সালাতুত তাসবীহ আদায় করার নিয়ম
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বৃহস্পতিবার, জুন ২, ২০১১ (৩:৫৭ অপরাহ্ণ)
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أما بعد
সালাতুত তাসবীহ এর ব্যাপারে যে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, তা আমি এখানে উল্লেখ করছি:
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّاهُ، ” أَلَا أُعْطِيكَ، أَلَا أَمْنَحُكَ، أَلَا أَحْبُوكَ، أَلَا أَفْعَلُ لَكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ، غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَقَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ، وَخَطَأَهُ وَعَمْدَهُ، وَصَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ، وَسِرَّهُ وَعَلَانِيَتَهُ، عَشْرُ خِصَالٍ: أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ، فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ، قُلْتَ وَأَنْتَ قَائِمٌ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً، ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُ وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، تَفْعَلُ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ، إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً “
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা, আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তাআলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর সে দশটি সৎ গুন হলো: আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাআত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন:
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ
এরপর রুকুতে যাবেন এবঃ রুকু অবস্থায় (উক্ত দুআটি) ১০ বার পড়বেন।এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন।এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার।আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন।যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন,তবে প্রতি জুমাআয় একবার। যদি প্রতি জুমআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার।(বর্ণনায় ইবনে মাজাহ)
হাদীসটির সহিহ না দুর্বল এ ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে। জমহুর মুহাক্কিকীন অর্থাৎ অধিকাংশ হাদীস পর্যালোচক হাদীসটি সহিহ বলেছেন, যেমন ইমাম দারা কুতনী, খাতীব আল বাগদাদী, আবু মুসা আলা মাদানী, আবু বকর ইবনে আবু দাউদ, হাকেম, সুয়ুতী, ইবনে হাজার, নাসিরুদ্দীন আলবানী প্রমুখ (আল্লাহর তাদের সবার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন)।
আর যারা দুর্বল বলেছেন তারা হলেন: ইমাম ইবনুল জাউযী, সিরাজুদ্দীন আল কাজউয়ীনী, ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ প্রমুখ (আল্লাহর তাদের সবার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন)।
তবে সার্বিক বিবেচনায় হাদীসটি হাসান, যা সহিহ হাদীসের আওতাভুক্ত। এতএব এ হাদীস অনুযায়ী আমল করা শুদ্ধ হবে। হাদীসটি যে হাসান তা দেখার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। http://www.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=2501অথবা হাদীস যাচাইয়ের সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য সফটওয়ার – জাওয়ামিউল কালিম- এ রসার্চ রেজাল্টি দেখুন।
ধন্যবাদ ভাই নূর হুসেন কে
এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। আমার প্রশ্ন হল সিজদা থেকে তো আমরা সরাসরি দাড়িয়ে যাই। তাহলে কি সালাতুত তাসবিহ তে প্রথম রাকাতেই বৈঠক করতে হবে?
রুকুর ও সিজদার তাসবিহ আদায় করার পর না আগে সালাতুত তাসবীহ এর তাসবিহ আদায় করতে হবে? ধন্যবাদ আপনাকে?