লগইন রেজিস্ট্রেশন

আজ থেকে এশার জামাত পৌঁনে আট টায়, এ জুলুমের শেষ কোথায়

লিখেছেন: ' guest' @ মঙ্গলবার, অক্টোবর ২, ২০১২ (২:৪৩ অপরাহ্ণ)

গত কাল এশার নামাযের পর ঘোষণা হয়েছে, আজ থেকে এশার জামাত পৌঁনে আট টায় হবে। এত দিন আট টায় হত। আট টায় নামায পড়াই এক কষ্টকর ব্যাপার ছিল। সেখানে পৌঁনে আট টায়! মহানবী সা. এশার পরে কোন কাজ রাখতেন না। কিছু তিলাওয়াত বা তসবীহাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়তেন। যেদিন খাবার মিলত এশার আগেই খেয়ে নিতেন (সাধারণতঃ) যেন এশার পর দুনিয়াবী আর কোন প্রয়োজন না থাকে। পৌঁনে আট টায় নামায পড়া শুরু করলে সোয়া আট টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।এরপর প্রায় দশ ঘন্টার মত সময় থাকে। এশার আগেই যদি খাবার দাবার সেরে নিতে হয় তাহলে সাত টা বা সোয়া সাত টার মধ্যে খাওয়া শুরু করতে হবে। এর আগেই তাহলে খাবার দাবার প্রস্তুতঃ করতে হবে। সুনিশ্চিত খাবার তৈরির কাজে নিয়োজিত মা বোনেরা মাগরিবের নামায ঠিক মত আদায় করতে পারবেন না। আমাকে বলুন আমি কিভাবে মহানবী সা. এর সুন্নতের ১০০% অনুসরণ করতে পারি যদি পৌঁনে আট টায় এশার জামাত হয়। প্রসঙ্গতঃ ঢাকা শহরের অধিকাংশ মসজিদের ইমাম দেওবন্দী আলেম। শুনেছি সাহাবাহ কেরাম নামাযের জন্য মসজিদের একত্রিত হতেন। নবীজি স. ঘরের কাজকর্ম সেরে হুজরা থেকে বের হতেন। তিনি নিজেও ঘরের মা বোনদের কাজের অংশ গ্রহণ করতেন, তাঁদের চিত্তবিনোদনের জন্য তাঁদের সহিত গল্পও করতেন এসময়। কখনও কখনও এত দেরী হত যে বেশ কিছু সাহাবী ঘুমিয়ে পড়তেন। কতটা দেরী হলে আপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। এখন মাগরিবের নামায শেষ করতে করতে সোয়া ছয়টা বেজে যায়। এরপর দেড় ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার নামায। আমরা ঢাকা শহরে তো কাউকে দেখি না এত তাড়াতাড়ি ঘুমায় কিনা?

আমরা যারা চাকুরীজীবি মানুষ, রাস্তাঘাটে জ্যামের যে অবস্থা সোয়া সাতটা সাড়ে সাতটার মধ্যে বেড়িয়ে না পড়লে সময় মত অফিসে যাওয়া যায় না। অফিস ছুটি পাঁচটায় কিন্তু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে সব কিছু গুছিয়ে বের হতে হতে সাড়ে পাঁচটা বাজে। এরপর মাগরিব না পড়ে বের হলে বাসের মধ্যে রাস্তাতেই মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। মাগরিব পড়ে বের সময় মত (যদি!) বাস পেলেও সাড়ে ছয়টা। যারা রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করেন তারা জানেন অফিস ছুটির জ্যাম বেশী হয়। দেড় দুই ঘন্টার আগে বাসায় পৌঁছা সম্ভব হয় না। এরপর শরীরের যে অবস্থা থাকে ঘেমে টেমে একাকার। এরপর একটু গোসল না করলে মসজিদে যাওয়াই অস্বস্তিকর। সারা দিন বাসায় থাকি না। অনেক সময় অফিস থেকে ফেরার পথে কিছু টুকটাক বাজারও করতে হয়। যখন আট টায় নামায ছিল তখনই খুব কম দিনই নামায জামাতে পড়তে পারতাম। বার বার মনে হয়েছে যদি পৌনে নয়টা বা কমপক্ষে সাড়ে আট টায় হত! এখন পৌঁনে আট টার নামায কিভাবে ধরব?

মসজিদে মুসুল্লী দিনে দিনে কমছে অথচ উম্মতের শুভাকাঙ্খী দেওবন্দী ইমাম সাহেবেদের জুলুম কমছে না। মাগরিব থেকে কম পক্ষে আড়াই ঘন্টা সময় প্রয়োজন এশার জন্য প্রস্তুত হতে।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৫৪২ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৯ টি মন্তব্য

  1. কিভাবে মহানবী সা. এর সুন্নতের ১০০% অনুসরণ করতে পারি যদি পৌঁনে আট টায় এশার জামাত হয়।

    যখন আট টায় নামায ছিল তখনই খুব কম দিনই নামায জামাতে পড়তে পারতাম।
    ভাই হযরত সাহাবা কেরাম (রা:) অল্পে তুষ্ট থাকতেন, অর্ধাহারে অনাহারে থাকা বরদাস্ত করতেন, কিন্তু অজুহাতে জামাতে নামায ছাড়া তো দূরের কথা ১টা মুস্তাহাব ছাড়াকে ও বরদাস্ত করতেন না।

    কিভাবে মহানবী সা. এর সুন্নতের ১০০% অনুসরণ করতে পারি যদি পৌঁনে আট টায় এশার জামাত হয়।
    আমরা নিজেরা তাক্বওয়া, অল্পে তুষ্টি ও সুন্নতের উপর না থেকে, প্রশাসনের অফিসের সময়-সূচীকে জুলম না বলে উলামা কেরামের জুলুম(?) এর দিকেই নজর পড়ল।

    হাদীসের সারাংশ:

    অহংকারের লক্ষণ ২টি:
    ১। অপরের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করা
    ২। হক্ব কথাকে কবুল না করা

    guest

    @আহমাদ, আপনার মন্তব্যটা কিছুই বুঝা গেল না, আপনি আসলে কি বলতে চাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গ তুলেছেন আপনার তিন প্যারার মন্তব্যে। আপনি দাবি করেছেন সাহাবাহ কেরাম একটি মুস্তাহাবও ছাড়াকে ও সহ্য করতেন না। কিন্তু ঢাকা শহরের দেওবন্দী ইমামদের অত্যাচারে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত মানুষের হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমি দেওবন্দী উলামাদের অসম্মান করি না। কিন্তু কারও ভুলের উপর অন্যায় ভাবে সমর্থন করা এই উম্মতের বড় রোগ। পৌঁনে আট টায় নামায হলে কিভাবে আগে খাওয়া দাওয়া সেরে অন্যান্য দুনিয়াবী প্রয়োজন যেমন থালা বাসন ধুয়ে পরিষ্কার করে, ঘর দোর ঠিক ঠাক মত রেখে, বাচ্চাদের খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে আপনি বা আপনার পরিবারের অন্যরা (মা বোনরা সহ) পৌনে আট টায় জামাত ধরবেন? এরপর এশার পর আর কোন কাজ না রেখে সাড়ে আট টা বা এর কাছাকাছি সময়ে ঘুমিয়ে পড়বেন? বাস্তব কথা হল যাদের অফিস একটু দূরে তারা পোনে আট টার আগে বাসায়ই পৌঁছতে পারবেন না। এরপর একটু ফ্রেশ হয়ে মসজিদে যাওয়া তো অনেক পরের কথা। এশার জামাত একটু দেরি করে পড়া মুস্তাহাব হানাফী মাযহাবে এমন মাসায়ালা কি নেই? আমি দেওবন্দী আলেমদের মুখেই এই মাসায়ালা বহুবার শুনেছি। শুধু শুধু আপনি এই জুলুমের সমর্থন কেন করছেন আমি বুঝলাম না।

    আগেই উল্লেখ করেছি নিজের পছন্দের কেউ ভুল করলেও ঐ ভুলের সমর্থন করা এই উম্মতের বড় রোগ। নবীজি স. এই জিনিসকে খুব ভয় পেতেন। এটাকে সে যুগে গোত্র প্রীতি হত। শুধু একই গোত্রের হওয়ার কারণে কারও অন্যায়ের উপর সমর্থন করা। কেউ কারও শুভাকাঙ্খী হয়ে কারও ভুল ধরিয়ে দিলে ভিন্ন প্রসঙ্গ অবতারণা করেন। কয়েক দিন আগে এক সহব্লগার ভাই একটা ভুল সাইটের লিংক দিয়েছিলেন। আমি ওটার উপর আপত্তি করলে তিনি বললেন এমনতো আরও কত ভুল সাইট আছে আপনি তো তাদের ব্যাপারে কিছু বললেন না। আমারটার ব্যাপারে আপত্তি কেন? আপনিও একই কথা বললেন! এই প্রশাসন পুরাটাই জুলুমের উপরে টিকে আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা আমাদের আমালের কর্মফল। আজ সারা দুনিয়ার সকল মুসলমান দেশে গুলোতে কাফেরের প্রশাসন চলছে। কিন্তু এ থেকে উদ্ধারে জন্য নেতৃত্ব দেয়ার কথা আলেমদেরই ছিল। সেই স্বর্ণ যুগেই ইমাম আবু হানিফা রহ. ইমাম ইবনে হাম্বল রহ. এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলেও গেলেন। জেলেই ইন্তেকাল করেছেন। অথচ আমাদের আলেমরা উম্মতের উপর নতুন আরেক জুলুম চাপিয়ে দিলেন। আপনি তাকওয়ার কথা বলছেন বারবার। আল্লাহ তায়াল আপনাকে তাকওয়ার জীবন দান করুন। কিন্তু যে পৌঁনে আট টার সময় বাসে রাস্তায় থাকে সে কিভাবে তাকওয়া অবলম্বন করবে? আপনি কি তাকে বাস থেকে নেমে মসজিদ খুঁজতে বলবেন? এটা আরও বড় জুলুম হল। তাকওয়ার নামে আল্লাহ মানুষের উপর জুলুম করেন নি। পৌনে আট টার জামাত ধরার জন্য সাড়ে সাত টায় বাস থেকে নামতে হবে। এরপর নামায শেষ করতে করতে সোয়া আট টা। ঐ সময় রাস্তার কি অবস্থা থাকে জানেন নাকি? আট টায় দোকান গুলো বন্ধ হয়। রাস্তার প্রচন্ড ভিড় হয়। ঐ সময় বাস খালি পাওয়াও প্রায় কঠিন হয়ে যায়। হয় হেঁটে আসতে হবে অথবা বেশ দেরী করে আসতে হবে। এতে করে একজন চাকুরীজীবি মানুষকে সকাল সাতটা সাড়ে সাতটা থেকে রাত দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত বাইরেই থাকতে হবে। সে তার সন্তান সন্ততি, পরিবারের খোঁজ কিভাবে নিবে? বাধ্য হয়ে মা বোনদের বাজারে, দোকানে যাওয়া লাগে? যে মা বোনরা ঘরে থাকেন তারা কিভাবে এই লম্বা সময় একা একা কিভাবে ঘর ও সন্তান সামলান? বর্তমানে অধিকাংশ পরিবারই সিঙ্গেল। সম্ভবতঃ মাওলানা আশরাফ আলী থানবী এটাই বলেছেন, বিয়ের পর স্ত্রীসহ সম্ভব হলে ভিন্ন থাকা। এসব সমস্যা অনেকাংশেই কাটানো যেত যদি এশা একটু পিছিয়ে দেয়া যেত। বর্তমান সময়ে এশা সোয়া আট টায় হলে আমার মনে হয় না দুই একজন বাদে কোন মুসুল্লি আপত্তি করবে। অথচ মুসুল্লি কমপক্ষে দশ ভাগ বাড়ত। সাড়ে আট টায় হলে অবশ্য কিছু মুসুল্লি আপত্তি করতে পারে কিন্তু এরপরও চালিয়ে নেয়া যেত যদি উলামাকেরাম তৎপর হতেন। নবীজির চেয়ে বড় তাকওয়াধারী কেউ হতে পারে না। তিনি কিছুটা দেরী করে এশা পড়তেন বলেই আমরা শুনেছি।

    এরপর আপনি লিখেছেন
    অহংকারের লক্ষণ ২টি:
    ১। অপরের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করা
    ২। হক্ব কথাকে কবুল না করা

    ১। দ্বারা যদি আপনার এই উদ্দেশ্য হয় যে আমি নিজকে বড় মনে করছি তা হলে এটা আমি আল্লাহ উপর ছেড়ে দিলাম। তিনি বিচার করবেন যথা সময়, ব্যাপারটা সত্য ছিল কিনা। তবে কারও সম্পর্কে খারাপ ধারণা করা ইসলাম বৈধ বলে কিনা এটা দেওবন্দী আলেমদের সাথে একটু আলাপ করে নিয়েন। ২। এই ব্যাপারটা একটু আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন আপনি সব হক্ব কথা কবুল করতে পারছেন কিনা? উদ্ভট সময়ে নামাযের দ্বারা দুর্বল চিত্তের মুসুল্লিতো বটেই অনেক নিয়মিত মুসুল্লিও অপারগতার কারণে মসজিদ ছেড়ে দেন। আর এই জিনিসই মানুষকে নামায ছেড়ে দেয়ার দিকে নিয়ে যায়। এখন বাসা ভাড়ার যে অবস্থা অনেকেই হয়ত আলাদা ভাবে একটা পাক পবিত্র একটা জায়গা নামাযের জন্য রাখা সম্ভব হয়ই না। আসল ব্যাপার হল ইসলামের একটা বিধান ছেড়ে দেয়া আরও অনেক বিধান ছেড়ে দেয়ার কারণ হয়। এ ব্যাপারে উলামাদেরই নেতৃত্ব দেয়ার কথা। এজন্য পক্ষপাতিত্ব নয় বরং একটা সামাজিক আন্দোলন চাই।

    আহমাদ

    @guest,

    মহানবী সা. এর সুন্নতের ১০০% অনুসরণ করতে না পারার জন্য যে উলামা কেরামের উপর জুলুমের তুহমত দিতে পারে তার জন্য অজুহাতে জামাতে নামায ছাড়া শোভনীয় হয়। প্রয়োজনে সে পাহাড়ে বকরী চড়াতে পারে জীবীকার জন্য (হাদীসে ও এরূপ ইঙ্গিত আছে আখেরী জামানার মুমিনদের ব্যাপারে)।

    শুধু শুধু আপনি এই জুলুমের সমর্থন কেন করছেন আমি বুঝলাম না।
    ভাই আমি সমর্থন কোথায় করলাম, আমি তো শুধু নায়েবে রাসূল(সা:) উলামা কেরামের সাথে আদবপূর্ণ শব্দ চয়নেরই দাওয়াত দিয়ছিলাম। হয়তো আমি ভাব প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছি।

    আগেই উল্লেখ করেছি নিজের পছন্দের কেউ ভুল করলেও ঐ ভুলের সমর্থন করা এই উম্মতের বড় রোগ। নবীজি স. এই জিনিসকে খুব ভয় পেতেন। এটাকে সে যুগে গোত্র প্রীতি হত।

    ভাই আমি দেওবন্দী না বরং উলামা কেরামের সাথে (দেওবন্দী হোক বা না হোক) জুলুম নামের খেলাফে আদবের বিরুদ্ধে ছিলাম মাত্র। বোধ করি উলামা কেরামের(নায়েবে রাসূল(সা:)) সাথে আদব ১০০% সুন্নতের মধ্যে ১টি বড় সুন্নত। গোত্র প্রীতি (আসাবিয়্যাত) এখানে কিভাবে আসল।

    এশার জামাত একটু দেরি করে পড়া মুস্তাহাব হানাফী মাযহাবে এমন মাসায়ালা কি নেই? আমি দেওবন্দী আলেমদের মুখেই এই মাসায়ালা বহুবার শুনেছি।
    হাদীসের সারাংশ:
    তোমাদের জন্য কষ্টকর না হলে আমি ঈশার সালাত কিছুটা দেরী (এক-তৃতীয়াংশে) করে পড়তাম।


    আপনি তাকওয়ার কথা বলছেন বারবার। আল্লাহ তায়াল আপনাকে তাকওয়ার জীবন দান করুন।

    আমীন।

    তবে কারও সম্পর্কে খারাপ ধারণা করা ইসলাম বৈধ বলে কিনা এটা দেওবন্দী আলেমদের সাথে একটু আলাপ করে নিয়েন।

    হাদীসের সারাংশ উল্লেখ করে আমি যে আপনপেই অহংকারী বলেছি এরূপ ধারণাও কি কু-ধারণা(বদ-গোমানী) হয়ে গেল না?

    হাদীসের সারাংশ:
    যে হক্বের উপর থেকেও তর্ক পরিহার করবে, আল্লাহ সুবহানু তাআ’লা তাকে জান্নাতের মাঝখানে প্রাসাদ প্রদান করবেন।

    তাই ভাই কোন কারণে আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এবং এখানেই শেষ করছি।

    আল্লাহ সুবহানু তাআ’লা আমাদেরকে হিদায়াত ও একতা দান করেন।

    guest

    @আহমাদ, আপনার উদ্দেশ্য আমি বুঝেছি। দেওবন্দী আলেমদের একটা আমলকে জুলুম বলায় আপনার আপত্তি। দেওবন্দী আলেমদের ব্যাপারে আমারও শ্রদ্ধার কমতি নেই। দেওবন্দী আলেমদের কুরবানী না থাকলে হয়ত ভারতীয় মুসলমানদের অবস্থাও পূর্ব ইউরোপের মুসলমানদের মত হত। এটা আমার স্বীকার করতে আপত্তি নেই। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে লেখার আশা রাখি। কিন্তু সব ব্যাপারেই শরীয়তে বাউন্ডারী বা সীমানা থাকার কথা। আর সীমা অতিক্রম করাকে আল্লাহ তায়ালা ভালবাসেন না। এজন্য আদবেরও সীমানা আছে। এই সীমানার বাইরে না যাওয়া জরুরী। মাজার পুজারীরা রাসুলের মহাব্বাতের সীমা অতিক্রম করে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে আল্লাহ আর রাসুলের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। বেশ কিছু জাল হাদিস দেওবন্দী আলেমদের অসাবধনতার দ্বারাই ছড়িয়েছে। যেমন হে রসুল আপনি জুতা পরে আসেন। আপনার জুতার পরশে আমার আরশ ধন্য হয়ে যাবে। এর কারণ হল অতিরিক্ত আদব। এমন অনেক ভুলই আমাদের দেওবন্দী আলেমরা করে থাকেন মাঝে মাঝে। কিন্তু আমরা অতিরিক্ত আদবের কারণে কিছু বলি না। বাস্তব কথা হল, কেউ ভুল করে থাকলে তার ভুল ধরিয়ে দেয়াই প্রকৃত আদব। এমনি ভাবে এশার নামায ওয়াক্ত হবার পৌঁনে একঘন্টা বা একঘন্টার মধ্যে পড়ার চেষ্টা করারও একটা ভুল, যার কারণে আরও অনেক আমল ছুটে যায়। নবীজি স. দেরি করে এশার জামাত করতেন এমনটা হাদীসে পাওয়া যায়, আবার এমন মাসায়ালাও আছে যে, এশার জামাত কিছুটা দেরি করে পড়াই মুস্তাহাব। এর উপর আপনি যে হাদীস পেশ করলেন তাতে বুঝা গেল নবীজি আরও দেরি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু উম্মতের কষ্ট হবে বিধায় করেন নি। তাহলে বুঝুন এশার নামায ওয়াক্ত হবার পৌঁনে একঘন্টা বা একঘন্টার মধ্যে পড়ার পিছনে কি যুক্তি আছে? অথচ এই সুন্নত যাদের হাতে জিন্দা হবার কথা ছিল তারাই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এর প্রতিবাদ হওয়া জরুরী। আদবের ভারে এড়িয়ে যাওয়াটা ক্ষতিরই কারণ হবে।

    যুক্তি তর্ক বাদ দিয়ে একটা অনুরোধ আপনার কাছে, দয়া করে জবাব দিবেন, আপনার কাছে কি মনে হয় না, এশার জামাত সোয়া আট টা বা সাড়ে আট টায় হলে আপনার জন্য কিছুটা সহজ হত এবং আরও কিছু মুসুল্লি বাড়ত? শুধু এত টুকু প্রশ্নের জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।

  2. ঈশার সালাত রাতের এক-তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম ।

    guest

    @ABU TASNEEM, দলীল জানতে পারলে ভালো হত। যদি তাও হয় এখন এশার সময় শুরু হয় ৭ টার সামান্য পরে। শেষ হয় প্রায় পৌঁনে পাঁচটায়। প্রায় পোঁনে এগার ঘন্টা। এর তিন ভাগের একভাগ সাড়ে তিন ঘন্টার বেশী। এর অর্থ সাড়ে দশটায় পড়লেও উত্তম। সেখানে পৌঁনে আট টায় বা আট টায় জামাত করা সাধারণ মানুষদের জামাত বা মসজিদ বিমুখী করার নামান্তর।

    আহমাদ

    @ABU TASNEEM, হাদীসের সারাংশ:
    তোমাদের জন্য কষ্টকর না হলে আমি ঈশার সালাত কিছুটা দেরী (এক-তৃতীয়াংশে) করে পড়তাম।(Mishkaat pg.61; Qadeemi)

    http://www.albalagh.net/qa/isha_salat_times.shtml

    guest

    @আহমাদ, তাহলেও কিন্তু বর্তমান সময়ে সাড়ে দশটা পর্যন্ত এশার জামাত আদায় করার মুস্তাহাব থাকে। কিন্তু আমাদের উলামারা আমার মত অসংখ্য সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে উদ্ভট সব সময়ে নামায আদায় করেন। আমি কিন্তু বেশী দেরী করার কথা বলিনি। সাড়ে আট টা বা পৌঁনে নয়টায় হলেই অনেকে ধীরে সুস্থে নামায আদায় করতে পারত।

  3. তোমাদের জন্য কষ্টকর না হলে আমি ঈশার সালাত কিছুটা দেরী করে পড়তাম। (দেরী করে পড়নেনি বোঝা যাচ্ছে)

    আমি ওদিকে যাচ্ছিনা

    আমার মনে হয় পুর্বের ওযু দিয়ে নামায পড়ে নেয়ার কৌশল এটি। মুসল্লী অনেকে এরকম করে ।

    সুন্নতের কদর থাকলে এরকম হবনো।

    তবে দেওবন্দী ইমাম সাহেবেদের জুলুম কমছে না। কথাটি অনুত্তম

    আপনি হয়তো কথাটি দেওবন্দী ইমাম সাহেবেদেরকে ভালোবাসার খাতিরে বলেছেন কিন্তু ব্লগ মিডিয়াতে যেখানে একজন অন্যজনকে চিনিনা তাই বুঝতে ভুল হয়।