নামের গুরুত্ব
লিখেছেন: ' রাতদিন' @ মঙ্গলবার, জুলাই ৬, ২০১০ (৮:১২ পূর্বাহ্ণ)
এই পোষ্টের প্রক্ষিতে।
মানুষের উপর তার নামের প্রভাব কোন কোন সময় থাকে। সুন্দর আর শ্রুতিমধুর নামের জন্য আমরা অনেক সময় এমন সব নাম নির্বাচন করি যার কোন অর্থ নেই। যুক্তিবাদী মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে এতে কি সমস্যা। ব্যাহিক দৃষ্টিতে এতে তেমন কোন সমস্যা নেই। যেমন রাসূল সঃ এর সাহাবী দের নাম ছিল হযরত উমর রাঃ, হযরত আলী রাঃ হযরত আবু বকর রাঃ, ইত্যাদি। একজন যুক্তিবাদী মানুষ প্রশ্ন করতে পারবেন এগুলো সব কি ইসলামী নাম যেহেতু যখন এদের নাম রাখা হয়, তখন ইসলাম ছিল না। কিন্তু এখানে আমার কথা হচ্ছে, তাদের নাম কি বা কি না, সেটা আল্লাহ পাকের ইচ্ছা, কারন তাদের পিতা-মাতা হয়ত এই বিষয় গুলি জানতেন না, যেটিইহোক না কেন, তারা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত। আর আল্লাহ কাকে রহমত দিবেন এটি ও আল্লাহ পাকের নিজের ইচ্ছা। তবে আমরা এ ব্যাপারে দলিল দ্বারা নিশ্চিত যে তারা আল্লাহ পাকের রহমত প্রাপ্ত ছিলেন। এখন, একজন অমসুলমানের ছেলের নাম যাই হোক, সে ও আল্লাহ পাকের রহমত পেতে পারে এবং সে ও তার নিজের মা-বাবার দেওয়া নামে পরিচিত হতে পারে। একজন মুসলিম হিসাবে আপনি নিশ্চই চাবেন যে আপনার ছেলেও তাদের মত রহমত প্রাপ্ত হোক। কিন্তু এটা আমরা ভাল করেই জানি যে রহমত শুধুই আল্লাহ পাকের ব্যাপার।
দেশী ৩২ লিখেনঃ
ইসলামী নাম নির্বাচন একটি গুরুত্বপুর্ন
বিষয়।কারন।হাশরেরে ময়দানে আল্লাহ পাক মানুষের নাম ধরেই ডাকবেন।তাই নাম নির্বার্চনের ক্ষেত্রে ভুল হলে বিচারের পুর্বেই আসামী হতে হবে।কোরআনে ও হাদীসে যে সকল নাম পাওয়া যায় সে গুলিই ইসলামী নাম।রাসুল পাক সাঃ ভাল নাম পছন্দ করতেন ও খারাপ নাম ঘৃনা করতেন।তাই রাসুল পাক সাঃ বহু সাহাবির নাম নাম পরির্তন করে নুতন নাম রেখেছেন।নাম ধারীর উপর ভাল মন্দ নামের প্রভাব আছে।
এখন এই ব্যাপারে আমি আরেকটি বিষয় আলোকপাত অভিজ্ঞতার আলোকে করব, আপনারা বাংলাদেশের নাস্তিকদের চিনেন। তাদের পিতা-মাতা অনেকেই ভুল করে ভিন্ন ভিন্ন নাম রেখেছেন। আপনারা নিশ্চই নাস্তিকতার ধর্মকথাকে চিনেন, সে তার জীবনিতে লিখেছে সে কিভাবে নাস্তিক হল। তার এই নাস্তিক হয়ে যাওয়ার মধ্যে অন্যতম পয়েন্ট হচ্ছে তার নাম ছিল হিন্দুদের মত। তাই হিন্দুদের প্রতি তার ভালবাসা ছিল। এবং মুসলিম বন্দুরা তার হিন্দুয়ানী নামের জন্য তুছ্যতাছিল্ল করত। এভাবেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সে নাস্তিক হয়ে গেল।
উপরের ঘটনা থেকে আমি যে শিক্ষা লাভ করেছি তা হল
১ কারো নাম অমুসলিম নাম রাখা যাবে না।
২ কারো নাম অমুসলিম হলে তাকে নিয়ে হাসা-হাসি করা যাবে না।
পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জীবনি পাঠকরলে আমরা আরেকটি বিষয় পাই। উদাহারন হিসাবে দুটি উদাহারন নিয়ে আসি। আপনারা নিশ্চই আলেকজেন্ডার দ্যা গ্রেইট কে চিনতেন। তিনি বিশ্বজয়ে বের হয়েছিলেন মেসোডীনা থেকে। তিনি মনে করতেন তিনি আসলে গ্রিক পুরানের (কেউ কেউ সত্য মনে করেন) যুদ্ধা একিলিসের বংশধ্বর। একেলিস নিজে ট্রয় এর যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল, এবং ট্রয়ের সেনাপতি হেক্টরকে অনিচ্ছা সত্তেও মেরেছিল। পরিবর্তিতে সে নিজেই মারা যায়। সে যাইহোক, আলেকজেন্ডার নিজেকে একিলিসের বংশধ্বর মনে করতেন। আর এভাবেই তার বিশ্বজয়ে হওয়া।
আপনার নিশ্চই চার্চিল সাহেব কে চিনতেন, তিনি ছিলেন ২য় মহাযুদ্ধের ব্রটিশ প্রধান মন্ত্রী এবং নির্বাচিত সর্বকালের সেরা ইংলিশ। উনিও নাকি তার নিজের পূর্ব-পুরুষ দিঊওক অফ অয়ালিংটনের বংশধ্বর মনে করে, নিজেকে সেনাবাহীনির অংশ হবেন বলে সপ্ন দেখতেন। তিনি তা হন ও, এবং ব্রিটিস প্রধান মন্ত্রীও হন।
এখন, যদি আপনি আপনার কাওরো নাম রাখেন ইসলামের কোন বিশেষ ব্যাক্তির নাম অনুষারে অথবা বিশেষ অর্থ অনুষারে, তাহলে এই নাম ও তার ভিতর এভাবেই কাজ করবে, কিন্তু সব আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। আমি আমার পড়াশুনার আলোকে যা বুঝলাম তাই বললাম।
সুন্দর লিখেছেন,ধন্যবাদ।