ফিতনা ফাসাদ ও তাবলীগ
লিখেছেন: ' kawsartex' @ বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩, ২০১৩ (৩:২৬ অপরাহ্ণ)
আবু তাসনিম
১. খারিজী, রাফেজী, মুতাজিলা , ক্বাদারিয়া , জাবারিয়া , জাহমিয়া , চিশতিয়া , মুজাদ্দেদীয়া , সাহরাওয়ার্দিয়া , আজমেরী, রেযাখানী , বাহাই , কাদিয়ানী ইত্যাদি যাবতীয় ফিতনার সাথে তাবলীগের যে সংযুক্তি দেখিয়েছেন সে প্রসংঙ্গে
খারিজী, রাফেজী, মুতাজিলা , ক্বাদারিয়া , জাবারিয়া , জাহমিয়া , চিশতিয়া , মুজাদ্দেদীয়া , সাহরাওয়ার্দিয়া , আজমেরী, রেযাখানী , বাহাই , কাদিয়ানী ইত্যাদির যে সংঙ্গা দিয়েছেন তার সাথে তাবলীগের মিল নেই।
কবরপূজা , দরগাহপূজা, নাবীদের জন্মদিবস পালনের সাথেও তাবলীগের সম্পর্ক নেই।
একটি বিষয় মনে রাখা দরকার তবলিগ কোনো দলের নাম নয়, পরিচিতি যদিও তবলিগ নামে। দ্বীন মানার কথা বলা হয় কিন্তু বলা হয় মাসআলা শেখ আলেমগনের কাছে যেয়ে। তবলিগে কোনো মাজহাবের কথা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি,
২. অতঃপর চিল্লাধারী বন্ধুদের চিল্লার পর চিল্লার মাধ্যমে স্বীয় পরিবার-পরিজনের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে অবজ্ঞা প্রদর্শন করা …………
আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ,
”
[ فَلَوۡلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرۡقَةٖ مِّنۡهُمۡ طَآئِفَةٞ لِّيَتَفَقَّهُواْ فِي ٱلدِّينِ وَلِيُنذِرُواْ قَوۡمَهُمۡ إِذَا رَجَعُوٓاْ إِلَيۡهِمۡ لَعَلَّهُمۡ يَحۡذَرُونَ ١٢٢﴾ [التوبة : ٢٢١]
‘অতঃপর তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লোক কেন বের হয় না, যাতে তারা দীনের গভীর জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং আপন সম্প্রদায় যখন তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, তখন তাদেরকে সতর্ক করতে পারে, যাতে তারা (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকে।’ {সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ১২২}”
সাহাবায়ে কেরাম রা: কতজন মক্কা মদিনায় ইন্তেকাল করেছেন?
স্বীয় পরিবার-পরিজনের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম রা: অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন? করলে কেন করেছেন?
বাড়ীতে আরামে মারা যাওয়ার দ্বারাই শুধু পরিবার-পরিজনের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন হয়ে থাকে?
৩. (আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস ছেড়ে গেলাম …. আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নাবীর সুন্নাহ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর এ অন্তিম বাণীকে উপেক্ষা করে ……..
তাবলীগে তো আল্লাহর কিতাব ও নাবীর সুন্নাহ জীবনে বাস্তবায়নের কথাই বলতে শুনেছি.
৪. বানোয়াট , জাল , উদ্ভট ও আজগুবী কথায় পরিপূর্ণ নিজেদের সিলেবাসের কিতাব পড়তে বাধ্য করা ,……………
নিজেদের নয় আল্লাহ ও তাঁর নাবীর কথাই আছে, আপনি দেখেননি তাই।
উম্মতের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় একত্র করা হয়েছে যা বারবার পড়তে বলা হয় উম্মতের জন্যই, লেখকের স্বার্থে নয়, তিনি কোনো গ্রন্থস্বত্ব রাখেননি
উৎসাহমূলক ঘটনা লেখা, পড়া অপরাধ নয়।
আলেমগন কোথাও ব্যাখ্যা দেয়া যদি অপরাধ হয় তবে আপনার মত জাহেলদের কথা মানার কি যুক্তি আপনার কাছে আছে?
যয়িফ মাসায়েল শেখানো হয়না, বলা হয় মাসআলা শেখ আলেমগনের কাছে যেয়ে। তবলিগে কোনো মাজহাবের কথা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি, আর ফাজায়েল ছহি, যয়িফ দুটোই প্রচার করা যায়
৫. মুখ-চোখ-কান বন্ধ করে রেখে………….
১ জনের বিপরীতে ১০০০ জন কাফের হলে যুদ্ধ করা যায়/যেতে পারে, কিন্তু
১ জনের বিপরীতে ১০০০ জন ফাসেক হলে যুদ্ধ করা কি ফেতনা নয়?
৬. সর্বশ্রেনীকে ম্যানেজ করে চলার সুবিধাবাদী নীতি ……………..
সর্বশ্রেনী কে? কাফের /ফাসেক
যে দ্বীনের অ,আ জানেনা তাকে ব্যাকরন দিয়ে পড়ানো শুরু করবেন? ডোজ বেশী দিয়ে রোগী মারা অপরাধ, একটু একটু করে দিতে হয়।
নাবী সা: থাকা অবস্থায় আল্লাহ একত্রে সব ডোজ দিলেননা ধীরে ধীরে হুকুম নাযিল করলেন।
আপনি কত বড় ঈমানদার যে সব হুকুম একত্রে চাপিয়ে ফেতনা দুর করবেন?
মুসলিম জনসাধারনের সাথে মুসলিম যদি ম্যানেজ করে না চলে তবে কি ন্যাটো আর্মিরা ম্যানেজ করে চলা শিখাতে আসবে? কখনো না