ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে মাওলানা ইউনুস আহমদ : ভারতের তাঁবেদারি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ শনিবার, অক্টোবর ১৫, ২০১১ (৬:৩২ অপরাহ্ণ)
স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, সরকার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন করবে না বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও এটা ছিল ভোট নেয়ার কৌশল এবং দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণামাত্র। তিনি বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ একটি ইসলামবিরোধী শক্তির নাম—তা তারা বার বার প্রমাণ করছে। এ সরকার আল্লাহর ওপর আস্থা না রাখলেও মা দুর্গার ওপর আস্থা রাখছে। কাজেই হিন্দুপ্রেমিকদের মুসলমানরা ভোট দিতে পারে না। শেখ হাসিনার সরকারকে ভারতপ্রেমিক ও বিদেশিদের তাঁবেদার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের ও বিদেশিদের পদচুম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। তিনি বলেন, সরকার
ভারতকে ট্রানজিট দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের
তাঁবেদারি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে।
গতকাল পুরানা
পল্টনের হাউজবিল্ডিং চত্বরে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনর্বহাল, দেশবিরোধী ট্রানজিট চুক্তি বাতিল, কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুস এসব কথা বলেন। নগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, মাওলানা বাছিরউদ্দিন মাহমুদ, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সরকার দেশে দুঃশাসন কায়েম করেছে। দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন লেগেছে। সেই আগুনে সরকার জ্বলে-পুড়ে ছাই হবে। সরকার দলের লোকজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন ও হত্যায় মেতে উঠেছে। বিরোধী দলের ওপর জেল, জুলুম, মামলা ও হামলা দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিরোধী দল দমনের নামে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিরোধীদলীয় লোকজনকে বুটের নিচে ফেলে পুলিশ দলন করছে। সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল পল্টন মোড়, প্রেস ক্লাব ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/15/111870
রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলন’র সমাবেশ ও মিছিল
বিদেশীদের পদচুম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না
গতকাল শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় -সংগ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকার কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন প্রকার আইন করবে না বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও এটা ছিল ভোট নেয়ার কৌশল এবং দেশবাসীর সাথে প্রতারণা মাত্র। আসলে আওয়ামী লীগ একটি ইসলাম বিরোধী শক্তির নাম-বারবার তারা তা প্রমাণ করছে। তিনি বলেন, এই সরকার আল্লাহর ওপর আস্থা না রাখলেও মা দুর্গার ওপর আস্থা রাখছে। কাজেই হিন্দু প্রেমিকদের মুসলমানরা ভোট দিতে পারে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ভারতপ্রেমিক ও বিদেশীদের তাঁবেদার। সরকার ট্রানজিট দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু ভারত ও বিদেশীদের পদচুম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুসলমানদের সাথে ওয়াদা করে চরম অন্যায় করেছেন। এখন তওবা করে ইসলামে ফিরে না এলে আল্লাহর গজবে নিপতিত হবেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ হাউজ বিল্ডিং চত্বরে ‘‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’’ পুনর্বহাল, দেশবিরোধী ট্রানজিট চুক্তি বাতিল, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, এডভোকেট মানিক মিয়া, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ,হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত প্রমুখ।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতন থেকে জাতি বাঁচতে চায়, ঈমান ও আমলের হেফাজত চায়। সরকার আড়াই বছরের শাসনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কাদিয়ানী সমস্যা একটি বড় সমস্যা। কাদিয়ানীরা সরলমনা মুসলমানদের অর্থের লোভে ধর্মান্তরিত করছে। তিনি বলেন, দেশের পদে পদে সমস্যা। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি, কোথাও শান্তি নেই, সর্বত্র অশান্তির দাবানলে জ্বলছে। জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। এর আশু সমাধান না হলে দেশে যে কোন সময় সরকারের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ সৃষ্টি হতে পারে।
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ‘গজে চড়ে মা দুর্গা এসেছেন বলে দেশে ফসলাদি ভাল হয়েছে’ প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য কুফরীর শামিল এবং মুসলিম সেন্টিমেন্ট বিরোধী। মুসলমানের দেশের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাকে মা দেবী বলে সম্বোধন করে তা আসলেই ভাববার বিষয়। সভাপতির বক্তব্যে হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সরকার দেশে দুঃশাসন কায়েম করেছে। দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন লেগেছে, সেই আগুনে সরকার জ্বলে পুড়ে ছাই হবে। তিনি বলেন, সরকারি দলের লোকজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুন্ঠন ও হত্যায় মেতে উঠেছে। বিরোধী দলের ওপর জেল, জুলুম, মামলা ও হামলা দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। সরকারের বিরুদ্ধে দেশময় যে জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে তারা আর টিকে থাকতে পারবে না। পরে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=66488