নামাজে সালাম ফিরানোর পর মুসল্লিদের নিয়ে হাত উঠিয়ে মুনাজাত সুন্নাহ না বিদ’য়াত ?
লিখেছেন: ' Islamickantho' @ মঙ্গলবার, জুলাই ৫, ২০১১ (৬:৪৫ অপরাহ্ণ)
নামাজে সালাম ফিরানোর পর মুসল্লিদের নিয়ে হাত উঠিয়ে মুনাজাত সুন্নাহ না বিদ’য়াত ?
নামাজ ইসলামের সেরা ইবাদত। ঈমানদার ও ফাসেকের মধ্যে পার্থক্যকারী, মুমীনের মেরাজ, অশ্লীল ও ফায়েসা কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখার মধ্যম।
অজ্ঞতার কারণে আমরা নামাজে এমন কিছু নিয়ম পালন করি যা রাসুল সাঃ পালন করেনি। অথচ রাসূল সাঃ বলেছেন
“তোমরা সেভাবেই সালাত আদায় কর যে ভাবে আমাকে আদায় করতে দেখেছ”। (বুখারী ও মুসনাদে আহমদ)
আর আল্লাহর কথা হচ্ছে
হে নবী, বলেদিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবেশে থাক, তবে আমাকে অনুসরন কর। সুরা আল ইমরান- ৩১
আল্লাহর রাসুল তোমাদের যা দিয়েছে, তোমরা তা মেনে চলো। সুরা হাশর-৭
নামাজে সালাম ফিরানোর পর মুনাজাত
যারা সুন্নতে রাসুল ও সাহাবায়ে কিরামের আছার সর্ম্পকে অবগত হয়ে তা দূরিভূত করার চেষ্টা করতে চায় তারা অজ্ঞ লোকদের তিরিস্কারের শিকার হন।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মসজিদের ইমাম সাহেবরা নামাজের সালাম ফিরানোর পর মুসল্লিদির নিয়ে হাত উঠিয়ে মুনাজাত করাকে অবশ্য জরুরী কাজ হিসাবে গ্রহণ করেছে। অথচ রাসূল সাঃ নামাজের সালাম ফিরানোর পর মুসল্লিগণকে নিয়ে হাত উঠিয়ে মুনাজাত করেছেন বলে প্রমাণ নেই।
ইমাম সাহেবগণের এই কাজের ফল এমন দাড়িয়েছে যে, এখন মুসল্লিগণ মুনাজাত কে নামাজের অংশ মনে করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় বেশী ভাগ ক্ষেত্রেই অবস্থা এতোটাই চরম আকার ধারন করেছে যে, কোন ইমাম সাহেব যদি নামাজে সালাম ফিরানোর পর মুসল্লিদের নিয়ে হাত উঠিয়ে মুনাজাত না করে তবে তার ইমামতিই থাকবে না।
আমরা বলবো, কোন ইমাম যদি কখনো মুসল্লিদের নিয়ে মুনাজাত করেন তবে তা না জায়েয নয়, তবে নিয়মে পরিনত করা বা প্রত্যেক নামাজের সালাম ফিরানোর পর তা অপরিহার্য ও অবধারিত করে নেয়া সুন্নতে রাসুল পরিপন্থি।
তথ্য সূত্রঃ-আল্লামা হাফিয ইবনুল কায়্যিম এর লেখা “যাদুল মা’আদ” গ্রন্থ
তবে কেউ যদি জরুরী মনে না করে এমনেতেই ফরজ নামাজের পর হাত উঠিয়ে দোয়া করে তাহলে সেটা জায়েয হবেকি ?
@anamul haq, সম্ভবত আপনি লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়েননী। শেষ লাইনটি ভালভাবে পড়ুন।
লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলে বিষয়টিকে অনেকে গুরূত্ত্ব নাও দিতে পারেন। ইসলামে এ রকম অনেক বিষয় আছে যা আমরা বিভিন্নভাবে পালন করে থাকি। অথচ আলকুরআনের কোন পরিবর্তন নাই- আমরা এর অনেক বিষয় বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকি এবং এতে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়।এখানেই শয়তান তার ওয়াসওয়াসা বাস্তবায়নে খুশী।সহীহ হাদিসে রাসুল সাঃ এর নির্দেশের সবকিছুই পাওয়া কিন্তু আমাদের সেসব খুজে দেখার সময় হয় না। কারও কাছ থেকে ধর্ম সমপর্কে কিছু শুনলে অবশ্যই উপযুক্ত রেফারেন্স ছাড়া তা গ্রহণ করা যাবে না। আমরা অনেকেই এটা করি না বিধায় আমাদের মধ্যে এত দলাদলি- এবং মাযহাব নিয়ে টানাটানি করি বা কাউকে নামাযহাবি বলে থাকি। এটা মুর্খতা।এভাবে আমাদের মধ্যে ৭৩ দল তৈরী হবে-যা সমপর্কে রাসুল সাঃ বলে গেছেন।
আমাদের সকলকে অবশ্যই সহীহ হাদিস পড়ার সময় করে নিতে হবে-এতে আমাদের মধ্যেকার পার্থক্যগুলি দূর হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।একখন্ডে সহীহ বোখারী, সহীহ মুসলিম , মেশকাত ও অন্যান্য হাদিস সমূহ বাজারে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যায়। ইনটারনেট থেকে http://www.islamiboi.wordpress.com থেকে বাংলায় সবকিছুই পাওয়া যায়।
@Mujibur Rahman,
সহীহ হাদিস বলতে আপনি কোনগুলোকে বুঝাচ্ছেন?
@ম্যালকম এক্স,
আমার জানা মতে সিয়া সাত্তাকে সহীহ হাদিস বলা হয়- বুখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ, তিরমিযী,আবু দাউদ,নাসাই ও ইবনে মাজাহ।
মেশকাত শরীফ হচ্ছে সিয়া সাত্তার সংকলন।
@Mujibur Rahman, সিহাহ সিত্তাহ এর সব হাদীস ই সহীহ না যে গুলি মুহাদ্দীসিন গণ স্পষ্ট করেছেন। আবার সিহাহ সিত্তাহ ব্যতিত অন্যান্য কিতাবে ও সহীহ হাদীস অনেক রয়েছে। এ ব্যাপারে কোন আলেমের নিকট থেকে জেনে নিতে পারেন।
@সত্যের সন্ধানী ১০০%,সংগৃহিত হাদীস গুলোর মধ্যে এখনও যে হাদীস গুলোকে মুহাদ্দীসগণ দুর্বল বলেনি সেই হাদীস গুলোকে আমরা সহি বলতে পারি।
@Mujibur Rahman, শুধু সিহাহ সিত্তার হাদিসকেই সহীহ হাদিস বলা সহীহ হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক। উসুলে হাদিসে যেই গুনে গুনান্বিত হলে হাদিসকে সহীহ বলা হয়, সেসকল গুন যেই হাদিসেই পাওয়া যাবে তাই সহীহ হাদিস। চাই তা সিহাহ সিত্তায় থাকুক বা না থাকুক। আশা করি উসুলে হাদিস সম্পর্কে পড়াশোনা করলে আরো ভাল জানতে পারবেন।
@lutforfarazi, সহমত।