একজন তাবলীগ ওয়ালার চেয়ারম্যান হওয়ার প্রত্যাশা ও আমার ভাবনা
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ রবিবার, মে ২০, ২০১২ (৮:০৭ অপরাহ্ণ)
গত ৩০ এপ্রিল অফিস থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়না হই।সদর ঘাট থেকে লঞ্চ রাত ৮ টা। আমি সদর ঘাট পেীছি সন্ধা ৭ টা।কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে এশার নামাজ পড়ার জন্য অজুখানার দিকে অগ্রসর হই।দেখা হয় ঢাকা কলেজের ছাত্র ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ভোলা জেলা শাখার সাবেক সদস্য মুজাম্মেল হক্ব ভাইয়ের সাথে।সুন্নাতি লিবাস,মূখভরা দাড়ি র নূরাসী চেহারা।তার সাথে কুশল বিনিময় ,তার লেখাপড়া ,আমলি জিন্দেগী ও ফিৎনা-ফাসাদের ভিতর সুন্নাতের উপর অটল থেকে চলতে সমস্যা হয় কিনা? জানতে চাইলে হেসে দিয়ে বলেন-সমস্যাতো একটু হবেই,আবার সুন্নাতের উপর থাকায় অনেক জটিল গুনাহ থেকে আল্লাহ হিফাজাত করে।আল্লাহর শুকরিয়া যে ,তিনি আমাকে সুন্নাতের উপর অটল রেখেছেন।
কথা-বার্তার মাঝে হঠাৎ দেখা হয় সেই তাবলীগ কারির সাথে , যাকে কেন্দ্র করে এই লেখা।
উনি একজন হাফেজ,আলেম। তাবলীগের নিয়মিত সাথী।মাসে তিনদিন,বৎসরে চিল্লা,রজানা তালিম সবই ঠিক মত করেন।পেশায় একজন ট্রাভেলস ব্যাবসায়ি।আমার সাথে আগের পরিচয় থাকলেও গত বছর উনার ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ্ব করে আসায় সর্ম্পকটা আরো গভীর হয়। হজ্ব করে আসার পর দেশে আসার পর থেকে আর কোনদিন সাক্ষাত বা মোবাইল আলাপ হয় না।
দীর্ঘদিন পর সাক্ষাত হওয়া মুসাফাহ মুয়ানাকার পর সংক্ষেপে কুশল বিনিময় করে এশার নামাজ আদায় কর।এশার নামাজের পর কেবিনের বাহিরে ২টি চেয়ার টেনে বসে আবার শুরু করি কথা-বার্তা।
উনি এর আগের দিন স্ত্রী সহ পবিত্র উমরাহ সেরে ঢাকায় আসেন।এখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা।আমার কাছে ওমরার দিনের বিভিন্ন ঘটনা বলি এবং মক্কা ও মদীনা শরিফের কাবা শরিফ-রওযা আতহারের বর্তমানে সরকারি ভাবে কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধনের ঘটনা বর্ননা করেন।মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যায় য়খন কাবা শরিফ আর রওযা আতহারের কথা বলেন।কারন মক্কা মদীনা শরিফ থেকে যখন হাজীরা বিদায় নিয়ে আসে ,তখন তাদের মনোভাব যে কি রকম হয় তা কেবল ভূক্তভোগিদের কেই বুঝানো সম্ভব। যা হোক স্ত্রী নিয়ে ওমরাহ করার সব ঘটনাবলী শুনালেন।
কথাবার্তার মাঝে জানালাম আল্লাহ পাকের ইচ্ছা পবিত্র হজ্ব মোবারক সেরে আসলাম এখন নতুন জীবনে পা রাখতে চাই,একজন জীবন সঙ্গীনির ব্যাবস্থা করে দেন!!! উনি বললেন – কি রকম মেয়ে চান? আমি বললাম-রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের হাদিসের ভিত্তিতে একজন দ্বীনদার মেয়েকে পাওয়ারই ইচ্ছা।উনি আমাকে বলেন-এরকম মেয়েতো এখন পাওয়া কষ্ট,তার চেয়ে আপনি একজন দ্বীনি মহলের মেয়েকে বিবাহ করেন। যাকে আপনি দ্বীন প্রয়েগ করলে সে সাদরে গ্রহন করবেন। আমি বললাম-আমিতো দ্বীনের উপর নাই কিভাবে অন্যকে প্রয়োগ করবো। আমি তো চাইতেছি যে আমার সঙ্গীনি আমকে দ্বীনের উপর অটল থাকার ক্ষেত্রে সহায়াতা করবে।
অনেক লম্বা কথা সেদিকে আর গেলাম না।
মূল কথা আসি-কথা বার্তার মাঝে আমরা বর্তমান দেশের অবস্থান,আমরা কি করছি ও কি করনীয় তা নিয়ে আলোচনায় আসি।হঠ্রাৎ করে উনি বললেন-ইনশাআল্লাহ আমি আগামীতে আমাদের ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যানি নির্বাচন করব।! আমিতো শুনে অবাক! কারন উনি তাবলীগ করেন?!
উনি নিবার্চনে কিভাবে কি করবেন ,তা আমাকে সব বললেন উনার পরিকল্পনা ।আমি আরো অবাক হলাম! একজন তাবলীগ কারি কওমী মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেম একজন সু-চতুর রাজনীতিবিদের মত পরিকল্পনা বর্ননা করলেন।তিনি এখন থেকে তার কার্যক্রম শুরু করবেন। যদিও নির্বাচনের এখনও তিন বছর বাকী।উনার সু-পরিকল্পিত নিবার্চনি কথা বার্ত শুনে খুব ভাল লাগলো।আশা করা যায় এ পরিকল্পিত কর্ম-কান্ডে যদি তিনি অগ্রসর হয়,তা হলে প্রথম চেষ্টায় তিনি চেয়ারম্যান হতে পারবেন।আমি তাকে র্সবাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিলাম। পাশা-পাশি কিছু পরামর্শ দিলাম।
যে কথা বলার জন্য এ লেখা তা হল- আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম,তাবলীগের মুরব্বিরা তো রাজনীতি পছন্দ করে না।আপনি কিভাবে রাজনীতি করবেন কোন সমস্যা হবে না?
উনি আমাকে বললেন-আমারও তো বিবেক আছে। আমাদের মুরব্বিরা কেন পছন্দ করেনা আমি জানিনা। কিন্তু আমি কেন রাজনীতি করবো না, তা আমাকে বুঝিয়ে নিতে হবে। রাজনীতিতো নাজায়েয নয়?হুজুর সা. রাজনীতি করেছেন,সাহাবা রা. রাজনীতি করেছেন। তা হলে সমস্যা কোথায়?? আমি তো ক্ষমতার রাজনীতি করবোনা এবং ক্ষমতা যাওয়া আমার উদ্দেশ্যও নয়। আমি রাজনীতি করব আল্লাহ তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহতো আমাকে দেখেন।আমি যদি হেরেও যাই তবুও আমার দুঃখ নাই।কারন আমি রাজনীতি করব ইসলামের জন্য।
আপনি নতুন টেকনিক হাতে নিয়েছেন। আগে সরাসরি দলের পক্ষে লিখতেন। এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখছেন। তবে তাবলীগের ব্যপারে আপনার সাথে আমিও একমত। এদের কর্মকান্ড একেবারেই ধোঁয়াশা। পরে সুযোগ পেলে লিখব এদের ব্যপারে। আপনার এই পোস্টের বিস্তারিত বিশ্লেষণও লেলহার ইচ্ছে আছে।
আপনি বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি কথাই লিখতে চাচ্ছেন “রাজনীতিতো নাজায়েয নয়?হুজুর সা. রাজনীতি করেছেন,সাহাবা রা. রাজনীতি করেছেন।” আমি বারবার আপনার কাছে ইসলামী রাজনীতির রূপরেখা জানতে চেয়েছি। এখনও কোন রূপরেখা পাইনি। তাই আবারও আবেদন জানাচ্ছি। এর আগে একটু অল্পসময় নিয়ে নিচের প্রশ্ন গুলোর জবাব দিন।
১। হুজুর সা. রাজনৈতিক দলের নামি কি ছিল?
২। মার্কা কি ছিল?
৩। নির্বাচনী ইশতেহার কি ছিল?
৪। দলীয় ইশতেহার কি ছিল?
৫। কত বার ক্ষমতায় গিয়েছেন?
৬। কত বার বিরোধী দলে ছিলেন?
৭। যখন ক্ষমতায় গিয়েছেন তখন মন্ত্রী সভায় কারা ছিলেন?
৮। কত গুলো সিট পেয়েছেন?
৯। কতগুলো সিটে হেরেছেন?
১০। কত ভোটে জিতেছেন বা হেরেছেন?
১১। কতবার নির্বাচন করেছেন?
১২। এর মধ্যে কতবার নির্বাচিত হয়েছেন?
১৩। জনসভা গুলোতে কি রকম লোক হত?
১৪। মিছিল গুলোতে কি রকম লোক হত?
১৫। বিরোধীদলে থাকতে কতগুলো হরতাল করেছিলেন?
১৬। কোন কোন দলের সাথে নির্বাচনী জোট করেছিলেন?
১৭। জোট নেতাদের নাম ও পরিচয় কি?
১৮। মিছিলে স্লোগান কি কি ছিল?
১৯। উনার এন্তেকালের পরে দলীয় প্রধান কে হয়েছিলেন?
২০। দলীয় কনভেনশন কতবার হয়েছে?
২১। কোন কোন জেলায় কমিটি ছিল, কোন কোন জেলায় কমিটি ছিল না?
২২। ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা কারা ছিলেন?
তবে তাবলীগীদের মুখোশ উম্মোচনের জন্য ধন্যবাদ। এদেসর কথা ও কাজে অনেক অমিল। এরা বলে রাজনীতি করে না, কিন্তু আমি এদের াওয়ামী বিএনপি জাপা সবই করতে দেখতেছি। আমাদের এলাকার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একজন তাবলীগ সদস্য। পাশের ওয়ার্ডের কমিশনার প্রার্থীও তাই। আমাদের মসজিদে দেখি একজনে কোন আলোচনার (তারা বয়ান বলে) ঘোষণা দিয়ে নিজেই থাকে না। এদের দিয়ে ইসলামের কি খেদমত আপনি আশা করতে পারেন?
” আমি রাজনীতি করব আল্লাহ তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহতো আমাকে দেখেন।আমি যদি হেরেও যাই তবুও আমার দুঃখ নাই।”
আমার প্রশ্ন হল আল্লাহ তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য রাজনীতি করতে হবে কেন? আর কোন আমল নাই? রাজনীতি করতে হলে নির্বাচন করতে হবে কেন? যদি রাজনীতি করতেই হয় তাহলে শুধুই কি রাজনীতি, নাকি আরও কিছু করতে হবে? কত ভাগ কত ভাগ করতে হবে? নির্বাচিত না হয়ে কি জনসাধারণের খেদমত করা যায় না? যদি ক্ষমতার জন্যই না করেন তাহলে নির্বাচনের দরকার কি? এরাই তাবলীগ। এদের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। আমি কারো শত্রু বা সমালোচক নই। আমি সবার বই পড়ি, সবারই কথা শুনি, সবার প্রোগ্রামেই যাই। ভালকে ভাল বলি, খারাপ কে খারাপ বলি। কথা কাজে মিল না থাকলে, যাদের দাওয়াত দিবেন তারা কি বার্তা নিবে?
@guest, আমি তাবলীগীদের মুখোশ উম্মোচন করি নাই।আপনি আপনার বিষেদাগার চালিযে যান??!!!
@এম এম নুর হোসেন,বিষেদগার করিনি ভাই। গঠনমূলক সমালোচনা করেছি। আমি কিছু প্রশ্ন করেছি। ওগুলোর উত্তর জানা আছে? জানা থাকলে একটু জানাবেন প্লিজ।
গোলাপের গন্ধ এক রকম, হাসনাহেনার গন্ধ এক রকম, প্রত্যেক জিনিসের মাঝে ভালোকে খুঁজতে থাকা বুনিয়াদী উসুল ঠিক রেখে।
উলামা কেরামের বাতলানো উসুলের উপর শ ফিসদ এস্তেকামাত থেকে তবলীগী মেহনত ইনশাআল্লাহ ঈমানকে সজীব রাখবে, কেউ যদি উসুলের পাবন্দী না করে, উলামা কেরামের সাথে মশওয়ারা করে না চলে তবে এটা তার ত্রুটি……… তবলীগী মেহনতের না।
তথাপি হক্কানী উলামা কেরামের পরিচালিত যে মেহনতের উসিলায় লক্ষ লক্ষ মুসলিমের ধুঁকতে থাকা ঈমানে জাগরণ উঠেছে -এমনি যে কোন মেহনতের বিষাদাগার করার ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করা উচিৎ।
আমি যেন উম্মতের বিভক্তির মাধ্যম না হই।
আমীন
@আহমাদ,কিন্তু ফুল যদি দুঃগন্ধ ছড়ায়?
@আহমাদ, আপনি বুঝতে ভূল করেছেন। এখানে কোন বিষেদাগার করা হয় না। আমি শুধু তার বক্তব্যটা তুলে দরলাম।আপনি বলেন ইলিয়াস সাহেব র. কি রাজনীতির ব্যাপারে নিষেধ করে গেছেন?? আল্লামা জাকারিয়া সাহেব রহ. কর্তৃক লিখিত ফাজায়েলে আমলের ফাজায়েলে তাবলীগ অংশটুকু ভাল করে পড়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। আর উপরে guest এর মন্তব্য দেখছেন উনার কথা শুনবেননা ।উনি হল ফিৎনাবাজ।
@এম এম নুর হোসেন, আপনারা আপনাদের পীর সাহেবের আগে সৈয়দ, পীরে কামেল, মাওলানা, মুফতি, আলজাহ, আমিরে মুজাহিদ আরও কত কিছু লাগান। সেখানে তাবলীগের পীর সাহেবের ব্যাপারে ইলিয়াস সাহেব এটা কোন ধরণের সৌজন্য হল বুঝলাম না! অনেক গালির পরে এবার আরেকটি গালি দিলেন। কারও বাবা মা তাঁদের সন্তানকে গালি শেখান না। ভদ্রতা ও সৌজন্যই শেখান। তাহলে আপনি গালি কোথা থেকে শিখলেন? মনে হচ্ছে আপনার পীর সাহেব আপনাকে গালি শিখিয়েছেন। যে পীর সাহেব গালি শিখান তিনি ইসলামের কি খেদমত করবেন? যাই হোক সেটা আপনার ব্যপার। কেউ সৌজন্য না শিখলে বা তার পীর সাহেব তাকে সৌজন্য না শিখালে আমি কি করতে পারি। পীর সাহেবে অসম্মান আমার উদ্দেশ্য নয়। আপনিই আপনার পীর সাহেবের মর্যাদা খাটো করছেন।
আমার কথা ছিল, কে কি বলেছে বা না বলেছে তা ব্যপার নয়। ব্যপার হল মহানবী সা. কি করেছেন, কি বলেছেন। আমি আপনার কাছে আগেও কয়েকটি পোস্টে ইসলামী রাজনীতি রূপরেখা চেয়েছিলাম। আপনি এখনও দেন নি। তার আবারও বললাম, দয়া করে রাজনৈতিক পোস্ট বন্ধ করে ইসলামী রাজনীতির রূপরেখা পেশ করুন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ভোলা জেলা শাখার সাবেক সদস্য মুজাম্মেল হক্ব ভাইয়ের সাথে।সুন্নাতি লিবাস,মূখভরা দাড়ি র নূরাসী চেহারা
এতদিন দলের বক্তব্য প্রচার করতেন। ব্লগার এবার শুরু করলেন দলের বিভিন্ন নেতা কর্মীর পরিচিতি। নূরাসী চেহারা নুরানী চেহারার সংজ্ঞা দিলেন না। বাস্তবিক, এটাই রাজনীতির কুফল। অন্যের শুধু দোষই চোখে পরে আর নিজেদের লোকের সুনামের অভাব নেই। দেশের সব রাজনৈতিক দলেরই একই অবস্থা। ইসলাম একটা সাইন বোর্ড মাত্র, দলের হীন স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। একই লেখায় ব্লগার আরেকজনের কথা বলেছেন। যে পরিচয় দিয়েছেন তাতে তারও সুন্নতি লেবাস থাকার কথা, দাড়ি থাকার কথা। ব্লগার তা উল্লেখ করেন নি। নুরানী চেহারার কথাও উল্লেখ করেন নি। উল্লেখ করেছেন নিজের হজে যাওয়ার কথা। নিজের আমল কে প্রকাশ করার কি আকুতি! নামাযের পড়ার কথা উল্লেখ করলেন, হজে যাওয়ার কথা উল্লেখ করলেন। চরমোনাইয়ের বিভিন্ন মুরিদ এছাড়া তাবলীগের বিভিন্ন সদ্স্যকেও দেখেছি নিজের বিভিন্ন আমল উল্লেখ করেন।
আসলে তো আমাদের নামায, রোজা, হজ, যাকাত সব আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ছাড়া কেউ না জানুক, এটাই আমাদের দিলের চাওয়া হওয়া উচিত। মানুষের কাছে বলে বেড়িয়ে কি লাভ? এক হাদিস আছে, তিন ব্যক্তিকে সাবার আগে জাহান্নামে ফেলা হবে। তারা লোক দেখানো আলেম, শহীদ ও দাতা হবে। এক তাফসীরের মাহফিলে শুনেছিলাম যে সাহাবী এই হাদিস বর্ণনা করেন তিনি বর্ণনা করতে যেয়ে তিন বার বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান। কারণ তিনি আলেম ছিলেন, মুজাহিদ ছিলেন, দাতা ছিলেন। তিনি ভয় করতে ছিলেন যে হাশরের মাঠে রিয়াকার হিসেবে উঠানো হয় কিনা? রিয়াকার হিসেবে জাহান্নামে সবার আগে ফেলা হয় কিনা? আমাদের অবস্থাতো এই অবলীলায় নিজের আমল প্রকাশ করে দেই। পোস্টারে বড় বড় করে লেখা দেখি পীরে কামেল জনাব আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ …………… পীর সাহেব ……. ইত্যাদি ইত্যাদি।
যাই হোক বলতে ছিলাম নুরানী চেহারার কথা। আজকাল দলীয় লোক হলেই কেবল নুরানী চেহারা নজরে আসে। বর্ণনা করতেও মজা লাগে। অন্যদের নুরানী চেহারা নজরে আসে না। আমাদের এলাকাতেও চরমোনাই কিছু মুরিদ আছে। সপ্তাহে কোন কোন দিন মাগরিবের পর চিৎকার করে কি কি যেন ঘোষণা দেয়। এরপর শুরু হয় যন্ত্রণা। জোরে জোরে জিকির করবে। অন্য কেউ যে অন্য কোন আমল করলে কোন উপায় নেই। আমি জানি জোরে জিকিরের উপরে আপনাদের অনেক যুক্তি আছে। কিন্তু অন্যের বিরক্ত করে তো আর জোরে জিকির করতে তো বলা হয় নি। আর সব সময় জোরে জিকির করারই বা যুক্তি কি? এরপর খুব জোরে জোরে কান্নাকাটি করবে। দোয়ায় কান্নাকাটি করা ভাল তা আমি জানি। তা তো গভীর রাতে একা একা চুপি চুপি কেউ না জানে এভাবে আল্লাহর সামনে করতে হয়। জনসমক্ষে এভাবে চিৎকার করে কান্নার হেতু কি?
সত্য কথা হল, তাদের দেখলে যতটা না ইসলামী মনে হয় তার চেয়ে বেশি চরমোনাই মনে হয়। দেখলেই বুঝা যায় এই লোক চরমোনাইয়ের মুরিদ। তাদের জামা, পাজামা, টুপি, পাগড়ী সব এক রকম, এক রঙের। এরা সব সময় থাকেও একত্রে। উঠা বসা, কথাবার্তা, এমন কি নামাযও পরে কাছাকাছি। পরত পক্ষে এরা অন্যের দোকানে যায় না। অনেক দুরদুরান্তে গিয়ে আরেক চরমোনাইয়ের মুরিদের দোকানে গিয়ে বাজার করে। পাঠকরা এমন দেখেছেন কিনা? আমাদের এলাকাতে এমনই দেখে থাকি। তাই বললাম। আসলে এভাবে এরা এক সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে। অবশ্য শুধু তারাই নয় ইসলামের নামের সকল গ্রুপেরই একই অবস্থা। দেখলেই বুঝা যায়। এরা তাবলীগ, এরা জামাত, এরা আহলে হাদিস, এরা কওমী। কওমী ছাত্র ও শিক্ষকরা মোটামুটি সব সময়েই কি একটা টুপি পড়েন ফুটো ফুটো, নকশীদার, গম্বুজের মত উঁচু। এমন অদ্ভুত টুপি মহানবী কখনও পড়েছেন কিনা কে জানে? এমনকি এদেশের কাফেররাও বলতে পারে কে চরমোনাই, কে জামাত। কিন্তু সাধারণ একজন মানুষ মাথায় টুপি দিয়ে নামায শেষে বের হয়েছেন সবাই বলবে তিনি মুসলিম।
মহানবী সা কখনও গ্রুপ বানান নি। তিনি বানিয়েছেন মুসলিম, তিনি বানিয়েছেন উম্মত। এক মুসলিম জাতি তিনি রেখে গেছেন। কেউ ধনী ছিল কেউ গরীব ছিল তাই পোষাকও বিভিন্ন রকম হত। সব সময় যেমন একরকম টুপি পড়েন নি, তেমনি কোন কোন সময়ে টুপিও পড়েন নি। আমাদের চরমোনাই বা তাবলীগীদের চালচলন, পোষাক আষাক সব এক রকম।
এভাবে নিজের বিভিন্ন পরিচয় ফুটিয়ে তোলা এটা মুসলমানের বৈশিষ্ট্য ছিল না। এটা ছিল খৃষ্টানদের বৈশিষ্ট্য। কেউ যদি তুরস্ক যান ওখানকার খৃষ্টানদের দেখলেই বুঝবেন তিনি কি সিরিয় খৃষ্টান, না গ্রীক খৃষ্টান, না আর্মেনীয় খৃষ্টান, নাকি ক্যাথোলিক খৃষ্টান। তাদের পোষাক আশাক, চাল চলন ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের জন্য একই রকম। এই ভুত আজ মুসলমানদেরও আছর করেছে। যে যা পড়ে ওটার মধ্যেই নূর দেখে। বাকিদের মধ্যে দেখে না।
আল্লাহ আমাদের এই দলীয় সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি দিয়ে ইসলামের প্রশস্ত পথে পরিচালনা করুন।
@guest, বুনিয়াদী উসুল ঠিক খলে দুঃগন্ধ ছড়াবে না।
যাই হোক আপনার চোখে সবই খারাপ, আপনার কাছে ভাল মেহনত আছে কোনটি?
@আহমাদ,আপনি আসলে ভুল বুঝেছেন। আমি সবার সাথেই মিশি, সবার প্রোগ্রামে বসি। সবারই কিছু কিছু ভালো দিক আছে। কিছু খারাপ দিকও আছে। কিন্তু ইসলামের মধ্যে খারাপ কিছু থাকার কথা নয়। ভালকে যেমন ভাল বলতে হবে, খারাপকে খারাপ বলতে হবে। খারাপ বির্সজন করতে হবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সবার মধ্যে এক কমন দোষ হল নিজেকে সেরা মনে করা, অপরের দোষারোপ করা। আপনি আমার উপরের কমেন্ট ভালো ভাবে পড়লেই বুঝবেন আমি কোন অযৌক্তিক কথা বলিনি। এই দলাদলি থকে উঠে আসতে হবে। আর নিজেদের খারাপ জিনিসগুলো বর্জন করতে হবে। সবাইকে নিজের সহযোগী মনে করতে হবে। প্রচলিত রাজনীতি মানুষকে সংকীর্ণ হতে শেখায়। এই ইংরেজ প্রচলিত রাজনীত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হবে। দুঃখজনক হল এই ব্লগার এই পচা রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। যা অন্যায়। এর প্রতিবাদ আমি ঈমানী কর্তব্য মনে করি।
@আহমাদ, ভাই উনার চোখে শয়তান ছাড়া আর বঙ্গবন্ধু ছাড়া সবই খারাপ। এবর বুঝেন উনার অবস্থা।
@এম এম নুর হোসেন,কত গালিই তো দিলেন। আমি কিন্তু খারাপ বলার জন্য কমেন্টগুলি করিনি। আমি যা বলেছি এখানে অযৌক্তিক কিছু দেখেন কি? থাকলে বলুন। এগুলো গঠনমুলক সমালোচনা। চরমোনাইয়ের হুযুরের অনেক ভালো দিক আছে, আমি জানি। দক্ষিণবঙের দ্বীনদারী অবস্থা অন্যান্য অনেক জায়গার চেয়ে ভাল।
আমরা প্রসংশায় ফুলি কিন্তু সমালোচনা ভয় করি। অথচ যৌক্তিক সমালোচনা কিন্তু আমলে নেয়া উচিত। এতে ক্ষতি হয় না লাভই হয়। যে সব সময় প্রসংশা করে যে বন্ধু নয় বরং মোসাহেব। প্রকৃত বন্ধুতো সে যে ভুল ধরিয়ে দেয়। আশা করি কথা গুলো আমলে নিয়ে আপনি ও আপনার সংগঠন ভুল শুধরে নিবেন।
ধন্যবাদ।
@guest, জ্বী আপনি ঠিকই বলেছন। গালি না হয়ে গঠনমুলক আলোচনা করা দরকার। আপনাকে একটি প্রশ্ন, আপনি কি মনে করেন বর্তমান সরকার যে কাজগুলো করছে তার মধ্যে অনৈসলামিক কোনো কাজ আছে? নাকি সবই ঠিকঠাক করছে?
@ম্যালকম এক্স,আপনিও ঐ ভুলটিই করলেন যা এই ব্লগার করেছিলেন। আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোন পোস্ট দিলে অন্যান্য দলও ইসলামের নাম ভাঙিয়ে এখানে পোস্ট দিতে পারে। ইসলামের নাম ভাঙিয়ে কিভাবে রাজনীতি করা যায় তার একটা নমুনা দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল। সরকারে প্রশংসা উদ্দেশ্য ছিল না।
বাস্তব কথা হল ইসলাম কারো রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে পারে না। ইসলাম মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তির সনদ। দুঃখজনক হল সবাই ইসলাম রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। চরমোনাইয়ের প্রথম পীর সাহেব মাওলানা ইসহাক (রহ) কিন্তু রাজনীতি করেন নি। তাহলে কি তিনি ভুল করেছিলেন? তিনি চেয়েছিলেন ইসলামের খেদমত। সামাজিক, আধ্যত্মিক, ব্যক্তিগত, সামষ্টিক, শিক্ষাগত সব দিক থেকে তিনি চেষ্টা করেছেন। আজকাল চরমোনাইয়ের পীর-মুরিদরা সবকিছু রাজনৈতিক মাপকাঠিতে মাপেন। তাদের সকল প্রোগ্রামে রাজনীতি টেনে নিয়ে আছেন। যারা তাদের সাথে আংশগ্রহণ করে না তাদের সমালোচনা করেন। বিশেষতঃ তাবলীগ ও মুফতি আমিনী এদের সমালোচনার একটা বিশেষ অংশ দখল করে থাকে। তাবলীগীরা শুধু দাওয়াত নিয়ে আছে অন্যদিকে নজর নেই, মুফতি আমিনী জামাতের সাথে জোট করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জানি না অন্য এলাকাতে কি অবস্থা, আমাদের এলাকার চরমোনাই মুরিদরা সুযোগ পেলেই এই সব প্রসংগে মেতে উঠেন।
মাওলানা ইসহাক (রহ) এর নিরলস চেষ্টার ফসলকে এরা রাজনৈতিক স্বার্থের বিনিময়ে বিসর্জন দিচ্ছে।
আল্লাহ তায়ালাই উত্তম হেফাজতকারী।
@guest, উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ আমরা বলিব” সাম্য, শান্তি, এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।”
এখানেও আর একটি জিনিস সম্মনিত ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেষ করে দিচ্ছি।
বলতে ছিলাম সবার গঠনমূলক সমালোচনা এবং সবার গুন দেখার কথা। এতে সমগ্রিকভাবে মুসলমানরা লাভবান হবে। আপনি বরাবর রাজনীতি কথা বলেন। রাজনীতির জন্য মুহাম্মাদ (সা) এর রাজনৈতিক দর্শন চেয়ে পোস্ট চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি সে দিকে হাটলেন না। আপনি প্রচলিত রাজনীতি বৈধ হবার পক্ষে এখন পর্যন্ত দুটি যুক্তি দেখিয়েছেন। এক হল তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস রহ ও তাবলীগের মূল পাঠ্যগ্রন্থ ফায়ায়েলে আমলে রাজনীতি বিরোধী কোন কথা না থাকা। আরেক দেখালেন এই পোস্টে কোন এক (আমি জানি না এটা কাল্পনিক বা বাস্তব) তাবলীগ সদস্যের চেয়্যারম্যান হবার আকাংখার কথা।
আসল ব্যপার হল কেউ নিষেধ করেনি বা কেউ নির্বাচন করতে চেয়েছেন এটা ইসলামের কোন দলীল নয়। ইসলামের দলীল হল কুরআন হাদিস। বিভিন্ন পোস্টে আমি আপনাকে বুঝাতে চেয়েছিলাম আপনি যে পদ্ধতি অনুসরণ করে রাজনীতি করছেন (আমি জানি না এটা আপনার ব্যক্তিগত নাকি আপনাদের রাজনৈতিক দলই এমন) তা যতটা না মুহাম্মাদ সা. এর এর দেখানো পদ্ধতির অনুসরণ তার চেয়ে বেশি আওয়ামী, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অনুসরণ।
এখন দেখুন আপনি কত মারাত্মক একটা কথা বলেছেন। আমি তো ক্ষমতার রাজনীতি করবোনা এবং ক্ষমতা যাওয়া আমার উদ্দেশ্যও নয়। আমি রাজনীতি করব আল্লাহ তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহতো আমাকে দেখেন।আমি যদি %
এখানেও আর একটি জিনিস সম্মনিত ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেষ করে দিচ্ছি।
বলতে ছিলাম সবার গঠনমূলক সমালোচনা এবং সবার গুন দেখার কথা। এতে সমগ্রিকভাবে মুসলমানরা লাভবান হবে। আপনি বরাবর রাজনীতি কথা বলেন। রাজনীতির জন্য মুহাম্মাদ (সা) এর রাজনৈতিক দর্শন চেয়ে পোস্ট চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি সে দিকে হাটলেন না। আপনি প্রচলিত রাজনীতি বৈধ হবার পক্ষে এখন পর্যন্ত দুটি যুক্তি দেখিয়েছেন। এক হল তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস রহ ও তাবলীগের মূল পাঠ্যগ্রন্থ ফায়ায়েলে আমলে রাজনীতি বিরোধী কোন কথা না থাকা। আরেক দেখালেন এই পোস্টে কোন এক (আমি জানি না এটা কাল্পনিক বা বাস্তব) তাবলীগ সদস্যের চেয়্যারম্যান হবার আকাংখার কথা।
আসল ব্যপার হল কেউ নিষেধ করেনি বা কেউ নির্বাচন করতে চেয়েছেন এটা ইসলামের কোন দলীল নয়। ইসলামের দলীল হল কুরআন হাদিস। বিভিন্ন পোস্টে আমি আপনাকে বুঝাতে চেয়েছিলাম আপনি যে পদ্ধতি অনুসরণ করে রাজনীতি করছেন (আমি জানি না এটা আপনার ব্যক্তিগত নাকি আপনাদের রাজনৈতিক দলই এমন) তা যতটা না মুহাম্মাদ সা. এর এর দেখানো পদ্ধতির অনুসরণ তার চেয়ে বেশি আওয়ামী, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অনুসরণ।
এখন দেখুন আপনি কত মারাত্মক একটা কথা বলেছেন। আমি তো ক্ষমতার রাজনীতি করবোনা এবং ক্ষমতা যাওয়া আমার উদ্দেশ্যও নয়। আমি রাজনীতি করব আল্লাহ তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহতো আমাকে দেখেন।আমি যদি হেরেও যাই তবুও আমার দুঃখ নাই
এদেশের জনসমর্থনবিহীন বাম রাজনৈতিক দলগুলো এই কথাগুলোই বলে শুধু আল্লাহ শব্দ ছাড়া। তারা বলে, ক্ষমতার রাজনীতি আমরা করিনা। ক্ষমতায় যাওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা রাজনীতি করি জংণের জন্য। বিবেকের কাছে তো পরিষ্কার। যদি হেরেও যাই তবু দুঃখ নেই
এখন বলুন এদেশের ডান বাম, আওয়ামী বিএনপি, ইসলাম বিরোধী জামাত কার অনুসরণ আপনারা করলেন না? আফসোস শুধু মুহাম্মাদ সাআ। আপনাদের অনুসরণের তালিকার বাইরে। তিনি ছাড়া আর কাউকেই আপনারা অনুসরণ করতে ছাড়েন নি। আসলে রাজনীতি নয় আমরা সবকিছুই করব আল্লাহ জন্য। কিন্তু আবশ্যই মুহাম্মাদ সা. এর দেখানো পদ্ধতিতে। না হলে সব বেকার। আল্লাহ সন্তষ্টি ও রাসুল (এর) অনুসরণ দুটোই জরূরী।
আসলে রাজনৈতিক দলের আনুগত্য মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আমি জানি আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে কাজগুলো করেন নি। বরং রাজনৈতিক দলের অন্ধ আনুগত্য আপনাকে ভুলগুলো দেখতে দেয়নি। একটু লক্ষ করবেন। আপনার পোস্টগুলো য্তটা না ইসলামিক তার চেয়ে বেশি চরমোনাই কেন্দ্রিক। এই পোস্টে আপনি এমন কোন কথা লিখেন নি যার দ্বারা আমার মত সাধারণ পাঠক ইসলামের কোন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। কোন হাদিস, কোন আয়াত বা কোন ইসলামিক বিশ্লষণ নেই এখানে। শুধু রাজনীতি জায়েজ করার জন্য কিছু ঘটনার বর্ণনা। আপনি একজন হাজী তা প্রকাশ করা আর কিছু নুরানী চেহারার কাহিনী। যারা নতুন, যারা ইসলাম জানতে এখানে আসে তারা ইসলামের কি শিক্ষা নিবে বলুন আপনার এইসব কাসুন্দি থেকে।
দুঃখিত আপনাকে অপমান করা বা আপনার বিরোধিতা উদ্দেশ্য নয়। শুভাকাঙ্খী হিসেবে কিছু ভুল ধরিয়ে দিলাম। শুধরে নিলে উপকার হবে ইনশা আল্লাহ।
দুঃখিত কথাটা এভাবে হবে
এদেশের জনসমর্থনবিহীন বাম রাজনৈতিক দলগুলো এই কথাগুলোই বলে শুধু আল্লাহ শব্দ ছাড়া। তারা বলে, ক্ষমতার রাজনীতি আমরা করিনা। ক্ষমতায় যাওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। বিবেকের কাছে তো পরিষ্কার। যদি হেরেও যাই তবু দুঃখ নেই