লগইন রেজিস্ট্রেশন

প্রতিবেশীদের সাথে ভাল ব্যবহার করা।

লিখেছেন: ' habib008' @ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৮, ২০১১ (২:৩১ অপরাহ্ণ)

মানুষ সামাজিক জীব।একা একা মানুষ বাস করতে পারেনা। তাই তাকে সমাজে প্রতিবেশীদের সাথে মিলে মিশে বাস করতে হয়।সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকতে হয়। প্রতিবেশীদের সাথে ভাল ব্যবহার এর ফলে মানুষের সামাজিক জীবন শান্তিময় আর সুখের হয়। আর যদি প্রতিবেশীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয় , তাহলে তাদের সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদ লেগেই থাকে , যার পরিণতিতে সামাজিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে, অনেক সময় মারামারি কাটা কাটি মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত হয়।
তাই হাদিস শরিফে প্রতিবেশীদের সাথে ভাল ব্যবহারে জন্য বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রসূলে পাক (সা.) বলেন_ আল্লাহর কসম! ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়। জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওই ব্যক্তি কে? তিনি উত্তরে বলেন, ওই ব্যক্তি যার অত্যাচার ও অপকার হতে তার প্রতিবেশী লোকেরা নিরাপদে থাকে না। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
হযরত রসূলে পাক (সা.) আরও বলেন_ যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও পরকালের প্রতি ইমান রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমান-অতিথিকে সম্মান করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও কিয়ামতের দিনের বিশ্বাস রাখে সে যেন সর্বদা ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (বুখারি ও মুসলিম শরীফ)
হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি হযরত রসূল পাক (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, যে ব্যক্তি উদরপূর্তি করে খায় অথচ তার পাশেই তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে। (বায়হাকী শরীফ)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল ইয়া রাসূলুল্লাহ! অমুক মহিলা অধিক নামাজ, রোজা ও দান-সদকার কারণে তাকে সারণ করা হয়, তবে সে তার জবান দ্বারা তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দিয়ে থাকে। রসূল (সা.) বললেন, সে জাহান্নামী। ওই ব্যক্তি আরও জিজ্ঞাসা করল ইয়া রাসূলুল্লাহ! অমুক মহিলা অল্প রোজা, অল্প দান-সদকা ও অল্প নামাজের বিষয় মানুষের মধ্যে আলোচনা করে। তবে সে পনীরের টুকরা বিশেষভাবে দান করে থাকে এবং তার জবান দ্বারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না। রাসূলুল্লাহ বললেন, সে জান্নাতি। অতএব আমাদের উচিত প্রতিবেশীদের অধিকারগুলো যথারীতি আদায় করা। যেমন_ দান, সদকা, খাওয়ানো, সাহায্য-সহযোগিতা করা, ঋণদান, সেবা-শুশ্রূষা, প্রতিবেশীদের কোনও ধরনের কষ্ট না দেওয়া এবং সর্বাবস্থায় তাদের কুশল কামনা করা ইত্যাদি হক আদায় করা ইমানের দাবি।
কিন্তু আজকাল আমারা প্রতিবেশীর খোজ খবরই রাখি না। আমাদের আশে পাশে এমন পরিবারও আছে, যাদের গোস্ত খাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো সেই কোরবানির ঈদের সময়। সারা বছর আর গোস্ত খাওয়া হয়নি। গ্রামের গরিব মানুষেরা প্রায় সময় খাল বিল থেকে কুড়িয়ে আনা শাক দিয়ে ভাত খায়। অথচ আমার আপনার বাড়ীতে সপ্তাহে দুই তিন বেলা মাছ গোস্ত খাওয়া হয়। আমাদের উচিত রান্না করা ভালো তরকারি থেকে গরিব প্রতিবেশীকে একটু দেওয়া।
নবী করিম [সঃ] বলেন ‘তোমরা যখন তরকারী রান্না করবে তখন শুরবা [ঝোল] একটু বাড়িয়ে দিবে, যাতে তোমার প্রতিবেশীকেও একটু দিতে পারো। মুসলিম শরিফ।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২২৭ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৩ টি মন্তব্য

  1. তোমরা যখন তরকারী রান্না করবে তখন শুরবা [ঝোল] একটু বাড়িয়ে দিবে, যাতে তোমার প্রতিবেশীকেও একটু দিতে পারো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তাওফিক দান করুন।

  2. আল্লাহ তালা আমাদের কল্যান করুন।আমীন