জানার জন্য পোষ্ট জ্ঞানীরা উওরদেন
লিখেছেন: ' রাতদিন' @ সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১০ (৭:২২ অপরাহ্ণ)
আমাদের দেশের বিশিষ্ট নাস্তিকবাদী সাইটে একজন মুসলমান, তার লেখা গুলি আমার ভালই লাগে। নিচের কথা গুলি লিখেছেন, লেখকের নাম হাসান মাহমুদ (ফতেহমোল্লা)
কিন্তু আমাদের কষ্টটা হচ্ছে এই যে আপনারা এটা করেছেন ইসলামেরই নামে। ইসলামি রাষ্ট্র বানিয়ে শারিয়া আইন চালাতে চান। জাতির জানা দরকার একাত্তরের কসাইপনা ও কুকর্মের কি ব্যবস্থা শারিয়া আইনে আপনারা আগে থেকেই করে রেখেছেন, উদ্ধৃতিঃ -
‘‘হিরাবা’র অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধী তওবা করিলেও শাস্তি হইতে রেহাই পাইবে না – হিরাবার অপরাধের শাস্তি ব্যতীত তওবা অন্য কোন শাস্তি বাতিল করে না’’ – শরিয়া আইন নং ১৩, বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খ¨ পৃষ্ঠা ২১৮ ও ২২২।
সুষ্পষ্ট আইন। অর্থাৎ হিরাবা’র অপরাধীরা তওবা করলে ‘‘শাস্তি হইতে রেহাই পাইবে’’। হিরাবা কি? আবার উদ্ধৃতি দিচ্ছি আপনাদেরই ওই শারিয়া কেতাব থেকেঃ- ‘‘হিরাবাহ্ বলিতে সংঘবদ্ধ শক্তির জোরে আক্রমণ চালাইয়া আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাইয়া জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা বোঝায়। সম্পদ লু¥ন, শ্লীলতাহানী, হত্যা ও রক্তপাত ইহাত অন্তর্ভুক্ত’’।
হল ?
ইসলামের প্রতি এই ভয়ংকর বিশ্বাসঘাতকতা কে করেছে? আপনারা-ই করেছেন। আইন বানিয়েছেন ইসলামি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হুদুদ অপরাধ অর্থাৎ খুন-যখন-ডাকাতি-পরকীয়া ইত্যাদি করলে – ‘‘তাহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাইবে না’’ – বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ৩য় খ¨ আইন নং ৯১৪ গ। মুখে ইসলামের তুবড়ি ছুটিয়ে কোরাণ-বিরোধী নারী-বিরোধী আইন বানিয়েছেন, স্বামীর জন্য – ‘‘তালাক সংঘটিত হওয়ার জন্য সাক্ষ্য শর্ত নহে’’ – বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খ¨ আইন নং ৩৪৪, – যেখানে সুরা তালাক আয়াত ২-তে আল্ কোরাণে সুষ্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছে স্ত্রী-তালাকের সময় দুইজন সাক্ষী রাখতে। কোরাণ-রসুলের বিরোধী এমন অজস্র আইন আপনারা বানিয়েছেন ইসলামের নামে। কিছু তরুণ এসব না জেনে না পড়ে আপনাদের বিশ্বাস করে, সমর্থন করে। ওই তরুণরা, কিংবা পরের প্রজন্ম যেদিন জানবে কি নিষ্ঠুরভাবে ওদের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ওদের আপনারা ঠকিয়েছেন সেদিন ওরাই আপনাদের গলা চেপে ধরবে।
কেউ এই বিষয়ে কিছু জেনে থাকলে জানান প্লিজ।
Processing your request, Please wait....












‘‘হিরাবা’র অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধী তওবা করিলেও শাস্তি হইতে রেহাই পাইবে না – হিরাবার অপরাধের শাস্তি ব্যতীত তওবা অন্য কোন শাস্তি বাতিল করে না’’ – শরিয়া আইন নং ১৩, বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খ¨ পৃষ্ঠা ২১৮ ও ২২২।
ভাই, এই শরীয়া আইনটা কি? মানে কোন দেশের আইন?
@দ্য মুসলিম,
বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন তিন খন্ডের শারিয়া বই, লিখেছেন ছয় জনের একটা কমিটি যার মধ্যে শাহ আবদুল হান্নান আছেন। এটা ১৯৯৫ সালে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন। তাঁদের ভাষায়- ‘‘প্রধানতঃ হানাফি মাযহাবের অনুসরণে যুগ-চাহিদার প্রেক্ষিতে কোথাও কোথাও অন্য মাযহাবের যুক্তিসঙ্গত মতও উদ্ধৃত হয়েছে’’। এতে আইন আছে প্রায় দেড় হাজার।
@ফুয়াদ,
ধন্যবাদ। এ বিষয়ে কখনো পড়াশোনা করিনি। সুযোগ পেলে পড়ে নেব। আশা করি অন্যান্য ভাইয়েরা উত্তর দিতে পারবেন।
ওই তরুণরা, কিংবা পরের প্রজন্ম যেদিন জানবে কি নিষ্ঠুরভাবে ওদের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ওদের আপনারা ঠকিয়েছেন সেদিন ওরাই আপনাদের গলা চেপে ধরবে
সেই দিন বেশি দূরে নয়। এখুনি শুরু হয়ে গেছে আলিম নামধারি শয়তান্দের লাঞ্চিত করার খেলা। অদের জিন্যেই আজ নিরিহ আলিমগণ এবং মুসলিমগন হচ্ছে নির্যাতনের শিকার। যা আজ নিত্যদিনের টিভ্ মিডিয়ায়,নিউজে আমাদের কাছে এক পরিচিত এবং বেদোনা দায়ক সত্য। এবং আমাদের মত মুসলিমরা হচ্ছি ইসলামের সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।শয়তানের দল আল্লাহ তোদেরকে ক্ষমা করবেনা, করবে না করবে না………………
@জ্ঞান পিপাষু,
এ কথা আর কি বলব, মসুলমানদের অবস্তা দেখে কানতে ইচ্ছা করে। গরীব ইমোশনাল মুসলিম গুলিকে কিভাবে ব্যবহার করে। নারীদের ব্যাপারে আমরা জেন মারাত্তক উদাসীন। হায়রে, কিছু বলতেও ভয় লাগে।
@ফুয়াদ,
এ কথা আর কি বলব, মসুলমানদের অবস্তা দেখে কানতে ইচ্ছা করে। গরীব ইমোশনাল মুসলিম গুলিকে কিভাবে ব্যবহার করে। নারীদের ব্যাপারে আমরা জেন মারাত্তক উদাসীন। হায়রে, কিছু বলতেও ভয় লাগে।
আপনি বলছেন কাদতে ইচ্ছা করে, আর যখন এইসব দেখি তখন নিজের অজন্তেই গড় গড় করে আমার চোখের অশ্রু ঝরে।
এজন্যে ইন্টার ন্যাশনাল চ্যানেলের সংবাদকে অভোয়েড করার চেষ্টা করি। আর মনে মনে আল্লাহকে বলি, ইয়া আল্লাহ এই নিরিহ মানুষ গুলিকে কি তোর এই পরিক্ষার জন্যেই বানিয়েছিলি। এই তোর পরিক্ষা। কি বলবো ভাই, খুব কষ্ট লাগে…………
@জ্ঞান পিপাষু,
তবে উপরের ওই গ্রন্থের প্রনেতাদের কে আমি এওসব বলতেছি না। কারন তারা ভুল করতে পারেন।
@ফুয়াদ,
তবে উপরের ওই গ্রন্থের প্রনেতাদের কে আমি এওসব বলতেছি না। কারন তারা ভুল করতে পারেন।
ভুলতো আমার মত অজ্ঞানি মূর্খ দের হবে, তবে যারা ইচ্ছা করে জেনে বুঝে এইসব করে তাদেরকে এরচেয়ে
আর ভালো ভাষায় কিছু বলতে যে আমি জা্নি না।
ফুয়াদ ভাই সালাম, আপনার এই ফতে মোল্লা সাহেবের লেখার সাথে আমার ৯৮ সাল থেকে পরিচিত। উনি লিখেন ও চমৎকার আর এই চমৎকার লেখা দিয়ে ইসলামের মূল শিকড়টি উনি ভাল ভাবে কেটে যাচ্ছেন। যাদের তৃতীয় সেন্স নাই, তারা উনার চালাকি ধরতে পারেনা। আমি আপনাকে একটি লিংক দিচ্ছি আপনি এই লিংকে নাস্তিকের কোরানপাঠ গিয়ে জিয়া ভাইর এই বিষয়ে প্রতিটি পোষ্ট পড়লে উনার আসল পরিচয় পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
@মুনিম,
উনার গতি বিধি সংধেহজনক, কিন্তু যুক্তির মা-বাপ নেই। কে দিল তা না দেখে, বিষয় নিয়ে চিন্তা করা উচিত। আমি ঐ লিখা পরেছি।
@ফুয়াদ, হ্যাঁ উনি ভাল কিছু প্রশ্ন তুলে এনেছেন যা চিন্তার করার মত বটে। আমরা জ্ঞান অর্জনের জন্য অবশ্য পড়তে পারি। অন্ততঃ পক্ষে এদের ভাবনা পড়লে মনে হয় ইসলামকে আয়নায় খাঁড়া করা হয়েছে।
@মুনিম,
ধন্যবাদ মুমিন ভাই।
বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন
বইটা কি কোন আলেমের লেখা?
মনে হয় না।
কাজেই ওটা নিয়ে ঘাটাঘাটির কিছু নাই।
ওটা নিয়ে ঘাটবে ফতেমোল্লা, কারণ ওটার গায়ে শরিয়া আইনের লেবেল লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে হবে। সেটা তার পেশা+নেশা।