লগইন রেজিস্ট্রেশন

তিনি মনগড়া কিছু বলেন না

লিখেছেন: ' রাতদিন' @ শুক্রবার, জানুয়ারি ১৫, ২০১০ (৯:২৮ পূর্বাহ্ণ)

আসসালামুয়ালাইকুম,

আহলে কুরান বা কুরান আনলিদের স্কলারদের উপর রাগ অনেক । কিন্তু তারা ভুলে যান স্কলারা মানুষ ই ছিলেন । যাইহোক, এই বিষয়ে যেহেতু আমাদের মতবিরোধ হইতেছে তাই আল্লাহ পাক কি বলেন দেখে নেই ।

“যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হও তবে তা ফিরিয়ে নাও আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কাছে, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও আল্লাহ এবং পরকালের উপর” (সূরা নিসা: ৫৯)

এ জন্য এটলিস্ট আপনাদের আল্লাহ পাক এবং রাসূল সঃ এর কাছে যেতে হবে । তাই নয় কি ? কখন কি ভেবে দেখেছেন কেন আল্লাহ পাক এই আয়াতে তার রাসূল সঃ কেও কেন যুক্ত করলেন । তাই রাসূল সঃ এর কাছে যেতেই হবে ।

প্রথমে আল-কোরানের কাছেই যাই, এ বিষয়ে আল কুরান কি বলে

“বলুন, আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর। আর তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে আল্লাহ কাফিরদের ভালবাসেন না।”(আলে ইমরান, ৩:৩২)

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথার উপর কাউকে প্রাধান্য দিও না। আর আল্লাহকেই ভয় কর।” (সূরা হুজুরাতঃ ০১)

তাই হাদিস আপনাদের মানতেই হবে , সে তা যে যুগেই হোক । কারন, আমরা মতবিরোধ করবই । করলে আল্লাহ আর তার রাসূল সঃ এর দিকেই যেতে হবে ।

আমাদের মধ্যে আল কুরান সব থেকে ভাল বুঝতেন রাসূল সঃ । যাই হোক, এখন দেখেন

053.002
YUSUFALI: Your Companion is neither astray nor being misled.
PICKTHAL: Your comrade erreth not, nor is deceived;
SHAKIR: Your companion does not err, nor does he go astray;

053.003
YUSUFALI: Nor does he say (aught) of (his own) Desire.
PICKTHAL: Nor doth he speak of (his own) desire.
SHAKIR: Nor does he speak out of desire.

053.004
YUSUFALI: It is no less than inspiration sent down to him:
PICKTHAL: It is naught save an inspiration that is inspired,
SHAKIR: It is naught but revelation that is revealed,

053.005
YUSUFALI: He was taught by one Mighty in Power,
PICKTHAL: Which one of mighty powers hath taught him,
SHAKIR: The Lord of Mighty Power has taught him,

053.006
YUSUFALI: Endued with Wisdom: for he appeared (in stately form);
PICKTHAL: One vigorous; and he grew clear to view
SHAKIR: The Lord of Strength; so he attained completion,

তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্টও হননি এবং বিপথগামীও হননি, আর তিনি মনগড়া কথাও বলেন না । (সূরা নাজম – ৫৩ ঃ ২, ৩)

অতএব, তিনি মন গড়া কিছু বলেন না । রাসূল সঃ যা বলেছেন , তাই আপনাকে মানতে হবে ।

যুক্তির দিকে আসলে দেখা যায়, রাসূল সঃ যা বলেছেন তা যদি মিথ্যা (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে তিনি নবীই নন । যদি তিনি নবী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি সত্য কথাই বলবেন ।

অনেকে বলে রাসূল সঃ হচ্ছেন জিবিন্ত আল-কুরান , তাদের কথা অনুষারে এভাবেও ব্যক্ষা করা যায় রাসূল সঃ কে ফল করাই আল কুরান কে ফল করা, আর এ অনুষারে বলা যায় রাসূল সঃ এর চেয়ে ভালভাবে আল কুরান কেউ ফল করতে পারে না । এই কথা গুলির দলিল ভুলে গেছে । তাই এই কথা না মানলেও আমি রাগ করব না ।

আরেকটি বিষয় দেখেন যদি রাসূল সঃ এর হাদিস না শুনেন তাহলে , “লা ইলাহা ইল্লাহ মুহামাদুর রাসূলউল্লাহ” এর তাত্‌পর্য ই বুঝলেন না । “লা ইলাহা ইল্লাহ” নাই কোন রব আল্লাহ ছাড়া” । এখন এই আল্লহ পাক কোন আল্লাহ পাক? এজন্য ই পরবর্তীতে আসতেছে , “মুহাম্মাদুর রাসূলউল্লাহ” হযরত মুহাম্মদ সঃ আল্লাহ পাকের রাসূল । মানে হইতেছে হযরত মুহাম্মদ সঃ যে আল্লাহ পাকের কথা বলতেছেন , এই আল্লাহ পাক ঈ ঐ আল্লাহ পাক।

তারমানে হযরত মুহাম্মদ সঃ এর কথা শুনতে হবে । এ কথা মেনে নিয়েই আপনি মসুলমান হয়েছেন । জীবনে মানুষ অনেক ভুল করে , কিন্তু আল্লাহ পাক তো দয়ালু । তিনি ক্ষমা চাইলে আশা করি তিনি আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিবেন ইনশি-আল্লাহ ।

ফি-আমালিল্লাহ ।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২৮৩ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৯ টি মন্তব্য

  1. ফুয়াদ ভাই, এই পোষ্ট এখানে দিয়েছেন কিন্তু যিনি এই পোষ্টের জবাব দিতে পারতেন সেই ফারুক ভাইকে তো কিছু সংখ্যক বেরাদানে ইসলামের দাবির পক্ষে পিস ইন কর্তৃপক্ষ ব্যানাইছেন। এখন এই পোষ্টের বিষয়ে বুদ্ধি দীপ্ত আলোচনা থেকে আমি নিজেকে বঞ্চিত মনে করছি। অবশ্য ফারুক ভাইয়ের জন্য এই পিস ইনের দরজা বন্ধ হওয়ায় ভদ্রলোক এখন ফেইস বুক নামক এক বৃহত্তর ঘরে প্রবেশ করেছেন। তবে আপনারা মনে করবেন না আমি ফারুক ভাইয়ে ফ্যান এই পোষ্টে শুধু আমার কমেন্ট পড়লে তার সত্যতা বুঝতে পারবেন। আরবেরা বলে যে ‘তুমি তোমার দরজা আমার জন্য বন্ধ করতে পারো কিন্তু আল্লাহ আমার জন্য হাজার দরজা খুলে দিবেন’। হায় আমার জাতী !!! উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আয়নায় শুধু নিজকেই দেখতে চায়! কিন্তু অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়ে যায়?

    সত্যের নাম যদি আল্লাহ,পবিত্র এর নাম যদি আল্লাহ, তাহলে সে সত্য সনাতনকে পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে বু্দ্ধির মুক্তি, অনুসন্ধানের মুক্তি থাকতে হবে। এখানে কোন বাউন্ডারী রাখলে চলবেনা। যারা শুধু আল্লাহ শব্দটি (সত্যকে নয়) নিয়ে পড়ে থাকতে চায় তা তারা বাউন্ডারী নিয়ে থাকবে এতো স্বাভাবিক কথা। আর চরম সত্যকে যারা জানতে চায় তারা কোন গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলে চলবে না। আর এর জন্য চাই মুক্তবুদ্ধির চর্চা।

    আমাকে অবশ্য হাফিজ সাহেব প্রশ্ন করেছিলেন যে, কতটুকু স্বাধীনতা দেওয়া যায়? তার উত্তরে বলেছিলাম- কোন প্রকার ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ধর্ম ফারকা বর্ণকে আক্রমণ করা হলে সেখানে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়ার জন্য এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবার জন্য। কিন্তু এটির মানে এই নয় প্রচলিত ভাবনার বাইরে কিংবা আমি যা বিশ্বাস করিনা তার বিরুদ্ধে গেলেই তাকে ভার্চুয়াল মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

    এক সময় আমার মনে আফসো হত, কেন দুনিয়াতে ইসলামী হুকুমত কায়েম হচ্ছেনা। এখন বুঝেছি এটিও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, যদি মুসলমানদের মধ্যে অন্যে মতের প্রতি হিটলারী সুলভ মানসিকতা থাকে তাহলে ঐ সব মানুষ দ্ধারা ইসলামী হুকুমতের কি ভয়ংকর অবস্থায় পড়তে হত।

    সরি! ফুয়াদ ভাই, ধান ভানতে শীবের গীত গেয়ে নিলাম আপনার পোষ্টের বক্তব্যের বাইরে চলে এসেছি। এবার আপনার পোষ্টের জন্য কিছু বলছি।

    প্রথমতঃ কি আস্তিক কি নাস্তিক, কি আহলে কুরান, কি আহলে হাদিস এক কথায় ৯৯ জন মানুষ সে তার পেটের মধ্যে যে ধারণা লালন করছে সে ধারণাকে সিমেন্টের মতো শক্ত অবস্থানে রেখেই তার সুবিধার পক্ষে যখন যে আয়াত বা হাদিস পায় সে তখন সেই আয়াত বা হাদিস কোট করে দেয়।

    আর এখানেই ভ্রান্তির ভ্রুণ। আসলে আমরা বেশীর ক্ষেত্রে ঐ আয়াত বা হাদিসের নাজিলের ইতিহাস বা কারণ না জেনেই আকছার কোট করে থাকি। যেমন ইসলামের বিরোধিতা কারীরা ইসলামকে সন্ত্রাসীদের ধর্ম প্রমাণ করতে এই আয়াত “আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে”।২-১৯১ তখন মুসলিম বেরাদান সমস্বরে বলে উঠেন এই আয়াত তো শান্তি কালীন নয় যুদ্ধ কালীন। তাই কোট কারীকে অপপ্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।

    আবার যখন কেউ এই আয়াত “আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, ৮-৬০ কোট করে বলেন এই আয়াতে তো আল্লাহর প্রত্যক্ষ নির্দেশ ঘোড়া নিয়ে যুদ্ধ করার জন্য তখন বেরাদানে ইসলাম বলেন যে ঐ আয়াত আক্ষরিক ভাবে প্রয়োগ হবেনা এর অন্তর্নিহিত নির্দেশের আলোকে এই আয়াতকে বিবেচনা করতে হবে।

    হ্যাঁ ওরা যে বলছেন যৌক্তিক বলছেন মিথ্যা নয় এই ব্যাখ্যাই বিজ্ঞান মনস্ক এবং অন্যান্য বিষয়েও এই বিজ্ঞান মনস্কতা থাকা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক অন্য অনেক কিছুতে এই সূত্র মানতে চান না। কেউ যদি করে বসে থাকে থামিয়ে দেওয়া হয়।

    আপনি যে কোট গুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলোর নাজেলের কারণ বিবেচনায় আনেন তাহলে আপনার এই পোষ্টের বক্তব্য বুঝতে আর বুঝাতে সহজ হতো।

    কেউ কেউ আপনার উল্লিখিত আয়াতকে মুসলিম জাতীর জ্ঞান চর্চা বিধ্বংসী অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। কারণ এই আয়াতে “বলুন, আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর। ৩-৩২ তাতে চোখ বন্ধ করে মানতে বলা হয়েছে । বলা হয় মুসলমান এই হুকুমের বাইরে যেতে পারবেন। হ্যাঁ ঠিক শুনার সাথে সাথে প্রত্যেক ঈমানদারদের তা মান বাধ্যতা মূলক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই আয়াতের রাসুস সঃ ছাড়া আর কারো আরবী,বা অন্য কোন ভাষায় করা অর্থ বা ব্যাখ্যাকে আপনি চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে বলা হয়েছে। আমাদের বিরোধ মূল আয়াতকে নিয়ে নয় বিরোধ আসে অর্থ বা ব্যাখ্যা থেকে এবং ঐ সব আয়াতে বা হাদিসে যেখানে স্পষ্ট প্রচলিত শব্দের পরিবর্তে রূপক শব্দ করা হয়েছে সেই সব রূপক শব্দের ব্যাখ্যায় আর এই বিরোধ থাকবেই কারণ -১ নং আল্লাহ মানুষকে তার নিজের বিবেক বুদ্ধি মত চলতে নির্দেশ দিয়েছেন ২ নং শিক্ষা দীক্ষা সমাজ সংসার পরিবেশ ভৌগলিক অবস্থানের জন্য সব মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি এক থাকতে পারেনা।

    আর এই জ্ঞানের ভিন্নতার জন্যই আমরা কেউ আহলে হাদিস, আহলে কুরান, অথচ দেখুন আমরা এই আয়াতের কথা মান্য করিনা “যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হও তবে তা ফিরিয়ে নাও আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কাছে, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও আল্লাহ এবং পরকালের উপর” (সূরা নিসা: ৫৯) আমরা করি কি বিরোধী ব্যাখ্যা পাইলেই হয়েছে এই বিরোধীতা নিরসনের জন্য আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষা করিনা, আওয়াজ তুলি বুলন্দ, একে আর মাফ নাই, কতল কর, কতল কর দাবি জানাই আর কতল করে দুনিয়াও আখেরাতের অশেষ ছাওয়াব হাসিল করি।

    অতএব যাদের মনে কোন কোন হাদিস নিয়ে সন্দেহ দোলাখায় তারা যদি ঈমান নষ্ট হবার ভয়ে সেই সব হাদিস থেকে সতর্ক দূরে থাকেন তো তারা কি মুসলিম উম্মাহ থেকে খারিজ হয়ে যান ? তাহলে তো ওহাবীদের দৃষ্টিতে আমরা মুশরিক, কিন্তু তাই বলে কি তারা আমাদেরকে বা শিয়াদেরকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দিয়েছে ? এখানে তো শুধু তত্ত্বগত বিরোধ নয় আকিদাহ গত বিরোধ রয়ে আছে।

    আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের ভিতর অধিক ভালবাসা পয়দা করে দিন এই কামনা ।

    মুনিম

    @মুনিম, লা হয় মুসলমান এই হুকুমের বাইরে যেতে পারবেন। এটি হবে লা হয় মুসলমান এই হুকুমের বাইরে যেতে পারবেন না।

    মুনিম

    @মুনিম, মুসলমান এই হুকুমের বাইরে যেতে পারবেন।হবেনা হবে এটি হবে মুসলমান এই হুকুমের বাইরে যেতে পারবেন না। আফসোস বানান ও টাইপো হয়েগেছে, অনিচ্ছাকৃত ভুলে জন্য দূঃখিত!

    জ্ঞান পিপাষু

    @মুনিম ভাই, ফুয়াদ ভাই , দ্য মুসলিম ভাই অন্নান্য যারা আছেন, তাদেরকে বলছি, আমাদের উদ্দেশ্য এক, আর তা হচ্ছে দ্বীনের খেদমত করা, যদিও আমাদের মত ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু পথ একি আর তা হচ্ছে সত্যের পথ। তবে আমাদেরকে মানতে হবে যে আল্লাহ সবাইকে সব কিছু বুঝার জ্ঞান দা করেন না, তাই আমাদের বিভিন্ন মত, কিন্তু পথ একটাই, সত্যের পথ।

    আসলে কারো জন্যে আমাদের কঠর হওয়া উচিত নয়, কিন্তু বিভিন্ন মত হওয়ার কারনে সবাইকে অক্যমতে আনা যাবে না, আর সবাইকে অক্যমতে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়, যতটুকু সম্ভব তাই চেষ্টা করা উচিত। আমরা যেটা পারি তা হচ্ছে মানুষাকে বুঝাতে পারি আমাদের জ্ঞান দ্ধারা। এর বেশি কিছু নয়, কারন কেয়ামতের দিন আমাদেরকে যার যার নিজশ্ব গুনাহের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

    তাই অন্তত আল্লাহকে বলতেতো পারবো যে, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তমার দ্বীনের খেদমত করতে। আর মনে রাখবেন বড় বড় আলেম গনরাইযে জান্নাতে যাবে, এমন কিন্তু নয়। আল্লাহর দয়া ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

    কি আর করা তাই আসুন আমরা সবার সাথে একমত হয়ে দ্বীনের খেদমত করে যাই, আর যাদেরকে বিভিন্ন্য অপরাধে ব্যান করা হয়, তা যদি আমাদের মনে হয় যে কাউকে ব্যান করা ঠিক হয়নি এবং আমাদের জ্ঞান যা বলে তাই করি। এতে হয়তো যাকে ব্যন করা হয়েছে তার পক্ষে বা বিপক্ষে আমাদের রায় যাবে, অন্তত আল্লাহ কে কেয়ামতের দিন বলতেতো পারবো যে, হে আল্লাহ তোমার বান্দাদেরকে আমরা বাচাতে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের শক্তি যতটুকু তার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারিনি, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।

    সব শেষে মুনিম ভাইকে বলছি, মুনিম ভাই, আপনার কথা আমি বুঝি, কিন্তু কি করবো ভাই, হাত পা বাধা তাই মন চাইলেও অনেক কিছু করতে পারিনা। তাই আসুন অন্তত কেয়ামতের দিন যাতে বলতে পারি যে, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম। আর আল্লাহর দয়া ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। তাই বুঝতেই পারছেন ব্যপারটা।

    ”পরম সুখের উদ্দ্যানে সেই প্রবেশ করিবে, যার মন, হৃদয়, অন্তর পবিত্র”

    আল্লাহ ভালো জ়ানেন, কার মনে কি আছে, আর আমাদের মন যদি পবিত্র হয়, তাহলেই আমরা সফল কাম। আর যদি এর বিপরিত হয়, তাহলে জীবনটাই বৃথা, জন্ম বৃথা। তাই চিন্তিত হবেন না, সাধ্যমত দ্বিনের খেদ্মত করে যান ভাই। এমনটা ভাবার দরকার নাইযে, সবাই জান্নাতি বা জাহান্নামি। যারা ভাবে তারাই সফল আর বাকিরা বিফল, আল্লাহ যেনো তাদের সাথে আমাদের মত পাপিদেরকেও জান্নাতের প্রবেশ, এ দোয়াই করি । আর কি বলবো বলেন? :)

    ফুয়াদ

    @মুনিম,

    ভাই, আমি লেখায় অত্যান্ত সাবধানে লিখেছি । লেখার কোথাও আক্রমনাত্তক কিছু লেখি নি । ফারুক ভাই সদালাপে উত্তর করতেছেন । দেখেন এখানে আমি সম্পূর্ন আল কুরান থেকে উনার আহব্বান জানিয়েছি । তারপর ও দেখেন দ্যা-মুস্লিম এই দুইটি হাদিস সদালাপে দেওয়ায় আমি লিখেছি

    (সুত্র: হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স) : সমকালীন পরিবেশ ও জীবন। শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মদ তফাজ্জল হোছাইন। ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট।পৃষ্টা:২৩)।

    ১) আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক দল হইবে, যাহারা আমার হাদীসকে প্রত্যাখ্যান করিয়া পথভ্রষ্ট হইয়া যাইবে। (সনদ উল্লেখ করা হয়নি)

    ২) তোমাদের মধ্য হইতে কাহাকেও যেন আমি এরূপ না পাই যে, সে দাম্ভিকরূপে স্বীয় গদিতে উপবিষ্ট থাকিবে, আর আমি যাহা করিতে নির্দেশ দিয়াছি বা নিষেধ করিয়াছি, তাহা তাহার নিকট বর্ণনা করা হইলে সে উপেক্ষা করিয়া বলিবে- এইসব আমি কিছু জানি না। যাহা কুরআনে আছে আমি তাহাই মানি। (সুনানে আবু দাউদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৭৬)

    আমি জবাব দিয়েছি ঃ সনদ উল্লেখ থাকলে ভাল হইত। একই বিষয়ে আমার এই পোষ্ট

    তিনি মনগড়া কিছু বলেন না
    http://shodalap.com/2010/01/15/he-doesnt-speak-from-his-own/

    উপরের হাদিস দুটিতে কিন্তু কোথাও কাফির বলা হয় নি , পথভ্রষ্ট বলা হয়ছে। অতএব, তারা পথভ্রষ্ট। কিন্তু আমার উম্মত উল্লেখ থাকায় , এরা এখন ও ইসলামের সাথে আছে। যাইহোক, আমি এই ব্যক্ষায় ভুল করতে পারি ।

    আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ।

    মুনিম

    @ফুয়াদ, আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক দল হইবে, যাহারা আমার হাদীসকে প্রত্যাখ্যান করিয়া পথভ্রষ্ট হইয়া যাইবে। হয়তো আমি ভুল। তবে আমি মনে করি এখানে হাদিস প্রত্যাখান মানে রাসুলের প্রদর্শিত পথকে অস্বীকার করাকে বুঝানো হয়েছে। এখন যারা ঈমান এনেছে তারাতো সালাত সিয়াম হজ্ব জাকাত পালন করতেই হবে এবং ঐ গুলো তো রসুলের প্রদর্শিত মতে করতে হবে। কখনো ফারুক সাব বলেছে যে সে অন্য ভাবে করে। আমার যত দূর মনে পড়ে এই বিষয়ে কার প্রশ্নের উত্তরে উনি বলেছিলেন যে উনি ঐ সব বিষয়ে উনার মা বাবা যে ভাবে করে এসেছে তিনি সেই ভাবেই করছেন। আমরাতো সেভাবেই করছি মা বাবা ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে করে চলছি বংশ পরম্পরায় এটি একটি জীবন্ত সিলসিলা যা আমাদের নবী সঃ এসেছে। কাজেই উনি মুখে যাই বলেন না কেন উনিও হাদিস মানছেন অন্ততঃ পক্ষে ইসলামের মৌলিক বিষয়ে। তাই আমরা উনাকে আমাদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন থেকে দূরে রাখা উচিত নয়।
    ) তোমাদের মধ্য হইতে কাহাকেও যেন আমি এরূপ না পাই যে, সে দাম্ভিকরূপে স্বীয় গদিতে উপবিষ্ট থাকিবে, আর আমি যাহা করিতে নির্দেশ দিয়াছি বা নিষেধ করিয়াছি, তাহা তাহার নিকট বর্ণনা করা হইলে সে উপেক্ষা করিয়া বলিবে- এইসব আমি কিছু জানি না। যাহা কুরআনে আছে আমি তাহাই মানি। (সুনানে আবু দাউদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৭৬)

    এটি সেই সময়ের কথা বলছেন রাসুল সঃ যখন উনি বর্তমান ছিলেন। আপনি ভেবে দেখুন যে নবী আমাদেরকে আল্লাহ চিনালেন তৌহীদের ব্যাখ্যা দিলেন যে আয়াতকে তিনি বললেন এটি আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল কৃত কোরান আর আমরা মেনে নিলাম। ঈমান আনলাম। এখন ঐ নবীজি বর্তমানে যদি কেউ বলে আমি কোরান মানি নবীর কথা মানিনা তাহলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে গেলনা? আল্লাহ ও আমার মধ্যে রাসুল নামক চেইন সেতু বন্ধন করেছে। এখন যদি কেউ চেনইকে অস্বীকার করে তাহলে তো তার ঈমান ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। এই হাদিস সেই সময়ের কথাই ফিংঙ্গারিং করছে।

    এখন এই যুগে হাক্কানী আলেমরা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে হাদিসের অসংখ্য জাল হাদিস আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়ে গেছে আর এই নিয়ে বিভ্রান্তি আলেমদের মধ্যেও অনৈক্য রয়ে আছে একজন বলছেন এটি সহী অন্য জন বলছেন জাল এখন বলুন তো এই অবস্থায় কি উপরের হাদিসটি প্রয়োগ যোগ্য হবে? ধন্যবাদ।

    ফুয়াদ

    @মুনিম,

    আর পোষ্টের নিচে আমরা সবাই উল্লেখ করেছি, ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে, আল্লাহ পাকের কাছে ।

    হাদিসের বিষয়ে আরো গুরুত্তপূর্ন সাইন্তিফিক বিষয় আছে , যা শুধুই সাইন্টিফিক কেন হাদিস দরকার, আপনি যদি চান তাহলে ব্যক্ষা করব । তাছাড়া,
    আল্লাহ তার নামের শেষে তা রাসূল সঃ যোগ করেছেন , কিন্তু যখন ই , তা ভয় করার বিষয় এসেছে, তখন শুধু আল্লাহ পাক নিজেকে উল্লেখ করেছেন। তাই, মেসেইজ ক্লিয়ার, রাসূল সঃ কথাও শুনতে হবে। তবে ফারুক ভাই, আমার জবাবে একটি পোষ্ট দিবেন বলেছেন ।

    মুনিম

    @ফুয়াদ, আমি তো হাদিস অস্বীকার করছিনা তবে হাদিস নিয়ে যাচাই বাচাই করা দরকার আছে। আপনার যদি হাদিস শাস্ত্র পড়া থাকে তো নিশ্চয় জানেন খুব অল্প সংখ্যক হাদিস আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে যা দাড়ি কমা সেমিকলন সহ একদম নিখুত। বাকী সব হাদিস বর্ণনা কারীরা তারা তাদের বিবেচনা দিয়ে তখনকার সময়ের মানুষের বুঝের উপযোগী করে বর্ণনা করে গেছেন। কাজেই এখানে সাবধানতা অবশ্য পালনিয়। ধন্যবাদ।