ভুল ধারনা: পৃথিবীর সেরা ধনী রাষ্ট্র তো আরবের শেখদের রাষ্ট্রগুলি
লিখেছেন: ' রাতদিন' @ মঙ্গলবার, জুন ১৫, ২০১০ (১২:৩৪ অপরাহ্ণ)
আগের একটি পোষ্টের কমেন্টের সত্র ধরে বুঝতে পারলাম, মানুষের মনে এই ভুল ধারনা ভাল ভাবেই গেথে আছে, পৃথিবীর সেরা ধনী রাষ্ঠ্র গুলি নাকি আরব শেখ দের। আসলে আরবরা তেমন ধনী নয়, সত্যিকার দৃষ্টিকোন থেকে। মূল জিডিপি এর উপর ই নির্ভর করে দেশের। এখন মনে করেন, আপনার দেশে জনসংখ্যা হচ্ছে ১০ জন, আর এই দশ জনের সম্পদের পরিমান ১০০ টাকা করে, তাহলে মোট দেশের সম্পদের পরিমান হয়, ১০*১০০=১০০০ । আবার আরেক দেশের জনসংখ্যা হচ্ছে ১০০০ এবং এদের সম্পদের পরিমান ৯০টাকা করে আছে, তাহলে মোট সম্পদের পরিমান দাড়ায় ১০০০*৯০=৯০০০০ টাকা। অতএব শক্তির দিক থেকে ২য় দেশটিই বেশী ধনী। কারন সে ব্যাবহার করতে পারবে ৯০০০০ টাকা, কিন্তু প্রথম দেশ পারবে মাত্র ১০০০ টাকা, তাই কখনই ২য় দেশের আর্থিক ক্ষমতার সাথে প্রথম দেশ তুলনীয় নয়। মাথাপিছু ১০০ টাকা ৯০ থেকে বেশী, কিন্তু এতে কোন লাভ নেই। আসল হিসাবে আসুন।
চলুন দেখে নেই সত্যিকার ধনী দেশগুলির তালিকা
2009 List by the International Monetary Fund
১ যুক্তরাষ্ঠ্র (আমেরিকা)
২ জাপান
৩ চীন
৪ জার্মানি
৫ ফ্রান্স
৬ ইউ কে (ব্রিটিস)
৭ ইটালি
৮ ব্রাজিল
৯ স্পেইন
১০ কানাডা
১১ ইন্ডিয়া
১২ রাশিয়া
১৩ অস্ট্রেলিয়া
১৪ মেক্সিকো
১৫ সাউথ কোরিয়া
১৬ ন্যাদারল্যন্ডস
১৭ তার্কি (এই পাওয়া গেল মুসলিমদেশ)
১৮ ইন্দেনেশিয়া
১৯ সুইজারল্যান্ড
২০ বেলজিয়াম
এভাবে ২৬ নাম্বারে প্রথম আরব দেশ পেলাম, যার মোট জিডেপি ঃ 369,671 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
এবার তুলনা করুন ১ নাম্বার দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র 14,256,275 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তাহলে এক আমেরিকা কয়টা সৌদি আরব কিনতে পারব? 14,256,275/369,671= 38.59
মানে প্রায় সারে ৩৮ টা সৌদি আরব এক আমেরিকায় ই কিনতে পারব। কিন্তু এরপর শুনতে হবে সেরা ধনী আরব রা।
আসল বিষয় হচ্ছে ব্যাবসায়ীক চাল। চাল টা বাংলাদেশেও লক্ষ্য করবেন, চালটা চালা হয় এভাবে, আরে তুমি তো বড় বংশের লোক, তুমি এইটা নিবা আমি ভাল করেই জানি। কিংবা এ অনেক ভাল ভাল মানুষ বলে, তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এভাবেই, আরব দের ধনী ধনী বলে ২ টাকার মাল ৫ টাকায় বিক্রি করে, এটাই হচ্ছে মূল চাল।
এই চালের মুখ্য উদ্দোশ্য ব্যাবসায়ীক হলেও, পরোক্ষ উদ্দোশ্য হচ্ছে রাজনিতিক, মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন বাড়ানো। গরীব মুসলিম দেশ গুলিকে , আরব রা ধনী ধনী বলে প্রচার করে, এদের সম্পর্কে বিরূপ ধারনা দেওয়া। বিভাজোন চরমে উঠে। আবার ধনী ধনী শুনতে শুনতে আরব রাও অহংকারী হল, আর বিভাজন পাকা পোক্ত হল।
তারমানে কি আমি বলতে চেয়েছি, আরব দের কোন দোষ নেই? জ্ব্বীনা জনাব। মক্কায় যেমন আবু বকর রাঃ ছিলেন, তেমনি ছিল আবু জাহেল আর আবু লাহাব রা। তাই আরবে যেমন আবু বকর রাঃ এর আত্মা আছে, তেমনি আছে আবু লাহাবের প্রতাত্মা। আরব রা ও দোষী। বর্তমানে তো এদের পবস্থা পুরো-ই টাইট। কিন্তু এখানে যেসব ইংজিনিয়ারিং করা হয়েছে, তা আপনারা ভাল করে গভীর বিশ্লেষন করলেই পাইবেন। আর আবু জাহেল রা তো আছেই।
ভাই সব, সেরা ধনী রাষ্ঠ্রর প্রপোগান্ডা জেনে নিন। আর বুঝে শুনে বিবেচনা করুন।
অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। তবে একথা ঠিক যে, বিশেষ কোন যোগ্যতা ছাড়াই, আল্লাহ্ তাঁর রহমত স্বরূপ কেবল মুসলিম হবার পুরস্কার হিসেবেই আমাদের অনেক সম্পদ দান করেছেন। এ ব্যাপরে আব্দুর রহিম গ্রীনের একটা সুন্দর লেকচার শুনেছিলাম কখনো।
আপনার এই মন্তব্য একটা কথার কথা হলে ঠিক আছে, কিন্তু বাস্তবে ইসলামে আত্মা-প্রেতাত্মার কোন concept নেই!
@loner,
আত্মা আবার ইসলামে কবে আসল, আমি তো এখানে মানুষ বুঝিয়েছি। পৃথিবী তে বহু রকমের মানুষ আছে। রকম বুঝাইতেই তো আত্মা ব্যাবহৃত হয়। আসল অত্মা না, রূপক। ইসলামে কখনই প্রত্মাত্মার কন্সেপ্ট ছিল না। এখন ও নেই।