একটি সাইটের প্রচারণার নিমিত্তের একটি পোস্ট এবং ঐ সাইটের ব্যপারে সাবধানতা
লিখেছেন: ' guest' @ বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২ (৫:৪৭ অপরাহ্ণ)
আমাদের এক সহ-ব্লগার ভাই একটি সাইটের লিংক দিয়েছেন আমাদের এই প্রিয় ব্লগে। http://www.sunnibanglabooks.org/
দুঃখ জনক ব্যাপার হল সাইট টি। হক্কানী আকীদার লোকদের দ্বারা পরিচালিত নয়। আমি এই সাইটের নেপথ্যে কারা আছেন জানি না। তবে সাইটের কনটেন্ট ও আপলোড করা বই থেকে বুঝতে পারছি সাইট টি বিদআতীদের দ্বারা পরিচালিত। এখানে হেডিংয়ে বলা হয়েছে
আমাদের বাংলাভাষায়, দেওবন্দী/তাবলীগ জামাত, জামাতে ইসলামী ও অধুনা আহলে হাদীস ওয়ালাদের ভিড়ে সুন্নী কিতাবাদি দুর্লভ বা বিলীন হওয়ার পথে। তাই আমরা আল্লাহ্ তা’আলার অশেষ রহমতে এইখানে কিছু সূন্নী অথেন্টিক বই উপহার দেওয়ার চেস্টা করেছি, নজর রাখবেন আরও বই সংযোগ করা হবে ইনশাল্লাহ।
অর্থ্যাৎ দেওবন্দী সহ সবাই কে তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বাইরে বলে গন্য করছেন। আমি দেওবন্দীদের ধোয়া তুলসী পাতা দাবী করছি না। কিন্তু বিদআতী ও মাজার পুজারী ছাড়া সবাই স্বীকার করবেন ইংরেজ আমল থেকে এই উপমহাদেশের ইসলামের ইতিহাস মূলতঃ দেওবন্দেরই ইতিহাস।
একই ভাবে এই সাইটের একটি বইতে (তাবলীগ সমাচার) তাবলীগ জামাতে প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস (আল্লাহ তাকে মাফ করুন) কে ভন্ড নবী হিসেবে উল্লখ করা হয়েছে। আমি নিজে মাওলানা ইলিয়াসের ভক্ত নই। তার জামাতেরও ভক্ত নই।সারা বিশ্বে তাঁর অনুসারী যেমন কম নয় তেমনি তাঁর সমালোচকও কম নয়। কিন্তু বিদআতী মাজার পুজারী ছাড়া কেউই উনাকে ভন্ডনবী হিসেবে আখ্যায়িত করেন নি। এই জন্যই বুঝা যায় এই সাইট টি বিদআতী কোন আক্বীদার লোকের পরিচালিত।
তাই এই ব্লগের সবাইকে ঐ সাইট সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছি যে এই সাইট থেকে কোন বই পড়ার আগে ভালো কোন আলেমের পরামর্শ নিবেন। একই সাথে পিন ইস ইসলাম কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই বিতর্কিত এই সাইট টির বিজ্ঞাপন সম্বলিত পোস্ট গুলো প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হোক।
@দেশী৪৩২,ভাই আপনার সাথে তর্ক করার ইচ্ছা আমার নেই। ঐ সাইটে যে সব ভুল আমার চোখে পড়েছে তা উল্লেখ করলাম। ঐ সাইটির কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছি কারণ এই সাইট টির লিংক এই ব্লগে বিশেষ ভাবে দেয়া হয়েছে তাই। অন্য কোন কারণ নেই। একই সাথে কোন একটি খারাপ কে খারাপ বলতে হলে যে সব খারাপ বেছে বেছে খারাপ বলতে হবে না হলে কোনটাইকে বলা যাবে না একম নয়। বরং যখন যে কোন খারাপ আপনার চোখে পড়বে তাকেই খারাপ বলতে হবে। একই সাথে আমি কাউকে পড়তে নিষেধ করিনি, অনুরোধ জানিয়েছি কোন হক্কানী আলেমের পরামর্শ নিয়ে পড়তে।
ঐ সাইটের সব কিতাব যে খারাপ আকীদার তা আমি বলিনি। আমি বলেছি ভালো কোন আলেমের পরামর্শ নিতে।
হ্যাঁ আপনার সাথে আমি এক ব্যাপারে একমত। যে কোন সাইট বা যে কোন বইয়ের ব্যাপারেই দক্ষ হক্কানী আলেমে পরামর্শ নেয়া উচিত।
@guest,
১। আমি দেওবন্দীদের ধোয়া তুলসী পাতা দাবী করছি না।
উলামা কেরামের শানে এহেন মন্তব্য কোন ধরনের সুন্নত- বুঝিয়ে দিবেন কি?
‘আমার জীবন মুহাম্মাদ সা. এর জন্য’ আপনার প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল – অথচ ‘তুলসী পাতা’ য় তা প্রতিফলিত হচ্ছে না।
২।ভালো কোন আলেমের পরামর্শ নিবেন।
আমি নিজে মাওলানা ইলিয়াসের ভক্ত নই। তার জামাতেরও ভক্ত নই।
কোন আলেমের পরামর্শে আপনার এহেন প্রচার জানাবেন কি- যেন আমরাও পরামর্শ নিতে পারি?
@আহমাদ, দেওবন্দী বলতে আমি দেওবন্দী উলামা কেরামদের যারা অনুসারী তাদের বুঝিয়েছি। আসল ব্যপার হল মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। তাই কেউ চাইলে দেওবন্দীদের বিভিন্ন ভুলের উপর তর্ক জুড়ে দিতে পারে। একারণে বলেছি তর্কের উর্ধ্বে এ উপমহাদেশের ইংরেজ শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইসলামের ইতিহাস মূলতঃ দেওবন্দীদেরই ইতিহাস। তাই তাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বাইরে হিসেবে গন্য করা কোন সহীহ আকীদার লোকদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আমি কোন প্রচারণা চালাচ্ছি না। আসলে মাওলানা ইলিয়াস রহ. কোন নবী ছিলেন না। তবে উম্মতের একজন দরদী মানুষ ছিল। এ কারণেই তিনি মানবীয় ভুলের উর্ধ্বে উঠতে পারেন নি। একারণেই আমি তাঁকে চুড়ান্ত আদর্শ হিসেবে মানতে নারাজ। তাঁর জামাত এই সীমাবদ্ধাতার উর্ধ্বে উঠতে পারে নি। নির্দিষ্ট কিছু গৎবাঁধা কর্মকান্ডের উপরে নিজেদের বিশ্বনবীর উম্মত হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। বরং আলাদা একটা তাবলীগী গ্রুপ বা সংগঠন হিসেবেই টিকে আছে। এদের কর্মকান্ড, চিন্তা চেতনা, পড়াশুনা, চলাফেরা এমনি কি পোষাক আষাকও এতই কাছাকাছি যে, যে কেউ এদের থেকে বিশ্বনবীর প্রভাব নেয়ার বদলে তাবলীগী প্রভাব নিবে। যে কেউ বলবে এরা তাবলীগের লোক।
আমার চাওয়া সব ধরণের পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে মানুষ বিশ্বনবী উম্মত এই পরিচয়ের উপরে উঠুক। এতে সময় লাগবে সন্দেহ নেই তবে আল্লাহ আমার উপরে রাজি হয়ে যান এই আগ্রহ থাকলে যে কেউ বিশ্বনবীর উম্মত হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।
@guest,
একারণেই আমি তাঁকে চুড়ান্ত আদর্শ হিসেবে মানতে নারাজ।
ভাই মাওলানা ইলিয়াস রহ. কে চুড়ান্ত আদর্শ হিসেবে কে আমাকে/আপনাকে মানতে বলেছে?
তবলীগ এর নামকরণ লোকমুখে প্রচলিত; মাওলানা ইলিয়াস রহ. বলতেন আমি নাম রাখলে রাখতাম- “তাহরীক-ই-ঈমান” (ঈমানী আন্দোলন)- এই মেহনত এর তরতীব কোন শরীয়ত (না উযুবিল্লাহ) না, বরং প্রতিকুল এক পরিবেশে ভ্রাম্যমান মাদ্রাসা ও একই সাথে দাওয়াতী কার্যক্রমের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শরীয়ত এর বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত উলামা কেরামের বাতলানো কিছু তরতীব।
দ্বীতিয়ত মাদ্রাসা দ্বীনী ইলমের খাদেম, আহলুল্লাহ দের সহবত তাযকিয়ার খাদেম এবং একই ভাবে ক্বিতাল , দাওয়াত প্রভৃতি ইসলামের বিভিন্ন ক্ষেত্রে খিদমত করে যাচ্ছে- পুরোটা মিলে ইসলাম; তবলীগ কখনই পূর্ণাগতার দাবী করে নি। বরং এ মেহনত তো মূর্দা ঈমানকে উদ্দীপ্ত করে, পিপাসাহীনকে পিপাসা সৃষ্টি করে।
কোন মুসলিম জেনারেল তার ট্রুপসকে নিয়ে নদীর এক পাড়ে অপেক্ষমান, অপর পাড়ে শত্রু। পাড় হওয়ার নৌযানে ছিদ্র; এখন জেনারেল যদি ছিদ্র বন্ধ করার মেহনত করতে বলেন তবে এ মেহনতও জিহাদ ভিন্ন অন্য কিছু না। অনূরূপ মুসলমানদের আজ ২ টি ছিদ্র প্রকটতর:
১। দুনিয়ার (অর্থ ও নারী) মহব্বত
২। মর্যাদার মহব্বত
তবলীগের মেহনত এ ছিদ্র বন্ধের মেহনত। বাকী ইনশাআল্লাহ যেভাবে দিকে দিকে ঈমানের জাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে ইনশাআল্লাহ একদিন সুবহে সাদিক বিদীর্ণ করে মধ্যাণ্যের সূর্য উদ্ভাসিত হবেই।
সর্বোপরি আপনার মন্তব্যের পিছনে কোন আলেমের অভিভাবকত্ব বিদ্যমান, আপনি এর উত্তর এখনও দেন নি।
আপনাদের প্রস্তাবনা কী?
@আহমাদ, “আপনার মন্তব্যের পিছনে কোন আলেমের অভিভাবকত্ব বিদ্যমান” এ প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি না। কেননা এটা জরুরী কিছু নয়। মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালাকে অভিভাবক বানায় এবং আল্লাহ তায়ালাকে রাজি করাকেই জীবনের উদ্দেশ্য বানায় এবং সব অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে চায় তখন আল্লাহই তাকে পথ দেখান। বর্তমান জামানায় এর বিকল্প কিছু দেখি না। কেননা অনেক আলেম যাঁদের মানুষ বড় বড় আলেম হিসেবে চিনে তাঁরাও বিভিন্ন ফিৎনা থেকে খালি নন। আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে সম্ভাব্য সব মজলিসেই যাই। আশে পাশে যারা আছেন তাঁদের সকলের কাছে যাই, বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করি। আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই যেন এই সব মজলিসের ভালো আমাকে নেয়ার তওফিক দেন আর খারাপ থেকে বাঁচার তওফিক দেন। ইদানিং অবশ্য শাহসূফী, পীরজাদা, সৈয়দ, আল হুসাইনি, আল হাসানী এই সব লকব বিশিষ্ট লোকদের মজলিসে যাই না। কোন রাজনৈতিক ইসলামিক মজলিসেও যাই না। কেননা আমার বিশ্বাস প্রচলিত রাজনীতি ইসলামী হতে পারে না।
আসলে মানব রচিত কোন তরতীব দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। রাসুল স. সব যুগের জন্যই আদর্শ। এজন্যই মানব রচিত কোন তাবলীগী তরতীব দরকার আছে বলে মনে করি না। মহানবীর জামানার তাবলিগ চাই। সেটা আশা করি এযুগের জন্যও সমান কার্যকর হবে।
@guest,
তাই এই ব্লগের সবাইকে ঐ সাইট সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছি যে এই সাইট থেকে কোন বই পড়ার আগে ভালো কোন আলেমের পরামর্শ নিবেন।
কেননা এটা জরুরী কিছু নয়। মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালাকে অভিভাবক বানায় এবং আল্লাহ তায়ালাকে রাজি করাকেই জীবনের উদ্দেশ্য বানায় এবং সব অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে চায় তখন আল্লাহই তাকে পথ দেখান। বর্তমান জামানায় এর বিকল্প কিছু দেখি না।
ভাই Contradiction হয়ে গেল না!
আল ক্বুরআনে ইরশাদের ভাবার্থ:
আহলে ইলমকে জিজ্ঞাসা কর…………………
ক্বুরআন যেহেতু শাশ্বত, উলামাকেরামের মুখাপেক্ষিতা আল্লাহর জন্য কিয়ামত পর্যন্ত থাকবেই। তবে আহলে হক্ব খুজে নিতে হবে।
হাদীসের সারাংশ:
উম্মতের অধিকাংশ কখনও ভ্রান্ত বিষয়ে এক হবে ন।
হাদীসের সারাংশ:
বড় জামাতের (মুসলমানদের) সাথে থাক।
মানব রচিত কোন তাবলীগী তরতীব দরকার আছে বলে মনে করি না।
ইলম, জিহাদ ও দাওয়াত এর কোন নির্দিষ্ট তরীকা ইসলাম বেধে দেয় নি। প্রাতিষ্ঠানিক মাদ্রাসা ও তো নবীজীর যামানায় ছিল না।
বিস্তারিত:
http://www.albalagh.net/qa/tablighqa.shtml
http://www.banglakitab.com/BanglaBooks/CriticismOfTablighJamatAndResponse-ShaikhulHadithMaulanaZakariahRA.pdf
@আহমাদ, ভাই Contradiction হয়ে গেল না! আমি বলেছি, আমি কোন আলেমের পরামর্শ নিয়ে চলি এটা জানার প্রয়োজন নেই। বরং এক্ষেত্রে ভালো আলেম নির্বাচন করার জন্য আপনাকে আল্লাহ তায়ালর সাহায্য নিতে হবে। যে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য নিস্বার্থ ভাবে চায় আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন, যেমনটা করেছিলেন সালমান রা. এর ক্ষেত্রে। আসলে দুনিয়ার প্রতি চাওয়া বা আসক্তি পরিত্যাগ করলে আল্লাহই সাহায্য করেন।
ইলম, জিহাদ ও দাওয়াত এর কোন নির্দিষ্ট তরীকা ইসলাম বেধে দেয় নি। কথাটা মাজার পুজারীরা খুব বলে। আসল ব্যাপার হল তাদের মূল দলীলই এটা। একই সাথে আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের লোকজনও এর কাছাকাছি কিছু কথা খুব বলে। তাদের যা করতে মনে চায় করে ফেলে, পরে কেউ আপত্তি করলে বলে এব্যাপারে সহীহ হাদীসে স্পষ্ট কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
যে ব্যাপারে মহানবীর (স.) স্পষ্ট হুকুম আছে তা তো পালন করা জরুরি। কিন্তু যে ব্যাপারে কোন হুকুম পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে দেখতে হয় নবীজি বা তাঁর সাথীরা অথবা পরবর্তী লোকজন যাঁদের ব্যাপারে নবীজি উল্লেখ করেছেন অর্থ্যাৎ উত্তম যুগের লোকেরা যা করেছেন। মনমত কিছু একটা করার সুযোগ নেই।
আপনার উল্লেখিত হাদিসের সারাংশ দুটি প্রসঙ্গহীন মনে হচ্ছে এখানে।