কোরআন ও হাদীসের আলোকে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশু কাঁদার কারণ
লিখেছেন: ' হাফেজ মোঃ আল্-আমিন' @ সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১ (৩:৫১ অপরাহ্ণ)
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) এরশাদ করেছেন, পৃথিবীতে এমন কোন আদম সন্তান নেই যে, ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় শয়তান তাকে স্পর্শ করেনি। শয়তানের স্পর্শের কারনেই সে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে। তবে মারইয়াম ও তার পুত্র ব্যতীত (বুখারী ও মুসলিম)। আলোচ্য হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে, আদম সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শয়তান তাকে স্পর্শ করে থাকে। ফলে সে চিৎকার করে উঠে। তবে হযরত মারইয়াম (আঃ) ও তাঁর পুত্র ঈসা (আঃ) কে শয়তান স্পর্শ করতে পারে নাই। আলস্নামা ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) বলেন, হযরত মারইয়াম (আঃ) এর মাতা হান্না বিনতে ফাখুজ মহান আলস্নাহর কাছে এ বলে দোয়া করেছিলেন যে, হে প্রভু। আমি তাকে (মারইয়াম) এবং তার সন্তান সন্ততিদেরকে বিতারিত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই। তাঁর এ দোয়ার জন্যই আলস্নাহ মারইয়াম (আঃ) ও ঈসা (আঃ) কে শয়তান থেকে নিরাপদে রেখেছেন।
শয়তানের স্পর্শ দ্বারা যে উদ্দেশ্যঃ- আলস্নামা মাজহারী (রাঃ) বলেন, শয়তান সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর অন্তরে ওয়াস ওয়াসা ঢেলে দেয়। যেহেতু নবজাত শিশুটি এতে অভ্যস্ত থাকে না সে জন্য সে চিৎকার করে উঠে।
মহান আলস্নাহ কোরআন পাকে, এরশাদ করেছেন “নিশ্চই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্যে শত্রু” যেহেতু শয়তান আমাদের প্রকাশ্যে শত্রু সে আমাদের ক্ষতি করবেই। তাই সে শিশু বাচ্চাগুলি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই ওয়াস ওয়াসা দিয়ে তাঁদের কোমল হৃদয়কে পুরিয়ে আংরা বানানোর চেষ্ঠা করে থাকে। সেজন্য তারা উচ্চস্বরে চিৎকার করে থাকে। আসুন আমরা আলস্নাহ তায়ালার নিকট দোয়া করি। আলস্নাহ আমাদের ও আমাদের সন্তানদের যেন শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে হেফাজত করেন। (আমিন)
ভাল হয়েছে ধন্যবাদ।
আমি জানতাম , যেকোনো নবী রসুল (আ:) ভুমিষ্ঠ হবার সময় শয়তান স্পর্শ করতে পারে নাই , এ বিষয়ে সঠিক মত কোনটি ।
@হাফিজ,
Hafis vhi, amar mot holo, Jehato Bukhari o Muslim Sharifer soheh hadis, sejonno ata mana banchanio. Thankyou very much.
মহান আলস্নাহ কোরআন পাকে, এরশাদ করেছেন “নিশ্চই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্যে শত্রু” যেহেতু শয়তান আমাদের প্রকাশ্যে শত্রু সে আমাদের ক্ষতি করবেই।