লগইন রেজিস্ট্রেশন

তাকদীর,ইসলাম,ঈমান ,ইহসান,কিয়ামত

লিখেছেন: ' jaran' @ মঙ্গলবার, অগাষ্ট ৬, ২০১৩ (৪:৩০ অপরাহ্ণ)

আবু খায়সামা যুহায়র ইবন হারব (র)…..ইয়াহইয়া ইবন ইয়া’মার (র) থেকে বর্ণনা করেন । তিনি (ইয়াহইয়া ইবন ইয়া’মার) বলেন, সর্বপ্রথম ‘কাদর’ সম্পর্কে বসরা শহরে মাবাদ আল জুহানী কথা তোলেন । আমি (ইয়াহইয়া ইবন ইয়া’মার) এবং হুমায়দ ইবন আব্দুর রহমান আল হিমায়রী হজ্জ অথবা উমরা আদায়ের জন্য মক্কা মু’আযযামায় আসলাম । আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম যে, যদি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর কোন সাহাবীর সাক্ষাৎ পাই তাহলে তাঁর কাছে এসব লোক তাকদীর সস্পর্কে যা বলে বেড়াচ্ছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতাম । সৌভাগ্যক্রমে মসজিদে নববীতে আমরা আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর দেখা পাই । আমরা তাঁর কাছে গিয়ে একজন তাঁর ডানপাশে এবং আর একজন বামপাশে বসলাম । আমার মনে হলো, আমার সাথী চান যে, আমিই কথা বলি । আমি আরয করলাম, হেআবু আবদুর রহমান! আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর কুনিয়াত ছিল আবু আবদুর রহমান । আমার দেশে এমন কতিপয় লোকের আবির্ভাব হয়েছে যারা কুরআন পাঠ করে এবং ইলমে দীন সম্পর্কে গবেষণা করে ।……তিনি তাদের অবস্হা সস্পর্কে আরো কিছু উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, তারা মনে করে তাকদীর- বলতে কিছু নেই । সবকিছু তাৎক্ষনিকভাবে ঘটে ।

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বললেন, তাদের সাথে তোমাদের দেখা হলে বলে দিও যে, তাদের সাথে আমার কোন সস্পর্ক নেই এবং আমার সঙ্গে তাদেরও কোন সম্পর্ক নেই । আল্লাহর কসম! যদি এদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনার মালিক হয় এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে, তাকদীরের প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত আল্লাহ তা কবুল করবেন না । তারপর তিনি বললেন, আমাকে আমার পিতা উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) হাদীস শুনিয়েছেন যে, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর খিদমতে ছিলাম । এমন সময় একজন লোক আমাদের কাছে এসে হাযির হলেন । তাঁর পরিধানের কাপড় ছিল সাদা ধবধবে, মাথার কেশ ছিল কাল কুচকুচে । তাঁর মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না । আমরা কেউ তাঁকে চিনি না । তিনি নিজের দুই হাঁটু নবী করীম (সাঃ)-এর দুই হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসে পড়লেন আর তার দুই হাত নবী (সাঃ)-এর দুই উরুর উপর রাখলেন । তারপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সস্পর্কে অবহিত করুন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ইসলাম হলো, তুমি এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ইই মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল, নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রামাযানের রোযা পালন করবে এবং বায়তুল্লাহ পৌছার সামর্থ্য থাকলে হজ্জ পালন করবে । আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন । তার কথা শুনে আমরা বিষ্মিত হলাম যে,তিনিই প্রশ্ন করেছেন আর তিনিই-তা সত্যায়িত করছেন । আগন্তুক বললেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে অবহিত করুন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসুলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে, আর তাকদিরের ভালমন্দের প্রতি ঈমান রাখবে । আগন্তুক বললেন,আপনি ঠিকই বলেছেন ।তারপর বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ইহসান হলো,এমনভাবে ইবাদত-বন্দেগী করবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে তিনি তোমাকে দেখছেন ।আগন্তুক বললেন, আমাকে কিয়ামত সস্পর্কে অবহিত করুন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে তিনি অধিক অবহিত নন । আগন্তুক বললেন, আমাকে এর আলামত সস্পর্কে অবহিত করুন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ তা হলো এই যে,দাসী তার প্রভুর জননী হবে; আর নগ্নপদ, বিবস্ত্রদেহ দরিদ্র মেষপালকদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে । উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বললেন যে,পরে আগন্তুক প্রস্হান করলেন । আমি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম । তারপর রাসুল (সাঃ) আমাকে বললেন, হে উমর! তুমি জান, এই প্রশ্নকারী কে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই সম্যক জ্ঞাত আছেন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ তিনি জিবরাঈল । তোমাদের তিনি দীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন । সহিহ মুসলিম :: বই ১ :: হাদিস ১

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৭৩ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)