সাহাবায়ে কেরাম কি সত্যের মাপকাঠি- নাকি কোরআন ও সুন্নার সত্যিকারের অনুসারী??
লিখেছেন: ' Islamickantho' @ সোমবার, জুলাই ৪, ২০১১ (১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ)
সাহাবাদের সংজ্ঞা ঃ-
যারা রাসুলে কারিম সাঃ কে জীবিত অবস্থায় পেয়ে তাঁর নিকট বাইয়াতের মাধ্যমে ঈমান গ্রহণ করেছে, ঈমানের উপর অটল থেকে ঈমানের সহকারে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে।
অর্থ্যা
১. রাসুল সাঃ কে জীবিত অবস্থায় পাওয়া।
২. রাসুলে কারিম সাঃ এর নিকট বাইয়াতের মাধ্যমে ঈমান গ্রহণ করা।
৩. গ্রহণকৃত ঈমানের উপর অটল থাকা।
৪. ঈমান সহকারে মৃত্যু বরন করা।
এই চারটি শর্তের যে কোন একটি শর্ত অপুর্ণ থাকলে সে সাহাবীদের অর্ন্তভুক্ত নন।
যেমন সাহাবীদের অর্ন্তভুক্ত নন আব্দুল্লাহ বিন উবাইর।
সাহাবীদের অন্তরভুক্ত নন রাসুলে আকরাম সাঃ এর চাচা আবু তালেব, যিনি মৃত্যুর আগ মূহুত পর্যন্ত রাসুল সাঃকে সাহায্য সহযোগীত করে ছিল।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতঃ-
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত কথাটির অস্তিত্ব থাকলেও এর কোন সাংগঠনিক কোন রূপ নেই। চার মাজহার ও আহলে হাদীসের অনুসারী হিসাবে পরিচিত সকল মুসলিমই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অর্ন্তভুক্ত। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কোন সাংগঠনিক রূপ না থাকায়, মাঝে মধ্যে ব্যক্তি স্বার্থে দ্বীনের স্বার্থে নয় একে ওকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে বের করে দেয়।
আছারঃ- সাহাবায়ে কেরামদের কথা ও কাজ।
যারা সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি মনে করেঃ-
উপমহাদেশ তথা ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ যে সকল স্থানে জামায়াতে ইসলামী নামের সংগঠনটির অস্তিত্ব রয়েছে বা ইসলামী চিন্তাবিদ মওদুদী সাহেবেকে নিয়ে আলোচনা হয়। সে সকল স্থানে সাহাবীগণ সত্যের মাপকাঠি কি মাপকাঠি নয় এই নিয়ে আলোচনা হয়। যারা সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি মনে করে তারা নিম্মের আয়াত গুলো পেশ করে থাকেনঃ-
তারা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন। সুরা-২ বাকারা- ১৩
তারা যদি ঈমান আনতো তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে। সুরা-২ বাকারা- ১৩৭
আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা স্যাদাতা হও মানবদন্ডলীর জন্য। সুরা-২ বাকারা- ১৪৩ তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। সুরা-৩ আল ইমরান-১১০
হে নবী! আপনার এবং আপনার সাথে যারা রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। সুরা-৮ আনফাল-৬৪
আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসনণ করছে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। সুরা-৯ তওবা- ১০০
আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন। সুরা- ৪৮ ফাতহ- ১৮
অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই, তারাই নৈকট্যশীল। সুরা- ৫৬ ওয়াকিয়া- ১০-১১
তারাই সত্যবাদী। যারা মুহাজিরদের আগমনের পুর্বে মদীনায় বসবাস করছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। সুরা-৫৯ হাশর-৮-৯
যে সকল হাদিস পেশ করা হয় তা ছয়টি সহী হাদিস গ্রন্থ খুজে পাওয়া যায় না।আশা রাখছি আল্লাহ যদি তাওফিক দেয় তবে আগামীতে উপরোক্ত কোরআনের আয়াত ও হাদিন সমুহ নিয়ে আলোচনা করার।
(চলবে)
ইসলামী চিন্তাবিদ মওদুদী সাহেবেকে নিয়ে আলোচনা হয়। সে সকল স্থানে সাহাবীগণ সত্যের মাপকাঠি কি মাপকাঠি নয় এই নিয়ে আলোচনা হয়। যারা সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি মনে করে তারা নিম্মের আয়াত গুলো পেশ করে থাকেনঃ-
আপনি সম্ভবত একজন মওদুদি মতবাদের অনুসারি। এইজন্য জনাব মওদুদেকে ইসলামী চিন্তাবিদ মওদুদী বলেছেন। যাহা পাক -ভারত উপমহাদেশের কোন সহী আলেম মনে করেন না। আর একমাত্র উনি আর ওনার অনুসারিরা সাহাবাদের কে সত্যের মাপকাঠি মানতে পারে না। আপনার জবাব দিবো ইনশা আল্লাহ।
@এম এম নুর হোসেন,সহী আলেম বলতে আপনি কি বুঝিন?
তবে আমার জানা মতে মওদুদী আমাদের চার সাহাবা [রাঃ], চার ইমাম [রঃ],এদের থেকে বেশী জানাতে বা বুঝাতে পারেন নাই। তবে বর্তমান সময়ের প্রবক্তা /বক্তা হিসাবে আমরা তার কথা পর্যালোচনা করতে পারি কিন্তু তা অবশ্যই সুনর্দিষ্ট বিষয় বা বক্তব্যের উপর।
মওদুদী কোরআন-হাদিস নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন । তাদের দেওয়া ব্যাখ্যা কারও খুব ভালো লাগবে আবার কারও ভিষন অপছন্দ হবে। ইসলামের গত ১৪০০+ বছরের ইতিহাসে এরকম ইসলামী চিন্তাবীদ অনেকেই এসেছেন, কেউ সমকালীন উম্মাহ দ্বারা সমাদৃত হয়েছেন, কেউবা নিগৃহীত হয়েছেন আবার কেউ পরবর্তীতে সমদৃত বা নিগৃহীত হয়েছেন। এই ইতিহাস অনেক বিস্তৃত। আপনি সাহাবিদেরকে সত্যের মাপকাঠি মনে করলে আপনার পক্ষে কোরআন ও সুন্নাহর দলিল পেশের মাধ্যমে এ জবাব দিন।অন্যথায় মুসলমানদের মধ্যে বিসৃংখলার সৃষ্টি হবে যার জন্য পরম আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে খবিস ইবলিস সয়তান পন্থি অমুসলিমরা। তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়া কি ঠিক হবে?
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েতসহ নেক কামিয়াবী দান করুন – আমীন।
@Islamickantho, তবে আমার জানা মতে মওদুদী আমাদের চার সাহাবা [রাঃ], চার ইমাম [রঃ],এদের থেকে বেশী জানাতে বা বুঝাতে পারেন নাই
চার সাহাবা ছাড়া অন্যান্য সাহাবাদের থেকে মওদুদী মনে হয় বেশি জানতেন? নাউজুবিল্লাহ । মওদুদী কোরআন-হাদিস নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন , তা ছিল তার মনগড়া। আপনারা মওদুদী পন্হীরা আজ এ জাতিকে বিভক্ত করেছেন তার প্রমান হল। মওদুদী পন্হী জামায়াত – শিবিরের চক্রের কোন কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে সুন্নাতের অনুসরনতো নাই, বরং কথায় কথায় সুন্নাতকে হেয় প্রতিপন্ন করে । মওদূদী হল এমন এক ব্যাক্তি- যিনি ইসলামের বিধি-বিধান, কুরআন ,হাদিস, নবী ,রাসূল এবং সাহাবাদের ব্যাপারে এমন কিছু বির্তকিত মন্তব্য করেছেন , যাহা ১৪০০ বছরের মধ্যে কোন আলেম উলমা তো দূরের কথা কোন সাধারন মানুষে ও করে নাই । মওদূদী তার তাফসীর তাফহীমুলের ভূমিকা লিখেছে – আমার মনে যা এসেছে তাই আমি লিখলাম। এটাকে বলাহয় তাফসীরবির রায়, যাকে বলা হয় মনগড়া। এ ব্যাপারে হাদিস শরিফে আছে যে কুরআনে কারিমের মনগড়া তাফসির করল ,সে যেন তার জায়গা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। জামায়াত-শিবিরের তৃণমূল তো দূরের কথা তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেও সুণ্ণাতের আমল নাই।মওদুদির হাজার হাজার বিতর্কিত মতামত আছে, যা ১৪০০বছরের মধ্যে কোন আলেম -উলামা গন বলেন নাই। অথচ জামায়াত-শিবিরের র্কমী-সদস্যরা তার অনুসরন করে। যাহার কারনে বাংলাদেশের কোন ইসলামী দল ও সহী আলেমদের সাথে এদের কোন সর্ম্পক নাই। আশা করি এখান থেকে সচেতন লোকেরা বুঝতে পারবে। আমার প্রশ্ন হল? মওদূদী নাহয় ভূল করেছে বা লিখেছে, আমাদেরকে কি তার কথার অনুসরন করতে হবে ? ইসলামের আক্বিদার সাথে সাংরর্ঘর্ষিক তার কথা গুলোকি বাদ দেওয়া যায়না ? আল্লাহ আমাদেরকে সহী বুঝ দান করুণ । আপনার প্রয়োজন হলে মওদুদীর বিতর্কিত মতামত গুলো জানতে হাফেজ্জী হুজুর রহ: শামছল হক ফরিদপুরি রহ: সহ আরো অনেক বড় বড় আলেম ওলামা বুযুর্গানেদ্বীনের বই সংগ্রহ করে পড়ার জন্য অনুরোধ রহিল।
@এম এম নুর হোসেন, আপনি আমার কথার ভূল ব্যাখ্যা করেছেন। মওদুদী কি বলেছে বা জামায়াত শিবির কি ভাবে চলে তা আমার আলোচ্য বিষয় নয়, কাল কিয়ামতের দিন আমাকে মওদুদী বা জামায়াত শিবির কি করে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হবেনা। তাই কোরআর সুন্নাহ কি বলে তা আমার আলোচ্য বিষয়। আপনার মতের পক্ষে কোরআন,সুন্নাহ কি বলে তা পেশ করুন।
Islamickantho,আপনি বলেছেন- যে সকল হাদিস পেশ করা হয় তা ছয়টি সহী হাদিস গ্রন্থ খুজে পাওয়া যায় না।আপনি কোন হাদিস পাননি জানিনা, আপনার হাদিস গুলো পেশ করুন। এরপর দেথবো। কুরআনে কারিমে আপনি সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি হিসাবো কোন প্রমান পাননি?
এখন আপনাকে বলছি- আপনি কি সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি হিসাবো মনে করেন?
আপনি কি কোন আলেম? আপনি কি করেন? আগে বলুন। আপনার এই লেখাটি ভূলে বরপুর। আপনি একজন আলেম কে এই লেখাটি দেখানের অনুরোধ রহিল।
@এম এম নুর হোসেন,আলেম বলতে আপনি কি বুঝেন?
@Islamickantho, ।আপনাকে যে প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দেন । যে ব্যাক্তি আলেমের সান বুঝেনা , উনি আবার মওদূদীর পচা লেখা নিয়ে গবেষনার চিন্তা করেন কিভাবে? তা ও আবার সাহাবাদের হেয় প্রতিপন্ন করে। আসল উদ্দ্যেশ্য কি তা বলেন।
সাথে থাকলাম দেখি কি বলেন!
@মুসাফির, সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েতসহ নেক কামিয়াবী দান করুন – আমীন।
যারা সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি মনে করেঃ- ………… এর পর যে দলীল গুলি উল্লেখ করলেন যদি সাহাবায়ে কেরাম রা: কে সত্যের মাপকাটি না মানেন তাহলে সেগুলির জবাব কি আশা করি দ্রুতই বলবেন।
যাহারা মওদুদীর সাহাবী তাহারা দয়া করিয়া ইহা দেখিতে পারেন…
http://www.peaceinislam.com/asksumon007/10633/
এই চারটি শর্তের যে কোন একটি শর্ত অপুর্ণ থাকলে সে সাহাবীদের অর্ন্তভুক্ত নন।
যেমন সাহাবীদের অর্ন্তভুক্ত নন আব্দুল্লাহ বিন উবাইর।
তাকে কে সাহাবী বলেছে ভাই?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কোন সাংগঠনিক রূপ না থাকায়, মাঝে মধ্যে ব্যক্তি স্বার্থে দ্বীনের স্বার্থে নয় একে ওকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে বের করে দেয়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত কারো পিতৃসস্পত্তি নয় যে চাইলেই একে ওকে বের করে দেবে।
যে সকল হাদিস পেশ করা হয় তা ছয়টি সহী হাদিস গ্রন্থ খুজে পাওয়া যায় না।আশা রাখছি আল্লাহ যদি তাওফিক দেয় তবে আগামীতে উপরোক্ত কোরআনের আয়াত ও হাদিন সমুহ নিয়ে আলোচনা করার।
হাদিসগুলো যদি সূত্রসহ উল্লেখ করলেন না কেন?
হাদিসগুলো যদি সূত্রসহ উল্লেখ করলেন না কেন?=হাদিসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করলেন না কেন?