ডাক্তার জাকির নায়েক: ইসলামের নামে একটি নতুন ফিতনা
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ রবিবার, জুলাই ৩১, ২০১১ (৩:২৩ অপরাহ্ণ)
ডাক্তার জাকির নায়েকের ইসলাম প্রচারের নামে এক নতুন মতাদর্শের দিকে মানুষ কে আহবান করে সাধারন মুসলমানদের কে বিভ্রান্ত করছে। জাকির নায়কের ভ্রান্ত ঈমান বিধ্বংসি বক্তব্য এবং পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের আলেম-ওলমাদের মতামত জানার জন্য মাসিক আদর্শ নারী- মে, জুন ও জুলাই সংখ্যা পড়ার জন্য সকল কে অনুরোধ রহিল।
৩,৬৪৫ বার পঠিত
এভাবে অপপ্রচার না করে তার কি কি ভূল আছে সে গুলি তুলে ধরুন। না হলে মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি শুধু বাড়বেই।
রাসেল আহমেদ, এইটা কোন অপপ্রচার না। এই টা বাস্তব সত্য।আপনি পত্রিকা গুলো পড়ুন । মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি বারবেনা বরং মুসলমানদের কে এখন থেকে সর্তক করতে হবে। ইসলামের নামে এই সব অপ প্রচার করবে আর আপনি আমাকে বলছেন আমি অপ প্রচার করছি। একটা কথা মনে রাখবেন ভাই- আল্লাহর দ্বীন কারো কাছে ধণ্যা দিয়ে আসে নাই।
@এম এম নুর হোসেন, আসলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম তার কি কি ভূল আছে সে গুলি উল্লেখ করার জন্য। তার মাঝে যদি এমন আকীদাগত ভূল থাকে যে গুলি থেকে মুসলমানদের কে হেফাজন থাকা জরুরী। তাহলে আলেমদের অবশ্যই কর্তব্য সেগুলিকে মানুষের নিকট স্পষ্ট করে দেয়া। আর তার ভূল গুলি যদি ছোট খাট হয়, তাহলে উচিৎ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। কেননা ছোট খাট ভূল সবার থেকেই প্রকাশ পায়।
@রাসেল আহমেদ,এইটা কোন অপপ্রচার নয়। এইটা একটি বাস্তব সত্য। আপনি পত্রিকা গুলো পড়ুন। তাহলে বুঝবেন জাকির নায়ক ইসলাম প্রচারের নামে কত বড় জঘন্যতম কাজ করছে। মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি বারবে না, বরং মুসলমানদের কে এখনই সর্তক করা জরুরি।আমি অপ-প্রচার করিনা।ইসলাম প্রচারের নামে ইসলাম ধ্বংস করছে, আর আপনি আমাকে বলেন অপ-প্রচার করি।একটা কথা মনে রাখবেন ভাই- ইসলাম কারো কাছে ধণ্যা ধরে আসে নাই।
@এম এম নুর হোসেন, আসলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম তার কি কি ভূল আছে সে গুলি উল্লেখ করার জন্য। তার মাঝে যদি এমন আকীদাগত ভূল থাকে যে গুলি থেকে মুসলমানদের কে হেফাজন থাকা জরুরী। তাহলে আলেমদের অবশ্যই কর্তব্য সেগুলিকে মানুষের নিকট স্পষ্ট করে দেয়া। আর তার ভূল গুলি যদি ছোট খাট হয়, তাহলে উচিৎ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। কেননা ছোট খাট ভূল সবার থেকেই প্রকাশ পায়। ধন্যবাদ আপনাকে
@রাসেল আহমেদ, হ্যা ভাই ,এগুলো কোন ছোট খাটো ভূল নয়। আপনি মেহের বানি করে পত্রিকা গুলো সংগ্রহ করুন।আপনার শরীর শিহরে উঠবে।
@রাসেল আহমেদ, http://www.sonarbangladesh.com/blog/umayerkhan/46496
রাসেল আহমেদ ভাইয়ের সাথে সম্পূর্নই একমত। লেখকের উচিৎ তার বক্তব্যের সত্যাতার পক্ষে তথ্য উপস্থাপন, যেহেতু একজন ধর্মপ্রচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
@ফয়সল, শুকরিয়া, এগুলো আমার বক্তব্য নয়।অল্প কথায় বুঝার চেষ্টা করেন।আপনি মে,জুন, জুলাই ২০১১ইং মাসের মাসিক আর্দশ নারী গুলো সংগ্রহ করুন। দেখুন পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের আলেম-ওলমাগন তার ব্যাপারে কি বলছেন।
@এম এম নুর হোসেন, গত মে মাসের আদর্শনারী পত্রিকায় জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগের ক্ষেত্রে জাকির নায়েকের কথা গুলো কখন কোথায় বলেছেন, তার সূত্র ও রেফারেন্স না পেয়ে আমরা ‘পাক্ষিক মুক্ত আওয়াজ’ নামক একটি ইসলামিক পত্রিকার পক্ষ থেকে মাসিক আদর্শ নারী পত্রিকার সম্পাদক জনাব মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী সাহেবের কাছে ফোন করেছিলাম। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো যে, তিনি তার পত্রিকায় জাকির নায়েকর কথার যেই উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেগুলো জাকির নায়েক কখন, কোথায়, কোন আলোচনায় বলেছেন?
তিনি বলেছিলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি। আমরা তখন তার কাছে এর প্রমাণ চাইলাম এবং সূত্র দিতে বললাম। তখন তিনি আমাদের এই বলে আশ্বস্ত করলেন যে, এ ব্যাপারে আরো গবেষণা হচ্ছে, আগামী মাসে সূত্র জানানো হবে।
এরপর এলো জুন মাস। এ মাসের আদর্শ নারী পত্রিকায়ও পূর্বের মতোই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে “জাকির নায়েক সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্নাবলীর জবাব” শিরোনামে আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে স্বয়ং সম্পাদক আবুল হাসান শামসাবাদী সাহেবের নিজ নামে। ভালো কথা। আশা করলাম এখন হয়তো জাকির নায়েকের কোন ভুলের প্রমাণ পাওয়া যাবে। জাকির নায়েক প্রতিবেদনের প্রথম পাতাতে জাকির নায়েকের পরিচয় উল্লেখ করে উইকি পিডিয়ার সূত্র দেয়া হযেছে। মেনে নিলাম। কারণ বিশ্বের যে কোন বরেণ্য ব্যক্তির জীবন বৃত্তান্তই উইকিপিডিয়াতে পাওয়া যাবে। একটি উদ্ধৃতি পেয়ে খানিকটা খুশিই হয়েছিলাম। যে যাক এবার হয়তো আরো কিছু যৌক্তিক কোন পয়েন্ট পাওয়া যাবে। কিন্তু উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য সূত্রের ইংরেজি লিংক দেখে খানিকটা দ্বিধান্বিত হয়েছি। কারণ যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা সকলেই জানেন যে ইন্টারনেটে যে কোনো ওয়েব সাইট বা লিঙ্কের ইরেজি অক্ষর গুলো সব ছোট হাতের হয় এবং সেখানে মাঝখানে কোন স্পেস থাকে না।
কিন্তু আদর্শ নারী পত্রিকায় দেয়া সূত্রে দেখা যাচ্ছে ইংরেজি বানানে মাঝে মাঝে বড় অক্ষর এবং একটু পর পর স্পেস। এর চেয়েও বড় অসঙ্গতি মনে হলো অধিকাংশ লিংকেই কোন ওয়েব পেজ এর নাম নেই দেখে। দ্বিতীয় লিঙ্কটি হলো http://Is the Logic of Zakir Naik Reliable? দ্বিতীয় এই লিঙ্কটি একটু যাচাই করে দেখার জন্য লিঙ্কটি হুবহু কপি করে আমার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এ পেষ্ট করলাম। এন্টার দিলাম। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে কিছু আসলো না। উইকিপিডিয়াতে দিলাম সেখানেও নো রেসাল্ট শো করলো। শেষ পর্যন্ত গুগল এ সার্চ এর ঘরে এটা পেষ্ট করে এন্টার দিলাম। তারা কয়েকটা ওয়েবের নাম দেখালো যেখানে নাকি এই লেখাটি আছে। সেটি হলো: http://www.unchangingword.com/aboutus.php তো এই ওয়েব পেজে এসে দেখলাম জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অনেক কথাই এখানে লেখা হয়েছে।
ওয়েব পেজটির প্রথম পাতা কুরআনের ছবি দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আরবীতে কালিমাতুল্লাহ শব্দটিও লেখা হয়েছে। তার মধ্যে খৃষ্টানদের বিরোধীতা করে তিনি যে সব কথা বলেছেন তাও খন্ডন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা দেখে একটু থমকে গেলাম। এবার আগের চেয়ে ভালো করে দেখার চেষ্টা করতে লাগলাম এই ওয়েব পেজটা কাদের? কারা জাকির নায়েকের বিরোধীতা করছে? একটু খুঁজতেই দেখলাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ কলেবরে একটি লিঙ্ক দেয়া, লিঙ্কটির নাম The Titles of Hazrat Isa Masih In the Qur’n এটা দেখে আমি এমন শক খেয়েছি! খোদার কসম করে বলতে পারি, আমার সামনে সিংহ দেখলেও আমি এতোটা আঁতকে উঠতাম না। পাঠক হয়তো এর মধ্যেই বুঝে গেছেন। এটা হচ্ছে খৃষ্টানদের একটি ওয়েব সাইট। যেখানে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের বিকৃত ব্যখ্যা করে হযরত ঈসা আ. কে আল্লাহর পূত্র সাব্যস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং কুরআনে হযরত ঈসা আ. এর নাম আছে দেখিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ওয়েবের বিভিন্ন লেখায় বাইবেলের পক্ষে প্রচারণা চালানো হয়েছে খুব সুক্ষ্মভাবে। যা অভিজ্ঞ কেউ ছাড়া সাধারণ কোন মুসলমানের জন্য বুঝা ও উপলব্ধি করা খুবই কঠিন। প্রায় অসম্ভব।
খৃষ্টানদের গোমর ফাঁক করে দেয়ার কারণে তারা যে জাকির নায়েকের উপর ক্ষুব্ধ এটা আমি আগেই শুনেছি। কিন্তু মাওলানা আবুল হাসান শামসাবাদী সাহেবের মতো এমন বিচক্ষণ একজন আলেম এবং আদর্শনারী পত্রিকার মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মাসিক পত্রিকা তাদের মত প্রমাণের জন্য খৃষ্টানদের ওয়েবের সাহায্য নিয়েছে! এটা আমি কি করে মেনে নেই? আমার মনে হচ্ছে আমি মাটির নিচে চলে যাই। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত দিন। আগ্রহী পাঠকরা চাইলে আমার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই লিঙ্কে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। http://www.unchangingword.com/aboutus.php তবে খৃষ্টানদের এই চতুর ওয়েব দেখে বিভ্রান্ত হবেন না যেনো!
এ ছাড়া আদর্শ নারী পত্রিকায় আর যেসকল লিঙ্ক দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশই হলো ভারত পাকিস্তানের কবর-মাজার ও পীর-ফকীর পুজারী ভন্ড বিদআতীদের ওয়েব সাইট। কিছু ব্লগের লিঙ্কও দেয়া হয়েছে। যারা তাদের পার্থিব স্বার্থে জাকির নায়েক ব্যাঘাত ঘটানোয় সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হয়ে অনলাইনে জাকির নায়েকের সমালোচনার ঝর তুলেছেন।
এছাড়া দেওবন্দ মাদ্রাসাসহ পাকিস্তানের কিছু মাদ্রাসা থেকেও ইখতিলাফী ও মতবিরোধপূর্ণ মাসআলায় জাকির নায়েকের সমালোচনা করা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে হানাফী মাযহাবের লোকদেরকে ইখতেলাফী মাসআলায় জাকির নায়েকের মত অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা হতেই পারে। সুন্নাত-নফল মাসআলা গত ক্ষেত্রে জাকির নায়েকের উদ্ধৃত প্রমাণ্য আলোচনার চেয়েও বেশি প্রামাণ্য কোন বক্তব্য থাকলে সে বিষয়ে আমল করা যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে কুরআন-হাদীসের দলীল নির্ভর বক্তব্য প্রদানকারী কাউকে গোমরাহ বলাটা তো অবশ্যই অনুচিত ও হারাম কাজ।
এছাড়াও আদর্শ নারী পত্রিকার এই রিপোর্টের শেষে বলা হয়েছে “এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে fatwa against dr zakir naik অথবা fatwa about dr zakir naik লিখে সার্চ দিলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।” আমার বলতে হচ্ছে যে, ইন্টারনেটে fatwa against islam/quran/muhammad অথবা fatwa about islam/quran/muhammad লিখে সার্চ দিলে আরো অনেক অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যাবে। তাহলে এখন এগুলোও কি বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য হবে -নাউযুবিল্লাহ।
আসলে আমাদের দুর্ভাগ্য, যে আমরা এমন কিছু ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতৃবৃন্দের অনুসরণ করছি, যারা না বুঝে ইখলাসের সাথে জাতিকে গোমরাহ করছেন। এই আদর্শ নারী পত্রিকা বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনগণের মাঝে প্রায় ৫০/৬০ হাজার কপি বিক্রি হয়। এখন একজন আবুল হাসান শামসাবাদী সাহেবের অন্ধ আক্রোশের কারণে আজ এই পত্রিকার এক বিশাল পাঠক শ্রেণী বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা যদি খৃষ্টানদের সেই ওয়েব সাইট দেখে বিভ্রান্ত হয় তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? একজন মুসলমানকে বাতিল ও ভ্রান্ত বলার জন্য কি আমাদের এখন খৃষ্টানদের সহযোগিতা নিতে হবে?
অথচ তারা যদি একটু চিন্তা করতেন তাহলে নিজেরাই বুঝতেন যে, যেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খৃষ্টানরা সমালোচনা করেছে, বিদআতী ভন্ড মাজার পুজারীরা যার বিরুক্ষে লিখেছে, বৃটেন যাকে যেতে দিচ্ছে না, ভারতের মত কুফর দেশের সরকার ও তার আদালত যার বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারী করেছে সেই ব্যক্তি ড. জাকির নায়েক যে সত্যের উপর আছে এর জন্য তো এগুলোই প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট। আল্লাহ এদেরকে কবে সঠিক বুঝ দিবেন?
http://www.sonarbangladesh.com/blog/umayerkhan/46496
@shovoon,আস সালামু আলাইকুম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক কষ্ট করে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য। আমরা যে এভাবে শয়তানের (ইহুদী, মোশরেকেরা ও নাসারা) ক্ষপ্পরে পড়ে কতযে বিভ্রান্তিতে পড়ে আছি তার হিসেব দেওয়া কঠিন। বিধর্মীরা বিশেষ করে ইহুদী, মোশরেকেরা ও নাসারারা মুসলমান নামের মানুষের উপর ভর করে মুসলমানদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করছে। তারা কাদিয়ানীদের উৎসাহিত করে। সুন্নি সেজে শিয়াদের বোমা মারে আবার শিয়া সেজে সুন্নিদের বোমা মারে । নিজেদের সুবিদার জন্য মিথ্যাচার করা হয়। সেজন্য ওয়েব সাইটকে ভাল মাধ্যম হিসেবে পেয়েছে। আমরা শুধু আলকুরআন ও সহীহ হাদিসের সূত্রে যা বলা হবে তাই বিস্বাস করব। বিশ্বস্ত ওয়েব সাইট থেকে তথ্য নিব। যেমন,
http://www.islamhouse.com ( বাংলায় ও অনেক ভাষায় প্রচারিত)
http://www.islamiboi.wordpress.com
আমার ওয়েব সাইটে আরো অনেক লিংক পাবেন; http://drmujib.tripod.com/
@Mujibur Rahman, ttp://www.islamhouse.com এই ওয়েভ কারা পরিচালনা করে ,তাদের সর্ম্পকে জানা থাকলে লিখুন।
@এম এম নুর হোসেন,এটা অন্তত শয়তানদের (ইহুদী, মোশরেকেরা ও নাসারা) দ্বারা পরিচালিত না তা বলতে পারি। যারা আলকুরআন ও সহীহ হাদীসের সূত্রে কথা বলে, বিদয়াতের বিরূদ্ধে, বিদআতী ভন্ড মাজার পুজারীর বিরূদ্ধে , মুসলমানদের দলাদলির বিপক্ষে কথা বলে। ওয়েব সাইটটি ভিজিট করলে আশা করি আমার সাথে একমত হবেন।
@shovoon,শুকরিয়া, এই লেখাটি কি আপনার? আপনি আর্দশ নারী জুলাই সংখ্যা পড়েছেন।
@shovoon,আপনার কথা যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে।
@ফয়সল, http://www.sonarbangladesh.com/blog/umayerkhan/46496
যে উত্তর দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট, কিন্তু আমি আশ্চার্য হচ্ছি যে, যে অসংখ্য সাধারণ মানুষ এই লেখা গুলি পড়েছে তারা কি ভাবে তাদের এই ভুল ধারণাকে দূর করবে?সম্পাদক সাহেব কি আবার এটার ভুল সংশোধনমূলক আরেকটি লেখা উপহার দিবেন।যদি দেন তাহলে এর প্রতিদান একমাত্র আল্লাহ তায়ালা এর কাছে থাকবে।
আর একটি বিষয় হলো আমরা একবার জাকির নায়ককে দাওয়াত করেছিলাম। খুব কাজ থেকে দেখতে সুযোগ হয়েছিল। দেশের সিমানা পেরিয়ে অন্য কোন দেশে সে আমাদেরকে যে বিষয়গুলির উপদেশ দিয়েছিলেন,তাতে মনে হয় না যে সে ফিতনাবাজ। যেহেতু মজলিশ ছিল বিশ্বের সেরা ধর্মিয় বিদ্যাপিঠের ছাত্রদেরকে নিয়ে,সুতারং সে সেদিন মন খুলে কথা বলেছিলেন আমাদের সাথে।বলেছিলেন তার জীবনের মাকছাদ।জানিয়ে ছিলেন তার দুর্বলতার দিকগুলি।তার আফসোসের কথাগুলি। যা শুনে কোন বিবেকবান মানুষ তাকে ফিত্নাবাজ বলতে পারে না।
আরও একটি দিক হলো জাকির নায়কের যে উস্তাদ ছিলেন আহমাদ দিদাত আফ্রিকী উনার থেকেই তো জাকির নায়ক এই সব বিদ্যা অর্জন করেছেন। কিন্তু তার বিষয়ে তো বিশ্বের সকল আলেমদের মত তো একই যে উনি তো একজন দ্বীনের দায়ী।আহমাদ দিদাত এর ইন্তেকাল হয়ে গিয়াছে,কিন্তু তার থেকে এমন কোন ফিত্না প্রকাশ পায় নাই যার দ্বারা দ্বীনের বড় কোন ক্ষতি হয়ে গেছে। যাইহোক এর দ্বারা আমরা নিশ্চিত হইতে পারি যে,জাকির নায়কের মুল কোন খারাব নয়। সুতারং তার ব্যাপারে কথা বলতে হলে যাচাই বাচাই করে বলা চাই।
শোভন ভাই এর সব কথাই ঠিক আছে, তবে হযরত আয়শা (রাঃ)থেকে একটি হাদিছ বর্ণিত আছে,أقلوا ذوي الهيئات عثراتهم،إلا الحدود এই দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হয়, যে সমস্ত আলেমগন দির্ঘদিন যাবত মানুষ ও জাতির খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছেন তাদের সংশোধন এর বিষয়টা বা তাদের ব্যাপারে কথা বলার ব্যাপারে আরেকটু রহমদিল হওয়া বা গোপনীয়তা রক্ষা করাই মনে হয় ভালো।
আদর্শ নারীর সম্পাদক সাহেব যদিও বড় আলেম, ইন্টারনেট বা প্রযুক্তি বিষয়ে খুবই কাঁচা। যার ফলে এরকম লিংক থেকে তথ্য নিয়ে সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করেছে।সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করেছে।
@হাফেজ মোঃ আল্-আমিন, আপনি যা ভাবছেন তা সঠিক হলে খুব ভাল হতো। আল্লাহই ভাল জানেন।ইন্টারনেটে অনেক বিষয়ের খারাপ ধারনা বা ভাল ধারনা দুই পাওয়া যায়। আপনি যদি কোন বিষয় বা ব্যক্তির ভাল ধারনা পোষণ করেন তাহলে খুজে খুজে ভাল তথ্য গুলিই সুগ্রহ করবেন। আবার উল্টাটাও হওয়া সম্ভব।যেমন একটা উদাহরণ দিচ্ছি–
রমজানের ফজিলত সমপর্কে কোন মুসলমানের সন্দেহ থাকার কথা না। আবার মুসলমান নামধারী একজন এইদেশের লোকের রোজার বিপক্ষে যে মানসিকতা থাকতে পারে তা নীচের লিংকে লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন।
http://blog.bdnews24.com/dr_mushfique/27556
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় গ্রন্থ ও ধর্ম নিয়ে ইসলাম ধর্মের সাথে তুলনামূলক ধর্মীয় বিশ্লেষণে ডঃ জাকির নায়েক যে চমৎকার দ্বীনী খিদমাত করছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। এবং তাকে সাধুবাদ জানানো উচিত। কিন্তু তিনি যেহেতো আলেম নন তাই মাসআলা মাসায়েলের ক্ষেত্রেও তার অনুসরণ করার মনোভাব আমাদের সমাজে বিভ্রান্তিই ছড়াবে। যার যেই যোগ্যতা ও খিদমাত তা স্বীকার করা উচিত। সাথে ভুল গুলিও ধরিয়ে দেয়াও আবশ্যকীয় কর্তব্য। সেই হিসেবে বলব জাকির নায়েকের মাসআলা বর্ণনা কথিত আহলে হাদিসদের অনুযায়ী হওয়ায় আমরা তা গ্রহণ না করি। এবং এক্ষেত্রে মানুষকে সতর্ক রাখি। কিন্তু ঢালাওভাবে তাকে খারাপ মন্তব্য করার মাধ্যমে তার বিশাল দ্বীনী খিদমাতকে অস্বীকার করার কোন মানে হয়না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে জানার তৌফিক দিন। আমীন।
@lutforfarazi, সহমত।