গণতন্ত্র ও ইসলাম (সবার দৃষ্টি আকর্ষন)
লিখেছেন: ' রাতদিন' @ রবিবার, মে ৯, ২০১০ (৮:২৩ অপরাহ্ণ)
ইসলামে গণতন্ত্র আছে কি না আমি জানি না। তবে, অধিকাংশের মতামত বলে একটা কিছু আছে। ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, মারা মারি কাটা কাটির ধর্ম না। ইসলাম যদি কেউ পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করে থাকেন, তাহলে তিনি আল্লাহ পাক যিনি আমাদের রাসূল সঃ দ্বারা করেছেন। যে যাই বলুক, পৃথিবীর বুকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। রাষ্ট্র মানেই ইসলাম নয়। ইসলাম মানেই ইসলাম। বর্তমান যুগে শুধু ইসলামী রাষ্ট্র নেই, যা ভবিষতে হতেও পারে। কিন্তু কেউ যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে, তাহলে তাকে আমি কি বলব। সে দেখে না, সাহাবী রাঃ আর তাদের কষ্ট। তাদের মাধ্যমে ইসলাম সঠিক ভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তা আছেই। আইন পরোক্ষ ইবাদত। আইনের কাজ রাষ্ট্র কে নিয়ন্ত্রন করা। আর নামাজ রোজা শুধুই ইবাদত, সরাসরি ইবাদত। শুধুই আল্লাহ পাকের জন্য। এটি সম্পূর্ন রূপে এবং আসল রূপেই আছে।
গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্টার কোন উদাহারন নেই, বললেন, আমাদের সম্মানিত একজন লেখক। আমার প্রশ্ন
১ রাসূল সঃ যে দেশে জন্মগ্রহন করেছেন তা কি গনতান্ত্রীক ছিল? সরাসরি জবাব দিবেন। নাহ- ছিল না।
২ ইসলাম কে প্রতিষ্টা করেছেন? উত্তর আল্লাহ পাক রাসূল সঃ এর মাধ্যমে।
৩ রাসূল সঃ এর যুগে কি গনতন্ত্র ছিল না, তাহলে উনার দ্বারা কিভাবে গনতান্ত্রীক উপায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে?
শুধুই ঘৃনা বিদ্দেষ ছড়িয়ে লাভ নেই ভাই। ঘৃনা, ঘৃনার ই জন্মদেয়। আজ যদি বাংলাদেশে গনতন্ত্র না থাকত তাহলে কি আপনি এভাবে কথা বলতে পারতেন? জবাব দিন? পারতেন না। দেশে একনায়ক কিংবা ফ্যাসীবাদী সরকার থাকলে এমন ও হতে পারত মুসলিম নাম রাখাই নিষিদ্ধ( উদাহারনঃ মূল চীন, কয়েকটি প্রদেশ বাদে)। ভাই, প্রতিটি বিষয় গভীরভাবে বিশ্লেষন করে কথা বলতে হবে। পাগলের মত নয়। তাই জ্ঞান লাগবে, পড়াশুনা করতে হবে। গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। চলুন আগে চলে যাই রাসূল সঃ এর জীবনি বিশ্লেষন করতে।
১ রাসূল সঃ নবুয়তের পর সারা মক্কা তে ইসলাম প্রচারে নামেন।
২ কেউ হয় মুসলিম হয় কেউ হয় না।
৩ ঘটনা চক্রে মদিনায় মুসলিম এর সংখ্যা বেড়ে যায়।
৪ মদিনার অধিকাংশ মানুষ রাসূল সঃ কে রাষ্ট্র নায়ক মেনে নেয়।
৫ এই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে যুদ্ধ বিদ্রহ হয়।
ভাই, ভাল করে লক্ষ্য করুন। সে যুগে ব্যালট বাক্স ছিল না। এভাবে ভোটা ভোটিও ছিল না। কিন্তু অধিকাংশ লোকের সমর্থন নিয়েই রাসূল পাক সাঃ রাষ্টে প্রধান হয়েছেন। কথা হল, বুঝার বিষয়, পাগলামীর বিষয় নয়, ঘৃনার বিষয় নয়। প্রশ্চাত্য প্রশ্চাত্য বলে চিল্লানোর বিষয় নয়।
প্রশ্ন রাষ্ট্র প্রধান কার মতে চলবেন?
উত্তরঃ অধিকাংশের মতে নয়। আল কুরান হাদিস অনুষারে যে মত গ্রহন যোগ্য তা।
আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পরার পর, প্রশ্চাত্য সমাজ এক গনতন্ত্র চালু করল। এখানে সকল ক্ষমতার উতৃস জনগন। এটি-ই ভুল ধারনা। কুফরি ও বটে। এগুলো আমরা নিব কেন? আমাদের তো আছেই।
তাই অধিকাংশ মানুষের মতামত কে আপনি অগ্রাহ্য করতে পারেন না। যা আমাদের ছিল তা, অন্য জায়গায় গিয়ে মডিফাই হয়ে এসেছে। এখন, আমাদের উচিত তারা যা মডিফাই করেছে তা বাদ দিয়ে দেওয়া। আমরা আমাদের মত চলব। তাই গনতন্ত্র বিরুদ্ধে না বলে, যারা একে নষ্ট করেছে, কিংবা যারা প্রশ্চাত্যকে অন্ধ অনুষরন করে তাদেরকে বলুন। ভুল গুলি তুলে আনুন, অথবা নুতুন সমাধান দেন।
চলুন আরো কিছু জিনিস দেখে নেই। রাসূল সঃ এর উফাতের পর, হযরত আবু বকর রাঃ অধিকাংশের সমর্থন নিয়েই হয়েছিলেন (ঐ অবস্থায় নির্বাচনে যারা ছিল)। ত্নিনি হযরত উমর রাঃ কে সবাই কে বুঝিয়ে তাকে মননিত করেন। এখানেও অধিকাংশ লোকের সমর্থন আছে। হযরত উমর রাঃ পাচ জন ব্যাক্তির উপর দিলেন কিন্তু তাদের সকলেই নেতৃত্ব স্থানীয় ছিলেন। তাই অধিকাংশের সমর্থন নিয়েই হযরত উসমান রাঃ খলিফা হন। তারপর, হযরত আলী রাঃ ক্ষেত্রেও ঘুরিয়ে ফিরে তাই ঘটেছিল, মানে অধিকাংশের সমর্থন। এখন গিয়ে আসল পয়েন্ট, হে মুসলিম বুঝার চেষ্টা করুন। হযরত আলী রাঃ এর উফাতের পর হযরত হাসান রাঃ(তিনিও অধিকংশের সমর্থন নিয়ে) যখন হলেন, তখন তিনি ছয় মাসের মধ্যে খেলাফত ছেড়ে দিলেন। মানে বুঝলেন। মানে দেশের প্রয়োজনে রাষ্ট্র ক্ষমতা ছাড়া যায়। অতএব, রাষ্ট্র যদি পাচ বছর পর পর রাষ্ট্রের শৃংকলার প্রয়োজনে রাষ্ট্র প্রধান চেইংজ বা রিনিউ এর মত, রাষ্ট্র জন্য কোন বিষয় নিয়ে আসে, তাহলেও ভুল নয়। মনে রাখবেন, ইমাম হাসান সম্পর্কে রাসূল সঃ এর ভবিষত বানী যা সহী হাদিসে আছে, বুখারী শরীফেই আছে। তাই রাষ্ট্রের শৃংকলার প্রয়োজনে ইমাম হাসানের পদাংক অনুষরন করা, সম্পূর্ন সঠিক। (এই বিষয় টি ভাববার বিষয়, মন খোলা করুন, আর জানতে চেষ্টা করুন)
কমিউনিজমের ভূতে মুসলিমদের পেয়েছে। এই ভূত ছাড়ান। রূমান্টিকতা ইসলামে নেই। কমিউনিজমের উপর রূমান্টিক ভালবাসার জন্য-ই কমিউনিস্ট্রা হাজার হাজার নিরাপরাদ মানুষ মারল, কমিউনিজমের বেহেস্ত প্রতিষ্টার জন্য। উগ্র পন্থা একটী নেশার মত। এই নেশা থেকে দূরে থাকুন। আমার লেখাটি দুবার পড়ুন, আমার বিরুদ্ধে কমেন্ট করার আগে দুবার চিন্তা করুন প্লিজ, এই আমার বিশেষ অনুরোধ।
ভালই বলেছেন। চালিয়ে যান।
যে কোন বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে আগে যেটা দরকার সেটা হলো: সংজ্ঞা নির্ধারণ।
গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আগে জানতে হবে আপনার কাছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী?
এমন যদি হয়
যারা গণতন্ত্রের পক্ষে তাদের কাছে গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা
আর
যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে তাদের কাছে গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা
তা এক নয়,
সেক্ষেত্রে আলোচনা অনর্থক হয়ে পড়ে।
————————————————————————————————-
এক.
‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’ এটা প্রচলিত গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। সেটাকে কুফরি বলার করার পর বা অস্বীকার করার পর, গণতন্ত্রের কতটুকু বাকি থাকে?
দুই.
আপনার বক্তব্য (আমি যা বুঝলাম):
১. রাষ্ট্রনায়ক অধিকাংশের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে।
২. রাষ্ট্রপ্রধান রাষ্ট্র চালাবেন কুরআন-সুন্নাহ অনুসারে, অধিকাংশের মতে নয়।
৩. নির্দিষ্ট সময়(যেমন ৫ বছর) পরপর সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে, রাষ্ট্রের শৃঙ্খলার প্রয়োজনে। [প্রয়োজন না দেখা দিলে?]
আপনার এই গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের প্রভুরা গণতন্ত্র বলে স্বীকৃতি দেবে তো?
তিন.
আপনি যে গণতন্ত্রের উদাহরণ দিলেন, যা যদি কুরআন-সুন্নাহ স্বীকৃত হয়েই থাকে, তাহলে তাকে ‘গণতন্ত্র’ না হলে ‘ইসলামি খিলাফত’ বলতে বাধা কোথায়?
চার.
ইসলামি খিলাফতে রাষ্ট্রপ্রধান অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে।[আপনি যেমন বলেছেন]
প্রশ্ন হল:
এই অধিকাংশ কারা?
আপামর জনসাধারণের অধিকাংশ? নাকি এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অধিকাংশ?[ এই প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্যই রেফারেন্সসহ দেবেন বলে আশা করি]
@সাদাত, সুন্দর বলেছেন , আমি কি পছন্দ করি না করি সেটা বড় কথা নয় , কথা হোলো সেটা শরীয়তসম্মত কিনা ?
@হাফিজ, আমি কি পছন্দ করি না করি সেটা বড় কথা নয় , কথা হোলো সেটা শরীয়তসম্মত কিনা ?
তাতো ঠিক। কিন্তু কথা হোলো সেটা শরীয়তসম্মত কিনা এটিও শুধু আপনার ভাবনায় শরীয়ত সম্মত হলে তো চলবেনা অধিকাংশ আলেমগণ এটি শরীয়ত সম্মত হয়েছে বলে মত দিয়েছেন কিনা এটিও ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর যেখানে অধিকাংশর মত, সেখানেও গণতান্ত্রিকতা বিরাজমান।
@সাদাত,
আগে কিছু পয়েন্ট নেই, গনতন্ত্র কি নিজে বলতেছে, সকল ক্ষমতার উতৃস জনগন?
@সাদাত,
পয়েন্ট ২, আমি গনতন্ত্র কে ইসলামী সার্টিফিকেইট দিতে আসি নি। আমি ভিন্ন কিছু বুঝাইতেছি ।
@সাদাত,
সাদাত ভাই,
আমি বলতে চেয়েছি, সালাহুদ্দিন ভাই যেভাবে বিরুদ্ধ দেখিয়েছেন, কমিউস্টরা যে সব যুক্তিদেয় তাদের মত-ই, ইমোশনাল যুক্তি। আসল কথা হল গনতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট নয়। আপনি যদি এইব্রাহিম লিংকন(এটাই আসল উচ্চারন, কিন্তু বাংলাদেশে কেন জানি আব্রাহাম লিংকন বলা হয়) এর মত নেন, তাহলে তার মতে “জনগনের দ্বারা পরিচালিত জনগনের জন্য, জনগনের সরকার ই গনতন্র” ।
এখন, একদেশে গনতন্ত্র থাকলে, তাকে জোর করে যারা সৃষ্টি করে বিশৃংকলায় যেতে চায়, তাদের জন্য এই পোষ্ট। আমি বলতে চেয়েছি যে গনতন্ত্র এত ইসলাম বিরোধি নয়। দেখেন ভাই, মিশরে কয়দিন আগে গাজায় খাবার সরবরাহ বন্দ করে দিল। যদি গনতন্ত্র থাকত তাহলে, এরূপ উলটা আচরন মিশর সরকার কখনই করতে পারতনা। আমার দৃষ্টিতে ইসলামী তন্ত্র এর পরেই গনতন্ত্রের স্থান। এবং এটি ইসলাম তন্ত্রের অনেক নিকট জ্ঞাতী ভাই। অতএব, কোন বিশৃংকলা নয়। ভোটা ভোট-ই যখন আছে, তখন ভোটে জিতে সংবিধান পরিবর্তন ঘটাইলেই তো হয়। রাসূল সঃ এর সমর্থনে শুধু আলেম নয়, সকল সাধারন মানুষই ছিল, মদিনা রাষ্ট্র গঠনের সময়।
আপামর জনসাধারণের অধিকাংশ? নাকি এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অধিকাংশ?
আসুন, আলেম কারা দেখে নেই। যে কোন প্রফেশনাল মানুষ তার নিজের প্রফেশনে আলেম। একজন ডাক্তার তার নিজের ডাক্তারির আলেম। একজন রিক্সাচালক তার ড্রাইবিংয়ে আলেম। একজন গৃহীনি তার কাজে আলেম। আপনি যত জ্ঞানীই হন না কেন, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ কোন না কোন বিষয়ে আপনার চেয়ে বেশী জানে
তাই, প্রতিটি মানুষ যেখানে সে নিজেই নিজের পেশায় আলেম, তার অধিকার আছে ভোট দেওয়ার। এখন, ইচ্চা করলে আপনি খারাপ আলিম বাদ দিতে পারেন। যেমন চুরি বিদ্যার আলেম। কিন্তু কখনই, একজন রিক্সাচালক কিংবা গার্মেন্টসের কর্মি, তাদের বাদ দিতে পারবেন না। এটাই সত্য। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করুন।
=>‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’ এটা প্রচলিত গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র
সম্পূর্ন ভুল। এটা আমাদের দেশের পলিটিশিয়ান রা ব্যাবহার করে। কেউ যদি বলে আল্লাহ পাক ই সকল ক্ষমতার মালিক, তার কি অধিকার নেই নির্বাচনে যাওয়ার? একেক দল একেক নীতি তে থাকবে। কোন পলিটিশিয়ান কি ব্যাবহার করল তার কোন মূল্য নেই। এগুলো তারা ভোট পাওয়ার জন্য করে। এগুলোকে গনতন্ত্রের সাথে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়।
দুই, যদি সরকার কোন নীতির দল কে ব্যান করল, তাহলে তা সরকারের দোষ।
আধুনিক যুগে প্রতি পাচ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনে কোন দোষ আছে বলে আমি মনে করি না।
আমি কখনই, গনতন্ত্র কে ইসলামী লাইসেন্স দিব না, কিন্তু অবশ্য-ই বলব, এটি ইসলামী তন্ত্র এর পরেই ভাল-তন্র এবং ইসলামী তন্ত্রের চাচাতো ভাই।
যদি এটিকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রনের কোশল হিসাবে নেওয়া হয়, ইবাদত হিসাবে না, তাহলে বিদাত হবার ও সম্ভাবনা নেই।
সবার শেষে, আমি কোন রাজার গোলাম কিংবা কোন ফ্যাসীবাদীর গোলাম হতে চাই না, আমি আল্লাহর গোলাম আছি, এতেই ভাল আছি। আমার উপরে আল্লাহ পাক ছাড়া আর কেউ নেই। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ, ঘুমন্ত কাউকে হয়তো জাগান যায় কিন্তু আচ্ছন্ন কাউকে জাগান যায়না। আর আপনিও যেন কোথায় আটকে আছেন মনে হচ্ছে! হিট ম্যান হিট!
@ফুয়াদ,
আমার শেষ কথা আপনাদের মনে কনফিউশন সৃষ্টি করতে পাররে
আমি এখানে বর্তমানের, রাজা বাৎসা আর আমির, একনায়ক, এবং মিথ্যা গনতন্ত্রের একনায়ক দের বলতেছি। অন্যদের নয় ।
@ফুয়াদ,
[আমি সামনের/আগের কথার চেয়ে পেছনের/পরের কথার গুরুত্ব বেশি দেই, পরের কথা যদি আগের কথার সাথে না মিলে তবে ধবে নেই, প্রথমে হয়ত আমার বুঝার ভুল ছিল, বা যিনি বলছেন তিনি মত কিছুটা পরিবর্তন করেছেন।]
এক.
আপনার কথায় যা বুঝলাম,
আপনিও গণতন্ত্রকে ইসলামসম্মত মনে করেন না
“আমি গনতন্ত্র কে ইসলামী সার্টিফিকেইট দিতে আসি নি। ”
তবে ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য তন্ত্রের (সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র,একনায়কতন্ত্র,…) মধ্যে গণতন্ত্রকে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন। তার মানে মন্দের ভালো ভাবেন।
—- এতটুকু কেউই অমত করবেন বলে মনে হয় না।
দুই.
গণতান্ত্রিক ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার ধারণা আরেকটু পরিষ্কার করুন।
২.১ এটাকে যদি আপনি ইসলামসম্মত না বলে মন্দের ভালো বলেন, তবে আর কোন কথা নেই।
২.২ কিন্তু এটাকে যদি আপনি ইসলামসম্মত বলেন তবে আমার আগের কমেন্টের এই অংশটার উত্তর দিন।
———————
ইসলামি খিলাফতে রাষ্ট্রপ্রধান অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে।[আপনি যেমন বলেছেন]
প্রশ্ন হল:
এই অধিকাংশ কারা?
আপামর জনসাধারণের অধিকাংশ? নাকি এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অধিকাংশ?[ এই প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্যই রেফারেন্সসহ দেবেন বলে আশা করি]
————————–
প্রশ্নটা আরো সহজ করে দেই:
এই অধিকাংশ কারা?
আপামর জনসাধারণের অধিকাংশ? নাকি দ্বীনি(কুরআন, সুন্নাহ)বিষয়ে এবং দুনিয়াবি (রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি,…)[অবশ্যই ইসলামি] বিষয়ে অভিজ্ঞ আল্লাহভীরু লোকদের অধিকাংশ?
@সাদাত,
২.১ এটাকে যদি আপনি ইসলামসম্মত না বলে মন্দের ভালো বলেন, তবে আর কোন কথা নেই।
এটাই আমার কথা এবং এতে বাধা দেওয়া আমার পছন্দ নয়, মানে ভোটা ভোটি দিয়ে যেহেতু সরকার গঠন সম্ভব, সেহেতু অন্য ঝামেলা বা বিশৃংকলা সৃষ্টি না করা।
যদি খিলাফত আসে,
ইসলামি খিলাফতে রাষ্ট্রপ্রধান অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে।
এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অধিকাংশ।
কিন্তু আমি কোন এলিট শ্রেনীর হাতে ক্ষমতা একক ভাবে হতে পারে না। মানে সকল প্রফেশনের জ্ঞানীগুনি এবং নারীদের জ্ঞানীগুনি প্রতিনিদিত্ব থাকতে হবে।
দুই, পাচ বছর কিংবা দশ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনের ব্যাস্থা থাকলে ভাল হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
(আমি মত পরিবর্তন করি নি, আগের মতেই আছি, কিন্তু বিষয় ক্লিয়ার করেছি, আমি জাতীয়তাবাদী রাজা আমির এসব চাই না, পিয়র ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, যেখানে আমি কোন মূল্য হীন মানব হলেও কেউ আমার অধিকার কেরে নিতে পারবে না, শক্তি কিংবা কলমের জোড়ে, এবং দেশের সমপত্তি বাপদাদার সম্পত্তি হিসাবে যেন তারা ব্যাবহার না করতে পারে, এবং কোন ডিসর্ক্রিমিনেশন এবং রেসিস্ম যেন না হয়, বর্তমান আরবের মত, আমি কালো বলে সাদা গুস্টি আমার প্রতি যেন কোন সামান্য অবিচার ও না করতে পারে, এবং রাষ্ট্র নায়ক দের সমালোচনার সকল অধিকার চাই)
@ফুয়াদ,
এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অধিকাংশ।
– যাক এতটুকু ও যে মেনেছেন অনেক ধন্যবাদ।
এখন নতুন দুটো পয়েন্ট এনেছেন।
১.মানে সকল প্রফেশনের জ্ঞানীগুনি এবং নারীদের জ্ঞানীগুনি প্রতিনিদিত্ব থাকতে হবে।
২.দুই, পাচ বছর কিংবা দশ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনের ব্যাস্থা থাকলে ভাল হয়।
সম্ভবত এগুলো আপনার মত।
এখন প্রশ্ন হলো এই মত ইসলামসম্মত কিনা?
যদি মনে করেন ইসলামসম্মত তবে কিভাবে রেফারেন্সসহ বুঝিয়ে দেবেন আশা করি।
@সাদাত,
২ নম্বরের ব্যাপারটা ইমাম হাসান রাঃ এর উদাহারন।
১ এ তো হারাম না, কারন সকল হারাম ঈ লিপিবদ্ধ। একের ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, ভাল মন্দ দেখে
@ফুয়াদ,
তার মানে ইসলাম অসম্মত নয়।
@ফুয়াদ,
আপনার এই পয়েন্টদুটো নিয়ে আরো পড়াশোনা করবেন, আলেমদের কাছে জিজ্ঞাসা করবেন, এই কামনা করে এই আলোচনা হতে বিদায় নিচ্ছি।
ফুয়াদ ভাই, সাদাত ভাই কিন্তু কঠিন কিছু প্রশ্ন করে ফেলেছেন !
@মাহমুদ,
উত্তর দিতেছি অয়েট করেন।
ফুয়াদ ভাই এটা কি লিখলেন।সাদাত ভাই কিছু ভুল ধরানোর পরও ক্ষান্ত হচ্ছেন না ?আশা করি ইসলাম নিয়ে আরো গবেষনা করবেন।পরিশেষে আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন।
@দেশী৪৩২,
পড়াশুনা করেই কথা বলতেছি ভাই। জবরদস্তির কিছু নেই। যাহা সত্য তাহাই সত্য। এই পয়েন্ট গুলি ভুল প্রমান করেন।
আপনি যত জ্ঞানীই হন না কেন, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ কোন না কোন বিষয়ে আপনার চেয়ে বেশী জানে
ফুয়াদ ভাই,
আমার মনে হয় সাদাত ভাই এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বলতে ইসলামী বিষয়ে যেমন কোরআন, হাদীস, ইসলামী আইনশাস্ত্র, ইসলামী অর্থনীতি, ইসলামী রাজনীতি ইত্যাদি তে আলিম অর্থ্যাৎ জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও তাকওয়াবান( যিনি প্রকাশ্যে গোনাহে লিপ্ত নন, পারতপক্ষে সুন্নাত-মুস্তাহাব বর্জন করেন না) এরুপ ব্যাক্তি বুঝিয়েছেন।
কিন্তু আপনি বলেছেন-
আসুন, আলেম কারা দেখে নেই। যে কোন প্রফেশনাল মানুষ তার নিজের প্রফেশনে আলেম। একজন ডাক্তার তার নিজের ডাক্তারির আলেম। একজন রিক্সাচালক তার ড্রাইবিংয়ে আলেম। একজন গৃহীনি তার কাজে আলেম। আপনি যত জ্ঞানীই হন না কেন, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ কোন না কোন বিষয়ে আপনার চেয়ে বেশী জানে
তাই, প্রতিটি মানুষ যেখানে সে নিজেই নিজের পেশায় আলেম, তার অধিকার আছে ভোট দেওয়ার।
দু:খিত, আপনার ব্যাখ্যাটা মেনে নিতে পারলাম না।
@মাহমুদ,
মানা না মানা আপনার বিষয়। কোন কিছু না মানার অধিকার আপনার আছে, আর আমি আপনার এ অধিকারকে সম্মান করি। আলেম হচ্ছে সে, যে এলেম অর্জন করে এবং সে অনু্যায়ী আমল করে। প্রতিটি মানুষ তার নিজের ক্ষেত্রে ক্রমন্নয়ে এলেম অর্জন করে চলেছে, এবং সে অনুযায়ী আমল ও করে চলেছে। তাই তার ভাল মন্দ দেখার অধিকার তার আছে, এবং আপনার কোন অধিকার নেই তার প্রাপ্য কেড়ে নেওয়ার। অতএব, তার অধিকার আছে ভোট দানের। তার মত প্রকাশের।
=> কোন মানুষ-ই পরিপূর্ন ভাবে অন্যের ভাল মন্দ দেখার সুযোগ নেই। কেউ পারবেও না। হ্যা আল্লাহ পাকের নবী হলে ভিন্ন কথা।
দুঃখিত হবার কোন কারন নেই রে ভাই। আমি আমার যা বলার তাই বলেছি। আর কত দেখব, মসুলমানদের অধ্বপথন। তাই, দুঃখিত হলে তো আমার ই হওয়ার কথা।
@ফুয়াদ, সাধারন আলিম আর ইসলামী বিষয়ে আলিমের পার্থক্যটা কি এখনো ধরতে পারেন নি?
@মাহমুদ,
ঠিক বলেছেন। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতকে গুলিয়ে ফেলেছেন।
@দ্য মুসলিম,
আমি এখানে দুনিয়ার কথা বলতেছি। আখিরাতের কথা না, তাই মিলিয়ে ফেলার কোন সম্ভাবনাই নেই।
@মাহমুদ,
আমি ঠিকই ধরতে পেরেছি, কিন্তু রাজনিতি সকল মানুষের জন্য। তাই নয় কি?
@ফুয়াদ,
কিছু মনে করবেন না ভাই, আপনি মনগড়া সব ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। কোরআন হাদীসের আলোকে আলেমের পরিচয় সম্পূর্ণ অন্য। দয়া করে মানবরচিত মতবাদ প্রচার করতে যাবেন না। আরেকটু স্টাডি করলে ভালো হবে।
@দ্য মুসলিম,
আমি কুরান কিংবা হাদিসের ব্যাক্ষা করতেছি না। তাহলে তো আমি উল্লেখ করতাম। আমি যা বলতেছি, ভাল করে বুঝুন। এখন এর দুনিয়ায় ইসলামী তন্ত্রের পরেই গনতন্ত্রের স্থান রাজতন্ত্র আর ফ্যাসীবাদ বহুত নিকৃষ্ঠ। তাই গনতন্ত্রকে দুর্বল করার দরকার নেই। আর ইসলামী তন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে , মুসলিম শরীফের র , হুকুমত অধ্যায় দেখলেই হবে। সেটা ঐ সময় অনুযায়ী পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে, ব্যাক্ষা পাওয়া যাবে ।
@ফুয়াদ,
কিন্তু মনে ঐ ইচ্ছাটা পোষন করাটা জরুরী এবং ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করাও প্রয়োজন।
@মাহমুদ,
আপনি যত জ্ঞানীই হন না কেন, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ কোন না কোন বিষয়ে আপনার চেয়ে বেশী জানে
এই কথা ভুল প্রমান করুন।
@ফুয়াদ, আপনি আবারও অন্য পথে হাটলেন।
ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান নিযুক্ত হবেন এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অর্থ্যাৎ ইসলামী বিষয়ে যেমন কোরআন, হাদীস, ইসলামী আইনশাস্ত্র, ইসলামী অর্থনীতি, ইসলামী রাজনীতি ইত্যাদি তে আলিম বা জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও তাকওয়াবান( যিনি প্রকাশ্যে গোনাহে লিপ্ত নন, পারতপক্ষে সুন্নাত-মুস্তাহাব বর্জন করেন না) এরুপ ব্যাক্তি দ্বারা।
এর সাথে “আপনি যত জ্ঞানীই হন না কেন, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ কোন না কোন বিষয়ে আপনার চেয়ে বেশী জানে”- বাক্যটি অপ্রাসাংগিক।
@মাহমুদ,
অন্য পথে নয়, রাষ্ট্রের ব্যাপারে তার সকল নাগরিক এর ই মত প্রকাশের অধিকার আছে। কারন, রাষ্ট্রের হাত সকল ব্যাক্তির দিকে আছে। তাই একজন, আলেম কখন একজম রিক্সাচালকের ভাল মন্দ নির্ধারন করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে যে কাজটি করা যায়, সকল প্রফেশনের দ্বীনদার ব্যাক্তিদের মতামত বেশী গুরুত্বে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বর্তমান যুগে সবাই নিজের অধিকার চাইবে। নয়ত ফরাসী বিপ্লব এর মত আরেকটা বিপ্লব দেখা দিতে পারে। তাই, সবাই কেই ভোট প্রদানের অনুমতি দিতে হবে।
@মাহমুদ,
সহমত।
আসসালামু আলাইকুম,
ফুয়াদ ভাই, আপনার লেখাটি দুবার পড়তে বলেছেন; কিন্তু কি জানি কি হয়, কিছু বাদ গেল কিনা, কিছু বুঝতে ভুল করলাম কিনা এই ভয়ে আপনার লেখাটি ১৪/১৫ বার পড়ে ফেলেছি। এ কারনে কমেন্ট করতে দেরি হল। মাশাআল্লাহ, আপনার লেখার স্টাইল প্রসংশনীয়। আপনি যেহেতু সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তাই কিছু বলতেই হয়। যাহোক প্রসংগে আসি-
৩ রাসূল সঃ এর যুগে কি গনতন্ত্র ছিল না, তাহলে উনার দ্বারা কিভাবে গনতান্ত্রীক উপায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে?
এই বাক্যটি দ্বারা আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি ভালভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি। আবার বলেছেন-
মদিনার অধিকাংশ মানুষ রাসূল সঃ কে রাষ্ট্র নায়ক মেনে নেয়।
যদি আপনি বলতে চান রাসুল সা. মদীনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণতান্ত্রিক উপায়ে, তাহলে কিছু কথা আছে। তিনি ছিলেন নবী, আল্লাহ তা’আলার সরাসরি মনোনীত। রাষ্ট্রনায়ক হবার মতো তার প্রতিদন্দ্বি কেউ ছিলনা। যারা ঈমান এনেছিল তাদের অধিকাংশ নয় বরং সকলকেই তাকে রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে মেনে নেওয়া অপরিহার্য ছিল। ঈসা আ.পুনরায় ও ইমাম মাহদি আ. দুনিয়ায় আগমন করলেও সকল ঈমানদারের জন্য অপরিহার্য হবে বিনা শর্তে তাদের আনুগত্য মেনে নেওয়া। কারন তারা আল্লাহ তা’আলার সরাসরি মনোনীত। আমরা বরং দেখি খোলাফায়ে রাশেদগণ কিভাবে রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত হলেন। এ বিষয়ে আপনার লেখায় কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন।
আপনার লেখা-
হযরত আবু বকর রাঃ অধিকাংশের সমর্থন নিয়েই হয়েছিলেন
হযরত আবু বকর রাঃ অধিকাংশ সাধারন জনগন নয়, উচু স্তরের সাহাবাগণের (যারা জ্ঞান ও দূরদর্শিতায় অপর সাহাবাগণ থেকে অগ্রগামী ছিলেন) বাইয়াত গ্রহণের দ্বারা তিনি খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আপনি আরো বললেন-
ত্নিনি হযরত উমর রাঃ কে সবাই কে বুঝিয়ে তাকে মননিত করেন। এখানেও অধিকাংশ লোকের সমর্থন আছে।
কিন্তু হযরত আবু বকর রাঃ তার জীবদ্দশায়ই হযরত উমর রাঃ-এর নাম সকলের সামনে ঘোষনা করে যান। তিনি ঢালাওভাবে সকলের মত নেননি।
হযরত উমর রাঃ পাচ জন ব্যাক্তির উপর দিলেন কিন্তু তাদের সকলেই নেতৃত্ব স্থানীয় ছিলেন। তাই অধিকাংশের সমর্থন নিয়েই হযরত উসমান রাঃ খলিফা হন।
ঐ ব্যাক্তিগণের সকলেরই রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার যোগ্যতা ছিল। কিন্তু এরা কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠির নেতৃত্ব দিতেন না বরং তারা ছিলেন সকলের শ্রদ্ধাভাজন, জ্ঞান ও দূরদর্শিতায় সবাইকে ছাড়িয়ে। এই পরামর্শ পরিষদের অধিকাংশের মতের প্রেক্ষিতে হযরত উসমান রাঃ খলিফা হন। তিনি নিজেও এই পরামর্শ পরিষদের একজন ছিলেন।
তারপর, হযরত আলী রাঃ ক্ষেত্রেও ঘুরিয়ে ফিরে তাই ঘটেছিল, মানে অধিকাংশের সমর্থন।
হযরত আলী রাঃ খলিফা মনোনীত হওয়ার দু’টি মত পাওয়া যায়। মুহাজিরগণ ও মদিনার আনসারগন বাইয়াত গ্রহন করার পরপরই হযরত আলী রাঃ -এর খিলাফাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২য় মত হল- পরামর্শ পরিষদের মাধ্যমে হযরত আলী রাঃ -এর খিলাফাত তখনই অনুষ্ঠিত হয়ে যায় যখন হযরত উমর রাঃ-এর শাহাদাতের পর হযরত উসমান রাঃ-এর সাথে হযরত আলী রাঃ-র নাম প্রস্তাবাকারে আসে। (তথ্যগুলো নেওয়া উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শাহ ওয়ালী উল্লাহ -এর ‘ইযালাতুল খিফা’ গ্রন্থ হতে)
শাহ ওয়ালী উল্লাহ তার গ্রন্থে খিলাফাত প্রতিষ্ঠার আরেকটি পদ্ধতির উল্লেখ করেন। খলিফা হওয়ার সব শর্ত বর্তমান থাকা অবস্থায় কেউ যদি সন্ধি ও কৌশলের মাধ্যমে অবৈধ পন্থা অবলম্বন না করে বলপূর্বক খিলাফাতের অপরাপর দাবীদারকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই খলিফা হন তবে এটাও জরুরি ভিত্তিতে জায়েজ। হযরত আলী রাঃ -এর মৃত্যু এবং হযরত হাসান রা. -এর সন্ধির পর হযরত মুয়াবিয়া রা.-এর খিলাফাত এ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
তাহলে দেখা গেল অধিকাংশ সাধারন জনগনের মতামত নিয়ে কখনোই কোন ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত হয়নি। নিকট অতীতে যদি আমরা দেখি, আলজেরিয়ায় সালভেশন পার্টি ৮০% ভোট পেয়ে জয়ী হবার পরও ক্ষমতায় আসতেই পারেনি। এটিও একটি জ্বলন্ত প্রমান।
আজ যদি বাংলাদেশে গনতন্ত্র না থাকত তাহলে কি আপনি এভাবে কথা বলতে পারতেন? জবাব দিন? পারতেন না।
হাসালেন ভাই, গণতন্ত্র আছে বলেই না সত্য কথা বললে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী হয়ে যায়। পোষ্টগুলো প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তা তো নিজেই দেখলেন। সাদাত ভাইও আমাকে হুশিয়ার করলেন- সত্য কথা এরকম সরাসরি না বলে হিকমতের সাথে বলতে।
আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পরার পর, প্রশ্চাত্য সমাজ এক গনতন্ত্র চালু করল।
আপনি আবারও ভুল তথ্য দিলেন।
প্লেটো, এরিষ্টটলের হাত ধরে গণতন্ত্রের জন্ম। এ্যরিষ্টটল প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এ ব্যবস্থাপনা তৈরী করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন।
মা’আসসালাম।
@সালাহউদ্দীন,
৩ রাসূল সঃ এর যুগে কি গনতন্ত্র ছিল না, তাহলে উনার দ্বারা কিভাবে গনতান্ত্রীক উপায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে?
এটাই আসল পয়েন্ট, রাসূল সঃ এর যুগে গনতন্ত্র ছিল না। কিন্তু আমাদের দেশে আছে।
২.১ এটাকে যদি আপনি ইসলামসম্মত না বলে মন্দের ভালো বলেন, তবে আর কোন কথা নেই।
এটাই আমার কথা এবং এতে বাধা দেওয়া আমার পছন্দ নয়, মানে ভোটা ভোটি দিয়ে যেহেতু সরকার গঠন সম্ভব, সেহেতু অন্য ঝামেলা বা বিশৃংকলা সৃষ্টি না করা।
যদি খিলাফত আসে,
ইসলামি খিলাফতে রাষ্ট্রপ্রধান অধিকাংশের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে।
এলেম, তাকওয়া, অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অধিকাংশ।
কিন্তু আমি কোন এলিট শ্রেনীর হাতে ক্ষমতা একক ভাবে হতে পারে না। মানে সকল প্রফেশনের জ্ঞানীগুনি এবং নারীদের জ্ঞানীগুনি প্রতিনিদিত্ব থাকতে হবে।
দুই, পাচ বছর কিংবা দশ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনের ব্যাস্থা থাকলে ভাল হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
(আমি মত পরিবর্তন করি নি, আগের মতেই আছি, কিন্তু বিষয় ক্লিয়ার করেছি, আমি জাতীয়তাবাদী রাজা আমির এসব চাই না, পিয়র ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, যেখানে আমি কোন মূল্য হীন মানব হলেও কেউ আমার অধিকার কেরে নিতে পারবে না, শক্তি কিংবা কলমের জোড়ে, এবং দেশের সমপত্তি বাপদাদার সম্পত্তি হিসাবে যেন তারা ব্যাবহার না করতে পারে, এবং কোন ডিসর্ক্রিমিনেশন এবং রেসিস্ম যেন না হয়, বর্তমান আরবের মত, আমি কালো বলে সাদা গুস্টি আমার প্রতি যেন কোন সামান্য অবিচার ও না করতে পারে, এবং রাষ্ট্র নায়ক দের সমালোচনার সকল অধিকার চাই)।
=>মদিনার অধিকাংশ মানুষ রাসূল সঃ কে রাষ্ট্র নায়ক মেনে নেয়,
এখানে আমি ইহুদীদের সহ বলেছি।
=> কিন্তু হযরত আবু বকর রাঃ তার জীবদ্দশায়ই হযরত উমর রাঃ-এর নাম সকলের সামনে ঘোষনা করে যান।
ঘোষনা দেওয়ার পর হযরত উমর রঃ এর কঠোর আচরন নিয়ে কথা উঠলে হযরত আবু বকর বুঝিয়ে দেন, সবাই মেনে নেয়।
=>হযরত আলী রাঃ -এর মৃত্যু এবং হযরত হাসান রা. -এর সন্ধির পর হযরত মুয়াবিয়া রা.-এর খিলাফাত এ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
হযরত হাসান রাঃ ছয় মাস খলিফা ছিলেন, এবং আমি যতদূর জানি খলিফা রাশিদিনের দুই টি হাদিসের মধ্যে একটি হাদিস ইমাম হাসান রাঃ এর সময় কাল কেও নিয়ে আসে।
=> হাসালেন ভাই, গণতন্ত্র আছে বলেই না সত্য কথা বললে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী হয়ে যায়। পোষ্টগুলো প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তা তো নিজেই দেখলেন। সাদাত ভাইও আমাকে হুশিয়ার করলেন- সত্য কথা এরকম সরাসরি না বলে হিকমতের সাথে বলতে।
একটুকু চীন দেশে ঘুরে আসুন, বুঝবেন কত ধানে কত চাল।
=>{ আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পরার পর, প্রশ্চাত্য সমাজ এক গনতন্ত্র চালু করল।
আপনি আবারও ভুল তথ্য দিলেন।
প্লেটো, এরিষ্টটলের হাত ধরে গণতন্ত্রের জন্ম। এ্যরিষ্টটল প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এ ব্যবস্থাপনা তৈরী করেছেন।}
আমি ভুল তত্য দেইনি তারা এরিস্টেটল আর আমাদের আইডিয়লজি উভয়ের মিল করেই তাদের জন্য নুতুন গনতন্ত্র নিয়ে এসেছে, ফরাসী বিপ্লব আর আমেরিকার সংবিধান এক এগিয়ে নিয়ে এসেছে, এবং এর মূল চালিকা শক্তি। অনেক গবেষক ই বলেন, আল কুরানের প্রভাবেই ফরাসী বিপ্লব থেকে সর্বপরি আমেরিকান সংবিধান এসেছে। আমেরিকান সংবিধান নের অনেক আইডিয়লজি গুলি দেখুন। আমি নিজেই দেখেছি, এরা আমাদের বিষয়ের অনেক বিষয় নিয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কেউ কারো গোলাম নয়, ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে। যেমন এরা ব্রটিশ সম্রাজ্য আর আমেরিকান দের মধ্যে পার্থক্য দেখলেই বুঝবেন। ব্রিটিশ রা এলিট ব্যাক্তিরা শ্রেনী বৈশম্য থেকে আমেরিকার উত্তান আর এই বৈশম্য গুলির কবর রচনা। ইত্যাদি। এখন-ই ভাই সকল তেমন কিছু বলতে পারতেছি না। আপনি নিজেই গবেষণা করে দেখেন।
এটা কোন মতেই সমর্থন যোগ্য নয়। এতে কি যুদ্ধ বিদ্রহ হবে না, কিভাবে কি জায়েজ করেন ঠিক বুঝলাম না।
দেখুন গনতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব কিনা তা বুঝতে পারতেছি না। কিন্তু এ কথা সত্য গনতন্ত্র হল ইয়াহুদ নাসারাদের এক ছল ছাতুরী। প্রকৃতপক্ষে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য যেখানে যা দরকার সেখানে তাই করছে তারা। বিভিন্ন দেশে বিশেষতঃ মুসলিম দেশ গুলোতে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাদের চেষ্টার অন্ত নেই। যেমন আমাদের বাংলাদেশে। ভোটের আগে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ পাঠান। বিভিন্ন ধরণের মানবাধিকারের এবং ্জনগনের অর্ধিকারের গপ্ল শোনান। কিন্তু আরব দেশগুলোতে কোথাও গনতন্ত্র নেই। এজন্য তাদের মাথা ব্যাথাও নেই। যেমন আলজেরিয়া। মিশর, সিরিয়া, লিবিয়া, মরক্কো, মধ্যপ্রাচ্য ইত্যাদি। কেননা তারা নিশ্চিত এই সব দেশে গনতন্ত্র থাকলে নিশ্চিত জনগন ইসলামপন্থীদের ভোট দিবে। কেননা আরবদের মধ্যে স্বভাবগত ভাবে ইসলামের প্রতি টান অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। যদি কোথাও জনগন ইসলামপন্থী কাউকে ভোট দিয়েছে সেখানে অগনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই সরকার উৎখাত করা হয়েছে।
আলজেরিয়াতে ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট ব্যাপক পপুলার ভোটে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও অগনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে এবং ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিশরেও ইখওয়ানের রাজনীতি অগনতান্ত্রিক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাযাতে ইসলামিক দল কে ভোট দেয়ার অপরাধে সেখানকার জনগনকে ৩ বছর ধরে অবরূদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখানে কেউ মানবাধিকারের গল্প শুনায় না। কেউ জনগনের অধিকারের গল্পও শুনায় না। মধ্যপ্রাচ্যে কেউ রাজতন্ত্রকে অগনতান্ত্রিক বলে না। কারণ তাদের গনতন্ত্রের মৌলিক মূল নীতি হল ইসলাম ঠেকানো। তাই আমার মনে হয় গনতন্ত্র ভালো বা মন্দ যাই হোক এর দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। গনতন্ত্রের প্রভূরা দেখবেন ঠিকই কোন এক অজানা ধারায় গনতান্ত্রিক ইসলামকে অবৈধ ঘোষণা করবে।
@Anonymous, তাই আমার মনে হয় গনতন্ত্র ভালো বা মন্দ যাই হোক এর দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বুঝলাম। তো কি ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব একটু খোলাসা ভাবে বলবেন কি? ধন্যবাদ। ইসলাম কি গণতন্ত্র বিরোধী?
ফুয়াদ ভাই,
আপনি বললেন-
দুই, পাচ বছর কিংবা দশ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনের ব্যাবস্থা থাকলে ভাল হয়।
কিন্তু ধরুন, ইসলামী দল ক্ষমতায় এসে কুরআনের বিধান জারি করল। এখন দুই, পাচ বছর কিংবা দশ বছর পর নির্বাচন হলে মুরতাদ কাফির গোষ্ঠি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তাহলে তার নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং তার পরিচালনা মেনে নেওয়া মানে ইসলাম থেকে ফিরে আসা। যা ইরতিদাদ- এর নামান্তর।
কোন প্রকৃত মুসলিম পারেনা স্বেচ্ছায় মুরতাদ কাফির গোষ্ঠির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। তারা ক্ষমতায় এসে যদি ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করে ! এতে কি যুদ্ধ বিদ্রোহ হবে না?
@মাহমুদ,
কুরান হাদিস এর বাইরে কেউ কোন রাজনিতিক দল বানাতে পারবে না, যে যাই করুক তা কুরান হাদিসের ব্যাক্ষার মধ্যে থাকতে হবে। এভাবে করলেই তো হয়। আর আপনি যা বলেছেন তা এত সহজ নয়। তাছাড়া, এভাবে যদি সকল মানুষ ধর্মের বিরুদ্ধে চলে যায়, তাহলে তারা ক্ষমতা গনতন্ত্র না থাকলেও বা কোন প্রকার ভোটা ভোটি না থাকলেও বা মতের অধিকার না থাকলেও, জোড় করে, বিপ্লব দিয়ে কেড়ে নিতে পারবে। এতে ইসলামের আরো ভয়ানক ক্ষতি হবে, ধার্মিকদের মেরে ফেলা হবে। নিষিদ্ধ হবে। আপনি কি এই মারা মারি কাটা কাটি-ই চান। না চাইলে, অধিকাংশের মত মিলনের সরকার ই ভাল।
ইসলামে গণতন্ত্রের ব্যাপারে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের এক সাক্ষাতকারের কিছু অংশ সামুতে পোস্ট দিয়েছিলাম। এটা দেখতে পারেন।
মূল সাক্ষাতকারটি এখানে
এখানে ইসলামে গণতন্ত্র নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা আছে।
@নাজনীন, আপনার লিংক পড়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি আমাদের মুসলিম জগতে এই সব মোহাম্মদ হাবিব, আল্লামা কারযাভীর মত লোকের বেশি প্রয়োজন । কারণ মুসলিম জাতি এখন এক অচলায়তনে বন্দী হয়ে পড়ে আছে।
গনতন্ত্র ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে মাওলানা আব্দুর রহিম(রাহিমাহুমুল্লাহ)(সাবেক আমির,জামাআত এ ইসলামী) এর সঠিক চিন্তা ধারা জানতে দেখুনঃ
“যারা মনে করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে অথবা যারা প্রথমে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তারপর ইসলামী হুকুমাত কায়েম করার কথা বলে তারা যেমন গনতন্ত্র চেনে না তেমনি জানে না ইসলামের তাওহিদি আকিদার তাৎপর্য।………আগে গনতন্ত্র তারপরে ইসলাম কথা টি নাবী কারিম(সা;) এর সুন্নাত ও কর্মনীতির সম্পূর্ণ বিরোধী”(গনতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব পৃষ্ঠা ১৩ by মাওলানা আব্দুর রহিম)বিস্তারিত জানতে বইগুলো পড়ে দেখুন
1.গনতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব”by মাওলানা আব্দুর রহিম-https://docs.google.com/file/d/0BwMZMMz8qXo8YjA1YzAxM2EtZjkzNi00NmMxLWI5MzEtNWQ5YWQ2Njc4YWNi/edit
2.গণতান্ত্রিক বেবস্থা ও শূরাই নিজাম by মাওলানা আব্দুর রহিম https://docs.google.com/file/d/0BxkmflA6xviUYjA0M2I0YmEtN2QzYS00MWRlLTk4NWYtYzUwNWQzMzI0ZmJh/edit
3.ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য by মাওলানা আব্দুর রহিম https://docs.google.com/file/d/0BwMZMMz8qXo8NjFmOTEwMTAtM2RhOS00YmEzLTliMzctZmY1ZmQyMDFhNmMw/edit