লগইন রেজিস্ট্রেশন

হাদিস দেখেই সেটা অনুসরন করা যাবে না, অনুসরন করার পদ্ধতি আছে (রিপোস্ট)

লিখেছেন: ' হাফিজ' @ শনিবার, মে ২৬, ২০১২ (১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

সম্প্রতি একটি পোস্ট এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে হাদিস দেখেই সেটা আমরা কি অনুসরন করতে পারি না? কথাটা শুনতে ভালো লাগলেও আসলে ব্যাপারটা তেমন সহজ নয়। যেকোন মুসলমানকেই কোরআন এবং হাদিস অনুসরন করতে হবে । কিন্তু কিভাবে ? সেভাবেই যেভাবে কোরআন হাদিসকে অনুসরন করতে বলা হয়েছে । যেভাবে সাহাবীরা, তাবেয়ীরা , তাবে-তাবেয়ীনরা , পূরবর্তী ওলামায় কিরাম অনুসরন করেছেন । যেমন একটি উদাহরন দেয়া যাক । বর্তমানে দেখা যায় অনেকেই সিহাহ সিত্তা বা অন্য কোন হাদিস শরীফের কিতাব পড়ে কোন একটি নতুন হাদিস শরীফ সম্বন্ধে জানল । বিষয়টি হয়ত তার কাছে নতুন অথবা তার প্রতিষ্ঠিত কোনো মতের সাথে সাংঘর্ষিক । এখন সে কি করবে ? যেহেতু এটি সহীহ হাদিস স্বভাবতই সবাই বলবেন এই হাদিস শরীফের ওপরই আমল করা উচিত । আসলেই কি তাই ? আসুন নীচের পরিস্হিতি বিচার বিশ্লেষন করে দেখা যাক :

প্রথম পরিস্হিতি :

হাদিস শরীফ: হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন “রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একবার এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা ফেলার স্হানে গমন করলেন । সেখানে এসে তিনি এর ওপর দাড়িয়ে প্রস্রাব করলেন । …. ( তিরমিযী শরীফ ১৩ নং হাদিস )

এখন মনে করুন আপনি এই হাদিস শরীফ পড়লেন এবং সবাইকে বললেন রসুল (সা:) যেহেতু দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন এবং এটা সহীহ হাদিস তাই এই হাদিসের ওপর আমল করাতে কোনো অসুবিধা নেই।

এখন কিছুদিন পর আপনি তিরমিজী শরীফ আবার খুলে পড়া শুরু করলেন এবং এই হাদিসটি পেলেন :

হাদিস শরীফ: হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন “যে তোমাদের কাছে বর্ননা করবে যে রসুল (সা:) দাড়িয়ে প্রস্রাব করতেন , তোমরা তার কথা বিশ্বাস করবে না । তিনি কেবল বসেই প্রস্রাব করতেন । ( তিরমিযী শরীফ ১২ নং হাদিস )

দ্বিতীয় নং হাদিস শরীফ পড়ে আপনি তো মহা সমস্যায় পড়লেন । কেননা আপনি প্রথম হাদিস শরীফ পড়ে আমল করেছেন এবং আপনার হয়ত আরো বন্ধুদের বলেছেন । কিন্তু দেখা গেলো দুটো হাদিস শরীফ সহীহ হওয়া সত্বেও সাংঘর্ষিক ।

চলুন আমরা দেখি আসলে ব্যাপারটা কি । প্রথম হাদিস শরীফের ব্যাখ্যা হোলো রসুলের (সা:) একবার হাটুতে ব্যাথ্যা থাকার কারনে বসতে কষ্ট হচ্ছিল যে কারনে দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছিলেন । ( হাকীম এবং বায়হাকীর রেওয়ায়েতে এটা প্রমান হয় ) কিন্তু রসুলের (সা:) সবসময়ের আমল এটা ছিল না । দুটো হাদিসের মধ্যে আসলে কোনো বিরোধ নেই । কিন্তু সমস্যা তখনই হবে যখন একটি হাদিস পড়ে এবং এ বিষয়ের অন্য হাদিস না পড়ে , ব্যাখ্যা শানে নজুল না জেনে , আলেমদের সাথে পরামর্শ না করেই আমল করা শুরু করব । সমস্যা এখানেই ।

আমি আরো কিছু পরিস্হিতির উল্লেখ করব যে সব ক্ষেত্রে সরাসরি হাদিস অনুসরন করলে বিপদ হতে পারে : যেমন:

দ্বিতীয় পরিস্হিতি : আপনি কোনো সহীহ হাদিস পেলেন , যেটাতে নামাজে কথা বলা যায় এমন ঘটনা বর্ননা করা আছে । কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে এই হুকুম এখনও বলবৎ আছে । কেননা অন্যন্য হাদিস শরীফ দ্বারা আমরা জানতে পারি এই হুকুম পরবর্তিতে মনসুখ ( বা রহিত ) হয়ে গেছে ।

উদাহরন দেয়া হোলো:

হাদিস শরীফ: জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন , রসুলুল্লাহ (সা:) আমাকে একটি কাজে পাঠিয়েছিলেন । আমি ফিরে এসে দেখি , তিনি (সওয়ারীতে আরোহন করে নফল) সালাত আদায় করছেন আমি ( ঐ অবস্হায়) তাকে সালাম দিলাম । তিনি ইংগিতে আমাকে চুপ করতে বললেন । তারপর সালাত শেষ করে আমাকে ডাকলেন এবং বললেন , তুমি এক্ষুনে আমাকে সালাম দিয়েছিলে অথচ আমি সালাতরত ছিলাম । বর্ননাকারী বলেন , তিনি এই সময় পূর্বমুখী ছিলেন । ( মুসলিম শরীফ : ১০৮৬ )

দেখুন এখানে কিন্তু রসুলুল্লাহ (সা:) নামাজের মধ্যেই ইশারাতে তাকে চুপ করতে বললেন ।

এবার এই হাদিসটি দেখুন :

হাদিস শরীফ: যায়দ ইবনে আরকাম (রা:) থেকে বর্নিত যে , তিনি বলেন , আমরা সালাতে কথাবার্তা বলতাম , প্রত্যেকেই তার পাশের ব্যক্তির সাথে আলাপ করত । অত:পর যখন “ওয়া কুমু লিল্লাহি কনিতিন” ( আল্লাহর জন্য দাড়াবে বিনীতভাবে )( ২:২৩৮) আয়াতটি নাযিল হোলো , তখন আমাদেরকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরস্পরে আলাপ করতে নিষেধ করা হয় ।

এছাড়া আরো অনেক হুকুম আছে যেটা আগে নামাজে ছিল পরবর্তিতে নিষেধ করা হয় । যেমন থুথু ফেলা । প্রথমদিকে নামাজ পড়া অবস্হায় বাম দিকে থুতু ফেলা যেত ।

তৃতীয় পরিস্হিতি : এমনও হতে পারে কোনো সহীহ হাদিস দুরকম ব্যাখ্যা হয় এবং দুটোই সঠিক

দেখুন:

রসুলুল্লাহ (সা:) একবার একদল মুসলমানকে নিম্নোক্ত নির্দেশসহ প্রেরন করলেন “বনু কুরায়জায় পৌছে সালাত আদায় করবে” । তার এই আদেশকে শাব্দিক অর্থে গ্রহন করে দলের কিছু সাহাবী নির্ধারিত সময় আসর সালাতের জন্য না থেমে প্রায় সুর্যাস্হ পর্যন্ত সফর অব্যাহত রাখেন এবং বনু কুরায়জায় গিয়ে আসরের সালাত আদায় করেন । আবার কিছু সংখ্যক লোক যারা রসুলের (সা:) আদেশের শাব্দিক অর্থ গ্রহন না করে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুসরন করতে গিয়ে বনু কোরায়জায় পৌছার পূর্বে স্বল্প সময়ের জন্য বিরতি করে আসেরর সালাত আদায় করেন । রসুল (সা:) এর নিকট উভয় দলের ঘটনা বর্ননা করা হলে তিনি বলেছিলেন , উভয়ই সঠিক ।

এই হাদিস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম কিছু ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের দুটি সমাধান হতে পারে যার দুটোই সঠিক । এবং এটাকে আপনি কিয়াসও বলতে পারেন । দুই দল সাহাবী রসুলের (সা:) বক্তব্যের ওপর কেয়াস করেছিলেন এবং দুটোই সঠিক ছিল । ( তবে এমন কিয়াস করতে পারেন শুধু মুজতাহিদগন , আমাদের মত আমজনতা নন )

৪র্থ পরিস্হিতি : এমনো হতে পারে কোনো হাদিসে কোনো একটি কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে , আপনি হয়ত ভাবলেন সেটা সবার জন্য , চিরকালের জন্য নিষেধ । কিন্তু গবেষনা করে দেখা গেল সেটা আসলে সেই ব্যক্তির জন্য এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ , পরবর্তিকালে সবার জন্য সেটা নিষেধ নয় । ( নির্দিষ্ট কিছু সাহাবীকে হাদিস সংকলন করতে নিষেধ করা এই বিষয়ের মধ্যে পড়বে ) ।

প্রথম হাদিস শরীফ (হাদিস বিষয়ে লিখতে নিষেধ করা ): রসুলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমার নিকট হতে কোরআন ব্যতীত তোমরা অন্য কিছু লিখবে না । যে ব্যক্তি আমার নিকট হইতে কোরআন ব্যতীত অন্য কিছু লিখিয়াছে সে যেন তাহা মুছিয়া ফেলে । ( মুসলিম, মোকদ্দামা )

দ্বীতিয় হাদিস শরীফ( হাদিস বিষয়ে লিখতে বলা ) : কোনো কোনো সাহাবার নিকট ক্ষুদ্র পুস্তিকা ছিল হাদিসের সংকলন । আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আসের হাদিস এর পুস্তকখানি এক দৃষ্টান্ত । তিনি তার বই এর নাম রেখেছিলেন “আস সাদিকাহ” । কোনো কোনো সাহাবার দৃষ্টি আবদুল্লাহ ইবনে আমরের বই এর প্রতি পড়ল । তারা বলল , রসুল (সা:) যা কিছু বলেছেন তা আপনি লিখে রাখছেন ? রসুলল্লাহ (সা:) রাগান্বিত হলে এমন কিছু বলেন যা সাধারনত শরীয়ত বলে গ্রহন করা চলে না । অত:পর ইবনে আমর বিষয়টি রসুলের (সা:) কে বললেন । রসুলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমার থেকে যা শ্রবন কর তা লিখে রাখ । ঐ পবিত্র সত্বার শপথ যার হাতে আমার জীবন আমার মুখ থেকে হক ব্যতীত কিছুই বের হয় না ।

প্রথম হাদিস শরীফে লিখতে নিষেধ করা হয়েছে , আর দ্বিতীয় হাদিস শরীফে লিখতে বলা হয়েছে । এর ব্যাখ্যায় আলেমগন বলেন

** অধিকাংশ আলেমগন বলেন অনুমতি দ্বারা নিষেধাজ্ঞা রহিত হয়ে গেছে ।

** কিছু কিছু আলেম বলেন নিষেধাজ্ঞা ছিল তাদের জন্য যাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ছিল তারা “কোরআন” এবং “হাদিস” মিশিয়ে ফেলতে পারেন , কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ছিল না তাদেরকে নিষেধ করা হয়নি।

সূত্র :

১। ইসলামি শরীয়াহ ও সুন্নাহ : মুস্তফা হোসন আস সুবায়ী
২। হাদিসের তত্ব ও ইতিহাস : নুর মোহাম্মদ আজমী

৫ম পরিস্হিতি : কোনো একটি আমল এর ক্ষেত্রে আপনি একটি হাদিস পেলেন যেটা জঈফ , এর ভিত্তিতে আপনি ধারনা করলেন এই আমল করা ঠিক হবে না । কিন্তু এমনও দেখা গেছে ( এবং অনেক ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ) একই “আমলের” বিষয়ে একটি জঈফ হাদিস আছে এবং আরো অনেক সহীহ হাদিস আছে । সুতরাং এই “জঈফ” হাদিসের কারনে এই আমল বাতিল হবে না , যেহেতু এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো সহীহ হাদিস আছে।

৬ষ্ঠ পরিস্হিতি : আবার এমনও দেখা গেছে কোন একটি বিষয়ে শুধুমাত্র “জঈফ” হাদিস আছে । কোনো সহীহ হাদিস নেই । কিন্তু দেখা গেছে “সাহাবীদের (রা:) ” মধ্যে এই আমল প্রচলিত আছে । এতে মুজতাহিদ ঈমামগন বা যারা ফকীহ তারা সিদ্ধান্তে এসেছেন এই আমল নিশ্চয়ই রসুলুল্লাহ(সা:) থেকে এসেছে যেহেতু সাহাবীদের মধ্যে এটা এখনও প্রচলিত আছে। তাই রাবীর কারনে হাদিসটি জঈফ হতে পারে কিন্তু হাদিসটির মুলত গ্রাউন্ড আছে। এবং এই পরিস্হিতিতে এই জঈফ হাদিসের উপর বেস করে আমলটি সম্পূর্ন গ্রহনযোগ্য । সুতরাং এতে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি , জঈফ হাদিস দেখে কেউ যদি বলে এর ওপর আমল করা যাবে না তাহলে সবসময় সেটা সত্য নাও হতে পারে । যেহেতু সাপোর্টিং হিসেবে সাহাবীদের মধ্যে এই আমল প্রচলিত আছে ( যেটাকে কেউ হাদিস বা কেউ “আছারে সাহাবা” বলে থাকেন )।

তাহলে বোঝা যাচ্ছে “সহীহ হাদিস হলেও সেটা পড়ে সাথে সাথে বিচার বিশ্লেষন না করে অনুসরন করলে বিপদের সম্ভাবনা আছে” । সহীহ হাদিস হলেই সেটা সরাসরি অনুসরন করা যায় না । হাদিস অনুসরন করার এটা পদ্ধতি নয় ।এটা হাদিস অনুসরন করার “বেদআতি পন্হা” । কোনো বই এ সহীহ হাদিস উল্লেখ করে মাসআলা দেয়া থাকলে বলা যাবে না সেটা সহীহ বা সেই বই এর সব মাসআলা বিশুদ্ধ । কেননা এমনও হতে পারে উপরের সমস্যা গুলো লেখক বা গবেষক খতিয়ে দেখেননি ।

বর্তমান কিছু সমস্যার পর্যালোচনা :

আজকাল অনেক সময়ই দেখা যায় কেউ কেউ কোনো একটি হাদিস গ্রন্হ পড়ে একটি হাদিস দেখলো যেটা প্রচলিত “মাজহাবের” আমলের বিপরীত । সাথে সাথে তারা সিদ্ধান্ত আসে “সহীহ হাদিসের ওপর আমল করতে হবে , মাজহাবের এই আমল যেহেতু সহীহ হাদিসের বিপরীত তাই এটা অনুসরন করা যাবে না” । । তাদেরকে আমার কিছু প্রশ্ন :

১) আপনি কি ১০০% নিশ্চিত যে মাজহাবের এই আমলের দলীল সাপেক্ষে সহীহ হাদিস নেই ?
২) আপনার কাছে কি এই নির্দিষ্ট আমল সংক্রান্ত পৃথিবীর সমস্ত হাদিস কালেকশনে আছে , যার ভিত্তিতে আপনি বলতে পারেন মাজহাবের এই আমলের সাপোর্টিং কোনো সহীহ হাদিস নেই ?
৩) আপনি কি নিশ্চিত মাজহাবের এই আমলের সাপোর্টিং হিসেবে সাহাবীদের কোনো আমলে নেই ?
৪) আপনি যে হাদিসকে সহীহ বলছেন সেটা পরবর্তিকালে “রহিত/মনসুখ” হয়নি এ বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত ?

উপরের প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন , তাহলে আপনা-আপনিই এর সমাধান পেয়ে যাবেন । এমন অনেক পরিস্হিতি হতে পারে যেগুলোর সমাধান এত সহজে করা যায় না ।

সাহাবীগন , তাবেয়ীন , তাবে-তাবেয়ীন , সলফে সালেহীনগন এভাবে হাদিস অনুসরন করেননি । এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে কিভাবে ওনারা হাদিস অনুসরন করেছেন ? ওনারা কিভাবে অনুসরন করেছেন সেটা আজকের পোস্ট এর বিষয় না ।

আজকের পোস্টের বিষয় হোলো সরাসরি হাদিস অনুসরন করার যে পন্হা বর্তমানে চলছে সেটা ভুল পন্হা ।
আহলে হাদিস নাম দিলেই বলা যাবে না তারাই একমাত্র “হাদিস” প্রকৃতভাবে অনুসরন করছে । বরং সুন্নত সিস্টেম সেটাই যেভাবে সাহাবীগন , তাবেয়ীগন এবং আগেকার সলফে সালেহীনগন হাদিস অনুসরন করেছেন , যেটা অন্য পোস্টে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে ইনশাল্লাহ ।

ওয়াস সালাম

[ সূত্র: এই পোস্ট লেখার সময় যেসকল বই এর সাহায্য নেয়া হয়েছে ]

১। দরসে তিরমিজী : মাওলানা তকী ওসমানী
২। মুসলিম শরীফ
৩। মাজহাব কি ও কেনো : মাওলানা তকী ওসমানী
৪। ইসলামি উসূলে ফিকাহ : দ: তাহা জাবীর আল আলওয়ানী

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৩,২২০ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

৩৯ টি মন্তব্য

  1. আমার কিছু প্রশ্ন :

    ১) আপনি কি ১০০% নিশ্চিত যে মাজহাবের এই আমলের দলীল সাপেক্ষে যে হাদীসকে গ্রহণ করা হয়েছে তা সহীহ ? কারণ তখন পর্যন্ত হাদীস গ্রন্থগলি সংকলিত হয়নি । আর হাদীসের সহীহ / যঈফ যাচাই-বাছাই ও হয়নি ।
    ২) আপনি কি ১০০% নিশ্চিত যে মাযহাবের এই মাসআলায় সিদ্ধান্তে আসার সময় আপনার ইমামের কাছে এই নির্দিষ্ট আমল সংক্রান্ত পৃথিবীর সমস্ত হাদিস কালেকশনে ছিল , যার ভিত্তিতে আপনি বলতে পারেন মাজহাবের এই মাসআলার সিদ্ধান্ত ১০০% সঠিক ,এতে কোন ভুল নেই , এর বিপরীতে কোন সহীহ হাদীস নেই ? কারণ ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) তার ছাত্র আবু ইউসুফ (রহঃ) কে বলেছেন , “হে ইয়াকুব ( আবু ইউসুফ ) ! তুমি আমার থেকে যা কিছু শ্রবণ করো তার সব কিছুই লিখ না , কারণ কোন বিষয়ে আমি আজকে একটি মত প্রদান করি , আবার কালকে সে মতকে ত্যাগ করি । কালকে একটি মত প্রদান করি আবার কালকের পরের দিন সে মতকে ত্যাগ করি” । আর এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে আপনাদের আলেমরাই বর্তমানে অনেক মাসআলা মাসায়েলে ক্ষেত্রে সহীহ হাদীসের অনুসারী হচ্ছেন বলে আপনাদেরই এক ভাই এ্যানোনিমাস স্বীকার করেছেন । ভবিষ্যতে ইনশা-আল্লাহ তারা সকল মাসআলা-মাসায়েলের ক্ষেত্রে সহীহ হাদীসের অনুসারী হবেন এই কামনা আল্লাহর কাছে । যেমন , তাবলীগী ভাইয়েরা তাদের প্রিয় (শিরক-বিদআতেপূর্ণ) ফাজায়েলে আমাল প্রায় ছাড়তে বসেছেন । এখন তাদের পাঠ্য-তালিমী কিতাব মুন্তাখাবে হাদীস ।
    ৩) আপনি কি নিশ্চিত মাজহাবের এই আমলের সাপোর্টিং হিসেবে সাহাবীদের কোনো আমল সহীহ সনদে বর্ণিত আছে ? কারণ শুধু আমলের বর্ণনা থাকলেই হবে না তা সহীহ সনদে বর্ণিত হতে হবে ।
    ৪) আপনি যে হাদিসকে সহীহ বলছেন সেটা পরবর্তিকালে “রহিত/মনসুখ” হয়নি এ বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত ? কারণ আপনার সহীহ বলে যে আমল চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে ইসলামের উৎসভুমিতে তার বিপরীত আমল দেয়া যাচ্ছে । প্রসিদ্ধ ছয়টি হাদীসগ্রন্থে আপনাদের পক্ষে সহীহ হাদীস পাওয়া যাচ্ছে না । আমার সাহু সিজদা বিষয়ে পোস্টে এটা প্রমাণ করবো ইনশা-আল্লাহ ।

    উপরের প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন , তাহলে আপনা-আপনিই এর সমাধান পেয়ে যাবেন ।

    হাফিজ

    @ABU TASNEEM,

    ৪) আপনি যে হাদিসকে সহীহ বলছেন সেটা পরবর্তিকালে “রহিত/মনসুখ” হয়নি এ বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত ? কারণ আপনার সহীহ বলে যে আমল চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে ইসলামের উৎসভুমিতে তার বিপরীত আমল দেয়া যাচ্ছে ।

    আপনাদের এই প্রতারণাপূর্ণ কথায় এখন কেউ বিশ্বাস করে না। আপনি এই ব্লগে আর একটি পোস্টে বলেছিলেন সৌদী আরবের সব জায়গায় আট রাকাআত তারাবী নামাজ হয়? কথাটা কি সত্য?

    ABU TASNEEM

    @হাফিজ, কথাটা একেবারে সত্য নয় । তবে ৯৫% মসজিদে ৮ রাকাত এবং ৫% মসজিদে ২০ রাকাত পড়া হয় ।

    হাফিজ

    @ABU TASNEEM, মসজীদে নববী ও মসজিদুল হারামে কয় রাকাআত হয়?

    Anonymous

    @ABU TASNEEM, দলীল আছে কোন?

    হাফিজ

    @ABU TASNEEM,

    ১) আপনি কি ১০০% নিশ্চিত যে মাজহাবের এই আমলের দলীল সাপেক্ষে যে হাদীসকে গ্রহণ করা হয়েছে তা সহীহ ? কারণ তখন পর্যন্ত হাদীস গ্রন্থগলি সংকলিত হয়নি । আর হাদীসের সহীহ / যঈফ যাচাই-বাছাই ও হয়নি ।

    যদি তাই হয়, তাহলে তখনকার সাহাবী , তাবেয়ীন ও অন্যান্য মুসলিমরা আমল করত কিভাবে? তাহলে কি তাদের সব আমল বরবাদযোগ্য?

    মাঝখানে কোন শতাব্দির মধ্যে যদি সহীহ হাদিসের চর্চা না থাকে, তাহলে পরবর্তীতে সেটা সংরক্ষণ করা যায় কিভাবে?

    Anonymous

    @ABU TASNEEM, আর এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে আপনাদের আলেমরাই বর্তমানে অনেক মাসআলা মাসায়েলে ক্ষেত্রে সহীহ হাদীসের অনুসারী হচ্ছেন বলে আপনাদেরই এক ভাই এ্যানোনিম

    Anonymous

    @ABU TASNEEM, আর এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে আপনাদের আলেমরাই বর্তমানে অনেক মাসআলা মাসায়েলে ক্ষেত্রে সহীহ হাদীসের অনুসারী হচ্ছেন বলে আপনাদেরই এক ভাই এ্যানোনিমাস স্বীকার করেছেন । আমি কোন দলের বা পক্ষের নই। আমি একজন মুসলিম, এটাই আমার একমাত্র এবং শেষ পরিচয়। আমি এটা বলিনি যে পূর্ববর্তী আলেমদের প্রতিষ্ঠিত কোন মাসায়ালাকে ছেড়ে নতুন কোন মাসায়ালা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বরং দুটো ব্যাপার উল্লেখ করেছিলাম। এক হল, কিছু কিছু জিনিস অনেক আলেম ভুল বুঝার কারণে ভুল আ’মাল বা আকীদা পোষণ করতেন। এটা প্রতিষ্ঠিত কোন মাসায়ালার ভুল নয়। এটা ঐ নির্দিষ্ট আলেমের বুঝার ভুল। ঐ ভুল গুলোকে সংশোধন করা হচ্ছে, পুর্ববর্তী আলেমদের প্রতিষ্ঠিত মাসায়ালাকে সামনে রেখেই। মূলতঃ এই জামানায় আমরা না নবী, না সাহাবাহ না তাবেয়ীদের দেখি, যাদের যুগকে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম স্বর্ণযুগ বলেছেন। তাই আমাদের পক্ষে নতুন হাদিস সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। হাদীস অনুসরণের নতুন কোন পদ্ধতিও জানা সম্ভব নয়। যা উনারা কষ্ট করে উম্মতের শুভাকাঙ্খী হয়ে সংগ্রহ করে গেছেন তা ছাড়া। এজন্যই সরাসরি হাদিস অনুসরণ করা বিদাত। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের আ’মালও এমনই ছিল। তারা কোন হাদীস জানা সত্ত্বেও যিনি সরাসরি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে থেকে যারা সরাসরি শুনেছেন তাদের কাছ থেকে পুনরায় হাদীসের রেওয়ায়েত শিখেছেন এবং আ’মালের পদ্ধতিও শিখেছেন। ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যপার গুলো আলোচনা সম্ভব নয়। ইতিহাসের কিতাব গুলোতে প্রচুর বর্ণনা পাওয়া যায়। আমি বলব আহলে (মুনকিরে) হাদিস ফিৎনার সবচেয়ে বড় অবদান (আমি অবদানই বলব) এটা, অনেক সাধারণ মুসলমান যেমন দলীল সচেতন হয়েছেন একই সাথে অনেক অসাবধানী আলেমও সাবধান হয়েছেন। এতে ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্র অনেক প্রশমিত হবে আশা করা যায়। তবে যে কোন এক মাযহাব মানা ওয়াজিব এই ফতোয়া যারা দিয়েছেন তাদের মধ্যে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা রহ’মাতুল্লহ আ’লাইহিও একজন। এরপরও লা-মাযহাবীরা মিথ্য প্রপাগান্ডা নিয়ে তৎপর কারণ তারা সুবিধাবাদী। লা-মাযহাব হলে ইচ্ছামত হাদীস মানা যায় বা বাদ দেয়া যায়। মনমত আ’মাল করা যায়। এজন্যই এদের আহলে নফস বা নফসপূজারীও বলা হয়।

    হাফিজ

    @Anonymous, সহমত।

    zakaria

    @Anonymous, সহমত

    ABU TASNEEM

    @Anonymous, কোন মাসআলাটি প্রতিষ্ঠিত এবং কোন মাসআলাটি প্রতিষ্ঠিত নয় দয়া করে বলবেন কি । আমি আপনাকে েএকটি বই পড়ার জন্য অনুরোধ করছি । বইটির নাম তাহক্বীক্ব বেহেস্তী জেওর । তাহক্বীক্ব করেছেন মুরাদ বিন আমজাদ(এক্স হানাফী) ।

    Anonymous

    @ABU TASNEEM,এক্স হানাফী কথাটা ব্ল্যকমেইলিং। কথাটা হবে আগে উলামাকেরামদের থেকে তাহকীক করে চলতেন এখন নফস থেকে তাহকীক করেন। এজন্য তিনি একজন নফসপূজারী।

    বেহেশতী জেওর প্রচলিত অর্থে কোন মাসায়ালার কিতাব নয়। এটা ছিল ঘরের মা বোনদের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক একটি কিতাব। এর অংশ হিসেবে কিছু মাসায়ালাও উল্লেখ করেছেন, কিছু পরামর্শ, এছাড়া কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা, কিছু ঘরানা কাজ সবই উল্লেখ করেছেন। এই কারণে কিতাবখানা অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর বেশ জিনিস শুধু মা বোনদের জন্য নয় বরং পরুষদের জন্যও উপযোগী। কিন্তু ভুল যেটা হয়েছে মানুষ এটাকে পুর্নাংগ মাসায়ালা কিতাব মনে করেছে। অথচ এর শুধু অংশই শুধু মাসায়ালা। এই ভুলটা লা-মাযহাবীরাই বেশী করে। বলাবাহুল্য এদের বেশীর ভাগ ভুল ইচ্ছাকৃত ভুল।

    Anonymous

    @ABU TASNEEM, তাবলীগী ভাইয়েরা তাদের প্রিয় (শিরক-বিদআতেপূর্ণ) ফাজায়েলে আমাল প্রায় ছাড়তে বসেছেন । এখন তাদের পাঠ্য-তালিমী কিতাব মুন্তাখাবে হাদীস । এটা আমি আপনার ভুল বলব না। আমি বলব ইচ্ছাকৃত তথ্যগোপন। প্রথমত তাবলীগ কোন বিশেষ মাযহাবের আ’মাল নয়। বরং দাওয়াত ও তাবলীগের নববী উসুল বা পদ্ধতিকে হুবহু অনুসরণের এক নকশা বা রোডম্যাপ। যারা বুঝতে পারছে তারা করছে, যারা দাওয়াত ও তাবলীগের নববী উসুল বা পদ্ধতির সাথে পরিচিত নয় তারা বিরোধিতা করছে। এজন্যই সারা দুনিয়ার সব মাযহাব, গোত্র, বর্ণ, এলাকার মানুষ এই মেহনতকে কবুল করছে। এমনকি অনেক সালাফী আরব আলেমও আছেন যারা এই মেহনতের সাথে পূর্ণাংগভাবে জড়িত। আমাদের আহলে (মুনকিরে) হাদিস ভাইদের অতি প্রিয় আ’লীম শেখ বিন বায ও শেখ উছায়মিন (العثيمين) রহি’মাহুমাল্লহ এই মেহনতকে উচ্চ প্রশংসা করেছেন। যদিও আলবানী রহ. ভাল বলেন নি। তিনি আসলে কোন প্রতিষ্ঠিত আলেম ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সৌখিন গবেষক। এজন্যই তাঁর গবেষণাগুলো ছিল অসংখ্য ভুলে ভরা। আরব আলেমগণও তাঁর গবেষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বস্তুত দাওয়াতের নববী উলুসের সাথে তিনি পরিচিত ছিলেন না।

    ফাযায়েলে আ’মালও তেমনি সম্পূর্ণ বিদাত ও শিরকমুক্ত এক কিতাব। বরং এই কিতাবের বরকতেই কোটি মুসলমান শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত হয়েছেন। মূলতঃ একারণেই এ কিতাবখানা ইসলামদের দুশমনদের দুশমন। এখানে কিছু ঘটনা আছে যা সাধারণ মানুষদের আ’মালী জযবা বাড়ানোর জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন নবী ও সাহাবাহদের আ’মালের উপর শয়তানের পক্ষ থেকে এই ধোঁকা আসা খুবই স্বাভাবিক, তাঁরা তো নবী ছিলেন, তাঁরা তো সাহাবাহ নবী দেখেছেন ওহী নাযিল হওয়া দেখেছেন, তুমি তো সাধারণ মানুষ, তুমি কি পারবে তাদের মত আ’মাল করতে? এজন্যই কিছু সাধারণ মানুষের আ’মালও দেখানো হয়েছে। এগুলো ইতিহাস থেকে নেয়া হয়েছে। ইতিহাসে মানদন্ড হাদিসের নিচে এটাও লেখক উল্লেখ করেছেন। তিনি এটাও স্বীকার করেছেন এগুলো শুধু আ’মালের জযবা নেয়ার জন্যই উল্লখ করা হয়েছে। এসব ঘটনা ইতিহাসের কিতাবে এত বেশি পরিমাণে উল্লেখ আছে যে এগুলো অস্বীকার করলে পুরো ইতিহাস শাস্ত্রের উপরেই অনাস্থা চলে আসে। এনিয়ে আলোচনা আগেও করেছি। যারা ইচ্ছে করে চোখ কান ব্ন্ধ রাখে তাদের বুঝানো সম্ভব নয়। অনেক আবুঝ এমনও আছে যারা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকেও ভুলের উর্ধে মনে করে না। অনেক অবুঝ আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়া’লাকেও সীমাবদ্ধতার উর্ধে মনে করে না। নাউযুবিল্লাহ। এজন্য এরা দলীল হিসেবে কুরআনও পেশ করে থাকে। আল্লহ মাফ করুন।

    একই ভাবে মুন্তাখাবকে ফাযায়েলে আ’মালের রিপ্লসেমেন্ট করা হয়নি। বরং বলা হচ্ছে চার ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ইলম চার ভাবে শেখার জন্য। ফাযায়েলে ইলম ফালায়েলে আ’মালের তা’লীম থেকে, সিফাতের ইলম মুন্তাখাব হাদিস থেকে, উলামা কেরামদের খেদমতে ফিজিকালি হাজির হয়ে যা সাহাবাহদের জামানার সুন্নত ছিল, আর দাওয়াতের নববী তরীকা এবং তরবিয়তের ইলম হায়াতুস সাহাবাহ থেকে। এজন্য মসজিদের তা’লীমের সাথে সাথে ঘরে মা বোনদের সাথেও একই ভাবে ব্যক্তিগতভাবেও মুতালাআ করার জন্য বলা হচ্ছে।

    Anonymous

    @ABU TASNEEM,

    আপনার সহীহ বলে যে আমল চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে ইসলামের উৎসভুমিতে তার বিপরীত আমল দেয়া যাচ্ছে আমি জানি আপনার এই কথা সত্য নয়। এরপরও আমি বলব, ইসলামের উৎসভুমি শরীয়াতের কোন দলীল নয়। একই সাথে একটি প্রশ্ন থাকল ইসলামের উৎসভুমি বলতে আপনি কি বুঝেন?

    প্রসিদ্ধ ছয়টি হাদীসগ্রন্থে আপনাদের পক্ষে সহীহ হাদীস পাওয়া যাচ্ছে না। এই কিতাবের সংকলক কেউই আপনার কথিত ইসলামের উৎসভুমিতে ঊৎপন্ন হননি। তাহলে কি আপনার কথা আপনি নিজেই বিশ্বাস করেন না?
    পক্ষান্তরে আপনার এই কথাটা সহীহও নয়। অনেক কিছুই এই কিতাবসমূহে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষতঃ তিরমিযী শরীফে সবচেয়ে বেশী পাবেন।
    গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হল রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও শুধু এই কিতাবসমুহে পাওয়া হাদিসের উপর আ’মাল করেন নি। তাই এই কিতাবগুলোর উপরে খুবই নির্ভর করা, এখান থেকেই শুধু দলীল পেশ করা, এর উপর ভিত্তি করে অন্যদের আ’মাল কে মন্দ বলা নিঃসন্দেহে বিদআত
    আরও মজার ব্যপার হল এই কিতাব সমুহের সংকলকগণও আপনাদের মত উদ্ভট আ’মাল করেন নি বা ফতওয়া দেন নি। আপনারা যে হাদিস দ্বারা আট রাকাআত তারাবীহ পড়েন ঐ হাদীসখানা ইমাম বুখারী রহি’মাহুল্লহ তাহাজ্জুদের অধ্যয়ে উল্লেখ করেছেন। এক তাবেয়ীর আ’মালকে দলীল ধরে আপনারা মহিলা ও পুরুষদের নামাযে কোন পার্থক্য দেখেন না। অথচ ঐ আ’মালের সংকলক এই আ’মালের ভিত্তিতে এমন কোন ফতওয়া দেন নি। তাহলে কি ইমাম বুখারী রহ’মাতুল্লহ আ’লাইহি ভুল করেছিলেন, আপনি তা সংশোধন করে দিলেন?!!!

    ABU TASNEEM

    @Anonymous, আট রাকাতের হাদীস ইমাম বুখারী (রহঃ) শুধু তাহাজ্জুদ অধ্যায়েই উল্লেখ করেননি । তারাবীহ অধ্যায়েও উল্লেখ করেছেন । বরং মাযহাবী আলেমরাই তারাবীহ অধ্যায়ের নামই বদল করে দিয়েছে এই লিংকটি দেখুন আর উম্মে দারদা (রাঃ) কোন তাবেঈ ছিলেন না তিনি একজন সাহাবীয়া ছিলেন । তিনি ছিলেম সাহাবী আবু দারদা (রাঃ) এর স্ত্রী । দারদা তাদের মেয়ের নাম । আসহাবে রাসূলের জীবন কথা ৩য় খন্ড দেখুন ।

    Anonymous

    @ABU TASNEEM,আপনাদের কথা বিশ্বাস করা কঠিন। আপনাদের গুরু আলবানী নিজের কথা কে ইবরহীম নখয়ী রহ. এর কথা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছেন, এর প্রমাণ আগে দেয়া হয়েছে। আপনি যে লিংক দিয়েছেন ওখানে আপনার কথাটাই আবার লেখা হয়েছে কোন দলীল ছাড়া। আবু দারদা রদিয়াল্লহু আ’নহু এর দুইজন স্ত্রী ছিলেন। দুইজনই উম্মু দারদা নামে পরিচিত ছিলেন। প্রথম জন সাহবিয়া ছিলেন। পরের জন তাবেয়ী ছিলেন। বুখারী শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারী কিতাবে এই হাদিসে উল্লিখিত উম্মু দারদাকে পরের জন অর্থ্যাৎ তাবেয়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    হাফিজ

    @Anonymous, সহমত, ঠিকই বলেছেন।

  2. তৃতীয় পরিস্হিতি : এর পক্ষে যে হাদীস পেশ করেছেন তার দলীল দিন । যাচাই করে দেখি ।
    আপনার কথা মত একদল থেকে অন্য দলের মধ্যে একই আমলের ক্ষেত্রে ভিন্নতার বৈধতা পাওয়া যায় অর্থাৎ হক্ক একাধিক হতে পারে । জনাব এ ঘটনা থেকে হক্ক একাধিক হওয়া সাব্যস্তকরণ ভ্রান্তিপূর্ণ । তার কারণ এ ঘটনায় হক্ক একাধিক বোঝা যায় তাৎক্ষণিক ও ক্ষণস্থায়ীভাবে এবং একদলের প্রকৃত হক্ক বোঝায় ব্যর্থতার কারণে । প্রকৃতপক্ষে স্থায়ীত্ব লাভ করেছে একটি হ্ক্ক । আর তা হচ্ছে সূর্য ডোবার পূর্বেই আসরের সালাত আদায় করতে হবে । কোন মাযহাব বা দলের জন্য সূর্য ডোবার পর আসরের সালাত পড়ার বৈধতা নেই । আপনাদের আলেমরাও মনে হয় এ হ্ক্কটির স্থায়িত্ব স্বীকার করবেন না ।

    হাফিজ

    @ABU TASNEEM,
    http://en.wikipedia.org/wiki/Talk%3ABanu_Qurayza/Relevant_hadith

    এটা ছিল বিশেষ সময়ের ঘটনা, এবং তখন ছিল দুটোই বৈধ।
    রসুলুল্লাহ (সা:) দুটো দলের কাউকে দোষারোপ করেননি, কিন্তু আপনি কিভাবে বলছেন একদল হক, অন্যদল নয়? এতবড় ধৃষ্টতা আপনি কিভাবে দেখালেন? সহীহ হাদিস বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলেন আর রসুলের সিদ্ধান্তের ওপর নিজের মত দেন? এটা কি ঈমানদারদের লক্ষণ?

    Anonymous

    @হাফিজ, মাথা গরম করা নয়, বিষয়ভিত্তিক দলীল জানুন ও প্রচার করুন। বিশ্বাস করুন পূর্ববর্তী সালাফ ও মুহাদ্দিসীন ফুকাহা কেরামদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি আ’মাল অনেক যাচাই বাছাই এর পর অনেক মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। পক্ষান্তরে নব্য আহলে (মুনকিরে) হাদিসদের আ’মাল পিওর সুবিধাবাদ ও নফসপূজার উপর প্রতিষ্ঠিত।

    মারকাযুদ দাওয়াহর সম্মানিত পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক দামাত বারাকাতুহুমের লেখা গুলো পড়ুন। দেখবেন কত সম্মানের সাথে তিনি তাদের দলীলগুলোকে কাটেন এবং উপযুক্ত দলীল পেশ করেন।

    হাফিজ

    @Anonymous, কোনো বই এর কথা বলছেন?

    হাফিজ

    @Anonymous,
    @হাফিজ, মাথা গরম করা নয়, বিষয়ভিত্তিক দলীল জানুন ও প্রচার করুন। বিশ্বাস করুন পূর্ববর্তী সালাফ ও মুহাদ্দিসীন ফুকাহা কেরামদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি আ’মাল অনেক যাচাই বাছাই এর পর অনেক মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। পক্ষান্তরে নব্য আহলে (মুনকিরে) হাদিসদের আ’মাল পিওর সুবিধাবাদ ও নফসপূজার উপর প্রতিষ্ঠিত।

    সহমত।

    ABU TASNEEM

    @হাফিজ ৥ এটা যদি বিশেষ সময় বিশেষ পরিস্থিতির ঘটনাই হয়ে থাকে তাহলে এটা তো অন্য কোথাও দলীল হিসেবে আসতে পারে না । তো এটাকে আপনারা মাযহাবের পক্ষে দলীল হেসেবে পেশ করছেন কেন ? এঘটনাকি প্রমাণ করে যে হক একধিক হতে পারে ? আচ্ছা আহলে হাদীসের কথা বাদই দিলাম । আপনারা বলেন , চার মাযহাবই হক্বের উপর । অর্থাৎ চার মাযহাবের মাসআলা মাসায়েলের সিদ্ধান্তই দলীলভিত্তিক এবং সঠিক । তাহলে অন্য মাযহাবের মাসআলা মাসায়েল অনুসরণ করাতে নিষেধ করেন কেন ? আমাদের সাথে আপনাদের সেখানে যেখানে পার্থক্য সেখানে সেখানে অন্য মাযহাবের সাথে মিল আছে । যেমন আপনার রাফে ঈয়াদাইন করেন না , আমরা করি আবার শাফেঈ , হাম্বলী , মালেকীরাও করে । সেখানে আপনারা আপনাদের দলীল দিয়ে প্রমাণ করছেন রাফে ঈয়াদাইন করা ভুল এবং না হক্ক । এবং কওমী মাদ্রাসায় ছাত্রদের এভাবেই পড়ানো হয় । তাহলে আপনারা কিভাবে বলেন যে তাদের মাসআলাও হক্ক । তারাও হক্কের উপরে । আসলে আপনারা বিশ্বাস করেন আপনার ছাড়া আর কেউ হক্কের উপরে নয় । এর চেয়ে ধোকাবাজি আর কি হতে পারে ?

    কোন অংকের চারটি নিয়ম থাকলে শিক্ষক কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে একটি নিয়মকে প্রাধাণ্য দিতে পারে । তাই বলে কি সে অন্য নিয়ম গুলিকে বাতিল করে দেয় ?

    হাফিজ

    @ABU TASNEEM, এখানে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হোলো, কিন্তু আরো একাধিক ঘটনা আছে যেটাতে বোঝা যায়, মাসআলা একাধিক অনুমোদিত হতে পারে। “হক” , “নাহক” এক জিনিস আর মাসআলা একাধিক অনুমোদিত হওয়া ভিন্ন জিনিস। রফে ইয়াদাইন করা “নাহক” এটা আমি বললাম কোথায়? রসুলুল্লাহ (সা:) এর একাধিক হাদিস পাওয়া যায় উনি রফে ইয়াদাইন করেছেন। সুতরাং এটাকে নাহক বলার প্রশ্নই আসে না। সাহাবীদর মধ্যেও অনেক সাহাবী ছিলেন যারা রফে ইয়াদাইন করেছেন, আবার অনেক সাহাবী ছিলেন যারা করতেন না। যেহেতু রসুলুল্লাহ(সা:) থেকে দুইরকম বর্ণনাই এসেছে, তাই যার কাছে যেটা শক্তিশালী মনে হয়েছে সেটার ওপরই ওনারা আমল করেছেন। তাই বলে এমন নয় যে, একটি হক অন্যটি নাহক। এই হাদিস শরীফের মাধ্যমে দুটো আমল বৈধ “যখন বিচারক ইজতিহাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তখন তাকে দুটি সওয়াব দেয়া হয়, আর ভুল হলে একটি সওয়াব”। (বোখারী শরীফ)

    zakaria

    @ABU TASNEEM,
    এবং একদলের প্রকৃত হক্ক বোঝায় ব্যর্থতার কারণে
    রসুল(সা)এর সাহাবাদের ব্যপারে আপনি এভাবে কথা বলছেন? বেশ বেশ। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন। সাহাবাদের ব্যপারে কথা আরো
    নম্রতার সাথে বললে ভাল হয় ভাই।

  3. জনাব আমি একটি পরিস্তিতির বর্ণনা দিচ্ছি : শৌচকার্যে ক্বিবলাকে সামনে ও পিছনে করা ব্যাপারে বিভিন্নমুখী হাদীস অনুযায়ী ইমাম ও বিদ্বানগণের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায় । এখন কোন বিষয়ে অবস্থা বিশেষে বিভিন্ন হাদীস পাওয়া গেলে এবং সবগুলো হাদীস বিশুদ্ধ হলে অবস্থা বিশেষে বিভিন্ন হাদীসের উপর আমলের অধিকার সবার জন্য সমানভাবে খোলা রাখতে হবে । বন্টন করে মাযহাবী রূপ দিয়ে মুসলিম জাতীর ভিতর অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না । যেমনটি করেছে মাযহাবী মুকাল্লিদরা । আর কোন ভিন্নতা যদি দূর্বল ও জাল হাদীসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় , তবে তো ধর্তব্যের ভিতরেই আসবে না । বরং তা অগ্রাহ্য বলে গন্য হবে । কারণ প্রত্যেক ইমামই বলে গেছেন

    “যখনই হাদীস সহীহ্ হিসেবে প্রমাণিত হবে তখনই সেটি আমার মাযহাব ” ।

    আর হাদীসের সমালোচনার ক্ষেত্রে কোন মাযহাব বা দলাদলী নেই বরং একই মূলনীতি । অথচ দেখা যায় অনেক মাসআলা ও বিষয়ের ক্ষেত্রে মাযহাবী ভিন্নতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দূর্বল অথবা জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে । এ ক্ষেত্রে সহীহ হাদীস মেনে নিলেই ভিন্নতা দূর হয়ে যায় । এমনকি মাযহাবের অনেক বিষয় আছে , যা সরাসরি কুরআন ও সহীহ হাদীস বিরোধী । পূর্ববর্তী অনেক বড় বড় আলিম এটা উপলব্ধি ও স্বীকার করেছেন ।

    হাফিজ

    @ABU TASNEEM,

    “যখনই হাদীস সহীহ্ হিসেবে প্রমাণিত হবে তখনই সেটি আমার মাযহাব ” ।

    হ্যা, এতেই বোঝা যায় তারা সহীহ হাদিসকে কত গুরুত্ব দিত। এখন আপনি হয়ত বলবেন, আমি অনেকগুলো সহীহ হাদিস বললাম আপনারা তো তা গ্রহণ করছেন না। কারণটা হোলো , অযোগ্য লোকদের থেকে আমরা মাসআলা গ্রহণ করিনা। আর আপনি হলেন কট্রর মাজহাব বিদ্বেষী। সুতরাং আপনার মতো লোকদের কাছ থেকে হাদিস গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না। মাজহাবীদের মধ্যে অসংখ্য আলেম আছেন যারা নিরন্তর গবেষণা করে চলছেন, তারা আগের অনেক মাসআলা সহীহ হাদিসের ভিত্তিতে নতুন ফতোয়া দিচ্ছেন, তাদেরটা আমরা গ্রহন করি।

    Anonymous

    @হাফিজ,ব্যপারগুলো গালাগালি হচ্ছে। আসলে দলীল জানা ও প্রচার করা জরুরী। কিছুলোক যুক্তির বাইরে নিজেদের পছন্দমত হাদীস পেশ করবে আর এর বাইরে অসংখ্য হাদীস অস্বীকার করবে। এজন্য নিজের আ’মাল নষ্ট করার দরকার নেই।

    zakaria

    ভাই @ABU TASNEEM,
    বন্টন করে মাযহাবী রূপ দিয়ে মুসলিম জাতীর ভিতর অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না

    আমি আমার জীবনে শুনিনাই যে হানাফীদের সাথে শাফেয়ীরা বহাছ করেছে বা মারামারি করেছে আপোষে। এমনকি যদি ২ জন আম লোকের মাঝে কখনও দেখেছি যে তারা কোন মাছায়ালা নিয়া নিজেদের মাঝে বিতর্ক করছে আর যখন জানতে পেরেছে যে মাযহাবের ভিন্নতার কারণে মাছালার এই তফাত হয়েছে তো সাথে সাথে দুজনেই চুপ হয়ে যাচ্ছে।
    যার ইজতিহাদের যোগ্যতা নেই তিনি মুজতাহিদের তাকলীদ করবেন। এটিই হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসরণের কুরআন-সুন্নাহসম্মত পন্থা
    পুরা উম্মাত এই কথা কে বিনয়ের সাথে মেনে নিয়েছেন এবং মুসলিম জাতির মধ্যে কোন অনৈক্য নাই।

    কিন্তু অনেক দুঃখের সাথে বলতে হয় যারা এই কথা মুসলিম জাতীর ভিতর অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না বলে নিজেদের আহলে হাদিস দাবি করতেছে তারা নামাজের পর দুয়া করা যাবে কি যাবে না বা দুয়ায় হাত উঠানো যাবে কি যাবে না এই নিয়ে আপোষে মারামারি করেছে। আর বহাছের কথা নাই বললাম। আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দান করুন।

    ABU TASNEEM

    @zakaria, যার ইজতিহাদের যোগ্যতা নেই তিনি মুজতাহিদের তাকলীদ করবেন। এটিই হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসরণের কুরআন-সুন্নাহসম্মত পন্থা কিন্তু মুজতাহিদ যদি ভুল করেন তাহলেও তার অনুসরণ করতে হবে এটি কোন কুরআন হাদীস সম্মত পন্থা ?
    সুরা নিসা ৫৯ এবং সুরা আত তাওবা ৩০-৩৪ আয়াতগুলো তাফসীরসহ ভাল করে পড়ুন ।
    আর সমাজে বিদআত চলতে থাকবে আর কিছুই বলতে পারবো না তাকি হয় । সাহাবীদের জীবনী / হাদীসগ্রন্থগুলি দেখেন । তাদের সময়ে যখন কিছু কিছু বিদআত চালু হয়েছিল তারা কিভাবে সেগুলিকে প্রতিবাদ করেছেন । সমাজে শিরক বিদআত দেখতে একজন মুসলিমেরও তাই করা উচিত ।

    Anonymous

    @ABU TASNEEM,
    জনাব আমি একটি পরিস্তিতির বর্ণনা দিচ্ছি : শৌচকার্যে ক্বিবলাকে সামনে ও পিছনে করা ব্যাপারে বিভিন্নমুখী হাদীস অনুযায়ী ইমাম ও বিদ্বানগণের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায় । এখন কোন বিষয়ে অবস্থা বিশেষে বিভিন্ন হাদীস পাওয়া গেলে এবং সবগুলো হাদীস বিশুদ্ধ হলে অবস্থা বিশেষে বিভিন্ন হাদীসের উপর আমলের অধিকার সবার জন্য সমানভাবে খোলা রাখতে হবে।
    কথাটি সত্য নয়। সব কয়টি হাদীস সহীহ হলেই যে কোনটি উপর আ’মাল করা যাবে না। বরং দ্বীনের ভিত্তি হল তাকওয়া। যদি তাকওয়ার ভিত্তির উপরে কোন ক্রম করা না যায় সে ক্ষেত্রে যে কোনটি উপর আ’মাল করা বৈধ হতে পারে। কিন্তু তাকওয়ার ভিত্তিতে যদি ক্রমকরা সম্ভব হয় তখন যে কোনটির উপর আ’মাল করা বৈধ হতে পারে না। এছাড়াও সকল সহীহ হাদীসের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করে সমন্বয় বা সময়ের ভিত্তিতে ক্রম নির্ধরণ করাও জরুরী। যেমনটা হয়েছে রফে ইয়াদাইনের ক্ষেত্রে। এটাই প্রমাণিত যে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একসময় রফে ইয়াদাইন করলেও পরবর্তীতে আর করেন নি। মূল কথা এসবের উপরে যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী গেছে গবেষণায়। আলবানীর মত কিছু কিছু আধা শিক্ষিত, সৌদি নফসপুজারীদের মদদপুষ্ট সৌখিন গবেষকদের কথা লাখো আলেমের হাজার বছরের গবেষণার উপর প্রশ্ন তোলা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে ভয় করে না।

    বন্টন করে মাযহাবী রূপ দিয়ে মুসলিম জাতীর ভিতর অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না। যেমনটি করেছে মাযহাবী মুকাল্লিদরা।
    আগেই বলেছি, আরও একজন সহব্লগার বলেছেন, মাযহাবের নামে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য কখনওই ছিল না। আজও নেই। বরং অন্যান্য মাযহাবের সম্মানিত আলেমদের নাম শুনলে শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের শানে দুআ’ করা হয়। কোন আ’মালের মধ্যে ভিন্নতা দেখলে শুধু যদি বলা হয় যে মাযহাবের ভিন্নতার কারণে এমন হয়েছে তাহলে কেউ আর কোন প্রশ্ন তুলে না। সারা দুনিয়াতেই এই অবস্থা। অথচ লা-মাযহাবীরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে কত তর্ক বহাস বিতর্ক লেখা পাল্টা লেখালেখি করেছে ইয়াত্তা নেই। উত্তর বংগে বহুবার দেখেছি পাশা পাশি ঘর দুই লা-মাযহাবী ভিন্ন ভিন্ন মাসজিদে নামায পড়ে। কিছু বছর আগে ঈদের নামাযের পর মুনাজাত হওয়া নিয়ে নাটোরে দুই লা-মাযহাবী গ্রুপের দ্বন্দে একজন মারা যায়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, চোরের মায়ের বড় গলা

    আর হাদীসের সমালোচনার ক্ষেত্রে কোন মাযহাব বা দলাদলী নেই বরং একই মূলনীতি । অথচ দেখা যায় অনেক মাসআলা ও বিষয়ের ক্ষেত্রে মাযহাবী ভিন্নতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দূর্বল অথবা জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে। এ ক্ষেত্রে সহীহ হাদীস মেনে নিলেই ভিন্নতা দূর হয়ে যায় । এমনকি মাযহাবের অনেক বিষয় আছে , যা সরাসরি কুরআন ও সহীহ হাদীস বিরোধী। পূর্ববর্তী অনেক বড় বড় আলিম এটা উপলব্ধি ও স্বীকার করেছেন ।
    এভাবে মিথ্যা বলে নিজেকে কিভাবে মুসলমান দাবী করেন আমার বুঝে আসে না। অবশ্য মিথ্যা বলা আপনাদের আকীদার জন্মভিত্তি। আলবানী কিভাবে মিথ্যা বলেছেন, মিথ্যা হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছেন, তা এই ব্লগে আমরা দেখেছি। একই ভাবে কিভাবে জাকির নায়েক কিভাবে বিভিন্ন বিষয়ে কুরআনের আয়াতের রেফারেন্স দেন অথচ বাস্তবে ঐসকল আয়াতে দেখা যায় যে অমন কোন বিষয় উল্লেখই করা হয় নি তাও বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব ভিডিওতে দেখা যায়। অথচ দেখা যায় অনেক মাসআলা ও বিষয়ের ক্ষেত্রে মাযহাবী ভিন্নতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দূর্বল অথবা জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে। যদি একটা নজীরও দেখাতে পারতেন খুশি হতাম। এমনকি মাযহাবের অনেক বিষয় আছে , যা সরাসরি কুরআন ও সহীহ হাদীস বিরোধী। যদি একটা নজীরও দেখাতে পারতেন খুশি হতাম। এর আগে একটা নজীর দেখিয়ে ছিলেন জুম্মার খুতবার সময়ে তাহিয়্যাতুল মাসজিদের ব্যপারে। এরপরে হাদিসের রেফারেন্স ও ব্যাখ্যা দেয়ার পর ওব্যাপারে আর উচ্চবাচ্য করেন নি। এখন আবারও একই অভিযোগ করছেন, কোন প্রমাণ ছাড়া। শুনেছি দু কান কাটা লজ্জা নেই

  4. দলীলের জন্য এই কিতাবটি পড়ুন:

    হাদীস ও সুন্নাহয় নামাযের পদ্ধতি
    ইমাম আবু হানীফা (রহ:) হাদীস থেকে যেভাবে নামায আহরণ করেছেন

    হযরত মুহাম্মাদ আবদুল মালেক (দা:)
    মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামিয়া, ঢাকা

    আহমাদ

    http://alkawsar.com/article/590
    http://alkawsar.com/article/611

    শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছালিহ আলউছাইমীন (১৪২১ হি.)
    তিনি এ বিষয়ে অনেক বলেছেন এবং অনেক লিখেছেন। আমরা এখানে তার কয়েকটি কথা নকল করছি :
    ক) ‘‘এ যুগের কিছু কিছু সালাফী, বিরোধীদেরকে গোমরাহ বলে থাকে, তারা হকপন্থী হলেও। আর কিছু কিছু লোক তো একে বিভিন্ন ‘ইসলামী’ দলের মত একটি দলীয় মতবাদে পরিণত করেছে। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, অবশ্যই এর প্রতিবাদ করতে হবে। তাদেরকে বলতে হবে, সালাফে সালেহীনের কর্মপদ্ধতি লক্ষ করুন, ইজতিহাদগত মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে তাদের নীতি কী ছিল এবং তাঁরা কেমন উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁদের মাঝে তো অপেক্ষাকৃত বড় বড় বিষয়েও মতভেদ হয়েছে, কোনো কোনো (শাখাগত) আকীদা বিষয়েও মতভেদ হয়েছে : দেখুন, আল্লাহর রাসূল তাঁর রবকে দেখেছেন কিনা-এ বিষয়ে কেউ বললেন, দেখেননি; কেউ বললেন, দেখেছেন। কেয়ামতের দিন আমল কীভাবে ওজন করা হবে-এ বিষয়ে কেউ বলেছেন, আমল ওজন করা হবে। কেউ বলেছেন, আমলনামা ওজন করা হবে; তেমনি ফিকহের মাসাইল- নিকাহ, ফারাইয, ইদ্দত, বুয়ূ (বেচাকেনা) ইত্যাদি বিষয়েও তাঁদের মাঝে মতভেদ হয়েছে, কিন্তু তাঁরা তো একে অপরকে গোমরাহ বলেননি।
    ‘সুতরাং যাদের বিশ্বাস, ‘সালাফী’ একটি সম্প্রদায়, যার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে, অন্যরা সবাই গোমরাহ, প্রকৃত সালাফী আদর্শের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সালাফী মতাদর্শের অর্থ হচ্ছে, আকিদা-বিশ্বাস, আচরণ- উচ্চারণ, মতৈক্য-মতানৈক্য এবং পরস্পর সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে সালাফে সালেহীনের পথে চলা। যেমনটি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; প্রীতি, করুণা ও পরস্পরের প্রতি অনুরাগে মুমিনগণ যেন একটি দেহ, যার এক অঙ্গ অসুস্থ হলে গোটা দেহ জ্বর ও নিদ্রাহীনতায় আর্তনাদ করতে থাকে। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সালাফী মতাদর্শ।’ [লিকাআতুল বাবিল মাফতূহ, প্রশ্ন : ১৩২২]

    শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছালিহ আলউছাইমীন (১৪২১ হি.)
    তিনি এ বিষয়ে অনেক বলেছেন এবং অনেক লিখেছেন। আমরা এখানে তার কয়েকটি কথা নকল করছি :
    ক) ‘‘এ যুগের কিছু কিছু সালাফী, বিরোধীদেরকে গোমরাহ বলে থাকে, তারা হকপন্থী হলেও। আর কিছু কিছু লোক তো একে বিভিন্ন ‘ইসলামী’ দলের মত একটি দলীয় মতবাদে পরিণত করেছে। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, অবশ্যই এর প্রতিবাদ করতে হবে। তাদেরকে বলতে হবে, সালাফে সালেহীনের কর্মপদ্ধতি লক্ষ করুন, ইজতিহাদগত মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে তাদের নীতি কী ছিল এবং তাঁরা কেমন উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁদের মাঝে তো অপেক্ষাকৃত বড় বড় বিষয়েও মতভেদ হয়েছে, কোনো কোনো (শাখাগত) আকীদা বিষয়েও মতভেদ হয়েছে : দেখুন, আল্লাহর রাসূল তাঁর রবকে দেখেছেন কিনা-এ বিষয়ে কেউ বললেন, দেখেননি; কেউ বললেন, দেখেছেন। কেয়ামতের দিন আমল কীভাবে ওজন করা হবে-এ বিষয়ে কেউ বলেছেন, আমল ওজন করা হবে। কেউ বলেছেন, আমলনামা ওজন করা হবে; তেমনি ফিকহের মাসাইল- নিকাহ, ফারাইয, ইদ্দত, বুয়ূ (বেচাকেনা) ইত্যাদি বিষয়েও তাঁদের মাঝে মতভেদ হয়েছে, কিন্তু তাঁরা তো একে অপরকে গোমরাহ বলেননি।
    ‘সুতরাং যাদের বিশ্বাস, ‘সালাফী’ একটি সম্প্রদায়, যার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে, অন্যরা সবাই গোমরাহ, প্রকৃত সালাফী আদর্শের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সালাফী মতাদর্শের অর্থ হচ্ছে, আকিদা-বিশ্বাস, আচরণ- উচ্চারণ, মতৈক্য-মতানৈক্য এবং পরস্পর সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে সালাফে সালেহীনের পথে চলা। যেমনটি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; প্রীতি, করুণা ও পরস্পরের প্রতি অনুরাগে মুমিনগণ যেন একটি দেহ, যার এক অঙ্গ অসুস্থ হলে গোটা দেহ জ্বর ও নিদ্রাহীনতায় আর্তনাদ করতে থাকে। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সালাফী মতাদর্শ।’ [লিকাআতুল বাবিল মাফতূহ, প্রশ্ন : ১৩২২]

  5. আহকাম বিষয়ক অধিকাংশ নির্দেশনা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহ থেকে বোঝার জন্য ইজতিহাদী পর্যায়ের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অপরিহার্য। তাই তা অনুসরণের শরীয়তসম্মত পন্থা হচ্ছে : ১. যিনি ইজতিহাদের যোগ্যতার অধিকারী তিনি ইজতিহাদের ভিত্তিতে আমল করবেন। ২. যার ইজতিহাদের যোগ্যতা নেই তিনি মুজতাহিদের তাকলীদ করবেন। এটিই হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসরণের কুরআন-সুন্নাহসম্মত পন্থা। পক্ষান্তরে তৃতীয় পদ্ধতি, অর্থাৎ ইজতিহাদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ইজতিহাদের প্রচেষ্টা কিংবা ইজতিহাদের যোগ্যতাহীন লোকের অনুসরণ, দু’টোই শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রত্যাখ্যাত।

  6. পড়ে খুব উপকৃত হলাম। ধন্যবাদ

  7. According to the sound view of Hanafis, the prostration of forgetfulness is wajib; according to other sects, it is sunnah. (Ibnul-Humam, Fathul-Qadir, Egypt 1316/1898, I, 355, 374; al-Kasani, Badayiu’s-Sanayi’, Beirut 1394/1974, I,163-179; al-Maydani, al-Lubab, Istanbul n.d., I, 95 et al.; az-Zuhayli, al-Fiqhul-Islami wa Adillatuh, Damascus 1405/1985, I, 87 et al.).

    The evidence that Hanafis base their view on is this hadith reported by Abdullah b. Mas’ud (may Allah be pleased with him): ” If anyone of you is doubtful about his prayer, he should follow what he thinks to be correct and complete his prayer accordingly and finish it and do two prostrations of forgetfulness” (Bukhari, Salat, 31; Muslim, Masajid, 88, 89; Abu Dawud, Salat, 190, 191, 193; Nasai, Sahw, 24, 25; Ibn Majah, Iqama, 132, 133; Malik, Muwatta’, Nida, 61-63; Ahmad b. Hanbal, I, 190, 193, 204-206). Abu Said al-Khudri (may Allah be pleased with him) reports the Messenger of Allah saying: “When any one of you is in doubt about his prayer and he does not know how much he has prayed, three or four (rak’ats). He should cast aside his doubt and base his prayer on what he is sure of, then perform two prostrations before giving salutations. If he has prayed five rak’ats, they will make his prayer an even number for him, and if he has prayed exactly four, they will be humiliation for the devil ” (Bukhari, Sahw, 6, 7; Muslim, Salat, 19, 20; Ahmad b. Hanbal, III, 12, 37, 42).

    ABU TASNEEM

    @আহমাদ,@আহমাদ , আপনার হাদীস দুটো থেকে কি প্রমাণ হয় যে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে ডানে সালাম ফিরিয়ে দুটো সিজদা দিতে হবে । তার পর আবার তাশাহুদ , দরুদ , মাছুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে ।
    পারলে এটার পক্ষে সহীহ দলীল দিন ?

  8. মা শা আল্লাহ। জাযাকাল্লাহ। অত্যান্ত গুরুত্বপূণ্য বিশ্লেষনধর্মী লেখার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ। (F) (F) (F)

    হাফিজ

    @এম এম নুর হোসেন,আপনাকেও ধন্যবাদ, জাজাকাল্লাহ।