আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের মুসলমান বানিয়েছেন
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১ (১২:৩১ অপরাহ্ণ)
প্রতিটি সচেতন মুসলমান একবার পড়ুন এবং একটু ভাবুন কোথায় আমাদের অবস্থান
প্রফেসর হযরত হামিদুর রহমান
আমার মনে হয় পাখা করা বন্ধ করলে ভালো হয়। হাতপাখা দিয়ে কয়জন বাতাস করবে? বিদ্যুৎ নেই, সবাই একটুখানি সবর করি। নেয়ামত যে নেই এটা এখন বোঝা যায়। যখন নেয়ামত থাকে তখন কি শোকরগুযারি করি?
এই যে বিদ্যুৎ এসেছে, বাতি জ্বলছে, পাখা ঘুরছে! কারো কাছেই এটা বিন্দুমাত্র অবাক লাগে না। অথচ অবাক হওয়ার মতো জিনিস। একটু আগে ছিল নেয়ামত না থাকার অবস্থা, আর এখন নেয়ামত থাকার অবস্থা। অতএব কত শোকরগোযারি করা দরকার! কিন্তু কী শোকরগোযারি করি আমরা? কুরআন মজীদের বিখ্যাত আয়াত (তরজমা) যদি তোমরা শোকরগোযারি কর তাহলে আমি বাড়িয়ে দিব, আর যদি নাশোকরি কর তাহলে আমার শাস্তি বড় কঠিন!
তো কীভাবে শোকরগোযারি করব? আলহামদু লিল্লাহ! আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়েছেন-বল আলহামদুলিল্লাহ। তো আলহামদুলিল্লাহ বললে শোকরগোযারি হয় । আর একবার আলহামদুলিল্লাহ বলার বরকতে আল্লাহ যদি সকল নেয়ামত দিয়ে দেন,আল্লাহর জন্য কষ্ট কী?
ইসলামের এক অপূর্ব শিক্ষা-আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহি রাবিবল আলামীন। তো দুনিয়ার নেয়ামতের জন্যও আলহামদুলিল্লাহ, আসল নেয়ামত ঈমান ও ইসলামের নেয়ামতের জন্যও আলহামদুলিল্লাহ।
আমি একটি গল্প আপনাদেরকে অনেকবার শুনিয়েছি। হযরত মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুমের যবানে শোনা। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমার বয়স তখন দশ কি এগারো। আমার আববাজান এডভোকেট মাহমুদুল হক সাহেব আমাকে নিয়ে হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ. এর কাছে গেলেন। ওখানে আমরা অনেকক্ষণ থাকলাম। খাওয়া দাওয়া হল। দুয়া পড়া হল। এরপর কথাবার্তা হচ্ছে।’ মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব বলেন, ‘‘আমার আববাজান কথাবার্তার একপর্যায়ে বললেন, ‘হযরত, খাওয়ার শেষে যে দুয়া পড়লাম তার শেষ কথাটির তাৎপর্য কী? সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের খাওয়ালেন-এটা তো সহজেই বোঝা যায়। এরপর আমাদের পান করালেন-এটাও বোঝা যায়। কিন্তু শেষ কথা অর্থাৎ‘আমাদের মুসলমান বানালেন।’ এটা খাওয়ার দুয়ার মধ্যে কেন?’
হযরত হাকীমুল উম্মত বললেন, ‘এই প্রশ্ন তো আলেমদের করার কথা। এই দুআতে এই শব্দ কেন, এই কথার তাৎপর্য কী-এটা তো আলেমরা তাহকীক করবেন।’ মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব বলেন, ‘‘আমার আববা এডভোকেট হলেও আলেমের মতোই ছিলেন। তিনি ছিলেন হযরত থানভী রাহ. এর মুজাযে সোহবত।’’ তো আববাজানের এই প্রশ্নের উত্তরে হযরত থানভী রাহ. বললেন, ‘খাবার যে আল্লাহর নেয়ামত তা সহজেই বোঝা যায়, ক্ষুধার কারণে কষ্ট হচ্ছিল, খাবার খেল, ক্ষুধা দূর হল, এখন আর কষ্ট নেই। পিপাসায় কষ্ট হচ্ছিল। পানি পান করল, পিপাসা দূর হল, আর কষ্ট নেই। সরাসরি বোঝা যায় আল্লাহর নেয়ামত। কিন্তু আল্লাহ যে আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন, এটা যে আল্লাহর কত বড় নেয়ামত তা কি এত সহজে বোঝা যায়?
এই তো গতকাল আমাকে ফোন করল আমাদের মাদ্রাসার পুরান ছাত্র আরফান শিকদার। অন্তত সাত-আটবার ফোন করেছে, আপনাকে কোথায় পাব। এরপর সে তার দুঃখের কথা বলল যে, ‘আমি যেখানে চাকরি করি সেখানে ত্রিশজন যুবক, যারা মুসলমান ছিল, খৃস্টান হয়ে গেছে। আমি এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।’ এরপর সে আমাকে একটা বই দিল-কিতাবে মুকাদ্দাস। নামগুলো সব ইসলামি। আল্লাহ, সাহাবী ইত্যাদি। আমি তাকে বললাম, তুমি তো আমাদের মাদরাসায় পড়লে না! তোমাকে আমি কত বুঝিয়েছি! এই ছেলেটা যখন আমাদের মাদ্রাসায় পড়ত তখনই আমরা জানতাম, ওর নানা নানী খৃস্টান হয়ে গেছে। কালকে সে বলল যে, ওর আরো আত্মীয় খৃস্টান হয়ে গেছে। ওদের বাড়ি চট্টগ্রামে। সে এখনো খৃস্টান হয়নি। তবে নামাজ পড়তে পারে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় চাকরি কর? বলল, ‘একটা এনজিওতে, খৃস্টান এনজিও। নামাজ পড়তে পারি না, মনে মনে নামাজ পড়ি!’
মনে মনে কি নামাজ হয়? ও এসেছে আমার কাছে তার দুঃখের কথা বলতে। ত্রিশ-পয়ত্রিশ জন মুসলমান খৃস্টান হয়ে গেছে। এজন্য তার কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু সে নামাজ পড়তে পারে না, মনে মনে নামাজ পড়ে ! আমার তো তার সম্পর্কেই ভয় হয়। সে আমাকে বলল, ‘ওরা এই এই বই বিলি করে। বইগুলো আমি নিয়ে এসেছি।’ আমি বললাম, এই বই তো আমি আগেই পেয়েছি। বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি। ইস্কাটন রোডে ওদের ঠিকানা। ডাকযোগে বাইবেলের শিক্ষা তারা বহু আগে থেকে প্রচার করে। হাজার হাজার মুসলমানকে খৃস্টান বানিয়েছে, বাংলাদেশের ভিতরেই।
কিছুদিন আগে, আপনারা হয়তো পত্রিকায় দেখেছেন, দিনাজপুরের পৌরসভার চেয়ারম্যান দুঃখ করে বলেছে, খৃস্টানদের এনজিওগুলো দিনাজপুর শহরের পাশে দশ হাজার নতুন খৃস্টানের জন্য বাড়ি বানিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে জিজ্ঞাসাও করেনি! তো তার দুঃখ এই যে, তার
পারমিশন নেওয়া হয়নি, এতগুলো মানুষ যে খৃস্টান হয়ে গেল সেজন্য কোনো দুঃখ নেই! ওদের মধ্যে অবশ্য সাঁওতালও আছে, আদীবাসীও আছে, কিন্তু ঐ ছেলেটা যে ঘটনা বলল তা তো ঢাকা শহরের ঘটনা, মিরপুরের। বইয়ের মধ্যে ঠিকানা দেওয়া আছে-এস টি সি, মানে সালাম ট্রেনিং সেন্টার। নাম ছিল আব্দুস সালাম। এখন ঐ সালাম ট্রেনিং সেন্টার খৃস্টানদের ট্রেনিং দেয়ার জায়গা।
আমি বললাম, এগুলো তো নতুন কথা না, তবে তোমার কথা আমি আমার মুরবিবদের কাছে পৌঁছাব। আর কিছু না পারি দুয়া করব, মনের মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করব।
আজ থেকে এক শ বছর আগে একজন বড় খৃস্টান এদেশে এসেছিল। এদেশে যারা বৃটিশ আমলে খৃস্টান হয়েছে তাদের হালচাল দেখেছে এবং রিপোর্ট লিখেছে। সেই বইয়ের বাংলা অনুবাদ করার সুযোগ হয়েছে আমার। সে। লিখেছে, বাংলাদেশের খৃস্টান বেশির ভাগই ‘রাইস-খৃস্টান’, অর্থাৎ ভাতের জন্য খৃস্টান।
তো আরফান শিকদার আমাদের মক্তবে পড়ত। তার পড়ার অসিলা ছিল আমাদের বুয়েটের প্রফেসর ড. যাকিরুল্লাহ। তার বাড়িও কক্সবাজার। যাকিরুল্লাহ সাহেব নিজে তাকে ভর্তি করেছিলেন। মোটামুটি ভালো ছাত্র ছিল, কিন্তু পড়ল না। কে পড়বে, কে পড়বে না এটাও আল্লাহর ইচ্ছা। আমরা কত চেষ্টা করলাম! কিন্তু পড়ল না।
তো আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি যাদের সাথে চাকরি কর, নামাজ পড়তে পার না, তারা কত বেতন দেয়? বলল, সাড়ে তিন হাজার টাকা।
বাচ্চা ছেলে, সতের আঠার বছর বয়স হবে। সাড়ে তিন হাজার টাকা সহজ কথা নয়। তো সাড়ে তিন হাজার টাকায় নামাজ পড়তে পার না, আমার তো ভয় হয় কয়েকদিন পর তুমিও খৃস্টান হয়ে যাবে। সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তো হযরত হাকীমুল উম্মত বলেন, ইসলাম কত বড় নেয়ামত তা আমাদের উপলব্ধিতে নেই। আল্লাহ তাআলা তার নবীর মাধ্যমে আমাদের উপর এই এহসান করেছেন যে, খানার দোয়ায় শোকরের কথা ভরে দিয়েছেন, খানার সাথে সাথে আল্লাহ যে মুসলমান বানিয়েছেন সেজন্যও শোকরগোযারি কর্। বুঝিস না বুঝিস মুখে অন্তত বল্ যে, আল্লাহ আমাকে মুসলমান বানিয়েছেন এজন্য আল্লাহর শোকর, আল্লাহর প্রশংসা।
উলামায়ে কেরাম এই নেয়ামতের কদর বোঝে। দ্বীনের পথে যারা অগ্রসর হয় তারা বোঝে। দ্বীনের যত গভীরে যায় তত গভীরভাবে এই নেয়ামতের কদর বোঝে। নেয়ামতের উপলব্ধিতে তারা পাগলপারা হয়ে যায়। উপলব্ধির জন্য তো জ্ঞান লাগবে। জ্ঞান ছাড়া বুঝবেন কীভাবে?
তো আরফানের কথার সাথে সাথে কুরআন মজীদের বিখ্যাত একটি আয়াত সামনে এল। সুরা তাওবার আয়াত, অপূর্ব আয়াত। চৌদ্দ শ বছর আগেই আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন যে, কাফিররা পয়সা খরচ করে মুমিনদেরকে আল্লাহর দ্বীন থেকে হটানোর জন্য এবং এভাবেই তারা খরচ করতে থাকবে, কিন্তু এটা হবে তাদের জন্য আফসোসের কারণ এবং শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হবেই। এটা হল আল্লাহ পাকের ওয়াদা, কিন্তু আমাদের কি করণীয় কিছু নেই? আমাদের করণীয় কী-এটা মাওলানা আব্দুল মালেক ছাহেব বলবেন। আমাদের হযরত আবরারুল হক ছাহেব খুব সংক্ষেপ কথা বলতেন। হযরতের সরাসরি কথা- তুমি দাওয়াতুল হকের কাজ কর, ‘প্রতিদিন একটি করে সুন্নতের কথা বল, নিজেও সুন্নতের উপর আমল কর, প্রতিদিন একটা গুনাহর কথা মানুষকে জানাও এবং নিজেও গুনাহ ছাড়। হযরতের এক কথা-গুনাহ ছাড়, সুন্নত ধর। বড় বড় সমস্যার কথা বললেই হযরত বলতেন, ‘এক কাম করো-এক সুন্নত বাতাও…’। মনে মনে আফসোস করে লাভ হবে না, নগদ কাজ কর, গুনাহ ছাড়, নেকির পথে সুন্নতকে ধর। নেকির কথাকে ছড়াও, গুনাহর কথাকে ছড়াও, যেন তোমার আত্মীয়-স্বজন গুনাহ ছেড়ে দেয় এবং সুন্নত মোতাবেক চলে। আমাদের বুঝে আসবে না, কিন্তু তিনি এককথাই বলতেন, বারবার বলতেন। আমরা এসব মানতে চাই না, আমরা বড় বড় চিন্তা করি, সমাজে এতগুলো লোক খৃস্টান হয়ে গেল আমাদের করণীয় কী, অথচ নিজের নামাজের খবর নেই, চলাফেরার খবর নেই, অন্যের চিন্তায় ব্যস্ত। ওলামায়ে কেরাম বলেন, আগে নিজের কথা চিন্তা কর।
এখন তো বুঝে আসছে না। পয়সার জন্য এই অবস্থা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ খৃস্টান হচ্ছে। আমরা যদিও খৃস্টান হচ্ছি না, কিন্তু অনেক কাজ এমন করছি, যা ঈমানের দাবীতে ঠিক না। কেন করছি? পয়সার জন্য, দুনিয়ার জন্য। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন-(তরজমা) ‘না তোমরা তো নগদকে ভালোবাসছ এবং আখেরাতকে ছেড়ে দিচ্ছ।’ কুরআন শরীফে বারবার সতর্ক করা হয়েছে-(তরজমা) ‘তোমরা দুনিয়ার জীবনকেই প্রাধান্য দিচ্ছ অথচ আখেরাত মঙ্গলের জায়গা চিরদিনের জায়গা।’ তো আসল রোগ এটাই। আখেরাত সামনে নেই। দুনিয়ার নগদ লাভ চাই। আর এর জন্য কেউ খৃস্টান হচ্ছে, কেউ সরাসরি খৃস্টান না হলেও খৃস্টানের কাজকর্ম, তাদের সংস্কৃতি অবলম্বন করছে। আমাদের এই মজলিসের উদ্দেশ্য এটাই, দ্বীনের কিছু কথা আলোচনা করা, যাতে আমাদের গাফলত কাটে, দুনিয়ার আকর্ষণ কমে, এবং আখেরাতের আকর্ষণ বাড়ে। হযরত হাফেজ্জি হুজুর রাহ. এই আয়াত বারবার পড়তেন-(সূরা হাশর (৫৯ : ১৮) (তরজমা) হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহর কাছে যেতে হবে-এই ইয়াকীন বাড়াও, চিন্তা কর আগামীকালের জন্য কী পাঠিয়েছ। আগামীকাল মানে মৃত্যুর পরের জীবন। যেদিন আমল করার কোনো সুযোগ থাকবে না তার আগেই চিন্তা কর কী পাঠালে। আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ পাক খুব ভালো জানেন তোমরা কে কী করছ। কুরআনের পাতায় পাতায় এই নসীহত। প্রতিটি পাতা আপনাকে আল্লাহ কথা মনে করিয়ে দেয়, আখেরাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৬৫ সালে জুলাইয়ের শেষের দিকে ইংল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ হল। তখন এয়ারপোর্ট ছিল পুরান এয়ারপোর্ট। আমি ভিতরে যাচ্ছি, ছোট মামা ডাক দিলেন, হামিদ শোন, আল্লাহ তাকে গরীকে রহমত করুন, এখন কবরে চলে গেছেন তিনি আমাকে একটি পকেট সাইজ কোরআন শরীফ দিলেন। নিলাম, ভিতরে চলে গেলাম। কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার, প্রথম দিনই আমাদের নিয়ে গেল স্টানে। স্টান হচ্ছে আমাদের মতিঝিলের মতো লন্ডনের সবচেয়ে ব্যস্ত জায়গা। স্টানে আটতলা টাওয়ার ইংলিশ মেট্রিক হাউস। আটতলার উপর ইংলিশ মেট্রিক ভবন। ঐখানে থাকি। বাইরে যাই। হোটেলে হোটেলে থাকি। ঐসময় দেখেছি প্রত্যেকটা হোটেলে বাইবেল, কামরায় কামরায় বাইবেল রাখা। ওরা তো চাইত খৃস্টান বানাতে, কিন্তু আল্লাহ পাকের কুদরত, ওটা দেখলেই আমার ঘৃনা লাগত। আমি মামার দেওয়া কোরআন শরীফ মাঝে মাঝে পড়ি। ঐসময় মনে একটা ভাব জাগল, ওদের বাইবেল ঘরে ঘরে ইংরেজিতে, আমি কোরআন শরীফের একটি তরজমা পাই না! বই যেগুলো পাওয়া যায় অধিকাংশই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটুক্তি বরং গালিগালাজ। আগস্ট মাসে গিয়েছি,অক্টোবরে ছুটি একটু বেশি পেলাম। একটি মসজিদেও নাম শুনেছিলাম উকিং মসজিদ । খুঁজে খুঁজে গেলাম। লন্ডন থেকে অনেক দূরে। সেখানে পেলাম ইংরেজি তরজমা। ফিরে এসে মামার দেয়া ঐ কুরআন শরীফ পড়ি আর তরজমা মিলাই । আল্লাহ পাকের কী যে মেহেরবানী, মামার এই কুরআন শরীফটা যে আমাকে কতদূর এগিয়ে দিয়েছে তা আমি বলতে পারব না।
ওদের ধর্ম তো কিছুই নেই। পয়সা দিয়ে মানুষ কিনে। যদিও কুরআন শরীফে তাওরাতের কথা আছে, ইঞ্জিলের কথা আছে, কিন্তু আল্লাহ ঐগুলো রাখেননি। ওগুলোও ছিল আসমানী কিতাব। আল্লাহ পাক বলেছেন, ওগুলোর মধ্যে আছে ফুরকান, কুরআনের নাম ফুরকান, তাওরাতের নামও ফুরকান। তাওরাতের নাম যিয়া-আলো। কিন্তু সে তাওরাত তো নেই, সেই ইঞ্জিল তো নেই। আল্লাহ পাক ঐগুলোর হেফাযতের দায়িত্ব নেননি। কুরআনের হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং হেফাযত করেছেন। তা নাহলে কুরআন এভাবে সারা দুনিয়ায় থাকত না। তো ওদের ধর্মে কোনো কিছু নেই। ওরা পয়সা দিয়ে মানুষ কিনছে। কিন্তু এখানে আমাদের কিছু করণীয় আছে। সর্বনিম্ন পর্যায় হল আল্লাহর কাছে দুয়া করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং আমলের তাওফীক দান করুন। আমীন।
http://www.alkawsar.com/article/437
http://sonarbangladesh.com/blog/mmnourhossain/65224#Reply411320
কিছুদিন আগে, আপনারা হয়তো পত্রিকায় দেখেছেন, দিনাজপুরের পৌরসভার চেয়ারম্যান দুঃখ করে বলেছে, খৃস্টানদের এনজিওগুলো দিনাজপুর শহরের পাশে দশ হাজার নতুন খৃস্টানের জন্য বাড়ি বানিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে জিজ্ঞাসাও করেনি! তো তার দুঃখ এই যে, তার
পারমিশন নেওয়া হয়নি, এতগুলো মানুষ যে খৃস্টান হয়ে গেল সেজন্য কোনো দুঃখ নেই!
এটা মারাত্ত্বক সংশয়ের বিষয়।এরকম ঘটনা নীলফারী জেলার জলঢাকায় ঘটেছিল একবার কয়েকবছর আগে। একই এলাকার অনেকগুলি পরিবার খৃস্টান হয়ে গিয়েছিল ।পরে তাবলীগের একটি বড় দল সেখানে গিয়ে আল্লাহর রহমতে সেটা প্রতিহত করতে করতে পেরেছে। যারা নামে মুসলমান কিন্তু মূর্খ- ইসলাম সমপর্কে কিছুই জানে না বা বুঝতে চেষ্ঠা করে না -অথচ গরীব, মনে হয় তাদেরকে খৃস্টানরা সহজে প্রলোভন দেখায়ে প্রতারিত করতে পারছে।