লগইন রেজিস্ট্রেশন

সংবাদ সম্মেলনে চরমোনাই পীর সাহেব : আহলে হাদিসের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে

লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ রবিবার, জানুয়ারি ২৯, ২০১২ (৬:৫৮ অপরাহ্ণ)

স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে অঙ্গীকার করেও বাহাস অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে তথাকথিত আহলে হাদিসরা নিজেরাই স্বীকার করে নিল তাদের মতাদর্শ সঠিক নয়। তাই আহলে হাদিসের ভ্রান্ত মতবাদে যারা বিশ্বাসী তাদের উচিত তওবা করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসরণে ইসলামের সঠিক ধারায় ফিরে আসা। আহলে হাদিস নামধারী ইসলামের দুশমনদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী তথাকথিত আহলে হাদিসের মুখোশ উন্মোচনের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষ ওলামাদের পক্ষ থেকে গতকাল কেরানীগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশ-পরবর্তী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের অন্য নেতা ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর ৩০ নভেম্বর এবং ১ ও ২ ডিসেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থানাধীন আইন্তা ইউনিয়ন খেলার মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে বিশাল ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়। ওই ওয়াজ মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন নেতা মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম। মাহফিলে ওলামায়ে কেরামরা কোরআন-হাদিসের আলোকে যথাযথ বয়ান পেশ করেন। অন্যদিকে গত ৩ জানুয়ারি আইন্তা আহলে হাদিস মসজিদ প্রাঙ্গণে জমিয়তে আহলে হাদিসের ব্যানারে ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আহলে হাদিসের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস আলী তার আলোচনায় মাযহাব মানাকে শিরক, চার মাযহাবের অনুসারীরা মুশরিক, কোরআন-সুন্নাহ অনুসৃত তাসাউফ ও পীর মুরিদকে শিরক ও বিদআত, তবলিগ জামায়াতকে মুশরিক ও পথভ্রষ্ট, আল্লাহ আল্লাহ্ জিকিরকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ বলে আখ্যা দেয়াসহ নানান বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্যোগে গতকাল সকাল ১১টায় উভয় পক্ষ অর্থাত্ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও কথিত আহলে হাদিসের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ থানার আইন্তা খেলার মাঠে প্রকাশ্য বাহাস বা প্রমাণনির্ভর বিতর্কের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য সম্মেলন আহ্বান করা হয়। এ জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কথিত আহলে হাদিসের সঙ্গে বাহাসের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখরা উপস্থিত হলেও আহলে হাদিসের লোকজন উপস্থিত না হয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এমনকি তারা প্রশাসনের অনুমতি যাতে না পাওয়া যায় সে ব্যবস্থাও করে। ফলে সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে থাকা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হাসনাবাদ মদিনাতুল উলুম মাদরাসা মাঠে সমবেত করে ওলামারা দীর্ঘসময় আহলে হাদিসের ফেতনা নিরসনে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেখানে উপস্থিত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন এবং ঘোষণা করেন যে আহলে হাদিস নামের সংগঠনের কোনো লোক গতকাল বাহাসে উপস্থিত হয়নি।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/01/29/129177

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১,৮১৪ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

১ টি মন্তব্য

  1. চরমোনাই পীরের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক
    প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
    গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ বিভিন্ন পত্রিকায় বিশেষ করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত “আহলে হাদিসের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে” শীর্ষক সংবাদে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতির বিরুদ্ধে চরমোনাইয়ের পীর যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস। জমঈয়তের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী এবং সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহ্হাব লাবীব গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, উল্লিখিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং আমরা অত্যন্ত বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। কারণ সংবাদে জমঈয়ত সভাপতির বিরুদ্ধে “মাযহাব মানা শিরক, চার মাযহাবের অনুসারীরা মুশরিক…” ইত্যাদি বলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সর্বৈব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। ৩ জানুয়ারি ২০১২, আইন্তা আহলে হাদীস জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে জমঈয়ত সভাপতি এরকম কোন কথা সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতমূলক কোন ভাবেই বলেননি। কারণ বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস কোন আক্রমণাত্মক ও বিভেদমূলক প্রচারণা চালায় না এবং ফতোয়াবাজিও করে না; বরং কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য সুসংহত করার জন্য ১৯৪৬ সাল থেকেই এদেশে সক্রিয় রয়েছে।
    জমঈয়ত এ পর্যন্ত দেশে ৮টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করেছে, যেখানে পবিত্র কাবা শরীফের ইমামসহ বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইসলামী চিন্তাবিদগণ অংশগ্রহণ করে বিশ্বমুসলিমের ঐক্য বৃদ্ধির প্রয়াসকেই ত্বরান্বিত করেছেন।
    প্রকৃত ঘটনা হলো, সংবাদে উল্লিখিত আইন্তার ইসলামী সম্মেলনটি বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস নয়, স্থানীয় আইন্তা আহলে হাদীস মসজিদের কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছেন। ২৮ তারিখের বাহাসের বিষয়টি বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস নেতৃবৃন্দ জানেনই না। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের প্রশ্নই আসে না। উপরন্তু পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর জমঈয়ত নেতৃবৃন্দ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন যে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা চরমোনাই গ্র“পের প্রধান আলহাজ্জ মোহাম্মদ হোসাইনের প্রস্তাবমতে আইন্তা পূর্বপাড়া আহলে হাদীস জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম শান্তিপূর্ণ বাহাস আয়োজনে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের বিচার শাখার সহকারী কমিশনার জনাব মোঃ লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে (স্মারক নং ০৫. ৪১. ২৬০০. ০১১. ০৪. ০১৭. ১১-১০৭/২ তারিখ ২৬/০১/১২) আইন্তা খেলার মাঠে উল্লিখিত বাহাস অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ কারণে উক্ত বাহাস বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে চরমোনাইপন্থীরা পার্শ্ববর্তী হাসনাবাদ এলাকায় তাদের দলীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে পথসভা করে আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধে উল্লিখিত ভিত্তিহীন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে আমরা চরমোনাই গ্র“পের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সকল মুসলমানকে সবরকম দলাদলি ও মতভেদ বর্জন করে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঐক্যবদ্ধ জীবন যাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।
    ধন্যবাদান্তে
    মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম
    সাংগঠনিক সেক্রেটারী