আমাদের শিক্ষানীতি
লিখেছেন: ' হাফিজ' @ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৫, ২০১০ (৯:৪১ পূর্বাহ্ণ)
আমাদের শিক্ষানীতি নিয়ে একটি খসড়া তৈরী হয়েছে যেটা চুড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে । এটার দায়িত্বে রয়েছেন যতদুর জানি “বামপন্হী” কিছু হর্তা কর্তা ।
বাংলাদেশের কওমী মার্দাসা বোর্ড “বেফাকুল” এই শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুক্তাংগনে “মিটিং/সমাবেশ” করার জন্য আবেদন করেছিল । সরকার সেটা প্রত্যাখান করেছে । অর্থ্যাৎ গনতন্ত্র নামক ব্যবস্হায় এটার অনুমোদন থাকলেও ইসলামের নামে কোনো সভা/আলোচনা করতে দিতে অনেক প্রগতিবাদীরই ঘোড়তর আপত্তি ।
এই শিক্ষানীতিতে “ললিতকলা” কে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে এবং “ইসলামিক শিক্ষা” কে Optional করা হয়েছে । একজন মুসলমানে হিসেবে আমাদের কি কোন চিন্তাভাবনা নেই ? আমরা কি অন্তত: সবার মাঝে সচেতনতা বা বিরূপ জনমত গড়ে তুলতে পারি না এই ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ??
কিছুদিন আগে সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রা পত্রিকায় ( ১৫-২১ জানুয়ারী ২০১০ ) বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটি এর ভিসি প্রফেসর ড. এম. কোরবান আলীর একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয় । আমার নিজস্ব বক্তব্যের চেয়ে ওনার কথাগুলো অনেক মুল্যবান তাই সেগুলো তুলে ধরলাম :
১। নতুন শিক্ষানীতিতে শিশু শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ধর্ম শিক্ষা এবং নবম ও দশম শ্রেণীতে ধর্ম শিক্ষা তুলে দিয়েছে । এই বিষয়টি সরকারের করা উচিত হয়নি । সাধারন জনগন এই পাচ শ্রেনীতে ধর্মীয় শিক্ষা তুলে দেওয়া বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিবেনা ।
২। তৃতীয় শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সেখানে আরো ৩ টি ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে । একজন মুসলিম শিক্ষার্থি অন্য ধর্ম সম্পর্কে ৬ বছর পড়ার কোনো যোক্তিকতা নেই । সে কোনো এক শ্রেণীতে এক বার পড়ে নিলেই সে ঐ ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে ।
৩। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক না রেখে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে । ফলে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষার্থি শিশু শ্রেনী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনী পর্যন্ত ব্যাপক ধর্ম শিক্ষার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না । যার ফলে ইউনিভার্সিটি লেভেলে সে এই বিষয় পড়ার আগ্রহ রাখবে না । এর ফলে ৪/৫ বছর পর এ দেশ থেকে ( স্কুল , কলেজের মধ্যে ) ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি পুরোপুরি উঠে যাবে ।
মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ে :
৪। মাদ্রাসাতে শিক্ষার্থিরা ভর্তি হয় কোরআন এবং হাদিস গভীরভাবে জানার জন্য । এখানে দেখা যাচ্ছে যে , ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রায় ৬টি সাধারন বিষয় বাধ্যতামুলক করে দেয়া হয়েছে । এর ফলে শিক্ষার্থিরা কোরআন এবং হাদিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানবে না । … এখন তো তারা পুরাপুরি আরবী শিক্ষা ভুলে যাবে ।
সর্ববিষয় বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে এই শিক্ষানীতি সম্পূর্নভাবে আমাদের ইসলাম শিক্ষাকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য প্রনয়ন হয়েছে ।
শিক্ষানীতি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানি না।
একটু বিস্তারিত লিখুন নীতিমালা উল্লেখপূর্বক। তারপর সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।
@সাদাত,
কিছুদিন আগে সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রা পত্রিকায় ( ১৫-২১ জানুয়ারী ২০১০ ) বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটি এর ভিসি প্রফেসর ড. এম. কোরবান আলীর একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয় । আমার নিজস্ব বক্তব্যের চেয়ে ওনার কথাগুলো অনেক মুল্যবান তাই সেগুলো তুলে ধরলাম :
১। নতুন শিক্ষানীতিতে শিশু শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ধর্ম শিক্ষা এবং নবম ও দশম শ্রেণীতে ধর্ম শিক্ষা তুলে দিয়েছে । এই বিষয়টি সরকারের করা উচিত হয়নি । সাধারন জনগন এই পাচ শ্রেনীতে ধর্মীয় শিক্ষা তুলে দেওয়া বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিবেনা ।
২। তৃতীয় শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সেখানে আরো ৩ টি ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে । একজন মুসলিম শিক্ষার্থি অন্য ধর্ম সম্পর্কে ৬ বছর পড়ার কোনো যোক্তিকতা নেই । সে কোনো এক শ্রেণীতে এক বার পড়ে নিলেই সে ঐ ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে ।
৩। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক না রেখে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে । ফলে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষার্থি শিশু শ্রেনী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনী পর্যন্ত ব্যাপক ধর্ম শিক্ষার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না । যার ফলে ইউনিভার্সিটি লেভেলে সে এই বিষয় পড়ার আগ্রহ রাখবে না । এর ফলে ৪/৫ বছর পর এ দেশ থেকে ( স্কুল , কলেজের মধ্যে ) ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি পুরোপুরি উঠে যাবে ।
মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ে :
৪। মাদ্রাসাতে শিক্ষার্থিরা ভর্তি হয় কোরআন এবং হাদিস গভীরভাবে জানার জন্য । এখানে দেখা যাচ্ছে যে , ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রায় ৬টি সাধারন বিষয় বাধ্যতামুলক করে দেয়া হয়েছে । এর ফলে শিক্ষার্থিরা কোরআন এবং হাদিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানবে না । … এখন তো তারা পুরাপুরি আরবী শিক্ষা ভুলে যাবে ।
সর্ববিষয় বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে এই শিক্ষানীতি সম্পূর্নভাবে আমাদের ইসলাম শিক্ষাকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য প্রনয়ন হয়েছে ।
@হাফিজ,
এই শিক্ষা নীতি যদি চালু থাকে তবে, ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করা মানে অরন্যে রোদন। যা করার ঘরে বসে নিজেদেরকেই করতে হবে।
অনেক কিছà§à¦‡ করতে চাই, কিনà§à¦¤à§ কিছà§à¦‡ করতে পারি না। ঃ(
“ইসলামিক শিক্ষা” যা নামমাত্র আছে তাও যদি Optional করা হয়, তবে আগামী প্রজন্মের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে দাড়াবে ভাবতেই আৎকেঁ উঠতে হয়। শিক্ষানীতি প্রনয়ণ কমিটির সভাপতি কবীর চৌধুরী একজন স্বঘোষিত নাস্তিক, এটা জানার পরেও সরকার তাকে উক্ত পদে বসাল কিভাবে? কোন বাইরের ইঙ্গিতে কি….
@mahmud,
শিক্ষানীতিতে কি বলা হযেছে, সেটা আগে উল্লেখ করলে ভালো হয়।
@সাদাত, এই লিংক থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারেঃ http://www.bn.bdeduarticle.com/?p=90
@মালেক_০০১, পড়া যাচ্ছিলো না। তাই নিচে কপি পেষ্ট করলাম।
পড়া যাচ্ছিলো না। তাই এখানে কপি পেষ্ট করলাম।
test comment