হাসি আসে সেই সাথে দুঃখওঃ ভূমিকম্প কি মোকাবিলা করা যায়???
লিখেছেন: ' লুৎফর ফরাজী' @ রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১১ (১১:৩৮ অপরাহ্ণ)
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৬টা ৪০ মিনিট এবং ৭টা ১২ মিনিটে পরপর দু’টি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়ে গেল। দু’টি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলই ভারতের সিকিমে। প্রথমটির উৎপত্তিস্থল ২৭.৭৬৪°উঃ, ৮৮.১৮১°পূঃ তে ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিমি গভীরে তীব্রতা রিকটার স্কেলে ৬.৯ এবং দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল ২৭.৪৬৪°উঃ, ৮৮.৩৯১°পূঃ তে ভূ-পৃষ্ঠের ২০ কিমি গভীরে, তীব্রতা রিকটার স্কেলে ৬.৮। বাংলাদেশের উত্তরের বাংলাবান্দা সীমান্ত থেকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রর দূরত্ব মাত্র ১২৭ কিলোমিটার। প্রথম ভূমিকম্পটি ছিলো তীব্র মাত্রার মূল আঘাত, পরবর্তীটি আফটার শক।
এটি আজকের টপ নিউজ। ভূমিকম্পের সাথে সাথে যে কথাটি আমাদের মুখে মুখে। তা হল আমরা ভূমিকম্প কি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত???? আমাদের সরকার কি ভূমিকম্প মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে?
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক\’দিন পরপরই কেঁপে কেঁপে উঠে আমাদের দেশ। লাশের পর লাশ ভেসে উঠে নদীগর্ভে। বাড়ির পর বাড়ি তছনছ হয়ে যায় ঝড়ের তান্ডবে। আমরা গলা ফাটাই-\”প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেন মুকাবিলা করতে পারিনা!!!!!! সরকার কেন মুকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখছেনা???
একবার কি ভাবলাম “মুকাবিলা” শব্দটা কি সঠিক স্থানেই ব্যবহৃত হচ্ছে??? স্রষ্টা কর্তৃক দেয়া আজাব/পরীক্ষামূলক এই সকল দুর্যোগ বান্দার পক্ষে মুকাবিলা করা কি সম্ভব??? নাকি প্রতিরোধ করা সম্ভব???
শব্দটা এমন হওয়াই কি বাঞ্ছনীয় নয় যে, ‘দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষা ব্যাবস্থা আরো জোরদার করতে হবে।’ দুর্যোগ মুকাবিলা নয়। মুকাবিলা বলা হয় আঘাতকারীর আঘাতকে প্রতিহত করা ও প্রতিরোধ করা, সেই সাথে সুযোগ পেলে প্রতিঘাত করাকে। তাই নয়কি? আর আল্লাহর গযব বা পরীক্ষা হিসেবে দেয়া দুর্যোগ প্রতিহত বা প্রতিঘাত করার মত পাওয়ার কি আমাদের আছে???
তাই আসুন শব্দটা পাল্টে দেই। এখন থেকে বলি-দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষা ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তার গযব থেকে হিফাযত করুন।