কিভাবে ছোটদের শিক্ষা দিবেন
লিখেছেন: ' হাফিজ' @ বৃহস্পতিবার, মে ৩১, ২০১৮ (১১:১৫ অপরাহ্ণ)
আকবর এলাহাবাদী একজন প্রজ্ঞাবান ভারতীয় কবি ছিলেন। শিক্ষিত ও বিচারক।
তার ছেলে বড়ো হলে তিনি তার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেককে দাওয়াত করেন এবং ঘোষণা করেন যে আজ তিনি ছেলেকে একটি বিশেষ উপহার দিবেন। উপহারটি তিনি রেপিং পেপার দিয়ে ঢেকে রাখেন। যেহেতু এটি বিয়ের বিশেষ উপহার তাই সবার ধারণা ছিল নিশ্চয়ই এটি অনেক মূল্যবান হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে তিনি ছেলেকে বললেন উপহারটি খোলার জন্য। ছেলে উপহার খুলতে লাগলো এবং ভিতরে আর এক স্তর বিশিষ্ট বাক্স দেখলেন। সেটি খোলার পর আবার আর এক স্তর বিশিষ্ট বাক্স দেখলেন। ছেলে নিজেও অস্থির হয়ে গেলেন এই চিন্তা করে যে বাবা তাকে কি উপহার দিলেন? তার মধ্যেও এবং অতিথি সকলের মধ্যে এক ধরণের কৌতূহল জেগে উঠলো। যখন ছেলেটি শেষ বাক্সটি খুললো তখন দেখলো যে সেখানে একটি ছোট্ট খেলনা রয়েছে। অতিথি সবাই হেসে দিলেন এবং ছেলেটি স্বাভাবিকভাবেই লজ্জা পেলেন।
কিছুদিন পর বাবার সাথে ছেলেটির কথা হয়।
ছেলে বললো “বাবা আপনি কাজটি ঠিক করেননি, অনুষ্ঠানে এতো মানুষের সামনে আপনি আমাকে খেলনা উপহার দিলেন। সবার সামনে আমি হাসির পাত্র হলাম।”
বাবা বললো “তোমার ছোটবেলায় আমার কাছে একবার তুমি এই খেলনাটা চেয়েছিলে। আমার কাছে তখন কোনো টাকা ছিল না। আমি কিনে দিতে পারিনি। তুমি অভিমান করে সারাদিন কেঁদেছিলে এবং ১ সপ্তাহ পর্যন্ত আমার সাথে কথা বলোনি। তোমার কি মনে আছে?
ছেলে বললো “হ্যা”
বাবা বললেন “এই খেলনাটি তোমার এতো পছন্দ ছিল যে কিনে দেয়নি বলে নিজের পিতার সাথে তুমি ১ সপ্তাহ কথা বলোনি। অথচ এই খেলনাটিই যখন আমি তোমাকে দিলাম সবার সামনে তুমি লজ্জা পেলে। ছোটবেলাকার সেই এতো আগ্রহের খেলনাটি আজ যুবক বয়সে ভরা মজলিশে তোমার কাছে লজ্জার কারণ হচ্ছে।
আমি যেটা বুঝাতে চেয়েছি, যেভাবে ছোটবেলাকার একটি কাজ আজ যুবক বয়সে তোমার লজ্জার কারণ হচ্ছে, ঠিক সেভাবে যুবক বয়সে তুমি এমন কাজ করোনা যেটা কিয়ামতের দিন সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট লজ্জার কারণ হয়। আর মনে রেখো সেদিন যদি কোনো আমল লজ্জার কারণ হয় সেটা সংশোধন করার আর কোনো উপায় থাকবে না। “