একটি শিক্ষনীয় হাদীস
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ সোমবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১১ (২:১৭ অপরাহ্ণ)
হযরত উকবা রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:তিনি বলেন:একদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হল ,আমি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাথে মুসাফাহা করে বললাম,হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম !কোন আমলে মুমিনের মুক্তি রয়েছে,তিনি উত্তরে বললেন ,হে উকবা !জিহবা সংযত রাখো,নিজের ঘরে বসে থাকো ,নিজের পাপের কথা স্বরণ করে কান্নাকাটি করো.দ্বিতীয়বার রাসুলুল্লাহ এর সাথে পুনরায় আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি নিজেই আমার সাথে মুসাফাহা করে বললেন.হে উকবা !আমি কি তোমাকে তাওরাত যবুর এবং কোরআনে সমস্ত সুরারা মধ্যে শ্রেষ্ট সুরার কথা বলব,আমি উত্তরে বললাম ,”হাঁ”হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম !তিনি তখন আমাকে সুরা ইখলাস সুরা ফালাক সুরা নাস পাঠ করালেন,তারপর বললেন ,হে উকবা! এ সুরা গুলো ভুলোনা, প্রতিদিন রাত্রে এগুলো পাঠ কর,হযরত উকবা রাযিআল্লাহু আনহু বলেন. এরপর থেকে আমি এ সুরা গুলোর কথা বলিনি,এবং এগুলো পাঠ করা ছাড়া আমি কোন রাত্রি কাটাইনি,অত:পর আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম.এবং তাঁর হাত আমার হাতের মধ্যে দিয়ে আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ! আমাকে উত্তম আমলের কথা বলে দিন,তখন তিনি বললেন ,শোনো, যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে তুমি তার সাথে সম্পর্ক মিলিত রাখবে,যে তোমাকে বঞ্চিত করবে তুমি তাকে দান করবে,তোমার প্রতি যে যুলুম করবে তুমি তাকে ক্ষমা করবে.(মুসনাদে আহমদ:হাদীস নম্বর:১৬৮৮৩
ফায়েদা:
১:মুসাফাহা বা করমর্দন করা সুন্নাহ তা প্রমাণিত হল
২:জানার জন্য বারবার প্রশ্ন করা বেয়াদবী নয়,
৩:জিহবা সংযত রাখার গুরুত্ব ,নিজের ঘরে বেশী ইবাদত করা ,কবর বা মাজারে নয়,বিগত গুনাহ স্বরণ করে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করার মহাত্ব বুঝে আসে,
৪:সুরা ইখলাস সুরা ফালাক সুরা নাস উৎকৃষ্ট সুরা তা প্রমাণিত হয়,
৫”উক্ত তিন সুরা প্রতিদিন পাঠ সন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত,
৬:হযরত উকবা রা: মহানবী সা: এর বাতানো আমলের প্রতি কতটুকু একনিষ্ট ছিলেন,তা বোধগম্য হয়,
৭:বড়রা ছোটদেরকে বিভিন্ন্ উপদেশ দিবে .
৮:যে সম্পর্ক ছিন্ন্ করে তার সাথে সম্পর্ক জুড়ানো
৯:যে বঞ্চিত করে তাকে অধিক হারে দান করা,
১০: যে জুলুম করে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া,
লিখেছেন শাহ আরকামী