হিন্দু সম্প্রদায় দ্বারা মুসলমানদের বাড়িতে ও মসজিদে হামলা ভাঙচুর কিসের আলামত? -পীর সাহেব চরমোনাই
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১১ (৪:২৬ অপরাহ্ণ)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ গতকাল বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক চট্টগ্রাম মহানগরীর পাথরঘাটা এলাকায় মসজিদ ভাঙচুর, মুসলমানের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনার মত ঘটনায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। এসব কিসের আলামত? হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক আল্লাহর ঘরে হামলা চালানোর ঘটনাকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।’’
তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্ফালন পরিলক্ষিত হচ্ছে। একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে তারা দেশে সম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। রোজার ঈদের দিন রাতে ৫ হিন্দু যুবক কর্তৃক মুসলিম তরুণী অপহরণ, সম্ভম লুট ও সিঁদুর পরানো, হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক মুসলমান ছাত্রী ধর্ষণ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও ঢাকার ধানমন্ডি বয়েজ হাইস্কুলে হিন্দু শিক্ষক রাসূল (সা.)কে নিয়ে অব্যাহত কটূক্তি করার পর এখন চিটাগাংয়ের পাথরঘাটার ঘটনায় দেশে রামরাজ্য বানানোর আলামত স্পষ্ট হয়েছে। সরকার যেদিন সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার সংযোজনের পর থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের চরম আস্ফালন শুরু হয়েছে। সরকার সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করার পর থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নাস্তিক-মুরতাদরা ইসলামের বিরুদ্ধে, বিশ্বনবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘‘আমার সংশয় হচ্ছে যে, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় দাঙ্গা লেগেই আছে। ভারতের আহমাদাবাদে মুসলমানদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারার মত ঘটনাও ঘটছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশকে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে হয়।’’
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘‘গজে চড়ে মা দুর্গা এসেছেন ফলে ফসল ভাল হয়েছে, মানুষ সুখ-শান্তিতে আছে।’ বক্তব্যের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে বেপরোয়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রকটভাবে।’’ পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ‘‘আমরা আরো অবাক ও বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, পাবনার পাকশি রেলওয়ে মসজিদসহ ২টি মসজিদ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে একজন হিন্দু লোককে। আল্লাহ পাক কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘ইন্নামাল মুশরিকুনা নাজিসুন’ নিশ্চয়ই মুশরিকগণ নাপাক। পবিত্র ঘরে একজন নাপাক হিন্দুকে সভাপতি করে আল্লাহর সাথে বেয়াদবি করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘এসব কিসের আলামত?’’
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/13/111511
যদি মুসলমান নাম ধারন করে
যদি ইসলামের ঐ মুখোশ পরে
যদি গোলামি করতে হয় ঐ তাগুতের
তবে,
ইসলাম মুখে এনে লাভটা কি?
তুমি, সে কথা কখনও ভেবেছো কি