লগইন রেজিস্ট্রেশন

তাযাল্লিয়াতে সফদর [জনৈক কথিত আহলে হাদীসের সাথে মুলাকাত ও কথোপথন]

লিখেছেন: ' kawsartex' @ বৃহস্পতিবার, মে ১০, ২০১২ (৪:৪৯ অপরাহ্ণ)

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। যিনি দ্বীন বুঝার জন্য আমাদের ফুক্বাহাদের দিকে মনোনিবেশ করার আদেশ দিয়েছেন (সূরা তাওবা-১২২)। আর শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচতে রাসূল সা. এর অনুসরণ করার সাথে উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী মুজতাহিদদের অনুসরনের আদেশ দিয়েছেন,(সূরা নিসা-৮৩)। আর অগণিত সালাম ও দরূদ ঐ রাহমাতাল্লিল আলামীনের উপর, যিনি ফিক্বহকে কল্যাণ ফক্বীহদের কল্যাণী বলে ঘোষণা দিয়েছেন (বুখারী মুসলিম)। আর মুজতাহিদের সঠিকতার উপর দু’টি পূণ্য, আর ভুলের উপর একটি পূণ্যের ঘোষণা দিয়েছেন। আর বলেছেন যে, “একজন ফক্বীহ শয়তানের উপর হাজারো আবেদ থেকে শক্তিশালী”। আর তার আহলে বাইত ও এবং সাহাবায়ে কিরামের উপর যারা সর্ব প্রকার জান-মাল ও মাতৃভূমি কুরবানী দিয়ে দ্বীনকে ছড়িয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে। তাদের মাঝে দু’টি দল ছিল। একটি ছিল মুজতাহিদদের দল অপরটি মুকাল্লিদদের (মিয়া নজীর হুসাইন প্রণিত মিয়ারুল হক)।
এমন একজনের নামও বলা যাবেনা, যার ইজতিহাদের যোগ্যতাও রাখতেন না, আবার কোন মুজতাহিদের তাক্বলীদ ও করতেন না। যাদের বলা হত গায়রে মুকাল্লিদ। আর তাদের উপর রহমত বর্ষিত হোক তাদের পরের আইয়িম্মায়ে দ্বীন বিশেষ করে চার ইমামদের উপর যাদের সংকলন ও ব্যাখ্যায় কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ হুজুর সা. এর সুন্নাতের উপর আমল করাটা সহজ হয়ে গেছে।
পর সমচার
এই দুনিয়ায় বিভিন্ন ধরণের মানুষ আছে। কিছু লোক এমন আছে যাদের আল্লাহ তায়ালা দ্বীনের খিদমতের জন্য নির্বাচিত করে নিয়েছেন। যারা রাত দিন তালীম শিক্ষকতা, লিখনীর মাধ্যমে নসীহত ও তাবলীগ করে দ্বীন প্রচার করে যাচ্ছেন। আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে দৃঢ়তা নসীব করুন। আর সর্ব প্রকার শত্রুতা আর ফিতনা থেকে হিফাযত করুন।
এর ঠিক উল্টো কিছু লোক এটাকেই কল্যাণধর্মী কাজ মনে করে যে, সাদাসিধা মুসলমানদের মনে কিছু ওয়াসওয়াসা ঢেলে দিবে, যার ফলে তারা দ্বীন থেকে সরে যাবে। অথবা কমপক্ষে সন্দেহ-সংশয়ে নিপতিত হবে। এমনি এক ব্যক্তির সাথে আমার একদা সাক্ষাৎ হয়।
সে লোকটি এক শ্বাসে নিজের পরিচয় দিল। আরবীতে এমএ ডিগ্রিধারী। ইসলামিয়াতে এমএ। সেই সাথে ওকালতে সার্টিফিকেটও আছে। আর দ্বীনী বিষয়ে রয়েছে প্রচুর পড়াশোনা। রয়েছে অগাধ পান্ডিত্ব।

আহলে হাদীস

লোকটি বলল-আমি আহলে হাদীস! আমি বললাম-আপনার বড় ভাই এখান থেকে উঠে গেল, যে বলেছে সে নাকি আহলে কুরআন।
একথা শুনে লোকটি বলতে লাগল-“আহলে কুরআনের শব্দ ইসলামী পরিভাষায় হাফেজে কুরআনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ফযীলতের ব্যাপারে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু ইংরেজদের আমলে এই নামটি সুন্নাত অস্বিকারকারীদের রাখা হয়। যারা একটি গোমরাহ ফিরক্বা। এ পবিত্র নাম নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়। কখনো বলে-‘যখন কুরআন সত্য, তো আহলে কুরআন সত্য’। কখনো বলে-‘যখন থেকে কুরআন তখন থেকেই আহলে কুরআন। সকল সাহাবাই আহলে কুরআন ছিলেন’। কখনো হাফেজে কুরাআনের ফাযায়েলকে নিজের উপর প্রয়োগ করে সরল মানুষদের বিভ্রান্ত করে”।
আমি বললাম-“এমনিভাবে ইসলামী সমাজে আহলে হাদীস মুহাদ্দিসীনদের বলা হতো। মুহাদ্দিসীন সনদের বিশ্লেষণ করতেন। আর ইংরেজদের আমলে আহলে হাদীস ফিক্বহ অস্বিকারকারীদের বলা হতে লাগল। আর এসব লোকেরাও সাধারণ মানুষদের এভাবে বিভ্রান্ত করে যে, যখন থেকে হাদীস, তখন থেকেই আহলে হাদীস। সকল সাহাবাই আহলে হাদীস তথা ফিক্বহের অস্বিকারকারী ছিলেন। আবার কখনো কখনো মুহাদ্দিসীনদের ফাযায়েলকে নিজেদের উপর প্রয়োগ করে, যা খুবই গর্হিত কাজ”।
আমি তাকে বললাম-“আপনি যখন আজ পর্যন্ত একটি হাদীসও সনদসহ বিশ্লেষণ করেন নি, তাহলে আপনি কী করে আহলে হাদীস গেলেন?”
লোকটি বলতে লাগল-আমি শুধুমাত্র কুরআন ও হাদীসকেই মানি। ফিক্বহ এবং কোন উম্মতের সিদ্ধান্তকে মানি না। এজন্য আমরা আহলে হাদীস।
আমি বললাম-কি কুরআন শরীফ প্রায় প্রতিটি মুসলমানদের ঘরে থাকে। আপনি বলুন হাদীস কাকে বলে?
বলতে লাগল-“রাসূল সাঃ এর বক্তব্য, কর্ম এবং তাক্বরীর অর্থাৎ যে কাজটি তার সামনে হয়েছে কিন্তু আল্লাহর নবী কিছু বলেন নি সেগুোলাকে হাদীস বলে।
আমি বললাম-আপনি হাদীসের সে সংজ্ঞা দিলেন তা কুরআনের কোন আয়াতের অনুবাদ?
-কোন আয়াতের নয়।
-তাহলে এ সংজ্ঞাটি কোন হাদীসের অনুবাদ?
-কোন হাদীসেরই না।
-এ সংজ্ঞাটি কুরআনেও নেই, হাদীসেও নেই, তাহলে এ সংজ্ঞাটি আপনি নিলেন কোত্থেকে?
-কোন মুহাদ্দিস উম্মত এটি বর্ণনা করেছেন। আর সর্বপ্রথম কোন উম্মত মুহাদ্দিস কত বছর পর এটি বর্ণনা করেছেন সেটাও আমার মনে নেই।
-আপনার দাবিতো এটা ছিল যে, আপনি এজন্য আহলে হাদীস যে, শুধুমাত্র কুরআন ও হাদীসের কথা মানেন, কোন উম্মতের কথা মানেন না, অথচ আপনি হাদীসের সংজ্ঞাই এক উম্মত থেকে চুরি করেছেন তাহলে আপনি আহলে হাদীস রইলেন কিভাবে?
নিশ্চুপ হয়ে গেল কথিত আহলে হাদীস লোকটি।
আমি এবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম-কুরআনে কারীমের সকল আয়াতের মত সকল হাদীসও কি মুতাওয়াতির [নিরবচ্ছিন্ন সূত্রাবদ্ধ] এবং চূড়ান্ত সহীহ?
-না। সকল হাদীস মুতাওয়াতির নয়। সব সহীহ ও নয়। বরং অনেক হাদীস দুর্বল আছে। এমনকি জাল হাদীসও আছে।
-আপনি আমাকে শুধুমাত্র একটি হাদীস লিখে দেন যেটাকে আল্লাহ অথবা তার রাসূল সাঃ সহীহ বলেছেন। আর একটি হাদীস এমন দেখান যেটাকে আল্লাহ অথবা তার রাসূল দুর্বল বা জাল বলেছেন।
-একটি হাদীসকেও আল্লাহ ও তার রাসূল সহীহ-হাসান, বা দুর্বল ও জাল বলেন নি।
-তাহলে আপনি কোন হাদীসকে সহীহ, কোন হাদীসকে হাসান, কোন হাদীস দুর্বল ও জাল কি হিসেবে বলেন?
-নিজেদের সিদ্ধান্ত অথবা উম্মতের মুহাদ্দিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাদীসকে সহীহ-দুর্বল ইত্যাদি বলে থাকি।
-তাহলেতো আপনি আহলে রায়, অথবা আহালে রায়ের মুকাল্লিদ তথা অনুসারী হয়ে গেলেন, আহলে হাদীসতো আর বাকি রইলেন না।
এবার লোকটি বেশ ঘাবরে গেল। চিন্তিত হয়ে বলতে লাগল-আপনার কাছে হাদীস ও দুর্বল হওয়ার কি নিদর্শন আছে?
আমি বললাম-যে হাদীসকে চার মুজতাহিদ ইমাম গ্রহণ করেছেন, আর সবার এগুলোর উপর নিরবচ্ছিন্ন আমল আছে আমরা বলি-উক্ত হাদীসকে আল্লাহ ও রাসূল সহীহ বলেন নি, দুর্বলও বলেন নি, তবে ঐক্যমত্বের কারণে এটা সহীহ হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আর যেসব মাসআলায় মতভেদপূর্ণ হাদীস আছে সেসব ক্ষেত্রে মুজতাহিদে আযম রহঃ যে হাদীসের উপর আমল করেছেন, সেই সাথে হানাফীদের এর উপার নিরবচ্ছিন্ন আমল আছে সেটাকে আমরা সহীহ মানি। কেননা আমাদের ইমাম রহঃ বলেছেন যে, “আমার মাযহাব সহীহ হাদীসের উপর”। আর মুজতাহিদের কোন হাদীস অনুযায়ী আমল করাটাই হল মুকাল্লিদদের জন্য জন্য উক্ত হাদীসটি সহীহ। এজন্য আমরা বলি-“যেমন এ হাদীসটিকে আল্লাহ এবং তার রাসূল সাঃ সহীহ বলেন নি, বলেন নি দুর্বলও। আর যেখানে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে সেখানে আল্লাহ তায়ালা মুজতাহিদদের ইজতিহাদ [উদ্ভাবন] করার অধিকার দিয়েছেন। আমাদের ইমাম সাহেব এ হাদীসে উল্লেখ হওয়া মাসআলাকে গ্রহণ করেছেন। এখন যদি তাঁর ইজতিহাদ সঠিক হয়, তাহলে তিনি পাবেন দু’টি সওয়াব। আর যদি ভুল হয় তাহলে পাবেন। আমলটি সুনিশ্চিত আল্লাহর কাছে মকবুল। আমাদের ইমামের এই ইজতিহাদের বিপরীত যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ বা রাসূল সাঃ থেকে সুষ্পষ্ট প্রমাণ করে যে, যে হাদীসের উপর আমাদের মুজতাহিদ ইমাম আমল করেছেন সেটিকে আল্লাহ বা রাসূল সাঃ মনগড়া তথা জাল বলেছেন , তাহলে আমরা আমাদের ইমামের ইজতিহাদকে ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ ও তার রাসূলের কথা মেনে নিব। কিন্তু আমাদের নবীজী সাঃ বর্ণিত স্বীকৃত কল্যাণী যুগের মুজতাহিদে আযম রহঃ যেটাকে গ্রহণ করেছেন সেটাকে ছেড়ে দিয়ে অকল্যাণী যুগের কোন ব্যক্তির কথা আমরা মানতে রাজী নই। হাদীস গ্রহণ ও বর্জনের ব্যাপারে আমাদের মূলনীতিটি কুরআন সুন্নাহর বিরোধী হলে শুনাও। আমরাতো মন থেকে তাহলে আপনাদের শুকরিয়া জানাবো।
বাকি রইল আপনার কথা-“আপনারা নিজেদের সিদ্ধান্ত অথবা কোন গায়রে মুজতাহিদ উম্মতের সিদ্ধান্তানুযায়ী কোন হাদীসকে সহীহ, কোন হাদীসকে দুর্বল বলে থাকেন।”
তাহলে বুঝা গেল আপনাদের এ আমলটি কোন দলিলের উপর নির্ভরশীল নয়। কেননা আপনাদের কাছেতো কেবল আল্লাহ ও তার রাসূলের কথাই দলিল। আর আপনারা সুনিশ্চিত আল্লাহও নন, আবার রাসূলও নন। আপনাদের গায়রে মুজতাহিদ উম্মতীও আল্লাহ ও নন, আবার রাসূল ও নন। তাহলেতো আপনাদের কোন হাদীসকে না সহীহ বলা উচিত, না দুর্বল। কিন্তু আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কাছেও আপনাদের এসব কথা কোন দলিলের উপর নির্ভরশীল নয়। কেননা আপনি যেমন ইজমা নন, তেমনি আপনার মাঝে না মুজতাহিদের শর্ত আছে। সুতরাং যেটাকে গবেষণা বলছেন সেটা কোন দলিলের উপর নির্ভরশীল নয়। কেননা এক্ষেত্রে না আপনাকে আমরা আল্লাহ মানি, না রাসূল মানি। না ইজমা মানি। না মুজতাহিদ মানি। আপনি নিজেই বলে দিন যা বলতে আমাদের বাধ্য করছেন যে, আপনাদের গবেষণা মানা মানে হল নিজেদের আপনারা আল্লাহ বা রাসূল মনে করেন! নিজেদের মুখে স্পষ্টতো একথা বলেন না যে, আপনারা খোদা বা রাসূল [আল ইয়াজু বিল্লাহ] কিন্তু যখন আমরা ইজমা ও মুজতাহিদের বিপরীতে আপনাদের দলিলহীন কথা মানি না, তখন শোরগোল করে দেন যে, আমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের কথা মানি না।
এবার আপনি নিজেই একবার ভেবে দেখুন আপনাদের অপপ্রচার কতটা জঘন্য!
আপনিতো খুব বাহাদুর পুরুষ। তাই না? আপনি জানেন কি মুহাদ্দিসীনরা হাদীসের তিন প্রকার করেছেন। যথা-
১-মারফু’ তথা সেসব হাদীস যাতে রাসূল সাঃ এর বক্তব্য, কর্ম ও তাক্বরীর উল্লেখ করা হয়েছে।
২-মাওকুফ তথা সেসব হাদীস যাতে সাহাবীদের বক্তব্য, কর্ম ও তাক্বরীর উল্লেখ করা হয়েছে।
৩-মাকতু’ তথা সেসব হাদীস যাতে তাবেয়ীদের বক্তব্য, কর্ম ও তাক্বরীর উল্লেখ করা হয়েছে।

আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত নিজের মুজতাহিদের পথপ্রদর্শনে এই তিন প্রকারকেই মানি। আপনারাও কি এ তিন প্রকারকে মানেন?
সে বলল-অবশ্যই না! আমরা কেবল প্রথম প্রকারকেই মানি।
-আপনি কি কোন আয়াত বা হাদীস পেশ করতে পারবেন যাতে রয়েছে যে, যারা হাদীসের তিন প্রকারকেই মানে তাদের যুক্তিপূজারী আরা যারা তিন ভাগের একভাগকে অস্বিকার করে তাদের আহলে হাদীস বলা হয়?
সে বিরক্ত হয়ে বলল-আপনি কথায় কথায় আয়াত ও হাদীস জানতে চান কেন?
-এ কারণে যে, আপনি শুরুতেই এ দাবী করেছেন যে,-আপনি কুরআন-হাদীস ছাড়া অন্য কিছু মানেন না। একথা এখন আপনার বুঝে আসল যে, আপনাদের ভাই “আহলে কুরআন” যেমন তাদের দাবী অনুযায়ী সকল মাসায়েল সরাসরি কুরআন থেকে দেখাতে পারবে না, তেমনি আপনারাও আপনাদের দাবি অনুযায়ী সকল মাসায়েল হাদীস থেকে দেখাতে পারবেন না।
মুহাদ্দিসীনে কিরাম সহীহ হাদীস ১০ প্রকার বর্ণনা করেছেন যা মুকাদ্দামায়ে নববীতে আছে। যাতে মুরসাল হাদীস এবং মুদাল্লিসীনদের মুআন আন হাদীসও সহীহের প্রকারে শামীল হয়েছে। আমরা এ ১০ প্রকার সহীহকেই মানি। আর নিজেদের মুজতাহিদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এসবের উপর আমলও করি। আপনারাও কি এ ১০ প্রকারকে সহীহ মেনে এসবের উপর আমল করেন?
-না আমরা সব ক’টিকে মানি না। বরং ৫ প্রকার মানি। আর বাকি ৫ প্রকারকে মনগড়া ও জাল বলে আখ্যায়িত করি।
-আপনি কোন আয়াত বা হাদীস উপস্থাপন করতে পারবেন, যাতে লিখা আছে যে, যারা হাদীস সহীহ হওয়ার ১০ প্রকার মানে তাদের যুক্তিপূজারী আর আর অর্ধেকের বেশি হাদীসকে অস্বিকার করে তাদের বলা হয় “আহলে হাদীস”? “নিজের ফাঁদে নিজেই আটক” এ প্রবাদ বাক্য আপনাদের বেলায়ই যথোপযুক্ত।

একটি মাসআলা

কোন ব্যক্তি যদি এ অসিয়ত করে যে, আমি আমার এতটুকু পরিমাণ সম্পদ হাদীসের আহলদের জন্য ওয়াক্বফ করলাম, তাহলে সে ওয়াক্বফ এর হকদার কে হবে? তো ওলামায়ে কিরাম বলেছেন যে, ইমাম শাফেয়ী রহ^ এর মুকাল্লিদ যদি হাদীসের ছাত্র হয় তাহলে সে এর হকদার হবে। আর যদি হাদীসের ছাত্র না হয় তাহলে হকদার হবে না। তবে হানাফীরা এর হকদার হবে, চাই হাদীসের ছাত্র হোক বা না হোক। এজন্য যে, হানাফীরা মুরসালা হাদীস এবং খবরে ওয়াহেদকে কিয়াসের উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকে [আদ দুররুল মুখতার]।
এর দ্বারা জানা গেল, যে গায়রে মুকাল্লিদরা হাদীসের খিদমাতের নামে বর্হিরাষ্ট্র থেকে টাকা নেয়। আর সারাদিন সহীহ হাদীস সমূহকে দুর্বল ও মনগড়া বলে প্রচারণা চালায় তাদের জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে এ টাকা গ্রহণ জায়েজ হবে না।

আরো একটি ছলনা

আমি বললাম-আপনাদের মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ জিপুরী এ একটি কিতাব আছে, “হাকীকাতুল ফিক্বহ” নামে। সে কিতাবে একটি শিরোনাম আছে-“আহলে কুফীদের হাদীসের জ্ঞান”। সেটাতে তিনি বলেন-‘যদি আহলে কুফীরা এক হাজার হাদীস শুনায়, তাহলে ৯৯৯টিকে নিক্ষেপ করে দাও। আর বাকি একটির উপর সন্দেহ রাখবে, কখনো সহীহ বিশ্বাস করবে না’।
লোকটি দ্রুত বলে বসল-আহলে কুফাদের হাদীসের সাথে কী সম্পর্ক?
-আস! অভিজ্ঞতা নিয়ে নাও! আমি সিহাহ সিত্তা থেকে হাদীস বের করবো, যাতে একজন কুফী রাবী পাওয়া যাবে, সেটাকে সিহাহ সিত্তা থেকে বের করে দিবে।
-“তাহলে সিহাহ সিত্তাতে থাকবে কি? সেখানে মাটি উড়তে থাকবে”। তড়িঘরি জবাব দেয় লোকটি।
-এমন কোন আয়াত বা হাদীস আছে নাকি যে, কুফাবাসীর বর্ণিত সহীহ হাদীসকে এজন্য অস্বিকার করে যে, এটা কুফাবাসী বর্ণনা করেছেন, তাদের বলা হবে “আহলে হাদীস”। আর যারা কুফাবাসী ও হেজাজবাসী, সবার বর্ণিত সহীহ হাদীস মানে তাদের বলা হয় যুক্তিপুজারী?

Posted on April 21, 2012 at http://jamiatulasad.com

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৮৩ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

১৮ টি মন্তব্য

  1. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। যিনি দ্বীন বুঝার জন্য আমাদের ফুক্বাহাদের দিকে মনোনিবেশ করার আদেশ দিয়েছেন (সূরা তাওবা-১২২)

    সুরা তাওবা-১২২.) আর মুমিনদের সবার এক সাথে বের হয়ে পড়ার কোন দরকার ছিল না। কিন্তু তাদের জনবসতির প্রত্যেক অংশের কিছু লোক বেরিয়ে এলে ভাল হতো। তারা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করতো এবং ফিরে গিয়ে নিজের এলাকার লোকদের কে সতর্ক করতো, যাতে তারা (অমুসলমানী আচরণ থেকে) বিরত থাকতো, এমনটি হলো না কেন?

    এখানে ফুকাহাদের দিকে মনোনিবেশ করার আদেশ কোথায় ?
    আয়াতটির ব্যাখ্যা : এ আয়াতের অর্থ অনুধাবন করার জন্য এ সূরার ৯৭ আয়াতটি সামনে রাখতে হবে। তাতে বলা হয়েছেঃ

    “মরুচারী আরবরা কুফরী ও মুনাফিকীতে অপেক্ষাকৃত শক্ত এবং আল্লাহ‌ তার রসূলের প্রতি যে দ্বীন নাযিল করেছেন তা সীমারেখা সম্পর্কে তাদের অজ্ঞ হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশী।”

    সেখানে শুধু এতটুকু বলেই শেষ করা হয়েছিল যে, দারুল ইসলামের গ্রামীণ এলাকার বেশীরভাগ জনবসতি মুনাফিকী রোগে আক্রান্ত। কারণ এসব লোক অজ্ঞতার মধ্যে ডুবে আছে। জ্ঞানের কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ না থাকা এবং জ্ঞানবানদের সাহচর্যে না পাওয়ার ফলে এরা আল্লাহর দ্বীনের সীমারেখা জানে না। আর এখানে বলা হচ্ছে, গ্রামীণ জনবসতিকে এ অবস্থায় থাকতে দেয়া যাবে না। বরং তাদের অজ্ঞতা দূর এবং তাদের মধ্যে ইসলামী চেতনা সৃষ্টি করার জন্য এখন যথাযথ ব্যবস্থা হওয়া দরকার। এ জন্য গ্রামীণ এলাকার সমস্ত আরব অধিবাসীদের নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে মদীনায় জামায়েত হবার এবং এখানে বসে জ্ঞান অর্জন করার প্রয়োজন নেই। বরং এ জন্য প্রয়োজন হচ্ছে, প্রত্যেক গ্রাম, পল্লী ও গোত্র থেকে কয়েকজন করে লোক বের হবে। তারা জ্ঞানের কেন্দ্রগুলো যেমন মদীনা ও মক্কা এবং এ ধরনের অন্যান্য জায়গায় আসবে। এখানে এসে তারা দ্বীনের জ্ঞান আহরণ করবে। এখান থেকে তারা নিজেদের জনবসতিতে ফিরে যাবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বীনি চেতনা ও জাগরণ সৃষ্টিতে তৎপর হবে।

    এটি ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। ইসলামী সমাজকে শক্তিশালী ও মজবুত করার জন্য সঠিক সময়ে এ নির্দেশটি দেয়া হয়েছিল। শুরুতে ইসলাম যখন আরবে ছিল একেবারেই নতুন এবং একটি চরম প্রতিকূল পরিবেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছিল তখন এ ধরনের নির্দেশের প্রয়োজন ছিল না। কারণ তখন যে ব্যক্তি ইসলাম কে পুরোপুরি বুঝে নিতো এবং সব দিকে দিয়ে তাকে যাচাই করে নিশ্চিত হতে পারতো একমাত্র সে ই ইসলাম গ্রহণ করতে। কিন্তু যখন এ আন্দোলন সাফল্যের পর্যায়ে প্রবেশ করলো এবং পৃথিবীতে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো তখন দলে দলে লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করতে লাগলো এবং এলাকার পর এলাকা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিতে থাকলো। এ সময় খুব কম লোকই ইসলামের যাবতীয় চাহিদাও দাবী অনুধাবন করে ভালভাবে জেনে বুঝে ইসলাম গ্রহণ করতো। বেশীর ভাগ লোকই নিছক অবচেতনভাবে, সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে চলে আসছিল। নতুন মুসলিম জনবসতির এ দ্রুত বিস্তার বাহ্যত ইসলামের শক্তিমত্তার কারণ ছিল। কেননা ইসলামের অনুসারীদের সংখ্যা বেড়ে চলছিল। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের জনবসতি ইসলামী ব্যবস্থার কোন কাজে লাগছিল না বরং তার জন্য ক্ষতিকর ছিল। কারণ তাদের ইসলামী চেতনা ছিল না এবং এ ব্যবস্থার নৈতিক দাবী পূরণ করতেও তারা প্রস্তুত ছিল না। বস্তুত তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতির সময় এ ক্ষতি সুস্পষ্ট আকারে সামনে এসে গিয়েছিল। তাই সঠিক সময়ে মহান আল্লাহ‌ নির্দেশ দিলেন, ইসলামী আন্দোলনের বিস্তৃতির কাজ যে গতিতে চলছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাকে শক্তিশালী ও মজবুত করার ব্যবস্থা করতে হবে। আর সে ব্যবস্থাটি হচ্ছে, প্রত্যেক এলাকার লোকদের মধ্য থেকে কিছু লোককে নিয়ে শিক্ষা ও অনুশীলন দান করতে হবে, তারপর তারা প্রত্যেকে নিজেদের এলাকায় ফিরে গিয়ে সাধারণ মানুষের শিক্ষা ও অনুশীলনের দায়িত্ব পালন করবে। এভাবে সমগ্র মুসলিম জনবসতিতে ইসলামের চেতনা ও আল্লাহর বিধানের সীমারেখা সম্পর্কিত জ্ঞান ছড়িয়ে পড়বে।

    এ প্রসঙ্গে এতটুকু কথা অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, এ আয়াতে যে সাধারণ শিক্ষার ব্যবস্থা করার হুকুম দেয়া হয়েছে তার আসল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে নিছক সাক্ষরতা সম্পন্ন করা এবং এদের মধ্যে বইপত্র পড়ার মতো যোগ্যতা সৃষ্টি করা ছিল না। বরং লোকদের মধ্যে দ্বীনের বোধ ও জ্ঞান সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে অমুসলিম সুলভ জীবনধারা থেকে রক্ষা করা, সতর্ক ও সজ্ঞান করে তোলা এর আসল উদ্দেশ্য হিসেবে সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছিল। এটিই মুসলমানদের শিক্ষার উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ‌ নিজেই চিরকালের জন্য এ উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। প্রত্যেকটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে এ দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করতে হবে। দেখতে হবে এ উদ্দেশ্য সে কতটুকু পূরণ করতে সক্ষম। এর অর্থ এ নয় যে, ইসলাম লোকদেরকে লেখা-পড়া শেখাতে, বই পড়তে সক্ষম করতে তুলতে ও পার্থিব জ্ঞান দান করতে চায় না। বরং এর অর্থ হচ্ছে, ইসলাম লোকদের মধ্যে এমন শিক্ষা বিস্তার করতে চায় যা ওপরে বর্ণিত শিক্ষালাভের জন্য সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত আসল উদ্দেশ্যের দিকে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। নয়তো প্রত্যেক ব্যক্তি যদি তার যুগের আইনস্টাইন ও ফ্রয়েড হয়ে যায় কিন্তু দ্বীনের জ্ঞানের ক্ষেত্রে তারা শূন্যের কোঠায় অবস্থান করে এবং অমুসলিম সুলভ জীবনধারায় বিভ্রান্ত হতে থাকে তাহলে ইসলাম এ ধরনের শিক্ষার ওপর অভিশাপ বর্ষণ করে।

    এ আয়াতে উল্লেখিত——–(লিয়াতাফাক্কাহু ফিদ্দ্বীন) বাক্যাংশটির ফলে পরবর্তীকালে লোকদের মধ্যে আশ্চর্য ধরনের ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়ে গেছে। মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা বরং তাদের ধর্মীয় জীবনধারার ওপর এর বিষময় প্রভাব দীর্ঘকাল থেকে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আল্লাহ‌ “তাফাক্কুহ্ ফিদ্ দ্বীন” কে শিক্ষার উদ্দেশ্যে পরিণত করেছিলেন। এর অর্থ হচ্ছেঃ দ্বীন অনুধাবন করা বা বুঝা, দ্বীনের ব্যবস্থা সম্পর্কে গভীর পর্যবেক্ষণ শক্তি ও অন্তর্দৃষ্টি লাভ করা, তার প্রকৃতি ও প্রাণশক্তির সাথে পরিচিত হওয়া এবং এমন যোগ্যতার অধিকারী হওয়া যার ফলে চিন্তা ও কর্মের সকল দিক ও জীবনের প্রত্যেকটি বিভাগে কোন চিন্তাধারা ও কর্মপদ্ধতি ইসলামের প্রাণশক্তির অনুসারী ত মানুষ জানতে পারে। কিন্তু পরবর্তীকালে যে আইন সম্পর্কিত জ্ঞান পারিভাষিক অর্থে ফিকহ নামে পরিচিত হয় এবং যা ধীরে ধীরে ইসলামী জীবনের নিছক বাহ্যিক কাঠামোর (প্রাণশক্তির মোকাবিলায়) বিস্তারিত জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, লোকেরা শাব্দিক অভিন্নতার কারণে তাকেই আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার চরম ও পরম লক্ষ মনে করে বসেছে। অথচ সেটিই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নয়। বরং তা ছিল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের একটি অংশ মাত্র। এ বিরাট ভুল ধারণার ফলে দ্বীন ও তার অনুসারীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে হলে একটি বিরাট গ্রন্থের প্রয়োজন। কিন্তু এখানে আমরা এ সম্পর্কে সতর্ক করে দেবার জন্য সংক্ষেপে শুধুমাত্র এতটুকু ইঙ্গিত করছি যে, মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাকে যে জিনিসটি দ্বীনি প্রাণশক্তি বিহীন করে নিছক দ্বীনি কাঠামো ও দ্বীনি আকৃতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে এবং অবশেষে যার বদৌলতে মুসলমানদের জীবনে একটি নিছক প্রাণহীন বাহ্যিকতা দ্বীনদারীর শেষ মনজিলে পরিণত হয়েছে তা বহুলাংশে এ ভুল ধারণারই ফল।

  2. আর শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচতে রাসূল সা. এর অনুসরণ করার সাথে উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী মুজতাহিদদের অনুসরনের আদেশ দিয়েছেন,(সূরা নিসা-৮৩)।

    সূরা নিসা-৮৩ : তারা যখনই কোন সন্তোষজনক বা ভীতিপ্রদ খবর শুনতে পায় তখনই তা চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। অথচ তারা যদি এটা রসূল ও তাদের জামায়াতের দায়িত্বশীল লোকদের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়, তাহলে তা এমন লোকদের গোচরীভূত হয়, যারা তাদের মধ্যে কথা বলার যোগ্যতা রাখে এবং তা থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তোমাদের প্রতি যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত না হতো তাহলে (তোমাদের এমন সব দুর্বলতা ছিল যে) মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া তোমরা সবাই শয়তানের পেছনে চলতে থাকতে।

    এখানে উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী মুজতাহিদদের অনুসরণের আদেশ কোথায় ?
    আয়াতটির ব্যাখ্যা : এ সময় সারাদেশে একটা আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছিল। তাই চারদিকে নানান ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছিল। কখনো ভিত্তিহীন অতিরঞ্জিত আশঙ্কার খবর এসে পৌঁছতো। এর ফলে হঠাৎ মদীনা ও তার আশেপাশে ভীতি ছড়িয়ে পড়তো। কখনো ধূর্ত শত্রু কোন যথার্থ বিপদকে গোপন করার জন্য সন্তোষজনক খবর পাঠাতো এবং তা শুনে সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্ত ও গাফেল হয়ে পড়তো। এই গুজব ছড়াবার ব্যাপারে নিছক হাংগামাবাজ লোকেরা বড়ই উৎসাহ বোধ করতো। তাদের কাছে ইসলাম ও জাহেলীয়াতের এই সংঘাত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না। এই ধরনের দায়িত্বহীন গুজব রটানোর পরিণতি কত সূদুর প্রসারী হতে পারে সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই ছিল না। তাদের কানে কোন কথা পড়লেই হলো, তারা তাই নিয়ে জায়গায় ফুঁকে দিতে থাকতো। এই আয়াতে এই ধরনের লোকদেরকে তিরস্কার করা হয়েছে এবং তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার এবং কোন কিছু শুনলে তা সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্বশীলদের কানে পৌঁছিয়ে দিয়ে পরিপূর্ণ নীরবতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, আপনি একটি উদাহরন দেন যেটাতে বোঝা যায় নাসিরুদ্দিন আলবানীর একটি দুর্বল দলীল আপনি গ্রহন করেননি এবং এর পরিবর্তে অন্য একজন আলেমের দলীল গ্রহন করেছেন?


  3. আর অগণিত সালাম ও দরূদ ঐ রাহমাতাল্লিল আলামীনের উপর, যিনি ফিক্বহকে কল্যাণ ফক্বীহদের কল্যাণী বলে ঘোষণা দিয়েছেন (বুখারী মুসলিম)।

    অধ্যায় পরিচ্ছেদ সহ হাদীস নং উল্লেখ করুন , যাচাই করে দেখি ।


  4. আর তার আহলে বাইত ও এবং সাহাবায়ে কিরামের উপর যারা সর্ব প্রকার জান-মাল ও মাতৃভূমি কুরবানী দিয়ে দ্বীনকে ছড়িয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে। তাদের মাঝে দু’টি দল ছিল। একটি ছিল মুজতাহিদদের দল অপরটি মুকাল্লিদদের (মিয়া নজীর হুসাইন প্রণিত মিয়ারুল হক)।
    এমন একজনের নামও বলা যাবেনা, যার ইজতিহাদের যোগ্যতাও রাখতেন না, আবার কোন মুজতাহিদের তাক্বলীদ ও করতেন না। যাদের বলা হত গায়রে মুকাল্লিদ।

    আপনি যেহেতু দাবী করেছেন সাহাবীদের সময় থেকেই মুকাল্লিদ ছিলেন , তাহলে মুকাল্লিদ শব্দ সহ একটি সহীহ হাদীস দেখান । বরং তারা সবাই দলীলের অনুসরণ করতেন । তারা কখনই নির্দিষ্ট একজনের অনুসরণ করতেন না । কেউ একজনের অনুসরণ করলে অন্য কেউ যদি তার কোন ভুল দলীল ভিত্তিক ধরিয়ে দিতেন তাহলে তারা কখনও ভুলের উপর অটল থাকতেন না । বলতেন না যে , আমি তো অমুকের অনুসরণ করি তাই তোমার কথা মানতে পারবো না । এরকম অসংখ্য ঘটনার রেকর্ড হাদীস গ্রন্থ গুলিতে বিদ্যমান ।

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, আপনারাও তো অন্ধভাবে আলবানীর অনুসরন করেন। কখনও আল বানীর ভুল স্বীকার করেছেন?

    ABU TASNEEM

    @ম্যালকম এক্স, এ প্রশ্নের উত্তর আগের কোন এক পোস্টে দেয়া হয়েছে । সেখানে আমি সালাতুত তাসবীহ এর ব্যাপারে বলেছিলাম । মনে করে দেখুন ।

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, যদি সম্ভব হয় সেই উত্তরটা এখানে পেস্ট করুন, একটু পড়ে দেখি।

    ABU TASNEEM

    @ম্যালকম এক্স,
    প্রশ্নোত্তরটি এই লিংকে দেখুন । এটি আমার ব্লগ
    সালাতুত তাসবীহ

    প্রশ্নঃ উসুলে হাদীসের নীতিমালার আলোকে সালাতুত তাসবীহ সংক্রান্ত হাদীসগুলি সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে বিভিন্ন সনদের আলোকে তা সবলতার পর্যায়ে পৌঁছে , বিধায় হাদীসগুলি আমলযোগ্য বলে মনে হয় । বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাই ।

    উত্তরঃ সালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে কোন সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি । বরং কেউ এ সম্পর্কিত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসকে ‘মুরসাল’ , কেউ ‘মওকুফ’ , কেউ ‘যঈফ’ , কেউ ‘মওযু’ বা জাল বলেছেন । যদিও শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীসের যঈফ সূত্র সমূহ পরস্পরকে শক্তিশালী করে মনে করে তাকে স্বীয় সহীহ আবু দাউদে (হা/১১৫২) সংকলন করেছেন এবং ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) ‘হাসান’ স্তরে উন্নীত করেছেন । তবুও এরুপ বিতর্কিত , সন্দেহযুক্ত ও দুর্বল ভিত্তির উপরে কোন ইবাদত বিশেষ করে সালাত প্রতিষ্ঠা করা যায় না । বিধায় ‘দারুল ইফতা’ বিষয়টি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (দ্রঃ ইবনু হাজার আসকালানীর বিস্তারিত আলোচনা ; আলবানী , মিশকাত পরিশিষ্ট , ৩ নং হাদীস ৩/১৭৭৯-৮২ পৃঃ ; আবু দাউদ , ইবনু মাজাহ , মিশকাত হা/১৩২৮ হাশিয়া ; বায়হাক্বী ৩/৫২ ; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ , মাসায়েলু ইমাম আহমাদ , মাস‘আলা নং-৪১৩ ৩/২৯৫ পৃঃ) ।

    মাসিক আত তাহরীকে প্রকাশিত , হাদীস ফাউন্ডেশন , রাজশাহীর প্রদত্ত ফতোয়া ।

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, আপনাকে ধন্যবাদ। এর অর্থ সালাতুত তাসবীহ এর ক্ষেত্রে আপনি নাসিরুদ্দিন আলবানীর মত গ্রহন করেন নি? মাসিক আত তাহরীকের ফতোয়া গ্রহণ করেছেন?


  5. আমি বললাম-কি কুরআন শরীফ প্রায় প্রতিটি মুসলমানদের ঘরে থাকে। আপনি বলুন হাদীস কাকে বলে?
    বলতে লাগল-“রাসূল সাঃ এর বক্তব্য, কর্ম এবং তাক্বরীর অর্থাৎ যে কাজটি তার সামনে হয়েছে কিন্তু আল্লাহর নবী কিছু বলেন নি সেগুোলাকে হাদীস বলে।
    আমি বললাম-আপনি হাদীসের সে সংজ্ঞা দিলেন তা কুরআনের কোন আয়াতের অনুবাদ?
    -কোন আয়াতের নয়।
    -তাহলে এ সংজ্ঞাটি কোন হাদীসের অনুবাদ?
    -কোন হাদীসেরই না।
    -এ সংজ্ঞাটি কুরআনেও নেই, হাদীসেও নেই, তাহলে এ সংজ্ঞাটি আপনি নিলেন কোত্থেকে?
    -কোন মুহাদ্দিস উম্মত এটি বর্ণনা করেছেন। আর সর্বপ্রথম কোন উম্মত মুহাদ্দিস কত বছর পর এটি বর্ণনা করেছেন সেটাও আমার মনে নেই।
    -আপনার দাবিতো এটা ছিল যে, আপনি এজন্য আহলে হাদীস যে, শুধুমাত্র কুরআন ও হাদীসের কথা মানেন, কোন উম্মতের কথা মানেন না, অথচ আপনি হাদীসের সংজ্ঞাই এক উম্মত থেকে চুরি করেছেন তাহলে আপনি আহলে হাদীস রইলেন কিভাবে?

    কুরআন এবং হাদীস ছাড়া আলেমদের কথা মানা যাবে না , এরকম কথা , কোন আহলে হাদীসই বলে না । তারা বলে , তাদের কোন ভুলের দলীল ভিত্তিক প্রমাণ পাওয়া গেলে সে ভুলের উপর টিকে থাকা যাবে না । দলীলের অনুসরণ করতে হবে । তাই তারা কোন আলেমেরই অন্ধ অনুসরণ করে না । কারও ভুল প্রমাণিত হলে তারা ফিরে যান কুরআন এবং সহীহ সুন্নাহর দিকে । যা আল্লাহ তায়ালা শিক্ষা দিয়েছেন সুরা নিসা ৫৯ নং আয়াতে ।

    সুরা নিসা : ৫৯ : হে ঈমানদারগণ! আনুগত্য করো আল্লাহর এবং আনুগত্য করো রসূলের আর সেই সব লোকের যারা তোমাদের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী (আলেম ও শাসকদের)। এরপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যাপারে বিরোধ দেখা দেয় তাহলে তাকে আল্লাহ‌ ও রসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহ‌ ও পরকালের ওপর ঈমান এনে থাকো। এটিই একটি সঠিক কর্মপদ্ধতি এবং পরিণতির দিক দিয়েও এটিই উৎকৃষ্ট।

    এ আয়াতের শিক্ষা অনুযায়ী আহলে হাদীসরা , আল্লাহর আনুগত্য করে , রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্য করে , এবং আলেমদেরও আনুগত্য করে । কিন্তু তারা আলেমদের কোন ভুলের অনুসরণ করে না । এটাই তাদের সঠিক ঈমানের পরিচয় (আল্লাহর দেয়া শর্ত অনুযায়ী)। কিন্তু কেউ যদি তাদের ভুলটাও অনুসরণ করে তাহলে বুঝতে হবে তাদের ঈমানে সমস্যা আছে । উল্লেখিত আয়াতের বক্তব্যও তাই ।

    কিন্তু আপনি কুরআনের যে সংগা দিলেন তা কোন আলেম দিয়েছেন , বলতে পারবেন কি , কোন কিতাবে এ সংগা দেয়া হয়েছে । পারবেন না । কারণ কোন আলেমই আপনার দেয়া কুরআনর এ সংগা কোন কিতাবেই দেননি । সব মুসলমানের ঘরেই কাঁথা বালিম , হাঁড়ি পাতিল আছে । তাহলে আপনার কাছে সেগুলোই কি কুরআন (নাউযুবিল্লাহ) । কুরআনের সংগা হিসেবে কোন আলেমই এ শর্ত উল্লেখ করেননি যে তা সব মুসলিমের ঘরেই থাকবে ।

    আলেমদের দেয়া কুরআনের সংগা : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকট থেকে লাওহে মাহফুযে সংরক্ষিত শব্দ ও অর্থ উভয়ই জিবরীল (আঃ) এর মাধ্যমে যা নাবী (সাঃ) এর নিকট নাযিল হয় তাই কুরআন । এর প্রতিটি অক্ষর আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ । এ এক চিরন্তন মু’জিজা । এই বাণীর সাথে চ্যালেঞ্জ করার জিন্ন ও ইনসান সহ সৃষ্টিকুলের কারো কোন ক্ষমতা নেই । অনুরুপ একটি কুরআন বা ছোট্ট একটি সুরাও রচনা করার কারো কোন সাধ্য নেই ।


  6. আমি এবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম-কুরআনে কারীমের সকল আয়াতের মত সকল হাদীসও কি মুতাওয়াতির [নিরবচ্ছিন্ন সূত্রাবদ্ধ] এবং চূড়ান্ত সহীহ?
    -না। সকল হাদীস মুতাওয়াতির নয়। সব সহীহ ও নয়। বরং অনেক হাদীস দুর্বল আছে। এমনকি জাল হাদীসও আছে।
    -আপনি আমাকে শুধুমাত্র একটি হাদীস লিখে দেন যেটাকে আল্লাহ অথবা তার রাসূল সাঃ সহীহ বলেছেন। আর একটি হাদীস এমন দেখান যেটাকে আল্লাহ অথবা তার রাসূল দুর্বল বা জাল বলেছেন।
    -একটি হাদীসকেও আল্লাহ ও তার রাসূল সহীহ-হাসান, বা দুর্বল ও জাল বলেন নি।
    -তাহলে আপনি কোন হাদীসকে সহীহ, কোন হাদীসকে হাসান, কোন হাদীস দুর্বল ও জাল কি হিসেবে বলেন?
    -নিজেদের সিদ্ধান্ত অথবা উম্মতের মুহাদ্দিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাদীসকে সহীহ-দুর্বল ইত্যাদি বলে থাকি।
    -তাহলেতো আপনি আহলে রায়, অথবা আহালে রায়ের মুকাল্লিদ তথা অনুসারী হয়ে গেলেন, আহলে হাদীসতো আর বাকি রইলেন না।
    এবার লোকটি বেশ ঘাবরে গেল। চিন্তিত হয়ে বলতে লাগল-আপনার কাছে হাদীস ও দুর্বল হওয়ার কি নিদর্শন আছে?
    আমি বললাম-যে হাদীসকে চার মুজতাহিদ ইমাম গ্রহণ করেছেন, আর সবার এগুলোর উপর নিরবচ্ছিন্ন আমল আছে আমরা বলি-উক্ত হাদীসকে আল্লাহ ও রাসূল সহীহ বলেন নি, দুর্বলও বলেন নি, তবে ঐক্যমত্বের কারণে এটা সহীহ হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আর যেসব মাসআলায় মতভেদপূর্ণ হাদীস আছে সেসব ক্ষেত্রে মুজতাহিদে আযম রহঃ যে হাদীসের উপর আমল করেছেন, সেই সাথে হানাফীদের এর উপার নিরবচ্ছিন্ন আমল আছে সেটাকে আমরা সহীহ মানি। কেননা আমাদের ইমাম রহঃ বলেছেন যে, “আমার মাযহাব সহীহ হাদীসের উপর”। আর মুজতাহিদের কোন হাদীস অনুযায়ী আমল করাটাই হল মুকাল্লিদদের জন্য জন্য উক্ত হাদীসটি সহীহ। এজন্য আমরা বলি-“যেমন এ হাদীসটিকে আল্লাহ এবং তার রাসূল সাঃ সহীহ বলেন নি, বলেন নি দুর্বলও। আর যেখানে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে সেখানে আল্লাহ তায়ালা মুজতাহিদদের ইজতিহাদ [উদ্ভাবন] করার অধিকার দিয়েছেন। আমাদের ইমাম সাহেব এ হাদীসে উল্লেখ হওয়া মাসআলাকে গ্রহণ করেছেন। এখন যদি তাঁর ইজতিহাদ সঠিক হয়, তাহলে তিনি পাবেন দু’টি সওয়াব। আর যদি ভুল হয় তাহলে পাবেন। আমলটি সুনিশ্চিত আল্লাহর কাছে মকবুল। আমাদের ইমামের এই ইজতিহাদের বিপরীত যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ বা রাসূল সাঃ থেকে সুষ্পষ্ট প্রমাণ করে যে, যে হাদীসের উপর আমাদের মুজতাহিদ ইমাম আমল করেছেন সেটিকে আল্লাহ বা রাসূল সাঃ মনগড়া তথা জাল বলেছেন , তাহলে আমরা আমাদের ইমামের ইজতিহাদকে ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ ও তার রাসূলের কথা মেনে নিব। কিন্তু আমাদের নবীজী সাঃ বর্ণিত স্বীকৃত কল্যাণী যুগের মুজতাহিদে আযম রহঃ যেটাকে গ্রহণ করেছেন সেটাকে ছেড়ে দিয়ে অকল্যাণী যুগের কোন ব্যক্তির কথা আমরা মানতে রাজী নই। হাদীস গ্রহণ ও বর্জনের ব্যাপারে আমাদের মূলনীতিটি কুরআন সুন্নাহর বিরোধী হলে শুনাও। আমরাতো মন থেকে তাহলে আপনাদের শুকরিয়া জানাবো।
    বাকি রইল আপনার কথা-“আপনারা নিজেদের সিদ্ধান্ত অথবা কোন গায়রে মুজতাহিদ উম্মতের সিদ্ধান্তানুযায়ী কোন হাদীসকে সহীহ, কোন হাদীসকে দুর্বল বলে থাকেন।”

    এ অংশের আংশিক উত্তর এর আগের মন্তব্যে দেয়া হয়েছে । বাঁকী আপনি হাদীসকে সহীহ , যঈফ , জাল নির্ধারণ করার যে পদ্ধতি দেখালেন , তা কোন মুহাদ্দিস উল্লেখ করেছেন বলবেন কি ? আহলে হাদীসরা অনুসরণ করে মুহাদ্দিসরা হাদীস গ্রহণ এবং বর্জনের যে নীতিমালা তৈরি করেছেন তার ভিত্তিতে , আহলে হাদীসরা হাদীসকে সহীহ , যঈফ , জাল বলে মুহাদ্দিসরা যে শর্তাবলীর কারণে সহীহ , যঈফ , জাল বলেছেন তার ভিত্তিতে । কিন্তু আপনি যে পদ্ধতি দেখালেন এপদ্ধতি , না কোন কিতাবে আছে , না আপনাদের মাদ্রাসায় এ নীতি মালা পড়ানো হয় । শুধুমাত্র আপনাদের সার্থ হাসিলের জন্যই আপনারা এ নীতিমালা গ্রহণ করেছেন ।

    আর ইমাম আবু হানীফার কথা বলছেন , তিনি কখনই এটা বলেননি যে , “আমার মাযহাব সহীহ হাদীসের উপর”। (আমি যে মতামত দিয়েছি তা সবই সহিহ হাদীসের উপর) । বরং তিনি বলেছে “ইযা ছহ্হাল হাদীছি ফাহুয়া মাযহাবী “ “যখনই হাদীস সহীহ্ হিসেবে প্রমাণিত হবে তখনই সেটি আমার মাযহাব ” (অর্থাৎ যারা আমার অনুসরণ করো , আমার মতামত মেনে চলো , তারা যদি আমার কথার বিপরীত কোন সহীহ হাদীস পাও তাহলে সেটিই আমার মাযহাব/মতামত) তার সব মতামতই যে সহীহ হাদীস ভিত্তিক ছিল না তা তার অন্য কথা দ্বারাই বুঝা যায় । যেমন ইমাম আবু হানীফা বলেছেন , তিনি আরো বলেন : “আমি যখন এমন কোন কথা বলবো যা কিতাবুল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর হাদীস বিরোধী তখন তোমরা আমার কথাকে ত্যাগ করবে” ।

    তার ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ সব কিছু লিখে রাখতেন , তাই তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন : “হে ইয়াকুব ( আবু ইউসুফ ) ! তুমি আমার থেকে যা কিছু শ্রবণ করো তার সব কিছুই লিখ না , কারণ কোন বিষয়ে আমি আজকে একটি মত প্রদান করি , আবার কালকে সে মতকে ত্যাগ করি । কালকে একটি মত প্রদান করি আবার কালকের পরের দিন সে মতকে ত্যাগ করি” ।

    আর মুজতাহিদের কোন হাদীস অনুযায়ী আমল করাটাই হল মুকাল্লিদদের জন্য জন্য উক্ত হাদীসটি সহীহ। কোথায় পেয়েছেন এ নীতি বলবেন কি?

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, ইমাম আবু হানিফা কি বলছে সেটা নিয়ে আপনার মন্তব্য শুনলাম, এবার আপনার সম্বন্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটার জবাব দিন… যেটা সবসময় দেখা যাচ্ছে আপনাদের সম্বন্ধে যে অভিযোগ গুলো দেয়া হয় সেটা পাশ কাটিয়ে অন্যদিকে সব সময় নিয়ে যান।

  7. আপনি শুরুতেই এ দাবী করেছেন যে,-আপনি কুরআন-হাদীস ছাড়া অন্য কিছু মানেন না। একথা এখন আপনার বুঝে আসল যে, আপনাদের ভাই “আহলে কুরআন” যেমন তাদের দাবী অনুযায়ী সকল মাসায়েল সরাসরি কুরআন থেকে দেখাতে পারবে না, তেমনি আপনারাও আপনাদের দাবি অনুযায়ী সকল মাসায়েল হাদীস থেকে দেখাতে পারবেন না।

    ও এখন আপনার “আপনার বড় ভাই এখান থেকে উঠে গেল, যে বলেছে সে নাকি আহলে কুরআন।” একথাটি বুঝলাম । আমি তো মনে করেছিলাম , সহোদর ভাই বললেন কি না । আসলে এটা কোন প্রকৃত ঘটনা নয় , আপনাদের কাল্পনিক , সাজানো ঘটনা । এজন্য আহলে হাদীস চরিত্রের সাথে “আরবীতে এমএ ডিগ্রিধারী। ইসলামিয়াতে এমএ। সেই সাথে ওকালতে সার্টিফিকেটও আছে। আর দ্বীনী বিষয়ে রয়েছে প্রচুর পড়াশোনা। রয়েছে অগাধ পান্ডিত্ব।” এতগুলি ডিগ্রি লাগিয়েছেন । ধোকাবাজি আর কাকে বলে ।

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, আপনাকে একটি প্রশ্ন, সহীহ হাদিসের আলোকে কিভাবে অজু করতে হবে একটু বলবেন কি?

    ABU TASNEEM

    @ম্যালকম এক্স, আপনার প্রশ্নের ধরন দেখে বুঝা যাচ্ছে হাদীসের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন । হাদীস থেকে কোন আমলের সঠিক রুপ বের করা যে আমলগুলির জন্য খুবই সহজ ওজু তার মধ্যে অন্যতম । আপনি সে কোন হাদীস গ্রন্থের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় পড়ে দেখুন নিজেই বুঝতে পারবেন ।

    ম্যালকম এক্স

    @ABU TASNEEM, জ্বী আমার তেমন জ্ঞান নেই, তাই আপনার মতো হাদিস বিশারদের কাছে জিজ্ঞেস করছি। প্রশ্নটি আরো সংক্ষেপ করলাম। মনে করুন একজন অজু করার সময় মুখ পরিস্কার করল না, তাহলে তার অজু হবে কিনা, সেটা হাদিস শরীফের রেফারেন্স দিয়ে প্রমান করুন।

  8. ধন্যবাদ আপনার এই পোস্টের জন্য। লিখুন … এদের সম্বন্ধে আরো বেশী করে লিখুন।