সিলেটের ইসলামী আন্দোলনের জনসভা : তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের ফলে রাজনৈতিক সংঘাত দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ শনিবার, এপ্রিল ৭, ২০১২ (১০:০১ অপরাহ্ণ)
সিলেট অফিস
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন সংবিধানের মূলনীতি থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা ও নির্যাতন, সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জনদুর্ভোগ ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী ১৩ এপ্রিল ঢাকার পল্টন মোড়ে জাতীয় মহাসমাবেশ হবে জাতির দিক-নির্দেশনার এক নতুন দিগন্ত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৩টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে এক জনসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত হত্যাযজ্ঞে
মেতে উঠেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতীয় হায়েনা বিএসএফের হাতে গুলিবিদ্ধ। ওরা আসলে বাংলাদেশীদের গুলিবিদ্ধ করে না, ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে গুলি করে। আগ্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে সম্মিলিত জাতীয় ঐক্য গড়ে প্রতিরোধ করা ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারব না। আমরা তাদের ট্রানজিট দেব পরিবর্তে ভারত আমাদের লাশ উপহার দেবে, তারপরও বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষায় মরিয়া।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের ফলে রাজনৈতিক সংঘাত-অবিশ্বাস আরও বেড়ে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সঙ্কট সমাধানে জাতির অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতির গঠনমূলক উদ্যোগই সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতে পারে।
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা সেক্রেটারি হাজী নজির আহমদ, মহানগর আহ্বায়ক মুফতি মাওলানা ফখরুদ্দিন, সিলেট জেলা শাখার জয়েন্ট সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ উদ্দিন আহমদ, গোয়াইনঘাট থানা সভাপতি মাওলানা মোখলেছুর রহমান, জৈন্তিয়া থানা সেক্রেটারি মাওলানা আসাদ উদ্দিন, মো. বেলাল হোসেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল মালিক চৌধুরী প্রমুখ
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতীয় হায়েনা বিএসএফের হাতে গুলিবিদ্ধ। ওরা আসলে বাংলাদেশীদের গুলিবিদ্ধ করে না, ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে গুলি করে। আগ্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে সম্মিলিত জাতীয় ঐক্য গড়ে প্রতিরোধ করা ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারব না। আমরা তাদের ট্রানজিট দেব পরিবর্তে ভারত আমাদের লাশ উপহার দেবে, তারপরও বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষায় মরিয়া।
গনতন্ত্রের সাথে ইসলামের সম্পর্ক বুঝা যাচ্ছে না। কোন রাজনৈতিক দলের প্রচারণা বা ফোরাম হিসেবে এই ব্লগ ব্যবহার না করার অনুরোধ।
@guest, কেন? রাজনীতি কি ইসলামের বাহিরে। নাকি ইহা মহাপাপ?
@এম এম নুর হোসেন,এমন কিছু বলিনি ভাই। বলেছি এই ব্লগকে রাজনৈতিক দলের ফোরাম হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য। এটাকে বিশুদ্ধ দ্বীনী ফোরাম রাখলেই ভালো। অনেক ইসলামিক রাজনৈতিক দল। আছে। একের সাথে অপরের নীতির অনেক পার্থক্যও আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে বিরোধও আছে। ইন্টারনেটে ইসলাম যারা জনাতে আসে বেশীর ভাগ লোক শুধু ইসলাম জানতেই আসে। প্রথমত ব্যক্তিগত জীবনে ইসলাম। তাদের এসব রাজনৈতিক বিরোধে না জড়ানোই ভালো।
তাছাড়া ইসলামের সাথে গনতন্ত্র এবং গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নিয়ে উলামাকেরাম একমত নন।
গণতন্ত্র হলো পশ্চিমাদের তৈরী একটি মতবাদ যা ইসলামী নীতিমালার বিপোরিত একটি মতবাদ। ইসলামের পরিভাষায় গণতন্ত্র একটি শিরকী আকীদা। গণতন্ত্র এমন একটি পদ্ধতি যেখানে জনগণ নিেজদের জন্য আইন তৈরী করে নিজেদের নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধিদের দ্বারা। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://markaj.webnode.com.