নামাজতো পড়ি কিন্তু তা রুটিন মাফিক!
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ (৮:৩৪ অপরাহ্ণ)
নামাজ আল্লাহ পাকের এক মহান হুকুম।একটি গুরুত্বপূণ্য ইবাদাত।দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ লাভ করে।নামাজ এমন একটি ইবাদাত,যাহা সঠিক ভাবে নিয়মিত আদায়ের মাধ্যমে মানুষ ইহকালিন মুক্তি এবং পরকালিন নাজাতের কারন। একমাত্র নামাজের মাধ্যমে মানুষ তার ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে আর্ন্তজাতিক জীবন পযর্ন্ত প্রতিটি সমস্যার সমধান সমাজের প্রতিস্তরে নামাজ প্রতিস্ঠার মাধ্যমে করতে পারে।রাসুল সালল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং তাঁর যোগ্য সাহাবা (রা.) আমাদরেকে এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন। রাসুল সালল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং তাঁর যোগ্য সাহাবা (রা.) জীবনে যে কোন সমস্যা, বিপদে-আপদে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে সাহয্য চাইতেন।
আল্লাহ পাক বলেন-হে ঈমানদারগন! তোমরা ধৈর্য্য এবং নামাজের মাধ্যমে সাহয্য চাও। -(আল কুরআন) আজকের এই ইসলাম আর মুসলমানদের এই দুর্দিনে একমাত্র সহী এবং সুন্দর ভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মানুষ তার সব সমস্যা সমধান করতে পারে।
কিন্তু কোথায়? নামাজতো আমরা প্রতিদিন ঠিকই আদায় করি। আমার নামাজতো আল্লাহর নৈকাট্য লাভের কারন হয় না।আমার নামাজতো আমাকে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির কারন হয় না।আমার নামাজতো আমাকে অশ্লিলতা-বেহায়াপনা থেকে রক্ষা করতে পারে না।
অথচ নামাজতো এ যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যম।
আল্লাহ পাক বলেন- নিশ্চয় নামাজ যাবতীয় অশ্লিল এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত রাখে।-(আলু কুরআন) তাহলে নামাজ পড়া সত্বেও আমাদের কোন ফায়দা হয়না কেন?সমস্যা কোথায়???
আমি আমার এলাকার এক ছোট ভাইকে ফোন করি।সে বর্তমানে নৌবাহীনিতে চাকরিরত। সালাম-কালামের পর প্রশ্ন করলাম-পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমত আদায় কর তো?
সে বড় একটি শ্বাস ছেড়ে বললো-ভাইয়া নামাজতো ঠিকই পড়ি,কিন্তু তা হল রুটিন মাফিক!!
আমি বললাম-যেমন ।
সে বললো-নামাজের যে একটা উদ্দেশ্য,নামাজের যে একটা লাভ,একটা মহত্ব এবং ধ্যান ও খেয়াল আসা দরকার,তা কিছুই হয় না। কিন্তু নামাজতো এরকম নয়।
আমি আর্শ্চয্য হলাম তার উত্তর শুনে!!!
ছেলেটির নাম আহসান হাবীব ।জীবনে কোন দিন মাদ্রাসায় পড়ে নাই। এস এস সির পর টেকনিক্যাল থেকে লেখা-পড়া শেষ করে বর্তমানে চাকরিরত।আমারা সাথে তার ছোট বেলা তেকে চলাফেরা।ছোটবেলা থেকে দেখছি নামাজ-কালাম, আলেম-ওলামা,পীর-মাশায়েখদের প্রতি ওর ভালবাসা।
প্যিয়বন্ধু ! নামাজ তো আমিও পড়ি!! জীবনের একটা বিশাল সময় শেষ হয়ে গেল। কত নামাজ পড়লাম। আর জীবনে কতদিন হায়াত পাবো তাও জানি না। জীবনের একটা লম্বা সময় মাদ্রাসা লেখা – পড়ার পিছনে শেষ করলাম।
কিন্তু কোথায় ? আমার মাঝেতো এরকম ভাবনা কখনও উদয় হায় নাই। আমার দিলে কি এরকম ভাবনা উদয় হওয়া দরকার ছিল না ?
আমি আহসান হাবীবকে শান্তনা দিলাম।তার থেকে অনেক কিছু শিখলাম।তাকে নামাজের ব্যাপারে কিছু হাদিস শুনালাম।সবশেষে বুখারি শরিফের সেই বিখ্যাত হাদিস, হাদিসে জিবরাইলের সেই অংশটুকু শুনালাম,যা রাসুল সালল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামকে হযরত জিবরাইল (আ.) এর প্রশ্নের জবাবে বলেছেন – ইহসান হল তুমি আল্লাহ পাকের ইবাদাত এমন ভাবে করো যে,তুমি আল্লাহকে দেখতেছো।আর যদি তা সম্ভব না হয়,তা হলে এ খেয়াল কর যে,আল্লাহ তোমাকে দেখতাছে।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আল্লাহ পাকের হুকুম-আহকাম গুলো তার রাজি-খুশি মত করার তাওফিক দান করুন।(আমিন)
নামাজতো পড়ি কিন্তু তা রুটিন মাফিক!