মনসুর হাল্লাজকে নিয়ে কিছু কথা ,,,,!
লিখেছেন: ' helal uddin' @ সোমবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৫ (১১:০৫ অপরাহ্ণ)
“তাপসকুল সর্বশ্রেষ্ঠ আওলিয়া মনসুর হাল্লাজ যখন আল্লাহর সঙ্গে ফানা অবস্থায় বলেছিলেন,”আয়নাল হক” (আমিই খোদা) তখন মোল্লা বেকুবের দল ক্ষেপে উঠেছিল।অবশেষে তাঁর হাত পা কেটে শূলে চড়িয়ে বধ করে এবং তাঁর মৃতদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলে।তখন এক অভিনব অবস্থার সৃষ্টি হয়।প্রতিটি মাংস খন্ড হতে আয়নাল হক আর আয়নাল হক রব উত্থিত হয়ে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলে।অবশেষে সমস্ত মাংস খন্ড নদী বক্ষে ফেলে দেওয়া হয় যেন আয়নাল হক শব্দ বন্ধ হয়ে যায়।ফলে আয়নাল হক শব্দ বন্ধ হয়ে গেল,আর শোনা গেল না বটে কিন্তূ নদীর পানি স্ফীত হয়ে প্রবল বেগে শহরের দিকে আসতে শুরু করে,শহর জলমগ্ন হয়ে সব ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়।জীবন ভয়ে তখন সবাই অস্থির,কিংকর্তব্যবিমূঢ়।এমন সময় তাঁর গায়ের একখানা জামা তাঁরই জনৈক শিষ্য নদীবক্ষে নিক্ষেপ করা মাত্র নদীর স্ফীত পানি দ্রত হ্রাস পেয়ে নদীতে নেমে গেল।অবশেষে লোকজন দেখতে পেল পানির নিচে নদীর কিনারায় আল্লাহর প্রেমিক মনসুরের পাক পবিত্র লাশ অক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে।তখন মোল্লা বেকুবেরা এ অলৌকিক ব্যাপার বুঝতে পেরে শোকে দুঃখে মর্মাহত হল।এরূপ ঘটনা যে ঘটবে তা তিনি তাঁর শিষ্যটিকে পূর্বাহেই গোপনে বলে গিয়ে ছিলেন এবং তাঁর গায়ের জামা নদীতে নিক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়ে গিয়েছিলেন।মাওলানা রুমী (র.) বিষয়টি অল্প কথায় সুন্দর বুঝিয়েছেন,তিনি বলেছেন, না, না সে মনসুর নহে, সেই খোদা তালাই আয়নাল হক (আমি খোদা) বলেছিলেন মনসুরের ছুরতে।নাদান অজ্ঞরা বিবেচনা করেছিল যে মনসুরকেই শুলে উঠানো হয়েছিল।কিন্তূ সে মনসুর ছিল না।ফানা প্রাপ্ত হয়ে মনসুর আল্লাহর সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল তখন।তা না হলে মনসুর কখন ও আয়নাল হক বলতে পারতেন না।কিন্তূ অজ্ঞ বেকুবেরা এ অলৌকিক ঘটনা বুঝতে পারে নাই।”
==>গ্রন্থ সূত্র দীদারে এলাহি।
(প্রণীত বাবা জালাল উদ্দিন খন্দকার।)