কুরআনের জন্য জীবন দিলেন হাফেজ সাইফুল
লিখেছেন: ' সত্যের সন্ধানী ১০০%' @ সোমবার, এপ্রিল ৪, ২০১১ (২:১৪ অপরাহ্ণ)
প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতিমালা২০১১। এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয়। দেশের ধর্মপ্রাণ আলেমগন শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসতেছেন কুরআন বিরোধী বলে। আর সরকার এর পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে তাতে কোরআন বিরোধী কিছু নাই। কিন্তু উভয় পক্ষই কোন আলোচনায় বসেননি। ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির নেতা মুফতী ফজলুল হক আমীনী দাবী করেছেন নারী নীতিতে কি কি ভূল রয়েছে তা আমরা বিস্তারিত ভাবে দেখিয়ে দিয়েছি। তারপরও সরকারের অবস্থান অনঢ়। অপর দিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রি শাহজাহান সাহেব গতকাল বলেছেন হরতাল না করে আলোচনায় বসতে। এ ব্যাপারে সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে আমার কিছু প্রশ্ন জাগে মনে।
* আমাদের ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি কোরআন এবং হাদীস। আর মাদ্রাসায় পড়া আলেম গণ সর্বদা কোরআন হাদীস নিয়েই গবেষনা করেন। তাহলে ধর্মীয় ব্যাপারে আলেমদের কথার প্রধান্য দেয়া হয়না কেন?
* সরকার বার বার বলতেছেন নারী নীতিতে কোরআন হাদীস বিরোধী কিছু নাই। আমার প্রশ্ন মাননীয় সরকারের মন্ত্রি পরিষদে কেহ কি আছেন যিনি কোরআন এবং হাদীস সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান রাখেন, বা কোরআন হাদীসের অনুবাদ, তাফসীর, ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের জ্ঞান রাখেন? আমার মনে হয় নাই। আর এটাই বাস্তব যে উনাদের অন্যান্য বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকলেও কোরআন হাদীস সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি আলেমদের তুলনায় খুবই অল্প।
* বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ধর্মপ্রতিমন্ত্রি বলেছেন আলোচনায় বসতে। এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হল এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়নি কেন? একটি সংগঠনের হরতালের মত বড় কর্মসূচির আগের দিন আলোচনায় বসার আহবান করা যে তাদেরকে ধোকা দেয়া এটা বিবেকবান মানুষ মানেই বুঝতে পারবে। আবার কথা হল তিনি বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রি, আর আমরা তাও জানি ধর্ম শুধু বিশ্বাসের নাম নয় ধর্মীয় বিধান পালন করাও ধর্মের শর্ত। ধর্মপ্রতিমন্ত্রি সাহেব কে দেখে মনে প্রশ্ন জাগে হয়ত তিনি ধর্ম সম্পর্কে জানেন না তা নাহলে তিনি জেনেও পালন করেন না। যেখানে ধর্মীয় কার্যাবলী নিজেই পালন করেন না সেখানে ধর্মীয় দ্বায়িত্ব নেন কিভাবে? আমরা কাহারও আলোচনা সমালোচনা করার জন্য তার বাহ্যিকতাই দেখব তার অন্তর সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
* যে বিষয়ে যে অভিজ্ঞ সে বিষয়ে তার কথা মানাই যুক্তি সঙ্গত। যেমন কাহারও অসুখ হলে তাকে ডাক্তারের কথা মেনে চলাই যুক্তি সঙ্গত। এ ব্যাপারে যদি সে পাইলটের কাছে চিকিৎসার জন্য যাওয়া হবে বোকামী। যদিও পাইলট ভিন্ন দিক দিয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। ঠিক তেমনি ভাবে কোরআন ও হাদীস নিয়ে আলোচনা হলে আলেমদের কথা মানাই যুক্তি সঙ্গত যদিও অন্যরা ভিন্ন দিক দিয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন। তাই কোরআন এবং হাদীস নিয়ে সরকার ও আলেম গন মুখোমুখি হলে আমি আলেমদের কথা মানাই যুক্তি সঙ্গত বলে মনে করি।
* সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোন সময় কোন কথা। একবার বলা হচ্ছে রাজনীতির সার্থে আমীনী সাহেব হরতাল ডেকেছেন। এখানেও আমার প্রশ্ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাওমী মাদ্রাসা হাট হাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতী আহমদ শফী সাহেব। ঢাকার বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার এর পরিচালক মুফতী আ: রহমান সাহেব সহ এমন ৬৭ জন বড় বড় আলেম এর নাম পত্রিকায় দেখলাম হরতালকে সমর্থন করেছেন যারা কোন ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত নন। তাহলে সমাধানের পথে না গিয়ে এসব উল্টা-পাল্টা বলার মানে কি?
সর্বোপরি হরতালের সরাসরি পক্ষে না হলেও নারীনীতি ২০১১ কোরআন বিরোধী বলে আসতেছেন এদেশের আলেম গন। সুতরাং কোরআন বিরোধী নারীনীতি মালা ২০১১ বাতিলের দাবীতে হরতাল পূর্ব মিছিলে “কোরআনের জন্যই জীবন দিলেন (কোরআন মুখস্ত কারী) হাফেজ সাইফুল ইসলাম।
সুতরাং কোরআন বিরোধী নারীনীতি মালা ২০১১ বাতিলের দাবীতে হরতাল পূর্ব মিছিলে “কোরআনের জন্যই জীবন দিলেন (কোরআন মুখস্ত কারী) হাফেজ সাইফুল ইসলাম।
শহীদ ছাত্রের নাম হাফেজ সাইফুল নয়, তার নাম হচ্ছে হাফেজ হুসাইন।
@মুসাফির, ধন্যবাদ আপনাকে।