হযরত আল্লামা আহমদ শফী দা.বা-কে নিয়ে কালের কন্ঠে প্রকাশিত মন্তব্যের প্রতিবাদ [লেখক = ডঃ আ ফ ম খালিদ হোসেন।]
লিখেছেন: ' habib008' @ বুধবার, জুলাই ২৭, ২০১১ (৩:৫৫ অপরাহ্ণ)
গত ২৪ জুন কালের কন্ঠে প্রকাশিত জনাব মাহমুদ আহমদ সুমনের ‘আল্লাহ বিলাসিতা পছন্দ করেন না’ শীর্ষক লেথাটি এক পেশে ও আপত্তিকর। তিনি আল্লামা আহমদ শফী দামাত বারাকুতুহুমকে চিনেন না।তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে লেখকের কোন ধারনাই নেই। তাঁর বাড়ী ভৈরব নয়, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায়। আল্লামা আহমদ শফী দামাত বারাকুতুহুম বাংলাদেশের বরেণ্য আলিমে দ্বীন, শায়খুল হাদীস, হাটহাজারী দারুল উলূমের মহা পরিচালক, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শায়খুল ইসলাম আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর অন্যতম খলিফা। তিনি তো ভিআইপি। তঁর সময়ের অনেক মূল্য। সর্বোপরি জটিল রোগ ও বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘপথ তিনি ভ্রমণ করতে পারেনন না। কিছুদিন আগে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেনে। এ দেশের কত কলিমুদ্দি-ছলিমুদ্দি হেলিকপ্টারে চড়ে।কোন আলিমে দ্বীন হেলিকপ্টারে চড়লে কারো গায়ে জ্বালা ধরার কারণ খুঁজে পাই না। আল্লামা আহমদ শফী দামাত বারাকুতুহুমকে হেলিকপ্টারে নিয়ে গেছেন তাঁর ভক্ত অনুরক্তরাই।পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য শীষ্য। আল্লামা আহমদ শফী দামাত বারাকুতুহুম-এর মতো মনীষীকে ধর্মীয় জ্ঞান দেয়া রীতিমত বেয়াদবি। জনাব মাহমুদ আহমদ সুমনের সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, ভারতের প্রখ্যাত আলিম, গবেষক ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)-কে আরব আমিরাত নেয়ার জন্য তাঁর এক ভক্ত চার্টার করে পুরো একটি বিমান লাখনৌতে পাঠিয়েছিলেন। মুসলমানদের ধর্মীয় কোন নেতা হেলিকপ্টারে চড়লে বাঁকা চোখে দেখা হয়। অথচ ইউরোপের প্রধান প্রধান গীর্জার পুরোহিতগণ রীতিমত মন্ত্রী ও গভর্ণরের মর্যাদা ভোগ করে থাকেন। সদ্য প্রয়াত ভারতের অধ্যাত্মিক গুরু সত্য সাঁই বাবার বৈঠক খানায় ভক্তদের দেয়া ১২ কোটি রূপি ও ৯৮ কেজি সোনা পাওয়া গেছে। আসলে আলিম-ওলামাদেরকে কলমের খোঁচায় বিষোদগার করে হেয় প্রতিপন্ন করা কিছু মানুষের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিদ্বিষ্ট মানসিকতাই আমাদেরকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রেধান ধর্মের নেতৃত্বদানকারী ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরকে টার্গেট করা হয় না। ধিক এ প্রগতিবাদ !
এদেশের নাস্তিকরা কোন দিনই ইসলাম ও আলেম ওলামাদের কে সহ্য করতে পারেনা। কুকুরের কামড় হাটুর নিচেই থাকে। আর ঐ ছাগলটাকে তো কেউ চেনেনা তাই নিজেকে হিট করার জন্য ও কিছু কিছু নাস্তিক রা এমন করে। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
@মুসাফির, ঠিক বলেছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ।
আমরাও এর নিন্দা জানাই।
@মাসরুর হাসান, অনেক ধন্যবাদ।
ফাসিক ফুজ্জারেরা আলেম ওলামাদের একটু উন্নতি দেখলে ওদের গায়ে জ্বালা-পড়া শুরু হয়।ইহুদি-খৃস্টানের দালালেরা মুসলমানদের উন্নতি দেখলে ওদের বরদাশত হয় না ।আহমাদ শফি সাহেব এদেশের কোটি কোটি মুসলমানদের মাথার মুকুট। ঐ নাস্তিকেরা এইটা বুঝতে পারে না।
@এম এম নুর হোসেন, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।