আইনের বিচারহীনতায় আল্লাহর বিচার
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বৃহস্পতিবার, মে ১০, ২০১২ (৫:৩৮ অপরাহ্ণ)
একটি বিশেষ ঘটনার কারণে কালো বিড়াল শব্দটি এখন দেশের মানুষের মুখে মুখে। এমনকি কালো বিড়ালকে সু … প্ত এবং সু … প্তকে কালো বিড়াল বলার একটা প্রবণতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই প্রয়োগ ন্যায়সঙ্গত নয়। মানবের বাকশক্তি আছে বলেই মানবেতর প্রাণীর প্রতি এই অবিচার বৈধ হতে পারে না। কোনো প্রাণী অশুভ নয়, অশুভ মানুষের অনাচার ও পাপাচার। এ কারণেই তবে ইতর মানবের চেয়ে মানবেতর প্রাণী অনেক সৎ, অনেক মহৎ।
প্রাণীকূল তাদের সৃষ্টিকর্তার সম্পূর্ণ বাধ্য ও অনুগত। জীবন যাপনের ‘প্রকৃতি’-নির্ধারিত নিয়ম তারা লঙ্ঘন করে না। তারা মূর্তিপুজা করে না, দুর্নীতি করে না, মুনাফেকী এবং মুনাফাখোরীও করে না। পক্ষান্তরে মানবসমাজে আছে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কুসংস্কার-পৌত্তলিকতা ও মূর্তি পূজা। আছে চুরি এবং সিনাজুরি। আছে মুনাফেকী এবং মুনাফাখোরী। এ কারণে প্রাজ্ঞজনেরা বলেন, মানবতাহীন মানব পশুর অধম।
পাঠকের নিশ্চয়ই মনে আছে, সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ নিয়ে একশ্রেণীর ‘মানবে’র বিষোদগার। ঐ সময় আলোচিত ব্যক্তির নাম বারবার পত্রিকায় এসেছে। হয়তো মনে আছে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনা। ঐ সময়ও ইনি পত্রিকার পাতায় এসেছিলেন তার একট বাণীর কারণে-‘শেয়ার মার্কেটের সব দরবেশ, ইমাম-মুয়াযযিনদের ধরতে হবে।’ অতি সম্প্রতি আরো একবার তিনি পত্রিকায় এসেছেন। সাতক্ষীরার ঐ ন্যক্কারজনক ঘটনা এখনো মুসলমানদের মনে দগদগে হয়ে আছে। ঐ ঘটনায় মুসলমানদের প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে জগন্নাথ হলের এক শ্রেণীর সাম্প্রদায়িক ছাত্রদের দিয়ে সড়ক অবরোধ এরপর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তার উসকানীমূলক বক্তৃতাও অনেকেরই মনে আছে।
নিরুপায় মুসলিম জনগণকে এসব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ
দেশে ইসলামবিরোধী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে দগ্ধ হয়েও দায়িত্বশীলদের ন্যূনতম সহানুভূতির প্রত্যাশাও তারা করতে পারছিলেন না। এ সময় সু … প্তের গুপ্ত কর্ম প্রকাশিত হল। বের হয়ে এল টাকার বস্তা সমাচার এবং চরম লাঞ্ছনার সাথে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি অপসারিত হলেন। আবারো প্রমাণ হল, যে অন্যায়ের বিচার জমিনে হয় না তার বিচার আসমানে হয়। তবে এটিই শেষ বিচার নয়, মৃদু ঝাঁকুনিমাত্র। অভিজ্ঞতা বলে, চূড়ান্ত শাস্তির আগে মাতালচক্রের মাতলামী বন্ধ হয় না।
আবারো প্রমাণ হল, যে অন্যায়ের বিচার জমিনে হয় না তার বিচার আসমানে হয়। তবে এটিই শেষ বিচার নয়, মৃদু ঝাঁকুনিমাত্র। অভিজ্ঞতা বলে, চূড়ান্ত শাস্তির আগে মাতালচক্রের মাতলামী বন্ধ হয় না।
ধন্যবাদ