের করার নিয়ম শিখে নিতে হবে । বর্তমান যুগ জ্ঞানের যুগ । আমলের চেয়ে জ্ঞান বেশী । মানে মানুষ জ্ঞান আছে কিন্তু পালন করে না । এ অবস্থায় লক্ষ কোটি ফিতনা আকাশে বাতাসে ঘুরতেছে । মানুষ কে শিখতে হবে কিভাবে এ সব ফিতনা ফাসাদের সাথে সংগ্রাম করে সত্য বের করে নিয়ে আসতে হয় । না হলে যে শয়তানের কুট চালের কাছে হেরে যাবে । ব্লগের কর্তৃপক্ষ কি বুঝতে পারতেছেন ।
আমদের ধর্মে জোর যবরদস্থি নাই । এ সব জোর দিয়ে এখন কিছু হয় না । এখন, একটি বিষয় শুধু জয় নিয়ে আসতে পারে , তা হচ্ছে সত্য । সত্য কে কেউ পরাজিত করতে পারে না । আল্লাহ সুবাহানাতালার ৯৯ টি নামের মধ্যে একটি নাম “হক” মানে সত্য । সত্য জানার সুযোগ বাড়িয়ে দিন । তাহলে দেখবেন সবাই এক পতাকার নিচে আসবে, আসতেই হবে ইনশি-আল্লাহ ।
সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যে দিন সবাই তাদের ভুল বুঝতে পারবে । প্লিজ সবাই কে তার ভুল বোঝার সুযোগ করে দিন । শিয়া বলেন সুন্নি বলেন আর কাদিয়ানি কিংবা আহলে কুরান কিংবা আহলে হাদিস অথবা মাহজাবি , সবার বিচার কিন্তু আল্লাহ পাক ই করবেন । এক আল্লাহ পাক তার রাসূল সঃ কে বিলিভ করার জন্য তারা তো একটুকু হলেও এই সুযোগ পেতে পারে । ৭৩ দল আর ৭২ দলের হাদিসে কিন্তু বলা হয়নি, যে ভিন্ন দল গুলি সারা জীবন দুযকে থাকবে । বরং বলা যায় , গুনাহ এর শাস্তি পেতে একদিন হয়ত বেহেস্তে আসবে ।
আমি সপ্ন দেখি একটি পৃথিবী র যে পৃথিবীতে কোন দাস প্রথা নাই , নাই কোন মর্ডান সাল্ভারি । এই পৃথিবীতে কোন দেশ নাই , কোন নেশন নাই , নাই ভরতীয়, পাকিস্তানি, চাইনিজ, জাপানিজ । থাকবে না কোন মহা অন্যায় , নারী কিংবা পুরুষের প্রতি অবিচার । এক আল্লাহ (পাক) অনুগত এক বিশ্ব । আল্লাহ একজন ই , তার দীন একটি , তার অনুগত জাতি একই । আল্লাহর পৃথিবী সুন্দর । অবশ্যই সুন্দর । তার সৃষ্ট ই নিকৃষ্ট নয় , তা সে যেই হোক ।
যাবতীয় প্রসংশা আল্লাহ (সুবাহানাতালা) র , যিনি আমাদের পালন কর্তা ।
আমার সাথে একমত প্রকাশ করেছেন ঃ
জ্ঞান পিপাষু [ জানুয়ারি ৪, ২০১০ at ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ ]
@ফুয়াদ,
আপনার সাথে একমত পোষন করি। মিথ্যা যদি সত্যের মুখোমুখি না হয় তাহলে মানুষ সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝবে না।
যখন মিথ্যাকে সত্য ঠোকর দেয়, তখন মিথ্যার সর্বনাশ হয়, এটাই সাভাবিক।
আল্লাহ আল-কুরানে বলেনঃ সত্য এসেগেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যাতো বিলুপ্ত হওয়ারি ছিল
(যে আমার মতের সাথে একমত প্লিজ মন্তব্য করেন আর আপনার সপ্ন টুকু জানান)
আমি একজন সাধারণ মুসলিম। আমি আগেও একথা বলেছি এবং এখনো বলছি। আমি সব সময় সাধারণ অবস্থায় ব্যান করার বিরুদ্ধ্বে, কারন আগে ইসলাম নিয়ে যত সমালোচনা হয়েছে, ততই মানুষ সত্যকে সঠিক ভাবে জানতে পেরেছে। আমিও ওণেক কিছু শিখেছি শুধু মাত্র ইসলাম বিরধীদের সমালোনার কারনে, যখন তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েছি, সত্য তখন আরো স্পষ্ট হয়েছে আমার কাছে, যা কিনা অন্য ভাবে হয়তো সম্ভব নাও হতে পারতো। আমি চাই আগে মিথ্যা সত্যের মুখোমুখি হবে, তার পর সেই মিথ্যাবাদী সত্যবাদীদের মুখোমুখি হবে। যদি মিথ্যাবাদী প্রকৃত সত্য মেনে নেয়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যদি মিথ্যাবাদী প্রকৃত সত্য মেনে না নেয়, তাহলে তাকে সত্য দিয়ে লাঞ্চিত করা এবং পরে ব্যান করা যেতে পারে বলে আমার মনে হয়।
আল্লা কুরানে বলেনঃ
দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। ২, ২৫৬
নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না। ২;১১৯
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।১৭;৮১
যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার কাছে সত্য আগমন করার পর তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তার চেয়ে অধিক যালেম আর কে হবে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি? ৩৯;৮
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। ৪৯;৬
আপন পালনকতা’র পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের
কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরুপে, এবং তাদের
সাথে বিতক’ করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায় । নিশ্চয় আপনার পালনকতা’ই ঐ ব্যক্তি সম্পকে’ বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন,
যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল
জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে ।১৬;১২৫
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।৩; ১৯
@জ্ঞান পিপাষু,
উল্লেখ্যঃ বিভন্ন সাইটে ইসলাম সম্পর্কে মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, যা দেখে আমার মত সাধারন মুসলিমরা বিভ্রান্তির সিকার হচ্ছে। কিন্তু কেউ উত্তর দিতে ভয় পায় কারন, ইসলাম বিরধীদের সাইটে তাদের সমাচনা করাতে তাদের মানহানি হয় এবং আমাদের মত সাধারন মানুষ ব্যান করার ভয়ে অনেক সত্যকে এড়িয়ে যান। তাই অন্তত এখানে যাতে ইসলাম বিরধীদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে পারি ইটাই প্রত্যাশা করি। যাতে অন্তত সাধারন মুসলিমরা এখানে এসে দেখতে পারে মিথ্যাবাদীদের পরিনতি। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
আমাদের মত সাধারন মানুষ ব্যান করার ভয়ে অনেক সত্যকে এড়িয়ে যান।
দলিল দিলে ভালো হয়।
@জ্ঞান পিপাষু,
আপনি উপরের আয়াতটি quote করেছেন এটা বোঝাতে যে, সবাই “মুক্তভাবে” ইসলাম নিয়ে আলোচনা করবে, তাই না?? আপনি কি জানেন এই আয়াতটি কোন context-এ নাযিল হয়েছিল? আপনি কি জানেন এই আয়াতটি কাদের বেলায় প্রযোজ্য?? এই আয়াত এবং সুরা কাফিরুনের “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন”-এর মত আয়াতের অপব্যবহার আমাদের কোথায় নিয়ে চলেছে??
আমি আপনাকে সম্মান করি – তবু বলছি, আগে দ্বীন সম্বন্ধে পড়াশোনা করুন, তারপর তা নিয়ে লিখুন। দ্বীন নিয়ে আমাদের আলোচনা “ভিন্নমত”, “সচলায়তন” বা “মুক্তমনার” আলোচনার মত হতে পারে না – ইসলাম আমাদের মতামতের জন্য open নয় বা আমাদের মতামতের variable নয়! দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞান অজর্ন করতে চাওয়া একটা ব্যাপার, আর তা নিয়ে নিজের খেয়াল-খুশী অনুযায়ী মতামত জ্ঞাপন করা একদমই ভিন্ন একটা ব্যাপার! আল্লাহ [তথা তাঁর দ্বীন] সম্বন্ধে অনুমানবশত বা না জেনে কথা বলা, শিরকের চেয়েও বড় পাপ (৭:৩৩)। যদি তাই না হতো তা হলে তসলিমা নাসরিন, (The Caged Virgin এর লেখিকা) আয়ান হিরসী আলী অথবা (The Trouble with Islam-এর লেখিকা) মুসলিম lesbian ইরশাদ মানজি যা বলেন তাতে সমস্যা কোথায়? আপনি পারবেন পিস ইন ইসলামে তাদের accommodate করতে? তাদের ইচ্ছামত ইসলাম ও নবী(সা.)-কে অপমান করতে দিতে??
আহলে কিতাবদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা যাবে না – এটা হচ্ছে “দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই”- এর অর্থ। কিন্তু মুসলিমদের উপর রাষ্ট্রীয় disciplinary action অবশ্যই প্রযোজ্য – যার চূড়ান্ত রূপ মৃত্যুদন্ডও হতে পারে!
@মেরিনার,
প্রথমেই বলি আমিও আপনাকে সম্মান করি আর আপনার বিরুদ্বে পক্ষ পাতিত্তের অভিযোগ আছে। যা করেছেন এই সাইটের কিছু মানুষ।যা আপনার পিছনের পোষ্ট গুলি দেখলেই বুঝবেন, আপনার পোষ্টে অনেকে কমেন্ট করতে আগ্রহ হারিয়েন। যাই হোক,আমি আপনার মন্তব্য নিয়ে এবার আলোচনা করি।
আপনি উপরে ২, ২৫৬ নং আয়াত নিয়ে প্রথমে কিছু বলেছেন। আমি বলি ঐ আয়াত বাদে কি বাকি আয়াত নিয়েও কিছু বলবেন দয়াকরে?
তার পর আমি আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাই, ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
আমি এখানে জনপ্রিয় হতে বা ইলেকশন জিততে আসিনি – সঠিক কথা পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে থাকা একজন মানুষ বললেও, সেটাই ঠিক!! আর অঠিক কথা সারা দুনিয়ার সবাই একত্র হয়ে বললেও সেটা ভুল। আল্লাহ নিজেই বলেছেন:
তুমি যতই চাও না কেন, অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করবার নয়। (কুর’আন, ১২:১০৩)
তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। (কুর’আন, ১২:১০৬)
ইসলামের সঠিক/অঠিক বিচারে সংখ্যাধিক্য কোন বিষয় নয়। অহী-ভিত্তিক text হচ্ছে সত্যাসত্য বিচারের মাপকাঠি।
আমার পোস্টে অহেতুক মন্তব্য না করাতে আমি খুব খুশী। কোন মানে আছে কথার পিঠে কথা বলে – “ব্লগর-ব্লগর” ও “বকর-বকর” করে জীবনের মহা-মূল্যবান সময় নষ্ট করার? আমি নিজেও কারো পোস্টে অহেতুক মন্তব্য করতে চাই না। আমি কিছু message সকলের জন্য available করতে চাই। এরপর আপনারা শুনলেন কি না শুনলেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি শুদ্ধতম scholarly source থেকে কিছু জিনিস উপস্থাপন করতে – যতদিন আল্লাহ তৌফিক্ব দেন তাই করে যেতে চাই! ব্যস!!
@জ্ঞান পিপাষু,
@মেরিনার,
কি সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন আমাকে। আবার আল-কুরান থেকে আয়াত এর উদ্রিতিও দিয়েছেন। আলহামদু লিল্লাহ ভাল।কিন্তু আপনাকে বলেছিলাম যে, বাকি আয়াত গুলি নিয়েও কিছু বলবেন দয়াকরে, কিন্তু তা আপনি করেন নি। তাই আমিও আপনার সাথে আজাইরা প্যাচাল পারতে ইচ্ছুক নই। তবে আপনি কিছু ভাল কথাও বলেছেন, তা আমাদের সবার মানা উচিত।আপনা জ্ঞানি লোক , দয়া করে আমাকে বলেন, ”তমাদের কাছে দ্বীন সম্পর্কে এক টি কথাও যদি থাকে তাহলে তা অন্যকে পৌছে দাও, এ কথাকি কুরান, হাদিছে আছে?
ফুয়াদ সাহেব আল্লাহ যেন আপনাদের মত হৃদয় ওয়ালা যুবক দিয়ে গত কয়েক শতাব্দীর অতলে হারিয়ে যাওয়া ইসলামকে পুনঃ উদ্ধার করেন।
@মেরিনার,আপনার কাছে একটি প্রশ্ন দয়া করে উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। রাসুল সাঃ ইসলামের দাওয়াত নিয়ে কাদের কাছে গিয়েছিলেন? মুমিন ঈমানদারদের কাছে? না কাফির মুশরিকদের কাছে? যারা এক আল্লাহ ও তার রাসুলকে মানতো তাদের কাছে? না যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের দুশমন তাদের কাছে?
যদি কাফির মুশরিকদের কাছে গিয়ে থাকেন তো ওরা কি ইসলামের দাওয়াত দেওয়া মাত্র ই লাইলাহা পড়ে মুসলাম হয়ে গিয়েছিল?
রাসুল যদি কাফের মুশরিকদের অপমান গালী নির্যাতন সহ্য করেও ওদেরকে দ্বিনে আসার দাওয়াত দিয়ে গিয়েছিলেন তো আপনারা কোন ইসলামের পক্ষে লড়ছেন? কিসের জন্য ভার্চুয়ালী প্রাণদন্ড দিতে চান?
@মুনিম, দাওয়াত দেয়া এক কথা – আর “পিস ইন ইসলাম”-এর মত [মূলত "মুসলিমদের জন্য" জ্ঞানর্জনের] একটি আয়োজনে, দ্বীন ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বিষয় নিয়ে জ্ঞান ছাড়া মতামত দেয়া -অথবা- কথার পিঠে কথা বলে জীবনের শত শত ঘন্টা সময় নষ্ট করা বা মানুষকে বিভ্রান্ত করা আরেক কথা। আপনিই বলুন আপনি কোথায় লাইন টানবেন?
ধরুন আপনি এই ব্লগের কর্তৃপক্ষ। আপনি কি হুমায়ূন আযাদের মত কাউকে এখানে ইসলামের বা নবীর(সা.) বিরুদ্ধে লিখতে দেবেন? তসলিমা নাসরিনের মত কাউকে?? আয়ান হিরসী আলীর মত কাউকে?? [যিনি প্রাথমিকভাবে, সন্ধ্যায় PUB-এ গিয়ে মদ ক্ষেতে অসুবিধা হতো বলে ইসলামকে অপছন্দ করতেন এবং প্রকাশ্যে ইসলাম ত্যাগ করে, ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে এতই "সুনাম" অর্জন করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের একটা conservative think tank তাকে research fellow হিসেবে নিয়োগ করেছে - ইসলামের বিরুদ্ধে research করার জন্য অবশ্যই] অথবা মুসলিম lesbian ইরশাদ মানজির মত কাউকে যিনি মনে করেন (lesbianism-এর মত) হাল-জামানার ব্যাপার-স্যাপারে নিষেধ করে ইসলাম কেবল সমস্যারই সৃষ্টি করে???
আপনি যে কাউকে দাওয়াত দিতে পারেন এবং যে কারো হেদায়াতও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ মিশরীয় “ব্যালে ডান্সার” হাল্লা শফী – যার শরীরের হয়তো ৯০%ই একসময় পর-পুরুষের সামনে চোখের মাধ্যমে লেহনের জন্য উন্মুক্ত থাকতো। কিন্তু আল্লাহ তাকে হেদায়াত দেন এবং তিনি তার পেশা ত্যাগ করে সম্পূর্ণ ইসলামসম্মত জীবন বেছে নিয়ে কুর’আনের তফসীর করে বেড়ান। আলহামদুলিল্লাহ্! আপনিও, এখনো, ঐরকম কাউকে দাওয়াত দিতে পারেন এবং তারও হেদায়াত হতে পারে – এবং আল্লাহ্ চাইলে, তিনিও অবশ্যই আপনার আমার চেয়ে ভালো মুসলিম হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। এরকম কাউকে দাওয়াত দেয়া এক কথা – আর তাকে মুসলিমদের সমাবেশে এসে “নেংটা-নাচ” নাচতে দেয়া আরেক কথা।
আল্লাহ আমাকে ক্ষুদ্র যেটুকু জ্ঞান দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে যা বুঝি এবং firmly বিশ্বাস করি – “কুর’আন অনলি” বা “রাজারবাগী”দের অনেক conceptই ঈমান বিনষ্টকারী এবং কুফরীতে ভরা। বিশেষত যাদের দ্বীনের মৌলিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা নেই, তাদের উচিত আগে দ্বীনের মৌলিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা তারপর এদের সাথে কথাবার্তায় engaged হওয়া!!
@মেরিনার ,
আপনার সাথে সহমত, এর আগেও যখন ব্যান পলিছি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ( যারা বাক স্বাধীনতা বা ব্যান করার বিপক্ষে ) রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে কেউ যদি গালি দ্যায় তাহলে কি তাকে ব্যান করা উচিত নয় ? এর উত্তর পাইনি । এর অর্থ অনেকে ব্যান চাচ্ছে না , কিন্ত সেটা যে কি ফর্মের দাড় করানো যায় সেটা সম্বন্ধে তাদের পরিস্কার ধারনা নেই ।
@ হাফিজ ,
আপনার সাথে সহমত, এর আগেও যখন ব্যান পলিছি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ( যারা বাক স্বাধীনতা বা ব্যান করার বিপক্ষে ) রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে কেউ যদি গালি দ্যায় তাহলে কি তাকে ব্যান করা উচিত নয় ? এর উত্তর পাইনি । এর অর্থ অনেকে ব্যান চাচ্ছে না , কিন্ত সেটা যে কি ফর্মের দাড় করানো যায় সেটা সম্বন্ধে তাদের পরিস্কার ধারনা নেই ।
ভাইযান, রুগিদের জন্যেই ডাক্টার, কি বলেছে যে, আমরা ব্যান করার বিপক্ষে? আমি বলি রুগি যদি ভাল না হয়, তাহলে তার সর্ব শেষ মৃত্যু বরকে মেনে নিতেই হবে, এটাই হচ্ছে শেষ চিকিৎসা। কিন্তু প্রথমেই যদি আপনারা রুগির মৃত্যু কামনা করেন, তাহলে সেটা আপনাদের ব্যপার।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে কেউ যদি গালি দ্যায় তাহলে কি তাকে ব্যান করা উচিত নয় ?
ভাই আপনি শুধু একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আরো অনেক বিষয় আছে এর বাহিরে, যে কারনে কাউকে সরাসরি ব্যান করা যেতে পারে। কিন্তু একটি বিষয় দিয়ে সার্বিক ভাবে সব কিছু বিচার করবেন না। আর এখন প্রর্যন্ত এখানে কেউ একাজ করেছে বলে আমার জানা নাই। আর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে কেউ যদি গালি দিবে, বলি আমরাকি মরে গেছি নাকি?
আপনারা যদি সত্যের পক্ষে থাকেন, তাহলে কিসের ভয় আমি বুঝি না। এখানে সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত।
যাতে সবাই সত্যকে জানতে পারে, হোক সে, মুস্লিম বা অমুসলিম। গুলিকে প্রথমে বুঝিয়েন সঠিক পথে আনা । এবং সবাইকে জানিয়ে দেওয়া যে, তাদের বিরুধ্বে আমার উত্তর কত যুক্তিযুক্ত হতে পারে, যাতে তারা বিভ্রান্তির সিকার না হয়। আর আপনারা বুঝতেছে এর উল্টা জিনিস। একটা কথা মনে রাখবেন, মানুষ যে ধর্মেরই হোক, কোন ধার্মিক লোক কখনো কন ধর্মকে অসম্মান করবে না। যারা ধার্মিক নয় , তারাই শুধু কোন ধর্ম বা সম্মানিত কাউকে অসম্মান করতে পারে।কিন্তু কতিপয় অধার্মিক লোকের জন্যে সবাই কেন ইসলামের শিক্ষা থেকে বঞ্চিথবে, প্রশ্ন রেখে গেলাম?
আর কেউ যদি আমাদেরকে আঘাত করে কথা বলে, তাহলে তাকে কিভাবে জবাব দিতে হবে? আল্লাহর রাসুল কি শিক্ষা দিয়েছেন?
আর আমার মত করে আমি বলেছি। আপনাদের জ্ঞান আছে, যা ইচ্ছা করুন। ধন্যবাদ।
@মেরিনার,
আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন ? এটি অনুরোধ ছাড়া আর কিছুই নয় । আমি তো মুসলমানদের আলোচনা করার সুযোগের কথা বলতেছি । মানুষ এর উত্তম টি গ্রহন করা শিখতে হবে ।
আর কারো মতামত চাপাইতে চাইলে তো , যে কোন মতবাদ জোর করে চাপানো যায় । এগুলো চীন, সিভিয়েট ইউনিওনের কাজ ।
তবে, আমার মতামত শুধু আমার তা কারো নিকট গ্রহন যোগ্য হবে, কখন হবে না । আপনার মতামত আমি মেনে নিতেছি । আমার মতামত ও আমি মেনে নিতেছি ।
@ জ্ঞান পিপাষু ,
আপনারা যদি সত্যের পক্ষে থাকেন, তাহলে কিসের ভয় আমি বুঝি না। এখানে সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত।
একমত ।
@মেরিনার, পিস ইন ইসলাম”-এর মত [মূলত "মুসলিমদের জন্য" জ্ঞানর্জনের] একটি আয়োজনে,
তার মানে এই বল্গ শুধু মাত্র মুসলমানদের জন্য তাও শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য? এখানে অন্যধ্মালম্বীরা আসতে পারবেনা এবং এখানে জ্ঞানার্জনের জন্য প্রশ্ন করতে পারবে কিন্তু একটি বিষয়ে কেউ ভিন্নমত পুষন করতে পারবে না। এইতো?
এবার দেখি ব্লগ কর্তৃপক্ষ কি বলছেন?
১.৩। যেকোনো ধর্মের যে কেহ লেখা দিতে পারবে ।
১.৪। প্রচলিত কোনো সিসটেম ইসলাম বিরোধী হলে সেটা সম্বন্ধে আপনি মত দিতে পারেন
আপনার উপরের মন্তব্য ঐ দুই ধারার বিপরীত নয় কি?
দ্বীন ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বিষয় নিয়ে জ্ঞান ছাড়া মতামত দেয়া
এই প্রতিষ্ঠিত বিষয়ের বিরুধ্যে কারা কখন কি বলেছে তার সামান্য উদাহরণ দিবেন কি?
আপনি কি বুঝেন? মুমিন আর মুসলমান এক নয়? যিনি মুমিন তিনি অবশ্যই মুসলিম কিন্তু সব মুসলিম মুমিন নন। তাহলে ঐ সব আমার মত গরু খাওয়া মুসলমান (গরু বলাতে কেউ আবার তলওয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বেন না প্লিজ!) নাদান মুসলমান যাদের চিন্তা চেতনায় ইউরোপীয় দর্শন গভীর ভাবে প্রোতে গিয়েছে তারা যদি সেই চশমা দিয়ে ইসলামকে দেখে তাদের ভিন্নমত কি এই ব্লগে প্রকাশ করতে পারবেনা?
মাইন্ড করবেন না। আপনার বক্তব্য পড়ে খারেজী দর্শনের কথা মনে হল। খারেজীরা নাকি কোরানের আয়াতকে দলিল মেনে মুসলমান ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করত আর মুশরিকদেরকে (মুশরিকরা তো পুরাপুরি ভিন্নমতের) যথাযথ নিরাপদ থাকার নিরাপত্তা দিত।
আপনি যেহেতু নিজকে মুমিন এবং মুসলমান হিসাবে শক্ত বিশ্বাসের উপর আছেন তাই অনুরোধ করব আপনি সওয়াল জবাবের মত একটি বিভাগ খুলুন আর দ্বীনের মৌলিক বিষয় নিয়ে আপনার কাছ শিখে আমরাও আপনার মত মুমিন হতে পারার সৌভাগ্য অর্জনে সহায়তা করুন। ধন্যবাদ।
@মেরিনার,
দ্বীন নিয়ে আমাদের আলোচনা “ভিন্নমত”, “সচলায়তন” বা “মুক্তমনার” আলোচনার মত হতে পারে না – ইসলাম আমাদের মতামতের জন্য open নয় বা আমাদের মতামতের variable নয়!
একমত।
I do wholeheartedly support your suggestion- not to ban anyone and allow him to express his views/believes. Otherwise mass people won’t be able to differentiate between the truth & fake.
This is very unfortunate that some of us have been using provocative languages which only adds fuel to the flame. In this regard we all should be careful not to use any abusive/obscene words-which in no case makes his stand stronger, rather reveals his ill temper /nature.
If this sick practice of cursing each other continues……. who knows what the end is going to be ??????
আস-সালামু আলাইকুম,
আপনাকে একটি প্রশ্ন । আপনি কি “তুষার” কে ব্যান করার বিপক্ষে নাকি যেকোনো ব্লগারকে যেকোন পরিস্হিতিতে ব্যান করার বিপক্ষে ?
ওয়াসসালাম ।
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ]
এ প্রশ্ন করা হয়েছে লেখক “ফুয়াদ” কে ।
ওয়াসসালাম ।
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ]
@কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ],
ধন্যবাদ ।
ঠিক তাই । আমি চাই রাজার বাগিরাও ইসলাম শিখার সুযোগ পাক । বাকিরাও বাতিল কে জানুক । এটা মুসলিম দের ইন্টার্নাল ব্যপার । আমি তো মনে করতেছি না , আমি ভুল বলেছি । কারন আমি সকল মুসলিমের অধিকারের কথা বলতেছি ।
কোন অমুসলিম এখানে এসে গালি গালাজ করুক তা আমি চাই না । এ ধরনের ব্যক্তি কে ব্যন করার পক্ষে ।
কিন্তু মুসলিমদের ইন্টারনাল ব্যপারে সব মুসলিমদের কথা বলার অধিকার আছে
যারা আলোচনা করতে চায় , তাদের করতে দিন ।
ইসলাম মত প্রকাশে বাধা দেয় না । দয়াকরে বুঝতে চেষ্টা করুন
আপনার এই বক্তব্যটা ইসলাম সম্মত নয়, একজন মুসলমানের তার সকল বক্তব্যের জন্য জবাবদিহি করতে হবে । কেউ না জেনে করলে সেটা ভিন্ন কথা , কিন্তু জাকির নাইকের মতো একজন স্কলার মুসলমানকে “জোকার নাইক”, “কাফের” বলা , বিভিন্ন জনকে “গন্ডমুর্খ” , পিস ইন ইসলামের ম্যানেজমেন্টকে “কানে কোম শোনা” ইত্যাদি তুচ্ছা তাচ্ছিল্য করা নিশ্চয়ই একজন বিনয়ী মুসলমানের পরিচয় বহন করে না । আর এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আপনাকে অনুরোধ করছি আমাদের ব্যান পলিছি বা লেখার গাইডলাইন পড়ার জন্য ।
http://www.peaceinislam.com/wp-content/themes/peaceinislam/termsofuse.php
আবারও স্নরন করিয়ে দিচ্ছি ইসলাম বিষয়ে কেউ না জেনে কোনো মন্তব্য করলে সেটা আমরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখব , কিন্তু অপরকে গালাগালি করা , যাকে তাকে কাফের বলা ইত্যাদি সে সবের মধ্যে পরে না ।
ওয়াস সালাম
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ]
@কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ],
ধরুন ১ম বার সাবধান করুন , ২য় বার নিশ্চিত হন ।
- ব্যন করার পরিবর্তে পোষ্ট ডিলিট করে দেন ।
তাও কাজ না হলে ব্যন করে দেন ।
জবাবের আশায় রইলাম ।
@ফুয়াদ, জ্বি আমাদের ব্যান পলিছি এরকম। আপনি পড়ে দেখতে পারেন । আর “তুষার” এর সাথে আমাদের আলোচনা চলছে । এর সুষ্ঠু সমাধান হলে আপনারা জানতে পারবেন ।
ওয়াস সালাম
ওয়াস সালাম
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ]
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ] – এর সাথে একমত।
“বিভন্ন সাইটে ইসলাম সম্পর্কে মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, যা দেখে আমার মত সাধারন মুসলিমরা বিভ্রান্তির সিকার হচ্ছে।”
জ্ঞান পিপাষু ভাই,ইসলাম কিন্তু আসলে ব্লগে শেখার জিনিস নয়,আপনি একজন প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন, আপনার সন্দেহ নিরসন করবেন এটাই প্রকৃত উপায়।
@আব্দুল্লাহ, ভাই আব্দুল্লাহ সালাম। কেমন আছেন? অবশেষে পিস ইনে আপনাকে দেখে খুশী হলাম। আপনি একজন প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন
ভাই আমার কাজ কর্মের ধরনে আমার পক্ষে এই বয়সে প্রকৃত আলেমের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে আমি কেমন করে ইসলামকে জানবো? প্রকৃত আলেমের সংজ্ঞা কি তাও একটু ব্যাখ্যা করুন। ধন্যবাদ।
@মুনিম,
আপনার জন্য দোয়া রইলো।
@আব্দুল্লাহ, একমত।
কর্তৃপক্ষের ব্যান নীতির সাথে একমত।