সুরাতুল কাহফের একটি ফজিলত
লিখেছেন: ' Habibullah' @ রবিবার, জুন ৫, ২০১১ (৪:৩৯ অপরাহ্ণ)
সুরাতুল কাহাফের ফজিলত।
সুরাতুল কাহাফের অনেকগুলো ফজিলত রয়েছে। তার মাঝে একটি হলো :
যে ব্যক্তি সুরায়ে কাহাফ পাঠ করবে / মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে রক্ষা পাবে।
এখন কথা হলো সুরাতুল কাহাফ পুরাটাই মুখস্থ করবে বা পাঠ করবে নাকি কিছু অংশ মুখস্থ বা পাঠ করলেই হবে? এব্যপারে মোটামোটি চারটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
* সুরায়ে কাহাফের প্রথম তিন আয়াত পাঠ করলে।
* সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশ আয়াত পাঠ করলে ।
* সুরায়ে কাহাফের শেষের দশ আয়াত পাঠ করলে ।
* সুরায়ে কাহাফের যেকোন দশ আয়াত পাঠ করলে ।
এক. সুরায়ে কাহাফের প্রথম তিন আয়াত সম্পর্কে হাদিসও পর্যালোচনা।
আবু দারদা রাঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন যে, مَنْ قَرَأَ ثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ যেব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের প্রথম তিনটি আয়াত পাঠ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে রক্ষা পাবে। {তিরমিযি-১০/১১৯/২৮১১ নাম্বার হাদিস}
(আল্লামা সুয়ুতী রাহঃ তার জামেউস সগির নামক কিতাবেও এই হাদিসটি উল্লেখ করেছেন। তবে শায়খ আলবানী রাহঃ তার জঈফুত তিরমিযি নামক কিতাবে এই হাদিসটিকে জঈফ বলেছেন)
দুই. সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত পাঠ/মুখস্থ করা সম্পর্কে হাদিস ও তার পর্যালোচনা।
আবু দারদা রাঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন যে, مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْف عُصِمَ مِنْ الدَّجَّالِ যেব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা হতে রক্ষা পাবে।
{সহিহ মুসলিম-৪/২৩৮/১৩৪২, মুসনাদু আহমদ-৪৪/১৮৯/২০৭২০, আবু দাউদ- ১১/৪০০/৩৭৬৫ নং হাদিস}
(শায়খ আলবানী তার সিলসিলাতুস সহিহা নামক কিতাবে এই হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)
তিন. সুরায়ে কাহাফের শেষের দশটি আয়াত সম্পর্কে হাদিস ও তার পর্যালোচনা।
আবু দারদা রাঃ বলেন, مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ যেব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের শেষের দশটি আয়াত পাঠ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে রক্ষা পাবে। {মুসনাদু আহমদ-৫৬/৫৩/২৬২৪৪, সহিহ ও জঈফ জামেউস সগির-২৬/১৭৭/১২৫৩৩ নং হাদিস}
(শায়খ আলবানী তার জঈফুল জামে’ নামক কিতাবে বলেন, সুরায়ে কাহাফের শেষের দশটি আয়াত সম্পর্কে আবু দারদা রাঃ থেকে যে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে তা দুর্বল, তবে প্রথম দশটি আয়াত সম্পর্কে হাদিসটি সহিহ)
চার. সুরায়ে কাহাফের যেকোন দশটি আয়াত পাঠ করা সম্পর্কে হাদিস ও তার পর্যালোচনা।
من قرأ عشر آيات من الكهف عصم من فتنة الدجال এই হাদিসে যেব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের যেকোন দশটি আয়াত পাঠ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে রক্ষা পাবে বলে বলা হয়েছে। {আস সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ- ৬/২৩৫/১০৭৮৫ নং হাদিস}
অবশ্য অন্য এক হাদিসে বলা হয়েছে যে সুরায়ে কাহাফের দশটি আয়াত পাঠ করবে তার দাজ্জালের ফেৎনার কোন ভয় থাকবে না। قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنَ الْكَهْفِ لَمْ يَخَفِ الدَّجَّالَ
{সুনান আদ দারেমি-১০/২৯৭/৩৪৬৮ নং হাদিস}
———————————————————————————————————-
এছাড়াও সুরায়ে কাহাফের আরো অনেক ফজিলত রয়েছে। আশাকরি পর্যায়ক্রমে তার আলোচনা আসবে ইনশাল্লাহ।
——————————————————————————————————-আসুন, আমরা কুরআন পড়ি ও বুঝার চেষ্ঠা করি। আর সুরায়ে কাহাফের প্রধম দশ আয়াত বা শেষের দশ আয়াত বা সম্ভব হলে পুরা সুরাতুল কাহাফটাই মুখস্থ করার চেষ্ঠা করি। কেননা, যারা মেধা আর শ্রম দিয়ে অক্লান্ত পরশ্রিম করে কুরআনকে নিজে ছিনায় প্রবশে করাবে তাদের ফজলিত সর্ম্পকে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাঃ বলনে : يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا রাসুলুল্লাহ সাঃ বলছেনে,ভাল করে কুরআন তলোওয়াতকারীকে জান্নাতে বলা হবে ধীর-ধীরে সুন্দররূপে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক,আর উচ্চাসন লাভ করতে থাক,যে আয়াতে তোমার তলোওয়াত শেষ হবে সেই উচ্চাসনে তোমার স্থান হবে।
{আবু দাউদ ৪/২৬৩/১২৫২ নাম্বার হাদসি} (সুত্র হাছান)
ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ।
উপকারী লেখা। চালিয়ে যান সাথে আছি ইনশাআল্লাহ।
ZAJAKALLOH.