আজ ওলামায়েকরামের ভুমিকাই পারে এই পতনমূখী এজাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে!!!!!!!!!!!!!!!!
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বৃহস্পতিবার, মে ১৭, ২০১২ (৭:৪০ অপরাহ্ণ)
লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত এ আমার মাতৃভুমি। কিন্তু কি দেখছি আজ আমি !! এই জন্যই কি অর্জিত এই স্বাধীন মাতৃ ভূমি??? প্রতিদিন পত্রিকা খুললে যে চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠে, তা দেখলে সামন্য বিবেকবান ব্যাক্তিরও চিন্তার কারন হয়ে দাড়ায়।হত্য-খুন ,গুম, ছিনতাই,জুলুম, নির্যাতন,অত্যাচার ,চুরি -ডাকাতি এযেন নিত্যদিনের সঙ্গী আমাদের।মানুষের বাসস্থান,থাকা -খাওয়া, জান-মাল কোন কিছুরই নিরাপাত্তা নেই।
একটি স্বাধীন সার্বভেীমত্ব দেশের এ দশা কেন???? !!
প্রতিবেশি তথাকথিত বন্ধু দেশ সাম্রাজ্যবাদী ভারত প্রতিদিন যেভাবে সীমন্তে হত্যা-লুটত্বরাজ,অত্যচার রাহাজনি চালায় তা দেখে মনে হয় যেন স্বাধীন সার্বভেীমত্ব রাষ্টের উপর কোন ভীনদেশি শকুনের নগ্নহস্তক্ষেপ লেগেই আছে!!!!
ওরা বন্ধু আমাদের? নদীর বুকে তাহলে বাঁধ কেন? কেন ভূমিদখল সীমান্তের? কেন ফসল কেটে নেয়; গরু-মানুষ ধরে নেয়? তুমি দেবে বেড়া, আমরা দেবো পথ, এর নাম বন্ধুত্ব? এরই জন্য স্বাধীনতা? কোথায় তুমি হে স্বাধীনতা?! তাহলে এরপরও তারা আমাদের বন্ধু কেন??!
স্বাধীন সার্বভেীম ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশ আমার মাতৃভূমি। এদেশের ৯৫% মুসলমান।বিভিন্ন ধর্ম-জাতের মানুষ এক সাথে বসবাস করে ভ্রাত্বের বন্ধনে। যার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল।সংখ্যা গরিষ্ট মুসলিম দেশের সংবিধানে কেন আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস রাখা যায় না???! কেন নারী নীতি, শিক্ষা নীতি ইসলাম বিরোধী???! কেন ফতোয়া বিরোধী কালো আইন???! কেন ইসলাম বিরোধী বিবাহ আইন???! কেন কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন,রাহমাতুল্লিল আলামিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লামের শানে কুলাঙ্গারদের কটুক্তি??????????!!!!
সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমদেশে কোন জালিমের সাধ্য আল্লাহ ও তার হাবিবের শানে বেয়দবি করার???! কার সাধ্য আল্লাহর দ্বনিকে মিটিয়ে দেওয়ার???! কিন্তু কেন সাহস???!!আজ অবশ্যই আমাদের ভাববার বিষয়???!!!
যত মসজিদ, যত মাদরাসা, যত আলেম, যত ইমাম , যত হাফেজেকুরআন, যত ওলী দরবেশ, যত নামাজী রোজাদার হজ্ব পালনকারী এদেশে বিরাজমান; পৃথিবীর অন্য কোনখানে এমনটি নেই। এ দেশের মত এতো দীনী সমাবেশ অন্যখানে বিরল।
পবিত্র হজের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এ দেশেরই রাজধানীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া তুরাগ নদীর তীরে।পাশাপাশি বরিশালের চরমোনাইর ময়দানেও হয় লাখ লাখ মুসলিমের মিলন মেলায়। চট্রগ্রামের হাটাজারি সহ দেশের প্রত্যন্ত অন্ঞলে আলেম ওলামাদের নাম শুনে জমায়েত হয় হাজার হাজার মুসলমান।
এতসব সত্ত্বেও এ দেশে ইসলামের নেতৃত্ববাহী রাজনৈতিক মহল বরাবরই সেক্যুলার শক্তিগুলোর চেয়ে যথেষ্ট পিছিয়ে এবং ক্রমশই আরো গণবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। কেন???!!!
স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত অযোগ্য নেতৃত্ব, অপ্রতুল বাস্তবচিন্তা, অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, অপরিকল্পিত কর্মসূচী আর পারষ্পরিক কলহের উপর্যুপরি আত্মঘাতে জর্জরিত হয়ে আছেন তারা।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার আবেগাশ্রিত তাড়াহুড়ো মনোভাবের কারণে ইসলামের গুরুত্ব মহত্ব ও সৌন্দর্য গণমানুষের কাছে আগে উপস্থাপন করার পূর্বশর্তের প্রতি ভীষণ অমনযোগ ও ব্যর্থতার প্রমান রেখেছেন তারা।
দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ আল্লাহ রাসূল ও জান্নাত জাহান্নামে বিশ্বাসী মুসলিম , তবু যেন অজানা এক ইসলামভীতি তাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে এখনও, এর গভীর কারণ ও রহস্য উদঘাটন করে এর সমাধানে বাস্তব ভূমিকা না রাখতে পারলে শুধু ইসলামী রাজনীতি নামক গদবাধা প্রদর্শনীতে এদেশের ইসলাম ও মুসলমানদের কিছুই আসবে যাবে না।
২০০১ এর আগেও দেখেছি এ দেশের ইসলামী নেতৃত্বের ডাকে লাখো জনতা বাবরী মসজিদ অভিমুখে রওয়ানা হতো, নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষের আবেগ ও ভুমিকা এখনো চোখে ভাসে, শীর্ষ আলেমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরকারের পতনেও মুখ্য অবস্থানে দেখেছি সর্বশ্রেণীর জনতাকে।তারা তাদের জীবকে পরোয়া করেনি। কিন্তু????!!!!
আর এখন আরো মারাত্মক ও ভয়াবহ ধর্মীয় ইস্যুতেও সর্ব সাধারণের নিরবতায় ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনে হয় ভাবিত হওয়ার সময় এসেছে। তোড়জোড় করে আয়োজিত কর্মসূচীতে যদি সারাদেশের মাদরাসার ছাত্র উসতাদরাই শুধু মাঠে নামেন; আর সর্বসাধারন যদি একে শুধু হুজুরদের কাজ ভেবে দুরে সরে থাকেন; তাহলে এ অবস্থাকে চরম গণবিচ্ছিন্নতাই বলা যায়।!!!!
একজন আলেম একটি আলমের (দুনিয়ার) সমান।আলেমদের সঠিক নেতৃত্ব একটি জাতিকে মুক্তি দিতে পারে, আবার ভূল নেতৃত্বের কারনে গোটা জাতি ধ্বংস হতে পারে। সাধারন মানুষ এখন আলেমদের ভূমিকা দেখতে চায়।সঠিক ভাবে আলেমদের নেতৃত্ব। আধা আধি নয় ,তাগুতের সংশ্রবে নয়, কারো লেজুরবৃত্তি হয়ে নয়।আলেমদের ভিতরে একটি শক্তিশালি পাল্টফর্ম দেখতে চায়। কারন তারা আলেমদের কাছে শুনেছে-আল্লাহ তায়ালা এই নারী নেতৃত্বকে হারাম ঘোষনা করেছেন।অভিশপ্ত নারী নেতৃত্ব জাতিকে মুক্তি দিতে পারে না। বাতিলের সংশ্রবে থেকে কখনও ইসলাম কায়েম করা যায় না।!!!
একটি উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশের ইসলামী রাজনীতির জন্যে এটি নতুন করে ভাবার বিষয় বটে। সময় নষ্ট না করে ইসলাম বা ইসলামপ্রেমী মানুষের সমস্যা সংকটের বাস্তব উত্তোরনের জন্য এখনই কিছু একটা ভুমিকা গ্রহন করতে হবে আলেম-ওলামাদের কে। কারন আলেম-ওলামারা হলেন নায়েবে রাসূল ,মুসলিম উম্মাহর মাথা বা বিবেক। তাদের সচেতনতার মাধ্যমে আজ মুক্তি পেতে পারে গোটা জাতি।
আর যদি তা না হয়,আলেম -ওলামারা যদি দু’চারটি এমপি আর মন্ত্রীত্ব লাভের আসায় অথবা দুনিয়ার কিছু স্বার্থ হাসিলের জন্য তাগুতের সাথে আতাত রেখে চলে,তাহলে হয়তো সেদিন দূরে নয় আমাদেরকেও স্পেনের মত করুন ভাগ্য গ্রহন করতে হবে।
আসুন আমরা আমাদের আলেম – ওলামাদের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি।
এতসব সত্ত্বেও এ দেশে ইসলামের নেতৃত্ববাহী রাজনৈতিক মহল বরাবরই সেক্যুলার শক্তিগুলোর চেয়ে যথেষ্ট পিছিয়ে এবং ক্রমশই আরো গণবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। কেন???!!!
স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত অযোগ্য নেতৃত্ব, অপ্রতুল বাস্তবচিন্তা, অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, অপরিকল্পিত কর্মসূচী আর পারষ্পরিক কলহের উপর্যুপরি আত্মঘাতে জর্জরিত হয়ে আছেন তারা।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার আবেগাশ্রিত তাড়াহুড়ো মনোভাবের কারণে ইসলামের গুরুত্ব মহত্ব ও সৌন্দর্য গণমানুষের কাছে আগে উপস্থাপন করার পূর্বশর্তের প্রতি ভীষণ অমনযোগ ও ব্যর্থতার প্রমান রেখেছেন তারা।
আলেম -ওলামারা যদি দু’চারটি এমপি আর মন্ত্রীত্ব লাভের আসায় অথবা দুনিয়ার কিছু স্বার্থ হাসিলের জন্য তাগুতের সাথে আতাত রেখে চলে,তাহলে হয়তো সেদিন দূরে নয় আমাদেরকেও স্পেনের মত করুন ভাগ্য গ্রহন করতে হবে।
আসুন আমরা আমাদের আলেম – ওলামাদের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি।
@kawsartex, আলেম -ওলামারা যদি দু’চারটি এমপি আর মন্ত্রীত্ব লাভের আসায় অথবা দুনিয়ার কিছু স্বার্থ হাসিলের জন্য তাগুতের সাথে আতাত রেখে চলে,তাহলে হয়তো সেদিন দূরে নয় আমাদেরকেও স্পেনের মত করুন ভাগ্য গ্রহন করতে হবে।
আসুন আমরা আমাদের আলেম – ওলামাদের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি।
আবারও রাজনৈতিক পোস্ট। দুঃখ পেলাম। ইসলামী ব্লগে রাজনৈতিক পোস্ট অন্যান্য ইসলামী ও অনৈসলামী দলকেও এই ব্লগকে তাদের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করবে। এইজন্যই রাজনৈতিক পোস্ট বন্ধ করা দরকার। রাজনৈতিক পোস্টের জন্য অন্য কোন সাইট খোলা যেতে পারে। দয়া করে ইসলামী সাইট গুলোকে ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
@guest, আপনার মত বলদ গুলিরে কেন যে ব্লগে সুযোগ দেয় তা আমার বোধগম্য নয়।করেন আ.লীগের চামচামি আবার দরবেশ?!!!
@এম এম নুর হোসেন,ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা মুসলমানদের গালগালাজ করে দেখে অবাক হলাম। নবীজি কাফেরদের মুর্তিগুলিকে পর্যন্ত গালিগালাজ করতে নিষেধ করেছেন। যাই হোক আমি আপনাকে গালি দিব না। আগেও দেইনি। আমি কখনও আওয়ামী লীগের দালাললিও করিনি। আমি শুধু বুঝাতে চেয়েছিলাম কোন রাজনৈতিক পোস্ট বা রাজনৈতিক দলের কথা কোন ইসলামী সাইটে নিয়ে এলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলোও তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে এভাবে ইসলাম ও ইসলামী নিদর্শন গুলো ব্যবহার করতে পারে।
আমার জনামতে এদেশে ব্যপক আকারে রাজনৈতিক বা নির্বাচনী স্বার্থে মসজিদ ব্যবহার করা শুরু করে মুসলিম লীগ। তখন মুসলিম লীগ মুসলমানদের রাজনৈতিক মুখপাত্র ছিল। শুনেছি ভারতে এখন কংগ্রেসও নির্বাচনের সময় মসজিদ ব্যবহার করে। এদেশে নির্বাচনের সময় আওয়ামী বিএনপি সবাই মসজিদে গিয়ে ভোট চায়। অথচ সারা বছর এদের মসজিদে দেখা যায় না। এই লোকগুলো আমার মন্দিরেও যায়। হারানো জিনিস মসজিদে তালাশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। অথচ ভোট চাওয়া হচ্ছে। এই ধারাটা কিন্তু ইসলামের নামে দলগুলোই শুরু করেছিল।
এজন্যই আপনাদের অব্যহত গালিগালাজ সত্ত্বেও বাজনৈতিক পোস্ট প্রতিবাদ করে আসছি। আমি কোন ভুল করে থাকলে ভুলের সংশোধনই কাম্য ছিল। কিন্তু আপনি হাটলেন গালিগালাজে পথে।
দুঃখিত, এই লোকগুলো আমার মন্দিরেও যায়, এখানে আমার কথার বদলে আবার হবে? টাইপের ভুল।
পুরো বাক্য, এই লোকগুলো আবার মন্দিরেও যায়!
ব্লগারের প্রতি পুরাপুরি সম্মান রেখেই বলছি তাঁর এই পোস্টের অনেক কিছু ইসলামের সাথে সংঘর্ষিক। নিচে কিছু নমুন দেয়া হল।
লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত এ আমার মাতৃভুমি। এখানে শহীদ শব্দটি ইসলামের শহীদ শব্দের সাথে সাংঘর্ষিক। অবশ্য কোলকাতা থেকে প্রকাশিত সংসদ বাংলা অভিধান মতে তারা শহীদ। এদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক ফাসেক, ফাজের, কাফের, মুরতাদও ছিলেন। আর যারা বিরোধীতা করেছিলেন তারা বেশির ভাগই ধর্মানুরাগী ছিলেন। শর্ষিণার তৎকালীন পীর একজন প্রখ্যাত রাজাকার ছিলেন। চরমোনাইয়ের পীর সরাসরি স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত ছিলেন কিনা তা আমার জানা নেই, তবে একথা নিশ্চিত তিনি পাকিস্তান ভাগে পক্ষে ছিলেন না। যেহেতু এটা একটা ইসলামী ব্লগ তাই আমি এই শহীদ শব্দের বিরোধীতা করছি।
প্রতিদিন পত্রিকা খুললে যে চিত্র চোখের সামনে ভেসে …. এ বাক্যটি পাঠকদের পেপার পত্রিকা পড়ার ব্যপারে উৎসাহ দেয়ার মত। এদেশের পত্রিকাগুলো বেশির ভাগই নাস্তিক বা সেকুলার সম্পাদক বা মালিকানাধীন। তাদের লেখা পড়লে তাদের মানসিকতা দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর মালিক যাই হোক, পেপারে বহু ছবি থাকে, অনেক মেয়েদের ছবিও থাকে যেমন সাগর রুনি ( ) মেয়েদের ছবি পুরুষদের জন্য পর্দার খেলাপ। পুরুষদের ছবি মেয়েদের জন্য পর্দার খেলাপ। আপনার মত একজন দ্বীনদার মানুষ পত্রিকা খুলে ভাবতেই অবিশ্বাস হচ্ছে।
একটি স্বাধীন সার্বভেীমত্ব দেশের এ দশা কেন???? !! আপনি সম্ভবত জানেন ইসলাম মতে দেশ কখনও সার্বভৌম হয় না। জমিন ও আসমানের সার্বভৌমত্ব কেবল আল্লাহরই। এটাই হল রাজনীতির কুফল। মুলতঃ রাজনীতি নিজেই ইসলাম সম্মত নয়। এটা কাফেরদের হাতে তৈরি। এর একটা কুফল ও কুপ্রভাব আছে। একারণেই রাজনীতি স্বার্থে অনেক কথা বলে ফেলেন যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।
প্রতিবেশি তথাকথিত বন্ধু দেশ সাম্রাজ্যবাদী ভারত প্রতিদিন যেভাবে সীমন্তে হত্যা-লুটত্বরাজ,অত্যচার রাহাজনি চালায় এজন্য আমরাও ব্যথিত।এর প্রতিকার হওয়া উচিত। তবে আমার প্রশ্ন হল প্রতিদিন মানে কি? বছরে ৩৬৫ দিন? বছরে ৩৬৫ দিনই কি এমন হচ্ছে? যদি হয় তাহলে প্রমাণ দিন। যদি না হয় তাহলে তো মিথ্যা হয়ে গেল। একজন তাকওয়া ওয়ালা মুসলিমের পক্ষে কি এতটুকু মিথ্যা মানায়? এখানে আপনি প্রতিদিন এর বদলে প্রতিনিয়ত উল্লেখ করলে আমার আপত্তি থাকত না।
কোথায় তুমি হে স্বাধীনতা?! স্বাধীনতা কোন উপস্থিত ব্যক্তি নয় বলেই জানি। কোন অনুপস্থিত ব্যক্তি বা বস্তুকে এভাবে সম্বোধন করা কি জায়েজ? রেজভীরা ইয়া নবী সালামুআলাইকা বললে কিন্তু আমরা আপত্তি করি।
এদেশের ৯৫% মুসলমান। কথাটা সত্য নয়। নাম মাত্র মুসলমান আছে ৯০% এর মত। এর মধ্যে কাদিয়ানী ও শিয়া নির্ধারণ করা হয় নি। বাস্তব কথা হল ইসলামের সংগা অনুযায়ী মুসলমান কত আসলে? এদেশে নাস্তিক, সেকুলার, মুরতাদ কিন্তু কম নয়?
পবিত্র হজের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এ দেশেরই রাজধানীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া তুরাগ নদীর তীরে। আপনি টংগী ইসতেমার কথা বলছেন। আমার জানা নেই দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ। কিন্তু ওখানে যে সংখ্যা বলা হয় তা একটা ভাওতাবাজি ছাড়া কিছু না। ওখানে ধারণ ক্ষমতা ৪-৫ লাখের বেশি হবে না।
এমন প্রত্যেক লাইনে লাইনেই অনেক তথ্য দিয়েছেন যা সত্য নয়।
পরে সুযোগ পেলে আরও আলোচনা করব।
@guest, আহম্মক আর পাগল কারো গায়ে লেখা থাকেনা। তা কাজে কর্মে প্রমান হয়।ব্লগে আসছেন কি করতে??? গিয়ে আ. লীগের দালালি করেন আর পয়সা একটু বাড়িয়ে নেন। তা কাজে লাগবে???
@এম এম নুর হোসেন, গিয়ে আ. লীগের দালালি করেন আর পয়সা একটু বাড়িয়ে নেন এখানে আপনি সম্ভবত বুঝাতে চেয়েছেন, আমি আওয়ামী লীগের দালালী করি বিনিময়ে পয়সা পাই। এটা একটা পাবলিক ব্লগ। এখানে কোন কথা বলা মানে প্রচার করা। কোন কথা যাচাই না করে প্রচার করা বা আন্দাজে কোন কথা প্রচার করা যা সত্য নয় এটা কি জায়েজ হবে? আপনি যদি কথাটা হাশরের ময়দানে প্রমাণ করতে না পারেন, কি অবস্থা হবে আপনার ভেবে দেখেছেন কি? বড় কঠিন জায়গা সেটা। কোন সাহায্য কারী থাকবে না।
কোন মিথ্যা কথা প্রচার করাই কি ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশ্য? আমি বলব অবশ্যই নয়। কিন্তু আপনার আচরণে মানুষের কাছে চরমোনাই পীর ও তাঁর ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে। যা কাম্য নয়।
আমি আপনার বা আপনার দলের বা আপনার পীরের বিরোধী নই। কিছু জিনিস আমার কাছে খটকা লেগেছে তাই উল্লেখ করলাম। আমি যেগুলো উল্লেখ করেছি তা ভুল হলে যুক্তি দিয়ে বলুন, কেন এগুলো ভুল? যুক্তি সম্মত হলে আমি মেনে নিব।
আপনি যদি কোন ভুল করে থাকেন, সেই ভুল যদি কেউ ধরিয়ে দেয় সে তো আপনার বন্ধু। আমি আপনার শুভাকাংখী হয়েই বলছি আমার দৃষ্টিতে ওগুলো ভুল মনে হয়েছে। আপনার যদি কোন ব্যাখ্যা থাকে তাহলে বলুন। আর যদি ব্যাখ্যা না থাকে তাহলে সংশোধন করুন। লাভটা আপনারই হবে। একই সাথে আপনার ইসলামী আন্দোলনেরও হবে।
তবে ইসলামী আন্দোলন ইসলামী তরীকায় হওয়া চাই। প্রথম প্রথম যখন দ্বীনের বুঝ পাই জামাতে ইসলামীর কর্মীরা আমার সাথে অনেক মিশত। অনেক জিনিস বুঝানোর চেষ্টা করত। অনেক বই পুস্তক দিত। কিন্তু কিছু জিনিস খটকা লাগত। তারা আরও বুঝাতো। কিন্তু আমার মন মানত না। আসলে ইসলাম জিনিসটাই এমন। যেকন জিনিসের একটা পরিচয় আছে। দেখলেই বুঝা যায়। মানুষ দেখলেই বুঝা যায় ইনি মানুষ, গরু দেখলেই বুঝ যায় এটা গরু, গরুর ডাক শুনলেও বুঝা যায়। ইসলামও এভাবে বুঝা যায়। পরে যখন তারা (জামাতে ইসলামী) আমার ব্যপারে নিরাশ হয়ে যায় তখন গালিগালাজ শুরু করে। আপনাদেরও কিছু কিছু জিনিস খটকা লাগায় আমি কিছু আপত্তি তুললাম। আপনিও গালিগালাজ শুরু করলেন। এখন যদি আমি বলি আপনাদের ইসলামী আন্দোলন ও জামাতে ইসলামীর মধ্য কোন পার্থক্য নেই এ দোষটা কি আমার হবে? আপনাদের উভয়ের তরীকার মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখলাম না। আপনারা উভয়েই গালিগালাজ তরীকার অনুসারী।
@guest, উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ আমরা বলিব” সাম্য, শান্তি, এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।”
@এম এম নুর হোসেন,আসলে তো বলা নয় কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। মহানবী জীবন পদ্ধতি শুধু মসজিদে নয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিদ্যমান। তাই রাজনীতি করলে তাও মহানবী (সা) এর দেখানো পদ্ধতিতে করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আগে মহানবীর রাজনীতি শেখা। এরপর ঐ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা। এজন্যই আমি আপনার কাছে বারবার ইসলামী রাজনীতির রূপরেখা দাবী করেছিলাম।
দুঃখজনক ব্যপার হল আমাদের রাজনীতিও আজ কাফের, ফাসেকদের হুবহু অনুকরণ হচ্ছে। চরমোনাই এদেশের বৃহত্তম পীর নেটওয়ার্ক ও বৃহত্তম ইসলামী রাজনৈতিক দল হওয়ায় তাদের কাছে মানুষের ইসলামী পদ্ধতি অনুসরণের প্রত্যাশা একটু বেশিই থাকবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আরও কিছু প্রশ্ন, অবশ্যই ব্লগারের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে এবং শুভাকাঙ্খী হিসেবে।
স্বাধীন সার্বভেীম ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশ আমার মাতৃভূমি। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালী হয়ে এমন দাবী করা বৈধ হলেও একজন মুসলমান হিসেবে এমন দাবী বৈধ নয়। বাস্তবিক মুসলমানদের কোন দেশ নেই। সারা দুনিয়াই মুসলমানদের। মুসলমান কোন দেশ বা সময়ের গন্ডিতে আবদ্ধ নয়। সারা দুনিয়ার যেখানে যত মুসলমান আছে সবাই ভাই ভাই। সবারই একই চিন্তা সারা দুনিয়াতে আল্লার হুকুম কিভাবে চালু হয়। সারা দুনিয়ার সব মানুষ কিভাবে আল্লাহর গোলাম হতে পারে। প্রথম মহাযুদ্ধের আগ পর্যন্ত মুসলমানদের এই চেতনাই ছিল। সারা দুনিয়ার সব মুসলিম ভুখন্ড নিজেদের তুর্কি সালতানাতের অধীন মনে করত। যদিও কার্যকলাপে স্বাধীন থাকত এরপরও সারা দুনিয়াকে একদেশ মনে করত। প্রথম মহাযুদ্ধের পর কাফেররা এইসব দেশপ্রেমের বিষ মুসলমানদের পান করায়। নতুন একটা হাদিস চালু হয়ে গেল, দেশপ্রেম ঈমানের অংগ। ওলামাকেরাম বলেন, এ হাদিসটি পুরাই জাল। এভাবে মুসলমানরা ছোট ছোট ভুখন্ডের আবদ্ধ হয়ে গেল। এমনকি জাজিরাতুল আরব ভেঙে ৭টি দেশ হল। সৌদি, কাতার, বাহরাইন, আমিরাত, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন। শাম ভেঙে ৫টি দেশ হল। সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, ফিলিস্তিন, ইসরাইল। মাগরেব ভেঙে ৮টি দেশ হল। মিশর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মরোক্কো, মৌরিতানিয়া, সুদান (অতি সম্প্রতি সাউথ সুদান)। পরবর্তীতে আমাদের উপমহাদেশ ভেঙে নয়টি হল। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, সিংহল, নেলাপ, ভুটান, আফগান, বার্মা। কাফেরদের এই বিষ পান করে মুসলমানরা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়। আজ আমরা এসব নিয়েই গর্ব করছি। এসবের মধ্যেই নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড সীমিত রাখছি। আমাদের বৈশ্বিক চেতনাই হারিয়ে গেছে। কাফেররা এটাই চেয়েছিল। প্রথম মহাযুদ্ধের পর এদেশে যে খেলাফত আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তা কিন্তু এই বৈশ্বিক চেতনাকে ধারণ করেই। আসল ব্যপার হল পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমরা ইসলামের চেতনাকে বিসর্জন দিচ্ছি। আর কাফেরদের তরীকায় ইসলাম বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখছি। অথচ যে কোন পরিস্থিতিতে নবীজির সুন্নতকে আকড়ে ধরাই নবীজির শিক্ষা ছিল।
আরও কিছু কথা, অবশ্যই ব্লগারের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে এবং শুভাকাঙ্খী হিসেবে।
স্বাধীন সার্বভেীম ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশ আমার মাতৃভূমি। এদেশের ৯৫% মুসলমান।বিভিন্ন ধর্ম-জাতের মানুষ এক সাথে বসবাস করে ভ্রাত্বের বন্ধনে। যার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল।সংখ্যা গরিষ্ট মুসলিম দেশের সংবিধানে কেন আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস রাখা যায় না???! কেন নারী নীতি, শিক্ষা নীতি ইসলাম বিরোধী???! কেন ফতোয়া বিরোধী কালো আইন???! কেন ইসলাম বিরোধী বিবাহ আইন???! কেন কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন,রাহমাতুল্লিল আলামিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লামের শানে কুলাঙ্গারদের কটুক্তি??????????!!!!
সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমদেশে কোন জালিমের সাধ্য আল্লাহ ও তার হাবিবের শানে বেয়দবি করার???! কার সাধ্য আল্লাহর দ্বনিকে মিটিয়ে দেওয়ার???! কিন্তু কেন সাহস???!!আজ অবশ্যই আমাদের ভাববার বিষয়???!!!
অবশ্যই ব্যপারগুলো দুঃখজনক। আসল ব্যপার হল আমাদের সমাজে পচন ধরেছে। এজন্য প্রথমতঃ আলেম সমাজ দায়ী। দ্বিতীয়তঃ যারা নিজেদের দ্বীনদার মনে করে তাঁরা দায়ী। আমি কাফের মুশরেক বা বাতিল শক্তিকে দোষারোপ করব না। কেননা ওদের কাজই এটা। মহানবীর সময় যেমন এটা করেছে, সাহাবাদের সময়েও করেছে, তার পরেও একই ধারা ওরা অব্যহত রেখেছে। কিন্তু আমরা আমদের ধারা অব্যহত রাখতে পারিনি। এমন কি আমরা সময়ের পরিপেক্ষিতে ওদের ধারাকেই বহন করেছি। যেমন রাজনীতি। আমি আগের এক কমেন্টে বলেছিলাম, আবারও বলছি, বর্তমান রাজনৈতিক ধারা ইংরেজদের বানানো। এটা বানানো হয়েছেই এজন্য যে মুসলমানরা যাতে আর কখনও ভারতের ক্ষমতায় আসতে না পারে। পরবর্তীতে ভারত ভাগ হল। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বেদ্বীন সরকার ক্ষমতায় আসল। পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট একজন শিয়া। প্রধানমন্ত্রী একজন সেকুলার লোক। বিরোধীদলীয় নেতা একজন ফাসেক। পার্লামেন্ট স্পীকার একজন মহিলা। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা মহিলা। এটাই ইংরেজদের সাফল্য। আমাদের আলেম সমাজও ইংরেজদের বানানো রাজনীতি করছেন আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন, যে ইসলামী রাজনীতি করছি। আল্লাহর জন্য রাজনীতি করছি। এমনই কেউ কেউ আল্লাহর জন্য সুদ খাচ্ছেন, আল্লাহর জন্য বেপর্দা হয়ে মহিলাদের সাথে জোট করছেন, আল্লাহর জন্য মহাচোরের সাথে জোট করছেন, আল্লাহর জন্য মহিলাদের কাছে ভোট চাচ্ছেন, আল্লাহর জন্য টিভিতে গান গাচ্ছেন বা গলাবাজি করছেন, আল্লাহর জন্য জনগণ নিপীরণকারী হরতাল ডাকছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের গ্রাম দেশে একটা কথা আছে, সব শেয়ালের এক রাঁ।
বলছিলাম, সমাজ নষ্ট হয়েছে। সামাজিক ক্ষতে রাজনীতির মলম লাগাচ্ছেন আপনারা। ভুলটা এখানে। রাজনীতি সমাজেরই অংশ। সমাজ নষ্ট হলে রাজনীতিও নষ্ট হয়। কিন্তু সমাজ ঠিক করার কোন চেষ্টা নেই কারও পক্ষ থেকে। সমাজের এই নষ্টামীর চুড়ান্ত হয় ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে। একসময়ে আলেমরা কোন সমাবেশ ডাকলে বা মিছিল ডাকলে সাধারণ মানুষের ব্যপক অংশ গ্রহণ ছিল। এখন কমে গেছে। যদি বলি নাই বললেই চলে তো ভুল হবে না। ঐসময়ে আলেমদের ঐক্য ভেঙে যায়। চরমোনাই হুযুর মহাচোরের সাথে জোট করেন. ইসলামী ঐক্যজোট এক মহিলার সাথে জোট করে যেখানে ইসলামের সাইলেন্ট কিলার জামায়াতে ইসলামীও ছিল। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর ষড়যন্ত্রের ইসলামী ঐক্যজোট ভেঙে খন্ড খন্ড হয়। শ্রদ্ধাভাজন আলেমদের ইসলামী ঐক্যজোট থেকে কৌশলে বের করে দেয়া হয়। আজও ইসলামী ঐক্যজোট ৩ খন্ড। একখন্ড বিএনপির সাথে, একখন্ড লীগের সাথে, আরেক খন্ড নিজেরা স্বতন্ত্র জোট করেছে। এছাড়া কিছু দল ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বেরিয়ে গেছে। আসল ব্যাপার হল ইসলামের সাথে সম্পর্ক রসুলের (সা।) অন্য কিছুর সাথে সম্পর্ক গড়লে তা আর ইসলাম থাকে না। অন্য কিছু হয়ে যায়। ইসলামী ঐক্যজোট আজ চারদলীয় জোট হয়েছে।
সংখ্যা গরিষ্ট মুসলিম দেশের সংবিধানে কেন আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস রাখা যায় না???!
বুঝা যাচ্ছে বড় আবেগ দিয়ে লিখেছেন। কিন্তু আবেগকে অন্ধ করতে নেই। ইসলামে অন্ধ আবেগের কোন স্থান নেই। আবেগ থাকবে হাদিস ও কুরআনের গন্ডির মধ্যে। এই গন্ডি বা সীমানা অতিক্রম করলেই মুশকিল।
প্রথমতঃ মুসলিম দেশে সংবিধান থাকবে কেন? মুসলমানদেন জন্য কি কুরআন ও সুন্নাহই যথেষ্ট নয়?
দ্বিতীয়তঃ সংবিধান একটা বস্তু বা ধারণা। আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস শুধু মানুষ ও জ্বিনের জন্য। এর বাইরে অন্য কোন প্রাণী বা বস্তু বা ধারণার জন্য আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস জরুরী নয়। আজ আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস মানুষের মধ্য থেকেই উঠে গেছে। এজন্য কোন আন্দোলন নেই। যার উপরে আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস জরুরী নয় তার জন্য সবাই উঠে পরে লেগেছেন। আজ কজন মানুষের আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আপনার যদি থাকত আপনি কি আরেক মুসলমানকে গালি দিতে পারতেন? অথচ আল্লাহ সব দেখেন সব শুনেন এবং সব কিছুর বিচারও করবেন। তাঁর বিচার বড় সুক্ষ্ণ হবে। আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস যার আছে সে কি মহাচোর মহা লম্পটের সাথে জোট করতে পারে? আল্লাহর উপর পূণ্য-আস্থা ও বিশ্বাস সে কি কোন মহিলার সাথে এবং ভ্রষ্ট আকীদাগ্রস্থের সাথে জোট করতে পারে?
আল্লাহর কাছে সবার সহীহ বুঝ চেয়ে দোয়া করি।
সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমদেশে কোন জালিমের সাধ্য আল্লাহ ও তার হাবিবের শানে বেয়দবি করার???!
ব্যপারটা খুবই দুঃখ জনক। মহানবী আমাদের সবার আধ্যাত্মিক পিতা। আমরা সবাই তাঁর আধ্যাত্মিক সন্তান। কোন সন্তান যখন তার পিতাকে বুঝতে পারেনা বরং ঝগড়া করে, রাগারাগি করে, ঘর থেকে বের হয়ে যায়, পিতাকে গালিগালাজ করে তখন কিন্তু কেউ তাকে গালি দেয় না। বরং সবাই তাকে বুঝায়, তার পিতার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, তার জন্য আফসোস করে। আমাদের অবস্থা হল আমরা মহানবী সা কে আমাদের আধ্যাত্মিক পিতা হিসেবে ভাবতেই শিখি নি। তাই তাঁর উম্মতদের আধ্যাত্মিক ভাই হিসেবেও ভাবতে শিখিনি। এজন্যই গালাগালি করছি। অন্যথায় তাকে বুঝানোর চেষ্টা করতাম, তার জন্য আফসোস করতাম।
এসব ঘটনার প্রতিবাদ তো অবশ্যই জরুরী। কিন্তু শুধু প্রতিবাদই যেন সার না হয়। শুধু প্রতিবাদেই যেন থেমে না থাকে। আর প্রতিবাদও যেন শালীন ভাষায় হয়। আসলে শুধু মহানবী সা. এর মর্যাদা বুঝতে না পারার কারণেই এই আচরণ। তার আমাদের প্রতিবাদ যদি অশালীন ও গালি গালাজ পূর্ণ হয় তা হলে তারা পাল্টা গালি দিতে পারে। এজন্য নবীজি কাফেরদের মুর্তিকে গালি দিতে নিষেধ করেছেন। আরেক হাদিসে নিজের পিতা মাতা গলি দিতে নিষেধ করেছেন। কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, পিতা মাতা কে কি কেউ গালি দেয়? নবীজি সা বলেছিলেন, অন্যের পিতা মাতা কে গালি দিলে তারা তোমার পিতা মাতাকে গালি দিবে। এভাবে নিজের পিতা মাতাকে গালি দেয়া হল।
একই সাথে এগুলোর পুনঃরাবৃত্তি রোধ করার জন্য সামাজিক জনমত, সামাজিক প্রতিরোধ গঠন করা দরকার। সুযোগ হলে ঐ ব্যক্তির কাছে যাওয়া দরকার। চরমোনাইয়ের হুযুর একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি নিজে যদি তার বাসায় যান, ঐ লোক নিজেকে সম্মনিত বোধ করবে। এর দ্বারা সে তার নিজের ভুল বুঝবে। একই সাথে তার পিতা মাতা পরিজন বা বন্ধু মহলেও প্রতিনিধি পাঠানো যেতে পারে। এভাবে সর্বাত্মক চেষ্টা করা জরুরী। তাহলে ইনশা আল্লাহ এগুলোর প্রতিরোধ ও প্রতিকার হবে। এক ইহুদি নবীজির মসজিদে এসে প্রসাব করে দিল। সাহাবীরা তাকে মারতে চাইলেন। নবীজি বললেন তাকে তার কাজ করতে দাও। এরপর তিনি তাকে বুঝালেন। লোকটি পরে মুসলমান হয়ে যায়। নবীজির শিক্ষা এটাই ছিল।
আসলে কিছু লোকে হয়ত বুঝবে না, কিন্তু অধিকাংশ লোকই বুঝবে। যদিও অনেক দেরী হয়ে গেছে, সমাজের পচন ধরে গেছে, কিন্তু মরে যায় নি। তাই সুযোগও শেষ হয়ে যায় নি। কিন্তু আমরা তা করছি না। কারণ টা খুব স্বাভাবিক। সর্বাত্মক চেষ্টা করাটা খুব কঠিন। গালি দিয়ে একটা বিবৃতি দেয়া বা ব্লগ পোস্ট দেয়াটা খুব সহজ। কেউ আর মহানবীর কঠিন পদ্ধতি অনুসরণ করতে চায় না। কিন্তু মিষ্টি খাওয়া সুন্নত, এই সুন্নত সবাই পালন করতে খুব আগ্রহী।
অনেক লম্ব পোস্ট। প্রতিটি লাইনই বিশ্লেষণযোগ্য। আজ মানুষের এত পড়ার সময় কোথায়। তাই আরেকটি জিনিস সম্মানিত ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেষ করে দিচ্ছি।
আর যদি তা না হয়,আলেম -ওলামারা যদি দু’চারটি এমপি আর মন্ত্রীত্ব লাভের আসায় অথবা দুনিয়ার কিছু স্বার্থ হাসিলের জন্য তাগুতের সাথে আতাত রেখে চলে,তাহলে হয়তো সেদিন দূরে নয় আমাদেরকেও স্পেনের মত করুন ভাগ্য গ্রহন করতে হবে।
এই পোস্টে ব্লগার উলামাকেরামদের ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু ঐক্যের জন্য কিছু পূর্বশর্ত আছে। তা হল অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও অপরের মতামত গুরুত্ব দেয়া। এখানে ব্লগার অভিযোগ করেছেন আলেম সমাজ এমপি বা মন্ত্রী সবার আশায় তাগুতের সাথে আতাত করেছেন। এটা আলেমদের নিয়তের উপর সরাসরি হামলা। তিনি বলতে পারতেন, আলেমসমাজ যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা রসুল (সা) এর প্রদর্শিত পদ্ধতির সাথে খাপ খায় না। কিন্তু তিনি তা না করে সরাসারি নিয়তের উপরে হামলা করলেন। মানুষে নিয়ত আল্লাহই ভালো জানেন। তবে যে কোন ভাল নিয়তও ভাল পদ্ধতি অর্থাৎ রাসুল (সা) এর পদ্ধতিতে করা দরকার। আমি আপত্তি করব এই পয়েন্টে। কিন্তু নিয়তের উপর হামলা করব না।
সত্য কথা হল রাজনীতির বিষ এটা। প্রচলিত বিষাক্ত রাজনীতি প্রভাবেই সম্মনিত ব্লগার মুখ ফসকে কথাটা বলে ফেলেছেন। আমাদের প্রচলিত রাজনীতি হল বিরোধীদলীয় ও সরকার দলীয় রাজনীতি। যেখানে প্রত্যেক পক্ষ শুধু নিজেদের গুন আর অপরের দোষ দেখেন। আমাদের এই ব্লগার মহোদয়ও উলামদের ঐক্য আশা করতে গিয়ে আলেম সমাজদের উপর এক অপবাদ আরোপ করে ফেলেছেন। যা ঐক্য নয় বরং শুধু বিভক্তিই বাড়াবে।