নামাজের বিষয়ে একটি প্রশ্ন।
লিখেছেন: ' কিছু জানতে চাই' @ মঙ্গলবার, নভেম্বর ৮, ২০১১ (২:০৬ অপরাহ্ণ)
আস-সালামু আলাইকুম
আমি এই ব্লগের নতুন সদস্য হিসাবে আমার প্রথম প্রশ্নঃ আমরা নামাজে দাড়ানোর আগে নিয়ত করি, ইহরাম বাধি, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়ি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে সূরা ফাতিহার পরে কি আবার বিসমিল্লাহ বলে পরবর্তী সূরা পাঠ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলবেন কি?
৩২০ বার পঠিত
আচছালামু আলাইকুম,
নামাযে হউক বা নামাযের বাহিরে হউক যে কোন সূরার পূর্বে বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম বলতে হবে।সূরা তওবার শূরুতে বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম নাই। নামাযে বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম শব্দ না করে বলা ভাল।
@Mujibur Rahman, ইমাম আবু হানিফা রঃ এর মত আনুযায়ী পরবর্তী সুরার পুর্বে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে না।আর আপনি যে মতটি দিলেন তা কি আপনার নিজস্ব না স্বনামধন্য কোন আলেমের মত ?
@দেশী৪৩২,আমাদের আলেমরা এই ভাবে নামাজে পরবর্তী সুরার পুর্বে বিসমিল্লাহ পড়তে বলেছেন।’নামাজে পরবর্তী সুরার পুর্বে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে না’-এ ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস আমার জানা নাই। আপনার জানা থাকলে দয়া করে সূত্র উল্লেখ করুন।
@Mujibur Rahman,আমাদের দেশসহ সাড়া বিশ্বের অনেক বড় বড় আলেমগন যুগ যুগ ধরে হানাফি মাযহাব মেনে চলছেন।কোনরুপ প্রশ্ন তোলার সাহস পেলেন না। আর আপনি আমাদের দেশের কিছু আলেমের কথা মেনে চলছেন, আর ইমাম আবু হানিফা রঃ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না ।যিনি জীবনের চল্লিশ বৎসর এশার নামাজের অজু দিয়ে ফজর নামাজ পড়েছেন । হায়রে হতভাগা।আল্লাহ পাক আমদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।আমিন।
@দেশী৪৩২,আপনি নিশ্চয়ই জানেন, পরকালে কোন ইমাম বা পীর আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন না।কিয়ামতের দিন সবাই ‘ইয়া নফসি ইয়া নফসি’ করবেন, একমাত্র রাছুল(সাঃ) বলবেন ‘ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মতি’ ।সেদিন প্রত্যকে তার নিজের আমলের জন্যই জবাব দিহি করতে হবে-কেউই অন্যের দায় দায়িত্ত্ব নেবে না,-না তার পিতামাতা না তার সন্তান, ইমাম/পীরের তো প্রশ্নেই আসে না। আল্লাহ সুবহানল্লাহু তাআলা আমাদেরকে পড়তে শিখিয়েছেন, জ্ঞান দিয়েছেন। তাহলে কেন আমি রাছুল(সাঃ) এর হাদিস বিদ্যমান থাকতে সেগুলি খুঁজে দেখব না বা সকলকে তা দেখতে পরামর্শ দিব না? আল্লাহ সুবহানল্লাহু তাআলা আমাদের ভাগ্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন- অন্য কারও দুর্ভাগ্যের জন্য আফসোস করে লাভ নেই -নিজের দুর্ভাগ্যের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে পানা চাইতে হবে মাত্র। আল্লাহ সুবহানল্লাহু তাআলা আমাদেরকে সকলকে এক রাছুলের(সাঃ) সঠিক অনুসারী হওয়ার তওফিক দিন। আমীন!
@Mujibur Rahman, আপনার এত সময় থাকলে গবেষনা করতে থাকেন।আমাদের দেশের আলেমদের কথা বলছেন বা শুনছেন কেনো ? আর গবেষনা করতে গিয়ে লক্ষ্য রাখবেন কাদিয়ানী,মওদুদী বা খারেজীদের মত বিভ্রান্তিতে যেন না পরেন।আর সম্ভব হলে আমাদের দেশের এই গরীব আলেমেরর বক্তব্যও শুনবেন ইনশাআল্লাহ।গবেষনা কাজে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন।ধন্যবাদ।
http://www.youtube.com/watch?v=a0GXLMlGQ3U&feature=BFa&list=UL616sbyiP_Ss&lf=mfu_in_order
@দেশী৪৩২ শিয়া বা কাদিয়ানী মত বিভ্রান্তিতে কাদের বেশী পরার সম্ভাবনা ?-যারা শুধু রাছুলের(সাঃ) কে একমাত্র নেতা মনে করেন তারা ?নাকি যারা দ্বিতীয়
কোন নেতাকে বেশী প্রধান্য দিয়ে থাকেন তারা ? সহীহ হাদীসের একটি সূত্র জানতে চাইলাম দিতে পারলেন না। সময় হলে শুনার চেষ্টা করব আপনার বক্তব্য তবে কুরআন-হাদীসের বাহিরে কোন কথা না- এটা বেদাত।
@Mujibur Rahman, আমি ছোট হয়ে একটি কথা বলি, আমরা জানি পৃথিবীতে চারটি মাজহাবের একটি হচ্ছে, হানাফী মাজহাব। এখন আপনি কি এই মাজহাব অনুসরণ করতে অবাধ্য করছেন বা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলুন। সকলের উপকার হবে।
@কিছু জানতে চাই, অনুগ্রহগ করে এই আর্টিকেলটি পড়ুন
@Mujibur Rahman, আচছালামু আলাইকুম।
আপনি বলেছেন,
“নামাযে হউক বা নামাযের বাহিরে হউক যে কোন সূরার পূর্বে বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম বলতে হবে।সূরা তওবার শূরুতে বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম নাই। নামাযে বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম শব্দ না করে বলা ভাল।”
দলিল দিলে উপকৃত হতাম।
@দেশী৪৩২,
ভাইজান এশার নামাযের ্ওযু দিয়ে ৪০ বছর ফযরের নামায পড়লেন, এটা কিভাবে সম্ভব। তাহলে কি উনি সংসার বিমুখ ছিলেন।
@Mujibur Rahman, ধন্যবাদ।