নারীদের মুখমন্ডল পর্দার অন্তর্ভুক্ত-পর্ব ১
লিখেছেন: ' হাফিজ' @ বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০১৯ (১২:৪০ অপরাহ্ণ)
নারীদের মুখমন্ডল পর্দার অন্তর্ভুক্ত – পর্ব ১
[কোরআন শরীফ, হাদিস শরীফ ও মুজতাহিদ আলেমগণের মতামত বিশ্লেষণ]
১। ভূমিকা:
ইসলামে নারী পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা করা ফরজ। অনেকে মনে করেন শুধুমাত্র শরীর ঢেকে রাখাই পর্দা। আর পর্দা বোধহয় শুধুমাত্র নারীদের জন্য নির্ধারিত। বিষয়টা আসলে তা নয়। পুরুষ নারীর থেকে এবং নারী পুরুষের থেকে কথার মাধ্যমে, দেখার মাধ্যমে, স্পর্শের মাধ্যমে যতটুকু ব্যাবধান বজায় রাখতে হবে বা রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেটিকেই পর্দা বলে। যেমন ধরুণ একটি মেয়ে বোরকা পরলো ঠিকই কিন্তু মাহরাম ছাড়া অন্য কোনো ছেলের সাথে মোবাইল এ কথা বললো। তাহলে সেই মেয়েটির শরীরের পর্দা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু কথার মাধ্যমে একজন পুরুষের থেকে তার যে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সেটা রক্ষা হচ্ছে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে যে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সেটা পালন হচ্ছে না।
পুরুষ পুরুষ এর সামনে যতটুকু শরীর ঢেকে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে পুরুষের এর ছতর আর নারী নারীর সামনে যতটুকু শরীর ঢেকে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে নারীদের ছতর। সুতরাং ছতর শুধুমাত্র সমগোত্রীয় এর মধ্যে সম্পর্কিত।
আবার নামাজের মধ্যে একজন পুরুষ বা মহিলার যতটুকু শরীর ঢেকে রাখতে হবে সেটাকেও ছতর বলা হয়।
বর্তমান লেখনীতে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো “মেয়েদের মুখমন্ডল পর্দার অন্তরভুক্ত কিনা” বা ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী আল কোরআন এবং হাদিস শরীফ অনুযায়ী এটা আবৃত করার হুকুম কি? সেই বিষয়ে।
আলোচ্য প্রবন্ধে আল কোরআনের আয়াত, হাদিস শরীফ, চার মাজহাবের ইমামগণের মত, পূর্বের ও পরবর্তী যুগের মুত্তাকী আলেমগণের মত দ্বারা প্রমাণ করা হবে মেয়েদের মুখমন্ডল ঢাকা জরুরি কিনা? কিংবা শরঈ পর্দার অন্তর্ভুক্ত কিনা?
আজকে যেসকল বিষয় আলোচনা করা হবে:-
• মেয়েদের অন্য পুরুষের সামনে (মাহরাম ব্যতিত) মুখমন্ডল অনাবৃত/ উন্মুক্ত রাখা সম্পূর্ণ নিষেধ। ঢেকে রাখা ফরজ বা ওয়াজিব এর অন্তর্ভুক্ত
• বৃদ্ধা মহিলারা শুধুমাত্র অন্য পুরুষের সামনে মুখমন্ডল খুলে রাখতে পারবে। তবে তাদের ক্ষেত্রেও যদি সৌন্দর্য প্রকাশ পাবার সম্ভাবনা থাকে তবে সেটিও নিষেধ
• পর্দার আয়াত নাজিল হবার পর উম্মুল মুমিনীন সকলে মুখ আবৃত করে বের হতেন।
• মহিলা সাহাবী গণ মুখমন্ডল আবৃত করে অন্য পুরুষদের সামনে যেতেন এবং ইহরাম রত অবস্থায়ও তারা মুখমন্ডল আবৃত করতেন।
• হজরত আয়িশা (রাঃ) এর স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায় যেখানে উনি মেয়েদের মুখমন্ডল আবৃত করার জন্য বলেছেন।
• আল কোরআনের ৮টি আয়াত এবং অসংখ্য হাদিস শরীফ এবং ৪ মাজহাবের ইমামগণের মতামত দ্বারা মুখমন্ডল আবৃত করা যে বাধ্যতামূলক/ফরজ/ওয়াজিব তার দলিল দেয়া হয়েছে
যেসব বিষয় এখানে আলোচনা করা হয়নি:
• পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের পরিপূর্ণ পর্দা বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়নি। এখানে শুধুমাত্র মেয়েদের মুখমন্ডল আবৃত করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
প্রথমে আল কোরআনের আয়াত পর্যালোচনা করা যাক:
২। আল কোরআনের আয়াত দ্বারা দলিল:
আল কোরআনের যেসব আয়াত বা আয়াত এর অংশবিশেষ দ্বারা দলিল দেয়া হবে তার তালিকা নিম্নরূপ:
১। হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের (জিলবাব) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
[ সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৯ ]
২। তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ।
[ সূরা আন-নূর ২৪:৩১ ]
৩। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।
[ সূরা আন-নূর ২৪:৩১ ]
৪। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।
[ সুরাহ আহযাব ৩৩: ৩৩ ]
৫। বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তাদের অতিরিক্ত পোশাক খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [সূরা আন-নূর ২৪:৬০]
৬। তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
[ সূরা আন-নূর ২৪:৩১ ]
৭। হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না। যাতে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সেই ব্যক্তি কুবাসনা পোষণ করে ফেলতে পারে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
[ সুরাহ আহযাব ৩৩:৩২ ]
৮। তোমরা তাঁর (নবীর) পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। [ সূরা আহযাব : ৩৩:৫৩ ]
উপরের আয়াতসমূহের তফসীরে মুফাসসিরে কেরাম কি বলেছেন? আসুন আমরা সেটা পর্যালোচনা করি:
৩। চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়া [ সূরা আল আহযাব-৩৩:৫৯ ]
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
“হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের (জিলবাব) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।“ [ সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৯ ]
এখানে আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে বলেছেন তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এখন কেউ বলতে পারেন যে, চাদর দিয়ে শরীর ঢাকতে বলা হয়েছে কিন্তু কিভাবে ঢাকতে হবে? সেটা তো বলা হয়নি। তাছাড়া শরীর আবৃত করলেও মুখ যে ঢাকতে হবে সেটা তো বলা নেই। আসুন দেখি এই বিষয়ে মুফাসসিরীনে কিরাম এবং পূর্বের ওলামায়ে কিরাম কি বলেছেন।
উপরোক্ত আয়াত শরীফে আল্লাহ তায়ালা আরবি শব্দ জিলবাব ব্যবহার করেছেন যার বাংলা অর্থ করা হয়েছে “চাদর” । জিলবাব এর অনুবাদ মুফাসসিরে কেরাম করেছেন “ওড়না”। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “জিলবাব দ্বারা ঐ ওড়না উদ্দেশ্য যার মাধ্যমে শরীরের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ঢেকে যায়।” ইমাম ইবনে হাজম (রহঃ) তার কিতাব আল মুহাল্লা’য় উল্লেখ করেছেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিলবাব বা ওড়না সম্পর্কে বলেন এটা সেই ধরণের ওড়নাকে বলা হয়, যা সম্পূর্ণ শরীরকে ঢেকে দেয়, আংশিক শরীরকে নয়।
প্রসিদ্ধ তফসির গ্রন্থ রুহুল মা’আনি এর ২২তম খন্ডে বলা হয়েছে, “মুহাম্মদ ইবনে শিরিন বলেন আমি উবাইদা সালমানী (রহঃ) এর কাছে এই আয়াতের ব্যাখ্যা (তারা যেন তাদের চাদরের (জিলবাব) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়) জানতে চেয়েছিলাম। তখন তিনি নিজের চাদরে নিজেকে এমনভাবে জড়িয়ে নিলেন যে, তার পুরো দেহ এমনকি নিজের চেহারা ও চোখের পলক পর্যন্ত ঢেকে গেলো। অবশ্য নিজের বাম চোখ বাম পাৰ্শ্ব দিয়ে বের করে দিলেন। (অর্থাৎ শুধুমাত্র বাম চোখ খোলা রেখেছিলেন)
তাফসিরে জালালাইন এর লেখক ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ) এই আয়াতের তফসীরে লিখেন, “এটা পর্দার আয়াত, যা সকল নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য” । বিগত কয়েক শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য আলেমগণের নাম উল্লেখ করা হলো যারা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন অথবা অতীতের কোনো আলেমগণের সাথে সহমত পোষণ করে বলেছেন যে এই আয়াত দ্বারা সমস্ত শরীর আবৃত করা বুঝানো হয়েছে এবং এর মধ্যে মুখমন্ডল অন্তর্ভুক্ত:
১। সাহাবী এবং প্রখ্যাত মুফাস্সির ইবনে আব্বাস (রাদি:) [ ইন্তেকাল : ৬৮ হিজরী ]
২। সাহাবী আবিদা আস সীমানি [ ইন্তেকাল : ৭২ হিজরী ]
৩। ইমাম দায়লামী (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ২০৭ হিজরী ]
৪। ইমাম জরির তাবারী (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ৩১০ হিজরী ]
৫। হাফিজ ইবনে হাতিম [ ইন্তেকাল : ৩২৭ হিজরী ]
৬। ইমাম রাজী (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ৩৭০ হিজরী ]
৭। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ৬৭০ হিজরী ]
৮। ইমাম বায়জাভি (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ৭৯১ হিজরী ]
৯। বিখ্যাত মুফাস্সির ইবনে কাসীর (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ৭৭৪ হিজরী ]
১০। তাফসীর জালালাইন এর ওমর স্রষ্টা ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ) [ ইন্তেকাল : ৯১১ হিজরী ]
১১। আল্লামাহ জাহিদ আল কাওসারী ( মিশরী আলেম ইন্তেকাল : ১৩৭১ হিজরী ]
১২। শায়েখ মুস্তাফা আল আদাবি ( সমসাময়িক মিশরী আলেম )
১৩। মুফতি মোহাম্মদ শফি (রহঃ)
বি: দ্রঃ উপরোক্ত দলীল নেয়া হয়েছে বর্তমান মুসলিম জাহানের অন্যতম যোগ্যতাসম্পন্ন মুফতি ইব্রাহিম দেশাই (দামাত বারাকাতুম) এর লেখা থেকে।
[ রেফারেন্স: ৮ ]
হজরত উম্মে সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন কোরআন কারীমের এই আয়াত (নারীরা ওড়না দ্বারা নিজেদের আবৃত করে নিবে) নাজিল হয়, তখন মদিনার আনসারী নারীরা নিজেদের ঘর থেকে এমনভাবে বের হতে লাগলেন যে, নড়চড়হীন হবার কারণে মনে হত যেন তাদের মাথায় পাখি বসে আছে। আর তারা মাথায় কালো কাপড় জড়িয়ে বের হতেন। (মুখমন্ডল আবৃত করে বের হতেন)
[ রুহুল মাআনি : খন্ড-২২ ]
ইমাম আবু বকর জাস্সাস (রহঃ) তার অতুলনীয় সৃষ্টি “আহকামুল কোরআন” গ্রন্থে এই আয়াত قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء…. ‘তারা নিজেদের শরীর ওড়না দ্বারা আবৃত করে নিবে” এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন, – “এই আয়াতটি এই বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছে যে, যুবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে নির্দেশ হল, তারা ঘর থেকে বের হবার পর অপরিচিত পুরুষদের থেকে মুখমন্ডল গোপন রাখবে।”
এই আয়াতের শানে নুযুল-এ আরো একটি হাদিস শরীফ উল্লেখ করা যেতে পারে। হজরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: “আল্লাহ তায়ালা আনসারী মহিলাদের প্রতি রহম করুন”। যখন কোরআন এর এই আয়াত নাজিল হয়, তখন তারা তাদের চাদর ছিড়ে ওড়না বানিয়ে নেন, অতঃপর তারা রসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর পিছনে এমন অবস্থায় নামাজ আদায়রত হন যেন তাদের মাথার ওপর কাক বসে আছেন ।
[রুহুল মাআনি : খন্ড-২২/৩৫৫]
এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, মদিনার সমস্ত আনসারী মহিলা সাহাবীগণ এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর এর ওপর আমল করা শুরু করে দেন। তারা আমাদের মত প্রশ্ন করেননি “বোরকা পড়তে হবে কিনা, মুখ ঢাকতে হবে কিনা, এগুলো ফরজ না নফল?” ইত্যাদি। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম থেকে একটিমাত্র আয়াত শ্রবণ করেই মুখমন্ডল সহ সমস্ত শরীর কাপড় দিয়ে আবৃত করে পর্দা শুরু করে দিলেন। এটা ছিল তাদের তাকওয়া। তাদের পরহেজগারী এমন ছিল যে, পরিপূর্ণ পর্দা করার জন্য এই একটা আয়াতই ছিল যথেষ্ঠ। সেইক্ষেত্রে আমাদের বৈশিষ্ট হল আমল করার কোন আয়াত বা হাদিস শরীফ দৃষ্টিগোচর হলে এই আমল যাতে না করতে হয় তার জন্য অন্য আয়াত বা হাদিস শরীফ খুঁজতে থাকি! আর শেষ পর্যন্ত কোনো দলিল না পেলে বলে থাকি বর্তমান জামানায় এতো পর্দা লাগে না।
আরো একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, সম্মানিত আনসারী মহিলা সাহাবীদের এই পর্দা আবৃত করার পন্থা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) পছন্দ করেছেন। বর্তমানে কিছু কিছু মুসলমানকে দেখা যায় মহিলাদের মুখমন্ডল আবৃত করে বোরকা পরাকে তারা সমালোচনা করে থাকেন। অনেকে এটাকে ভ্রাম্যমান তাবু উল্লেখ করে থাকেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) যে বিষয়টির প্রশংসা করেছেন সেই বিষয়টি আমরা সমালোচনা করছি!! এতে আমাদের ঈমানের কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে সেটা কি আমরা ভেবেছি? এরপরও কি কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) থেকে আমরা শাফায়াত আশা করতে পারি?
— প্রথম পর্ব সমাপ্ত —