কাণ্ডারী হুশিয়ার!
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ রবিবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১২ (৩:৪৮ অপরাহ্ণ)
—-মুহিব খান
বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশের অন্যতম বাংলাদেশ। ইসলামের জন্মভূমি আরব থেকে বহু দূরের এই দেশ এবং ইসলামের জন্মকাল থেকে অনেক অনেক পরের এই জনগোষ্ঠী বর্তমান বিশ্বে এখনও ইসলামের অন্যতম ধারক বাহকের আসনে। যত মসজিদ, যত মাদরাসা, যত আলেম, যত ইমাম , যত হাফেজে
কুরআন, যত ওলী দরবেশ, যত নামাজী রোজাদার হজ্ব পালনকারী এদেশে বিরাজমান; পৃথিবীর অন্য কোনখানে এমনটি নেই। এ দেশের মত এতো দীনী সমাবেশ অন্যখানে বিরল। পবিত্র হজের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এ দেশেরই রাজধানীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া তুরাগ নদীর তীরে। এতসব সত্ত্বেও এ দেশে ইসলামের নেতৃত্ববাহী রাজনৈতিক মহল বরাবরই সেক্যুলার শক্তিগুলোর চেয়ে যথেষ্ট পিছিয়ে এবং ক্রমশই আরো গণবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত অযোগ্য নেতৃত্ব, অপ্রতুল বাস্তবচিন্তা, অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, অপরিকল্পিত কর্মসূচী আর পারষ্পরিক কলহের উপর্যুপরি আত্মঘাতে জর্জরিত হয়ে আছেন তারা। ইসলাম প্রতিষ্ঠার আবেগাশ্রিত তাড়াহুড়ো মনোভাবের কারণে ইসলামের গুরুত্ব মহত্ব ও সৌন্দর্য গণমানুষের কাছে আগে উপস্থাপন করার পূর্বশর্তের প্রতি ভীষণ অমনযোগ ও ব্যর্থতার প্রমান রেখেছেন তারা। দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ আল্লাহ রাসূল ও জান্নাত জাহান্নামে বিশ্বাসী মুসলিম , তবু যেন অজানা এক ইসলামভীতি তাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে এখনও, এর গভীর কারণ ও রহস্য উদঘাটন করে এর সমাধানে বাস্তব ভূমিকা না রাখতে পারলে শুধু ইসলামী রাজনীতি নামক গদবাধা প্রদর্শনীতে এদেশের ইসলাম ও মুসলমানদের কিছুই আসবে যাবে না। এক সময় এ দেশের ইসলামী নেতৃত্বের ডাকে লাখো জনতা বাবরী মসজিদ অভিমুখে রওয়ানা হতো, নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষের আবেগ ও ভুমিকা এখনো চোখে ভাসে, শীর্ষ আলেমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরকারের পতনেও মুখ্য অবস্থানে দেখেছি সর্বশ্রেণীর জনতাকে; আর এখন আরো মারাত্মক ও ভয়াবহ ধর্মীয় ইস্যুতেও সর্ব সাধারণের নিরবতায় ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনে হয় ভাবিত হওয়ার সময় এসেছে। তোড়জোড় করে আয়োজিত কর্মসূচীতে যদি সারাদেশের মাদরাসার ছাত্র উসতাদরাই শুধু মাঠে নামেন; আর সর্বসাধারন যদি একে শুধু হুজুরদের কাজ ভেবে দুরে সরে থাকেন; তাহলে এ অবস্থাকে চরম গণবিচ্ছিন্নতাই বলা যায়; একটি উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশের ইসলামী রাজনীতির জন্যে এটি নতুন করে ভাবার বিষয় বটে। সময় নষ্ট করলে ইসলাম বা ইসলামপ্রেমী মানুষের সমস্যা সংকটের বাস্তব উত্তোরনের পথ তো একটা বের হবেই কিন্তু ততদিনে ব্যর্থ নেতৃত্বের বিদায়ঘন্টাও যে বাজতে শুরু করবে! অতএব, কাণ্ডারী হুশিয়ার!!
এক সময় এ দেশের ইসলামী নেতৃত্বের ডাকে লাখো জনতা বাবরী মসজিদ অভিমুখে রওয়ানা হতো, নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষের আবেগ ও ভুমিকা এখনো চোখে ভাসে, শীর্ষ আলেমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরকারের পতনেও মুখ্য অবস্থানে দেখেছি সর্বশ্রেণীর জনতাকে; আর এখন আরো মারাত্মক ও ভয়াবহ ধর্মীয় ইস্যুতেও সর্ব সাধারণের নিরবতায় ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনে হয় ভাবিত হওয়ার সময় এসেছ।
এক সময় এ দেশের ইসলামী নেতৃত্বের ডাকে লাখো জনতা বাবরী মসজিদ অভিমুখে রওয়ানা হতো, নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষের আবেগ ও ভুমিকা এখনো চোখে ভাসে, শীর্ষ আলেমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরকারের পতনেও মুখ্য অবস্থানে দেখেছি সর্বশ্রেণীর জনতাকে; আর এখন আরো মারাত্মক ও ভয়াবহ ধর্মীয় ইস্যুতেও সর্ব সাধারণের নিরবতায় ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনে হয় ভাবিত হওয়ার সময় এসেছে।