পীর- মুরীদ/ বাইয়াত
লিখেছেন: ' Islamickantho' @ বুধবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১ (৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
বাইয়াত ইসলামের একটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ণ পরিভাষা। সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সাঃ) এর নিকট বাইয়াত হয়েছেন। রাসুল (সাঃ) এর ইন্তিকালের পর সাহাবায়ে কেরাম হযরত আবুবকর (রাঃ) এর নিকট বাইয়াত হয়েছেন। মুসলিম সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব যার উপর ন্যস্ত হয়েছিল তাঁর নিকট বাইয়াত হওয়া ইসলামের ইতিহাসে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত।
আমাদের দেশ ও উপমহাদেশে পীর- মুরীদদের বেলায় পরিভাষাটি বিশেষ ভাবে পরিচিত। অনেক পীর বলে থাকের যার পীর নাই, তার পীর শয়তান, আবার অনেকে বলে থাকেন পীর না ধরলে বেহেস্তে যাওয়া যাবেনা। কিন্তু অনেকেই ইসলামের বাইয়াত পরিভাষাটির সঠিক তাৎপর্য না জানার কারনে ভুল করে এবং এমন লোককে পীর হিসাবে গ্রহণ যে মুসলিম সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার পরির্বতে ভুল পথে পরিচালনা করে থাকে।আমাদের সমাজে অনেক পীর দেখা যায় শরীয়তের আহকাম পালন করা তো দুরের কথা বরং শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপে মত্য থাকে, গাজা সেবন, নারী- পুরুষের একত্রে নাচ-গান বেপর্দা হওয়া ইত্যাদী। আবার কিছু পীর পাওয়া যায় যাবা শরীয়াতের কিছু আহকাম পালন করে, নিজের মুরিদদেরকে মেনে চলতে বলে। কিন্তু এরাই সে সকল ব্যাংকের সাথে লেন- দেন করে যারা ঘোষণা দিয়ে সুদের ব্যবসা করে। ব্যক্তিগত ভাবে জমির উপর বা ফসলের উপর টাকা লাগিয়ে সুদের ব্যবসা করে।আল্লাহ তৌফিক দিলে বাইয়াতের উপর কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করব। তার আগে আমি আমাকে এবং যারা অত্র ব্লগে আমার লেখার উপর মন্তব্য করতে চান তাদেরকে আল্লাহ ভীতির উপদেশ দিচ্ছি।
বাইয়াত অর্থ
বাইয়াত আরবী শব্দ بِيْع শব্দ থেকে গঠিত। بِيْع অর্থ বেচা-কেনা, লেন-দেন, ক্রয়-বিক্রয় তবে মূল অর্থ বিক্রয় করা।
বিখ্যাত আরবী অভিধান “মু‘জামুল লুগাতুল আরাবীয়াতিল মাফাসিল” যার সংকলক MILTON COWAN তাতে بِيْع অর্থ লিখা হয়েছে To Sell, To Make a Contract, To Pay Homage, To acknowledge Severing or leader etc.
এর অভিধানে بِيْع অর্থ লিখা হয়েছে Agreement, Arrangement business deal Commercial transaction, Bargain sale Purchase Homage etc.
কুরআনের পরিভাষায় بِيْع শব্দের ব্যবহার
কয়েকটি সুরায় بِيْع শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে বেচা- কেনা, ব্যবসা- বাণিজ্য ও রুজি- রোজগারের উদ্দেশ্যে رِجَالٌ لَّا تُلْهِيهِمْ تِجَارَةٌ وَلَا بَيْعٌ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاء الزَّكَاةِ يَخَافُونَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيهِ الْقُلُوبُ وَالْأَبْصَارُ
এরা এমন লোক, যাদেরকে ব্যবসা- বাণিজ্য ও ক্রয়- বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে,যে দিন অন্তর ও দৃষ্টি সমুহ উল্টে যাবে।(সুরা- নুর- ৩৭)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
হে মুমিনগণ, জুমাআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ছুটে চল এবং বেচা-কেনা বন্ধকর।এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝে থাক।(সুরা- জুমাআ- ০৯)
তবে আরো কয়েকটি সুরায় بِيْع শব্দটিকে নিজের সত্তা, জান- মালকে কোন মহান উদ্দেশ্যে আল্লাহ ও রাসুলের নিকট সমর্পন করার চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার বা ওয়াদা করা।إِنَّ اللّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللّهِ فَاسْتَبْشِرُواْ بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদরে থেকে, তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জলি ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবচিল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক ? সুতরাং তোমরা আনন্দতি হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমাদের করেছ তাঁর সাথ।আর এ হল মহান সাফল্য। (সুরা তওবা- ১১১)
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أَوْفَى بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا
হে রাসুল,যারা আপনার কাছে আনুগত্যরে শপথ কর, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যরে শপথ কর। আল্লাহর হাত তাদরে হাতরে উপর রয়ছে। অতএব, যে শপথ ভঙ্গ কর; অতি অবশ্যই সে তা নজিরে ক্ষতির জন্যই করে এবং যে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার র্পূণ কর; আল্লাহ সত্ত্বরই তাকে মহাপুরস্কার দান করবনে।(সুরা ফাতহ- ১০)
لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا
আল্লাহ মুমনিদরে প্রতি সন্তুষ্ট হলনে, যখন তারা বৃক্ষরে নীচে আপনার কাছে শপথ করল। আল্লাহ অবগত ছলিনে যা তাদরে অন্তরে ছলি। অতঃপর তনিি তাদরে প্রতি প্রশান্তি নাযলি করলনে এবং তাদরেকে আসন্ন বজিয় পুরস্কার দলিনে।(সুরা ফাতহ- ১৮)
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
হে নবী, ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যরে শপথ করে য,ে তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভচিার করবে না, তাদরে সন্তানদরেকে হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থকেে আপন র্গভজাত সন্তান বলে মথ্যিা দাবী করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না, তখন তাদরে আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদরে জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা র্প্রাথনা করুন। নশ্চিয় আল্লাহ ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু। (সুরা মুমতাহিনা- ১২)
এই কয়েকটি আয়াতে মুমিনের জান- মাল, ইচ্ছা- বাসনা অর্থ্যা তার পূর্ণ সত্তাকে আল্লাহর মর্জির নিকট সমর্পন করা। আর এটাই ইসলাম কবুলের মর্মকথা । ইসলাম শব্দের অর্থ আত্মসর্ম্পন করা, আর বাইয়াতের মাধ্যমে আত্মসর্ম্পনের বাহ্যিক রূপ প্রকাশ পায়।
আমরা ইতিপূর্বে বাইয়াতের আভিধানিক ও আল কোরআনের পরিভাষায় বাইয়াতের অর্থ কি তা লিখেছি। এখানে বাইয়াত এর ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব আলোচনা করবো। আমার লেখায় কোন ভুল ধরিয়ে দিলে তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।
বাইয়াত এর ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব
সুরা তওবার ১১১ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ঘোষনা করেছেন যে, মুমিনের জান-মাল বেহেস্তের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন। আর মালের মালিক যদি নিজ ইচ্ছায় মাল বিক্রয় না করে তবে তার মাল কেহ ক্রয় করতে পারে না। অর্থাৎ যে সকল মুমিন নিজ ইচ্ছায় জান-মাল বিক্রয় করতে ইচ্ছুক আল্লাহ তাদের কাছ থেকেই জান-মাল ক্রয় করতে ইচ্ছুক।
আর যারাই জান-মাল বিক্রয় করবে তারাই সত্যিকারের মুমিন। যেহুত বেহেশত দুনিয়ার জীবনে পাওয়া সম্ভব নয় তাই বেহেশতের বিনিময়ে ক্রয় করা জান ও মাল আল্লাহ সাথে সাথে নিয়েও নেন না।
উপমা স্বরূপ বলা যায় আপনি হাট বা বাজার হতে মাল ক্রয় করলেন এই শর্তে যে, মাল বাড়ী পর্যন্ত পৌছে দিলেই মালেন মালিক বিনিময় মূল্য বুঝে পাবে।
তদ্রুপ মুমিন যখন তার জান-মাল আল্লাহর নিকট বিক্রয় করার শপথ দেয় তখন আল্লাহ মুমিনের জান-মাল এই শর্তে ক্রয় করে যে, তার বাকী জীবন আল্লাহর মর্জি মতো পথে পরিচালিত করবে। আর যে সকল মুমিন আল্লাহর মর্জি মত জীবন পরিচালনা করতে পারে তারাই মৃত্যুর পরপারে বেহেশত পেতে পারে অন্যথায় নয়।
তাই তো সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাঃ এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। আর রাসূল সাঃ দুনিয়া হতে চলে যাওয়ার পর সাহাবয়ে কেরাম মুসলিম জামায়াতের আমীর হযরত আবূবক্কর রাঃ এর নিকট আবার বাইয়াত গ্রহণ করেন। এর ধারা বাহিকতায় সাহাবয়ে কেরাম খলিফাগণের নিকট বাইয়াত গ্রহণ করতে হয়েছে।
সুতারং যে সকল মুমিন আল্লাহর নিকট তাদের জান-মাল বিক্রয় করতে চান তাদের কে অবশ্যই বাইয়াত গ্রহণ করতে হবে। আর বাইয়াত গ্রহণ ব্যতিত কেহ বেহেশতে যেতে পারবেনা।
অনেকেই ভালভাবে না পরেই মন্তব্য করেন। যারা আমার লেখার উপর মন্তব্য করবেন তাদের নিকট আমার অনুরোধ ভালোভাবে পড়ে মন্তব্য করবেন।
সুতারং যে সকল মুমিন আল্লাহর নিকট তাদের জান-মাল বিক্রয় করতে চান তাদের কে অবশ্যই বাইয়াত গ্রহণ করতে হবে। আর বাইয়াত গ্রহণ ব্যতিত কেহ বেহেশতে যেতে পারবেনা। ১। কোথায় কার কাছে কি ভাবে বাইয়াত করতে হবে একটু ব্যাখ্যা দিবেন কি?
২।আর যারা কারও কাছে বাইয়াত গ্রহন না করে শরিয়তের অন্যান্য বিধান পরিপূর্ণ ভাবে পালন করে গেছেন তারা কি সবাই জাহান্নামে যাবেন?
৩।আর বাইয়াত গ্রহণ ব্যতিত কেহ বেহেশতে যেতে পারবেনা। আপনার একথার দলীল কি জানালে উপকৃত হতাম।
১। এখনও যারা রাসুল সাঃ এর আগমনের মুল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে, সেই জামায়াতের আমীরের নিকট বাইয়াত গ্রহল করতে হবে।
২।আর কারও কাছে বাইয়াত গ্রহন না করে শরিয়তের বিধান পরিপূর্ণ ভাবে পালন সম্ভব নয়। কেননা আল্লাহ বলেন “আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।”
সুরা আল ইমরান আয়াত – ১০৩
৩। আল্লাহ বলেন “আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।” সুরা তাওবা -১১১
@Islamickantho, এখনও যারা রাসুল সাঃ এর আগমনের মুল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে, সেই জামায়াতের আমীরের নিকট বাইয়াত গ্রহল করতে হবে। বর্তমানে সেই জামাত কোনটি?
@মুসাফির আপনাকে কোরআন ও হাদিস পড়েত হবে। আপনার বুঝ অনুযায়ী তার সাথে মিলিয়ে নিতে হবে।অপেক্ষায় থাকুন জানতে পারবেন।
আর বাইয়াত গ্রহণ ব্যতিত কেহ বেহেশতে যেতে পারবেনা। আপনার পূর্ব পূরুষ সবাই বাইয়াত গ্রহন করেছিলেন তো?
@Islamickantho, আমরা এখন কার নিকট বাইয়াত করতে পারি? বা আপনি কি কারও নিকট বাইয়াত করেছেন?
তবে আমার পুর্ব পুরুষদের অনেকেই বাইয়াত গ্রহণ করেনি। তাহলে উনারা কি বাইয়াত গ্রহন না করার কারণে সবাই জাহান্নামী? কোরআন বা হাদীসের কোথায় উল্লেখ আছে যে বাইয়াত গ্রহন না করলে বেহেস্তে যাওয়া যাবেনা?
এখনও যারা রাসুল সাঃ এর আগমনের মুল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে, সেই জামায়াতের আমীরের নিকট বাইয়াত গ্রহল করতে হব
২।আর কারও কাছে বাইয়াত গ্রহন না করে শরিয়তের বিধান পরিপূর্ণ ভাবে পালন সম্ভব নয়। কেননা আল্লাহ বলেন “আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।”
সুরা আল ইমরান আয়াত – ১০৩
৩। আল্লাহ বলেন “আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।” সুরা তাওবা -১১১
সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাঃ এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। আর রাসূল সাঃ দুনিয়া হতে চলে যাওয়ার পর সাহাবয়ে কেরাম মুসলিম জামায়াতের আমীর হযরত আবূবক্কর রাঃ এর নিকট আবার বাইয়াত গ্রহণ করেন। এর ধারা বাহিকতায় সাহাবয়ে কেরাম খলিফাগণের নিকট বাইয়াত গ্রহণ করতে হয়েছে। এখনও যারা রাসুল সাঃ এর আগমনের মুল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে, সেই জামায়াতের আমীরের নিকট বাইয়াত গ্রহল করতে হবে। তবে আমার পুর্ব পুরুষদের অনেকেই বাইয়াত গ্রহণ করেনি।
খুব ভাল লিখেছেন তবে বাইয়াত গ্রহণ ব্যতিত কেহ বেহেশতে যেতে পারবেনা।
কেন তার দলীল ও ব্যাখ্যা দিলে ভাল হত ধন্যবাদ
বাইয়াত অর্থ আপনার জান-মাল আল্লাহর নিকট বিক্রয় করার শপথ করা। আর আপনি যদি আপনার জান-মাল আল্লাহর নিকট বিক্রয় না করেন তবে কি ভাবে আপনি জান্নাতে যাবেন? আল্লাহ বলেন “আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।”
সুরা তাওবা -১১১
@jaran, বাইয়াত অর্থ আপনার জান-মাল আল্লাহর নিকট বিক্রয় করার শপথ করা। আর আপনি যদি আপনার জান-মাল আল্লাহর নিকট বিক্রয় না করেন তবে কি ভাবে আপনি জান্নাতে যাবেন? আল্লাহ বলেন “আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।”
সুরা তাওবা -১১১
Islamickantho
1