নিয়ামত সিরিজ – ”বুদ্ধির বিষ্ময় – পানি ”
লিখেছেন: ' hejarulislam' @ সোমবার, মার্চ ২১, ২০১১ (৮:৫৭ অপরাহ্ণ)
আরে আরে করলেনকি, পানিটুকু ফেলে দিলেন? গ্লাসের উচ্ছিষ্ট পানি টুকু ছুড়ে ফেলে আপনি হয়ত ষ্টাইলের পরা কাষ্টা দেখালেন ; কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এই এক বিন্দু পানি আপনার ষ্টাইলের চেয়ে শত সহস্র গুন মূল্যবান ! বিঙ্গানের সাবধানী ছাত্ররাই যারা পানির অসংখ্য গুনাবলীর দিকে লক্ষ্য রাখেন ; তারা স-বিষ্ময়ে বলেন অদ্ভুত স্রষ্টার সৃষ্টি এই – “পানি”! আমাদের হাতের কাছে সহজ প্রাপ্য এই পানি যা পরম করুনাময়-আল্লাহ্ বান্দার প্রয়োজন অনুপাতে পৃথিবী ব্যাপী সহজ পাপ্য করে দিয়েছেন । অনাদরে উচ্ছিষ্ট হওয়ার দোষ নিয়ে পড়ে আছে যে পানি, সে এক সাংঘাতিক অস্বাভাবিকতার ফসল। যদি আল্লাহর দেয়া চিরাচরিত আইন লঙ্ঘন করে পানি স্বাভাবিক আচরণ করত , তবে তার এই স্বাভাবিক আচরণই হতে পারত জীব মন্ডলের জন্য সবচাইতে বড় দু:সংবাদ !
যেমন-প্রথমত. পানির সুত্রগত জন ১৮,সুতারাং সামান্য তাপ এবং চাপে ইহা গ্যাসে পরিনত হবার কথা ,যেখানে অ্যামোনিয়ার সূত্রগত অজন পানির চেয়ে ১ কম হয়ায় অ্যামোনিয়া মাত্র ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গ্যাসে পরিনত হয় সেখানে পানি গ্যাসে পরিনত ১০০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়,এবং ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পূবে নিজের অস্তিত্ব সম্পূন রূপে বজায় রাখে। পানির এই অস্বাভাবিক আচরন তাক লাগিয়ে দেয় বিজ্গানের ছাত্রদের,মানুষকে তার অস্তিত্ব সম্পকে দু-দন্ড ভাবিয়ে তোলে।
দ্বীতিয়ত,পানির হাইড্রজেন চেইন, দুইটি পরমানু ১ টি অক্সিজেন পরমানুর সাথে মিলে গড়ে তোলে এক অদৃশ্য চেইন, কোনো ভাবে যদি আল্লাহর নিয়ামত এই চেইন বিকল হয়ে পড়ত বা অবলুপ্ত হোতো তাহলে পৃথিবীবাসীর আর কোনো সাধ্য থাকত না হাজারো প্রযুক্তি খাটিয়ে পানিকে নাগালের মধ্য ধরে রাখার। তখন পানির তরল রূপ হেতে এক স্বপ্নের বিষয়।পানির এই হাইড্রজেন চেইন আল্লাহর এক সু-মহান দয়া , যার কাছে পৃথিবীর প্রতিটি অনু পরমানু কৃতজ্গতার ঝণে আবদ্ধ ! (অসমাপ্ত)-লিখেছেন হিজারুল ইসলাম ।
আপনাকে স্বাগতম চালিয়ে যান।
শিরোনাম দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন? ধন্যবাদ আপনাকে।