কেউ কি বলতে পারেন আমার এই নিরিহ পোষ্ট টি নাস্তিকদের আক্রমনের লক্ষ্য বস্তু কিভাবে হল? আমি তো এদের উদ্দোশ্যে কিছুই বললাম না।
লিখেছেন: ' রাতদিন' @ মঙ্গলবার, জুন ১৫, ২০১০ (১২:৩১ অপরাহ্ণ)
হে মুসলিম জ্ঞান অর্জন করা চাই, করা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
আফগানিস্থানে বিপুল পরিমান লিথিয়ামের খনি পাওয়া গেছে। পৃথিবীর ৭০% তেলের রিজার্ভ মুসলিম সংখ্যাগনিষ্ঠ দেশ গুলিতে। পৃথিবীর ৪৯% গ্যাস পাওয়া যায় মুসলিম দেশগুলিতে। আরো আছে ইউরোনিয়াম, যা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লেন্টে ব্যাবহার করে ভবিষত পৃথিবী তার জ্বালানী(বিদ্যুতে) চাহিদা মিটাবে, তার ২১% বাতৃসরীক উতৃপাদন হয় মুসলিম দেশগুলিতে। এবার যোগ হল লিথিয়াম। কি করা যায় এই লিথিয়াম দিয়ে, ব্যাটরিতে ব্যাবহার করা হয়। এখন কিছু গাড়ি ও বের হয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটরি চালিত। এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাট্ররি ব্যাবহার করা যেতে পারে ভবিষত গাড়িতে, আর এর জন্য বিদ্যুতিক স্টেশন থাকতে পারে, যেখান থেকে ব্যাটরি চেইংজ করে নেওয়া যায়। (ইসরাইলে পরিক্ষামূলক ভাবে এই গাড়ি চালানো হয়েছে)। ভবিষতে হয়ত এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাট্ররি এর গাড়ি মূল গাড়ির স্থান দখল করে নিবে, কারন তেলের গাড়ির পরিবেশ দূষণ বেশী। বর্তমান পৃথিবী চলে তেলে পরে চলবে ইউরোনিয়ামে লিথিয়ামের সহায়তায়। আর এসব জিনিস পাওয়া যায় মুসলিমদেশ গুলিতে।
জ্ঞান অর্জন কর হে মুসলিম ভাই, জ্ঞান অর্জন কর, যদি পৃথিবীর ১ নম্বর থেকে শুরু করে ১০০ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি গুলি মুসলিম দেশ গুলি থেকে হয় কেমন হবে? একটু চিন্তা করুন। আমাদের দুর্বার সামাজিক শক্তি যদি জ্ঞান অর্জনের কাজে লাগাই, পৃথিবীর ১ নম্বর জাতি হইতে কই কত দিন লাগবে? আমরা মদ খেয়ে বারে পরে থাকি না, আমাদের আছে ৫ ওয়াক্ত নামাজের এক অদ্ভুদ শক্তিশালী শৃংকলা। তাই আমরা যত দ্রুত দোড়ে যেতে পারব জ্ঞানের ভূবনে, সত্য মেনে ভেবে দেখুন, আর কেউ কি পারবে এভাবে? চলুন এগিয়া যাই আগের মত।
প্রথম আলোর খবরঃ
আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ আশাতীত সম্পদ আবিষ্কারে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের চেহারা পাল্টে যেতে পারে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, আজকের আফগানিস্তান বিশ্বের খনিজ সম্পদের কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠতে পারে। আবার এই সম্পদকে কেন্দ্র করে দেশটিতে জাতিগত সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ ও পেন্টাগন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল শনিবার জানায়, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা আফগানিস্তানের ভূগর্ভে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান ধাতব পদার্থের সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে তামা, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু লিথিয়াম। পেন্টাগন এবং মার্কিন ভূতত্ত্ববিদদের একটি দল বেশ কিছু দিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে আফগানিস্তানে এই খনিজ সম্পদের সন্ধান পায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সময়ে শিল্প-প্রযুক্তির জন্য লিথিয়ামকে মহামূল্যবান খনিজ বলে মনে করা হয়। আফগানিস্তানে যে লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে, তাতে দেশটি অচিরেই সারা বিশ্বের খনিজ সম্পদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় সামরিক দপ্তর পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তান ‘লিথিয়ামের সৌদি আরবে’ পরিণত হতে পারে। লিথিয়াম ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারি তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়।
{এটি ফেইচ বুকের নাস্তিকদের মধ্যে পর্যন্ত গড়িয়েছে, আমি এইখানে এদের কিছুই বললাম না, তাহলে আসল কারনটি কি হতে পারে?}
http://www.somewhereinblog.net/blog/Fuad1dinohin/29176883
প্রথম ব্যাক্তির কমেন্ট নয়, তারপরেই দেখুন।
আফগানিস্থানে হঠাৎ করে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের খনিজ সম্পদ আবিষ্কারের খবরটি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নতুন একটি চালও হতে পারে। প্রচুর গবেষনা করে জন্ম দেয়া এই জাতীয় খবরের মূল উদ্দেশ্য কখনোই খবরের বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না।
এই মূহুর্তে বিশ্ববাসী সম্ভবত মানব ইতিহাসের সর্ববৃহৎ মানবসৃষ্ঠ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। ইতোমধ্যেই গালফ-অব-মেক্সিকোয় তেল কোম্পানি বি.পি. র ওয়েল-রিগ বিষ্ফোরনে বের হয়ে আসার বিশাল তেলরাশী শতশত মাইল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত করে ফেলেছে। কবে এই তেল নিঃস্বরন বন্ধ হবে তা কেউ জানেনা। এই ক্রাইসিস সৃষ্টির পেছনে আছে তেল কোম্পানী বি.পি. আর স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অনেকে এই সংকটকে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো বলেও মনে করছেন।
ব্যাপারটা যাই হোক, এই দূর্ঘটনা পশ্চিমা অর্থনীতিকে ট্রিলিয়নস ডলার ক্ষতির মুখে ফেলে দিবে। তো বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এই বিপর্যয় থেকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মার্কিনের প্রয়োজন ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের নিউজ । এই মুহুর্তে এই রকম একটি নিউজ যা আফগানবাসীর জন্য নিকট ভবিষ্যতে বড় কোনো পরিবর্তন বয়ে আনবেনা, যা মার্কিন মিডিয়া সাম্রাজ্যের অবিরাম তথ্য সন্ত্রাসের প্রয়োজনীয় রসদ যোগাতে সক্ষম, তা মূলত পরিকল্পিত বলেই মনে হয় আমার কাছে।
এছাড়া, মার্কিনি জঙ্গীরা আফগানে আনলিমিটেড সময় ধরে অবষ্থান করার পরিকল্পনা বেশ আগেই করে রেখেছে। আর এই অবষ্থানকে মার্কিন জনগনের কাছে যুক্তিগ্রায্য আর লাভজনক বলে মনে করাবার জন্য এই জাতীয় খবর পেন্টাগন কর্তৃক ছড়ানো হয়ে থাকতে পারে। লক্ষ্য করুন- The vast scale of Afghanistan’s mineral wealth was discovered by a small team of Pentagon officials and American geologists.
মুসলিম দেশগুলোতে ন্যাটোর পদচারণা আমরা সাধরনত পেট্রলিয়ামের জন্যই মনে করি, কিন্তু মুসলিম সমরবিদরা বিষয়টি সেভাবে দেখন না। ইতিপূর্বে আরমাগ্যাডন বা ক্রুসেড ওয়ার বিষয়ক পোস্টে শেখ ডক্টর আহমদ দায়ীজের কথা টেনেছিলাম, তিনি বলছেন:”ন্যাটো জোটের বাহ্যিক বিষয় পেট্রিলায়াম দেখানো হলেও তাদের মৌলিক বিষয় হল ক্রম বর্ধমান ইসলামী চেতনা ও খেলাফাতের আদলে শুরা ভিত্তিক একনিষ্ঠ ইসলামী দলগুলোকে পরাস্ত করণ”
আফগানিস্তানের তালেবান শাষণ ব্যবস্থা পৃথীবির বিভিন্ন অঞ্ঝলকে ইসলামীকরণে প্রভাবিত করছিল, সেই সাথে মধ্যপ্রচ্যের দিকেও মনোনিবেশ করছিল বহুদেশিক মুজাহিদরা, যারা কিনা তালেবান প্রতিষ্ঠিত হবার পর নিজ নিজ দেশের ব্যাপারে ভাবছিলেন, সোজা কথায় ইসলামী বিশ্বের বড়ধরনের পরবির্তন অর্জিত হচ্ছিল তাই তাদেরকে মুল জায়গায় রুখে দেবার জন্যই মুলত বিলিয়ন ইউরো আর ডলারে লক্ষ-লক্ষ সৈন্য পাঠিয়ে আফগান ইরাক ও পাকিস্তানে ন্যাটোর উপস্থিতি।
পেট্রলিয়াম ও খনিজ সম্পদ হলো ক্যাশ ফায়দা, আর মৌলিক নীতিবোধ ও ক্রুসেড ও জায়ন চেতনা হলো ইনহিডেন ধর্মীয় মুল্যবোধ।
আল্লাহ মুসলমানদের এই বাস্তবতা বুঝার তৌফিক দিন। কেবল পেট্রল ছিনিয়ে নিবে, খনিজ লুট করবে এসব ঠেকাতে পশ্চিমাদের বিরোধীতা করা স্রেফ দুনিয়াদারীর লক্ষ্য, আমাদের দোয়া করতে হবে দুনিয়া ও আখেরাত দুটির জন্যই যেমন তারাও ধর্ম আর সম্পদ দুটির জন্যই লড়াই করে।
http://www.infowars.com/new-york-times-planted-story-on-afghan-mineral-wealth-designed-to-prolong-us-occupation-spur-neocon-backed-petraeus-presidential-candidacy/
@ABDULLAHSHAHEDআজ না