লগইন রেজিস্ট্রেশন

আদর্শ সমাজ বিনির্মানের প্রক্রিয়া কোথা থেকে শুরু করতে হবে?

লিখেছেন: ' habib008' @ শুক্রবার, এপ্রিল ২০, ২০১২ (৯:৩৬ অপরাহ্ণ)

‘আদর্শ সমাজ গঠন’ মন কাড়া সুন্দর একটি শিরোনাম। এই শিরোনামের প্রতি পাঠক শ্রোতা সহজেই আকৃষ্ট হয়। তাদের চিন্তা চেতনার পর্দায় ভেসে উঠে সমাজের সেই সব অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড যা মুসলিম সমাজকে বিষাক্ত এবং দুর্গন্ধময় করে তুলেছে। এই শব্দটি আজকাল অসংখ্য সেমিনারে বার বার বলা হচ্ছে পড়া হচ্ছে এবং শুনা হচ্ছে। অনেক ইসলামী দল গঠিত হয়েছে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ নিয়ে। অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে একই উদ্দেশ্যে। বড় বড় সংগঠন গুলোতে আদর্শ সমাজ গঠন নামের আলাদা বিভাগ রাখা হচ্ছে। অমুসলিমরাও সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলেছে। মিডিয়া গুলোও সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টায় কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। সরকারি বে সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান একই উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে । এত সব প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত চেষ্টা প্রচেষ্টার পরও আমরা দেখতে পাচ্ছি ফলাফল শূন্য। যেখান থেকে চলা শুরু করেছিল এখনো সেখানেই দাড়িয়ে আছে সবাই। সমাজ এখনো কলুষ মুক্ত হয়নি। অপরাধ কমেনি। সমাজে শান্তি আসেনি।
দৌড়ে আমি ক্লান্ত হয়ে দিয়েছি ছেড়ে হাল
ঘুরেছি আমি একই বৃত্তে চলে গেছে অনেক কাল।
ভেবে দেখা উচিত এত সব চেষ্টা নিষ্ফল হওয়ার কারণ কি। কেন সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সমাজ রোগমুক্ত হওয়ার পরিবর্তে দিন দিন রোগাক্রান্ত হচ্ছে কেন? অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড না কমে তা আরো বেড়ে যাচ্ছে কেন?
আল্লাহ তালা কি বলেন নি جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا ﴿٦٩﴾ যারা আমার পথে সাধনায় আত্ম নিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। সুরা আনকাবুত = ৬৯
অন্য আয়াতে আল্লাহ তালা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن تَنصُرُوا اللَّـهَ يَنصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ ﴿٧﴾ হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন। সুরা মুহাম্মদ = ৭
প্রকাশ থাকে যে আল্লাহ তালার কথা মিথ্যা হতে পারে না। তিনি ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। সূর্য পশ্চিম দিক হতে উদয় হতে পারে, পাহাড় স্থানচ্যুত হতে পারে কিন্তু আল্লাহ তালার কথায় সন্দেহ মাত্র আসতে পারে না। তাহলে এত সব চেষ্টা বিফল হওয়ার একটি মাত্র কারণ থাকতে পারে আর তা হল সমাজ পরিবর্তনের নামে যত চেষ্টা করা হচ্ছে তার লক্ষ উদ্দেশ্য শুদ্ধ নয় বা তাতে পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে। এই চেষ্টায় সেই সব গুনাবলী নাই যা অন্যকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে এবং যা আল্লাহ তালার সাহায্য পাওয়ার যোগ্য হতে পারে। সমাজ পরিবর্তনের এই সব চেষ্টা যদি নিষ্ঠার সাথে শুধু আল্লাহর ওয়াস্তে করা হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তালার সাহায্য আসবে , এবং চেষ্টা সফল হবে।
ইমান আমল ঠিক যদি হয় নিষ্ঠা থাকে মনে
খোদার মদদ আসতে পারে আজো প্রতি ক্ষণে
আমরা যদি একটু গভীর ভাবে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাব যে সমাজ পরিবর্তনের নামে যেসব কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে তার অন্তরালে এমন কিছু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দোষ ত্রুটি রয়েছে যার কারণে এটাকে এখন আর প্রকৃত পক্ষে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা বলারও উপায় নাই। সব চেয়ে বড় যে দোষটি এতে রয়েছে তাহলো আগে অন্যকে শুদ্ধ করতে চাওয়ার প্রবণতা। সবাই চায় পরিবর্তনের শুরুটা অন্যকে দিয়ে করা হোক। তাদের সব বক্তৃতা বিবৃতি লেখা লেখি অন্যের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। সমাজের দোষ ত্রুটি অপসারণ করার কাজটা আগে অন্যের ঘর থেকেই শুরু হোক এটাই যেন সবার একান্ত কামনা হয়ে গেছে। তারা কখনো ভাবেন না যে আমরাও যেহেতু সমাজের অংশ তাই সমাজ কলুষিত হওয়ার পেছনে আমাদেরও কিছুটা হাত আছে , আমাদের নিজেদের ভিতরেও অনেক দোষ ত্রুটি আছে এবং সেই দোষ ত্রুটি গুলো দুর করতে আমাদের আগে মনোযোগী হতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজ পরিবর্তনের লক্ষে আমরা আমাদের দোষ ত্রুটি গুলো ঠিক করার দিকে আগে মনোনিবেশ না করব নিজেদের চরিত্র গুলো আগে সংশোধন না করব ততক্ষণ পর্যন্ত সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা পণ্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়। সেমিনার বক্তৃতা লেখা লেখি কোনোই কাজে আসবে না।
কথায় কাজে মিল থাকে যার
সেইতো আসল মর্দে মুমিন
তার কথাতে শক্তি থাকে
অন্তরে হয় পয়দা ইয়াকীন।
এটাই একমাত্র কারণ সমাজ পরিবর্তনের লক্ষে অসংখ্য সভা সেমিনার বক্তৃতা বিবৃতি লেখা লেখি নিষ্ফল হওয়ার। একই কারণে চিকিৎসা যতই করা হচ্ছে ততই দিন দিন রোগ বেড়েই চলেছে। এমনকি আমাদের সমাজের চেহারায় দিন দিন পশ্চিমা সমাজের রূপ দেখা যাচ্ছে প্রকট ভাবে।
আম্বিয়ায়ে কেরাম সাহাবা আজমাঈন তাবেঈন তবে তাবেঈন আর আউলিয়াউল্লাহ গণের দাওয়াতের কর্ম পদ্ধতি আমাদের চেয়ে অনেক ভিন্ন ছিল। তাঁদের দাওয়াতি কাজ শুরু হতো নিজেকে দিয়ে এবং নিজ পরিবারকে দিয়ে। নিজেকে এবং নিজের পরিবারস্থ সবাইকে সংশোধন করা তাঁদের প্রথম লক্ষ ছিল। তাঁদের আমল এবং উন্নত চরিত্রের মাধ্যমে তাঁরা দাওয়াতের কাজ করতেন আর মৌখিক ওয়াজ নছিহত ছিল তাদের কাছে দ্বিতীয় স্থানের আমল।
কোরানে করীমে হযরত ইসমাইল আঃ এর গুণাবলীর মধ্যে এটাও বলা হয়েছে যে
وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন। সুরা মারয়াম = ৫৫
আর ইবরাহীম আঃ এর ব্যাপারে বলা হয়েছে
وَوَصَّىٰ بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّـهَ اصْطَفَىٰ لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ ﴿١٣٢﴾
এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না। সুরা বাকারা = ১৩২
হযরত ইয়াকুব আঃ এর সম্পর্কে কোরানে বলা হয়েছে,
أَمْ كُنتُمْ شُهَدَاءَ إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ الْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِن بَعْدِي
তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বলল: আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? সুরা বাকারা =১৩৩
নবীগণের দাওয়াত ও তাবলীগের ধারাবাহিকতার শুরু নিজের পরিবার থেকে করার মধ্যে হেকমত এই ছিল যে যে হেদায়াত বা আলোর দিকে মানুষকে ডাকার জন্য তাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই হেদায়াত আগে নিজের পরিবারের সদস্যগণ গ্রহণ করে ধন্য হোক তা ছিল যুক্তি সংগত। তা ছাড়া নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য তা আমল করা এবং আমল করানো তুলনামূলক সহজ হয়। সর্বক্ষণ তাদেরকে দেখা শোনা করা এবং তাদের আমলের তদারকি করাও তুলনামূলক সহজ। পরিবারের সদস্যগণের মধ্যে যখন দীনি পরিবেশ এসে যায় তখন সেই পরিবেশ অন্যের কাছে দীনি দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে। মানুষের আত্মশুদ্ধির জন্য সব চেয়ে বেশি সহায়ক হয় একটি দীনি পরিবেশ। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় সাহাবায়ে কেরাম একটি দীনি পরিবেশ তৈরি করার গুরুত্ব দিয়েছেন সব চেয়ে বেশি। কারণ গতানুগতিক শিক্ষা দীক্ষা আর ওয়াজ নছিহতের চেয়ে পরিবেশের প্রভাবে আর উন্নত চরিত্রের নির্বাক অথচ কার্যকর শক্তিশালী মাধ্যমের কারণেই সাধারণত মানুষ ভাল কিছু সহজে গ্রহণ করে থাকে।
আম্বিয়ায়ে কেরামের উক্ত কর্ম পদ্ধতি থেকে যে মূল নীতি পাওয়া এবং সবার প্রতি যে নির্দেশনা এতে রয়েছে তা তাহলো দীনের দাওয়াতের কাজ আগে নিজের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে আপন জনেরা সহজে এবং তাড়াতাড়ি উপদেশ গ্রহণ করবে, পরে তারাই অন্যের কাছে দীন পৌঁছানোতে সহযোগী হয়ে যাবে।
প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যাক্তি যদি তার অধীনস্থদের কাছে আন্তরিকতার সহিত দীন পৌঁছায় এবং তাদের আমলের তদারকি করে তাহলে দেখা যাবে এক সময় পুরো সমাজে দীনি পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেছে। যেই সমাজের পরিবেশ সুস্থ সুন্দর এবং দীন অনুযায়ী হয়ে যায় সেই সমাজে ভাল কাজ করা সহজ আর মন্দ কাজ করা কঠিন হয়ে যায়।
কোরানে করীমে এই সাংগঠনিক মূল নীতির প্রতি ইংগিত করে বলা হয়েছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, সুরা আত- তাহরীম = ৬
আরও বলা হয়েছে,
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। সুরা তোয়া হা = ১৩২
নবী করীম সঃ কেও সবার আগে নিজের আত্মীয়স্বজনদেরকে নামাজের হুকুম দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ ﴿٢١٤﴾ আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন। সুরা শোয়ারা = ২১৪
হযরত মাওলানা মুফতি শফি রহঃ লিখেছেন
আত্মীয় স্বজনদেরকে দাওয়াত দিতে বিশেষ ভাবে তাগিদ দেওয়ার কারণ হল তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো সহজ হয় এবং তারাও দাওয়াত সহজে গ্রহণ করে এবং এর প্রভাব হয় সুদূর প্রসারী । আত্মীয় স্বজন এবং পরিবারের সদস্যরা যখন দীনি পরিবেশে এসে যায় তখন দৈনন্দিন জীবনে সবার জন্য দীনের উপর চলা সহজ হয়। এই ছোট দীনি পরিবেশটাই অন্যের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে সহায়ক হয় এবং তাদের দেখা দিখি অন্যদের জন্যও দাওয়াত গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়।
এজন্যই কোরান মজিদে قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে অগ্নি থেকে রক্ষা কর, এ কথা বলে পরিবারের সবার প্রতি দায়িত্ব অর্পণ করেছে । এটাই আমল আর চরিত্র শোধরানোর সঠিক এবং সহজ পথ। এমনিতেও দেখা যায় ভাল কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং তাতে অটল থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায় যদি সমাজ এবং পরিবেশ অনুকূলে না থাকে। বে নামাজিদের পরিবেশে পাক্কা নামাজিকেও নামাজের জন্য সময় বের করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আজকাল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর মনে হওয়ার কারণও এটাই। সমাজে সবাই যেখানে প্রকাশ্যে গুনাহের কাজে লিপ্ত সেখানে একা কারো পক্ষে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও তুলনামূলক কষ্টের। রসুল সঃ এর উপর যখন এই আয়াত নাজিল হয় তখন তিনি তার সমাজের মানুষদের ডেকে দীনের দাওয়াত দেন। তখন তারা দাওয়াত গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালেও পরে তারাই আবার আস্তে আস্তে দাওায়ত গ্রহণ করে।
দায়ীর পরিবার ও সমাজ যতক্ষণ পর্যন্ত দায়ীর দাওয়াতি প্রোগ্রামের সাথে একাত্ম না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বাইরে দাওয়াতের প্রভাব তেমন পড়ে না। এজন্যই দেখা যায় নবী করীম সঃকে প্রথম দিকে কাফেরেরা বলত যে আগে কোরাইশদের ঠিক করুন তারপর আমাদের খবর নিতে আসুন। পরে একসময় যখন নবী করীম সঃ এর সমাজ ইসলাম গ্রহণ করে নেয় এবং মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে যা পূর্ণতা পায় তার ফলাফল দেখা যায় কোরানের ভাষায় এভাবে
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّـهِ أَفْوَاجًا ﴿٢﴾ এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন। সুরা আন নাছর = ২
আমাদের দাওয়াতের পদ্ধতিতে যদি এই কৌশল অবলম্বন করা হয়, আমাদের ওয়াইয়েজিন, আমাদের বক্তা, আমাদের সংস্কারকগণ যদি এই পদ্ধতিতে এগিয়ে যান, এবং যুব সমাজকে যদি দাওয়াতি প্রোগ্রামে শরিক করতে পারেন, দাওয়াতের সাথে সাথে নিজেরা আমল করে দেখান এবং নিজেদের পরিবার আর সমাজের সদস্যদের মাঝে দীনি পরিবেশ তৈরি করার প্রতি মনোযোগী হন তাহলে আজো আমাদের সমাজের চেহারা পালটে যেতে পারে ইনশা আল্লাহ। তখন আমাদের সমাজ হবে প্রকৃত শান্তি সুখের আবাস। আমাদের সমাজ হবে ইসলামের প্রথম যুগের মত প্রকৃত ইসলামী সমাজ।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৪৩ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)