ষড়যেন্ত্রর কবেল মুসলিম বিশ্ব , জ্বলছে লিবিয়া এবং এরপর….
লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বুধবার, মার্চ ৯, ২০১১ (৩:৫৪ অপরাহ্ণ)
বেশ কয়েকদিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে যা হচ্ছে , তা দেখে মনের মাঝে এক অজানা ভয় হয় । আসলে কি হচ্ছে তার সঠিক কোন তথ্য জানা নাই । কেননা যেসব মিডিয়া থেকে আমরা তথ্য পাই তার প্রায় সবগুলো অমুসলিমদের ।তবে ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাস থেকে আমার ক্ষুদ্রইলেমে যতটুকু মনে হয় আজ মুসলিম বিশ্ব এক গভীর ষড়যেন্ত্রর কবেল । এর অন্যতম কারন হল মুসলমানেরা আজ আল্লাহতায়ালার পক্ষথেকে মহান হুকুম- তোমরা ততক্ষন পর্যণ্ত লড়াইকর , যতক্ষন না এ যমিন থেকে ফিতনা (কুফর) দূরহয় এ মহান হুকুম বলতে গেলে ভূলে গেছে । মুসলমানেরা আজ আরাম এবং ভোগ বিলাসে লিপ্ত হয়ে গেছে । যখন কাফের মুশরিকেরা মুসলমানদের কে নিধনের জন্য নতুন নতুন অস্ত্র সস্ত্র আবিষ্কার করছে, কৌশল অবলম্বন করছে , তখনই মুসলিম দেশপ্রধান রাজা বাদশাগন নিজেদের ক্ষমতার মসনদ আরাম আয়েশ টিকিয়ে রাখার জন্য ইহুদী- খৃস্টান সাথে আতাত করে চলছে । আর ইহুদী- খৃস্টানগন মুসলিম দেশপ্রধান রাজা বাদশাগনের প্রাসাদে সুন্দরি নর্তিকি আর মদ দিয়ে তাদের কে আরাম প্রিয় করে রেখে সারা মুসলিম বিশ্ব কে চুষে বেরায় । আর মুসলিম দেশপ্রধান রাজা বাদশাগন যখন নিজের উপর অপির্ত দায়িত্বের কথা ভূলে আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসে লিপ্ত হয়ে যায় ,তখনই সাধারন জনগন নিজেদের কে রাজা বাবতে শুরু করে এবং নিজকে রাজা বানাতে গিয়ে সে সহযোগিতা নেয় কাফির মুশরেকদের । কাফির মুশরেকেরা মুসলমানদেরকে চাল দিয়ে মুসলমানের দারা মুসলমান ধ্বংস করে দূর থেকে তারা উল্লাস করে । স্পেনের ইতিহাস কার না জানা আছে , একসাথে ৮০০ বছর মুসলমানেরা শাসন করেছে দাপটের সাথে । গোটা ভারতীয় উপমাদেশ সম পরিমান সময় শাসন করেছে মুসলমানেরা । যখনই মুসলমানেরা আরাম এবং ভোগ বিলাসে লিপ্ত হয়ে গেছে , তখনই তাদের পতন শুরু হয়ে যায় । শুরু হয় মুসলমানে মুসলমানে দ্বন্দ্ব । ভাই হয়ে যায় ভাইয়ের শক্র । আর এ সুযোগকে কাজে লাগায় ইহুদী- খৃস্টানগন । তারা মুসলমানের হাতে অপর মূসলমানের রক্ত দেখে আনন্দ করে । আর মুসলমান নিজের ভাইকে হত্যা করে নিজকে বীর মনে করে । আপসোস ! মুসলমানের জন্য শত আপসোস ! মিশর ,তিউনিসিয়ার সৈরশাসকদের পতন হয়েছে খুশির খবর । কিন্তু কাদের মাধ্যমে হল ? সেখানে কি মুসলমানদের মুক্তি আসবে ? নাকি নতুন কোন হুসনি মোবারকেরা ? নাকি অন্য কেউ ? আজ লিবিয়া বিদ্রোহ চলছে । খুন হয় মুসলমানের হাতে মুসলমান । এই বিদ্রোহ নেতৃত্ব দানকারি কি ইসলাম ও মুসলমানদের মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করছে ? নাকি অন্য উদ্দেশ্য । নাকি পশ্চিমাদের ক্রীরানক হিসাবে ? পশ্চিমারা কেন এতদরদ দেখাতে এগিয়ে আসছে ? তাদের মতলব কি ? জানিনা মুসলমানদের ভাগ্যে কি আছে । আজ মুসলমানদের দুর্দিনে এক বুক ব্যাথাই আছে আমার কাছে । তবে সর্বশেস পশ্চিমাদের দরদের ব্যাপারে একটি কথা বলবো – তা হল শেরে বাংলা এ , কে ফজলুল হক বলেছেন – “যখন বিধর্মীরা আমার কোন কাজের প্রসংসা করে , তখন আমি মনে করি আমার দ্বারা মুসলমানদের কোন ক্ষতি হইতেছে অথবা আমার এ কাজের দ্বারা আমার জাতির অনেক বড় ক্ষতি সাধিত হবে” ।
আজকে দীর্ঘ সময় নিয়ে মিশরের পরিস্থিতি ঘেটে দেখলাম । বিবিসির ইংরেজী ভার্সনে দেখলাম ওরা ক্রুসেডকে উষ্কে দেবার জন্য প্রথমে মিশরকে টার্গেটে এনেছে। গত থার্টিফাস্টে পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে এর সূচনা গতকালো দাঙ্গায় সাতজনের মতো নিহত ও ষাটজনের বেশি হতাহত হয়েছে। কপটিক (কীবতি) খৃস্টানগুলো এখন ফেরাউনি তান্ডব আবারো শুরু করেছে নীরিহ মুসলিমদের উপর। সামরিক জান্তাদের মধ্যে অনেক আগেই গাদ্দারীর রক্ত ঢুকে আছে এদের কাছে মানুষ নুতন কিছু আশা করতে পারছে না।
আফ্রিকার ইসলামী দেশগুলোতে দাঙ্গার পরপরই গনহারে মুসলিম নিধনে নব্য ক্রুসেড বাহীনি ন্যাটোর ভয়াবহ হামলা শুরু হবে এটা দিবালোকের মতই স্পষ্ট। ভাই ভাই ভেদাভেদ না ভুল্লে মাসুল গুনতে হবে সকল দেশের রাজা প্রজা সবাইকে। যুদ্ধ আমরা চাইনি কিন্তু তা যখন শুরু হয়ে গেল সেখান থেকে পালিয়ে আসার চেষ্টা পরিষ্কার মুনাফিকি। আজ রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের একটি হাদীস মনে পড়লো ” তোমাদের মধ্যে যে গাজওয়া (সশস্ত্র যুদ্ধ) করেনি বা তার ইচ্ছাও দেখায় নি এবং এভাবেই মৃত্যুবরণ করলো সে মুনাফিক্বীর একটি দরজায় মৃত্যু বরণ করল। আজ প্রয়োজন যূগের সিপাহ সালারদের যারা সালাহদীনের তলোয়ারকে পুনরায় শানিত করবে।
@আল মুরতাহিল, শুকরিয়া , জাযাকাল্লাহ , আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।
@আল মুরতাহিল, আজ প্রয়োজন যূগের সিপাহ সালারদের যারা সালাউদ্দীনের তলোয়ারকে পুনরায় শানিত করবে। যূগের সিপাহ সালার হতে হবে আপনাকেই ,আমাকেই । নতুন করে সালাউদ্দীন আইয়ুবি জন্ম হবে না বরং আমদের কে হতে হবে এ জাতির সালাউদ্দীন ।
এই সময়ে আমার মুহিব খান এর একটি সঙ্গিতের অংশ মনে পড়ে গেল। “কোন যুদ্ধ নয় মুমিন শান্তি চায়, তবু জালিম কাফির কেন হাত বাড়ায়। যদি না থাকে মজলুমের কোন উপায়, জিহাদের আয়াত রয়েছে কুরআনে।” আপনাকে ধন্যবাদ।
তা হল শেরে বাংলা এ , কে ফজলুল হক বলেছেন – “যখন বিধর্মীরা আমার কোন কাজের প্রসংসা করে , তখন আমি মনে করি আমার দ্বারা মুসলমানদের কোন ক্ষতি হইতেছে অথবা আমার এ কাজের দ্বারা আমার জাতির অনেক বড় ক্ষতি সাধিত হবে” ।
তবে সর্বশেস পশ্চিমাদের দরদের ব্যাপারে একটি কথা বলবো – তা হল শেরে বাংলা এ , কে ফজলুল হক বলেছেন – “যখন বিধর্মীরা আমার কোন কাজের প্রসংসা করে , তখন আমি মনে করি আমার দ্বারা মুসলমানদের কোন ক্ষতি হইতেছে অথবা আমার এ কাজের দ্বারা আমার জাতির অনেক বড় ক্ষতি সাধিত হবে” ।
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক উনার কোন গ্রন্থে এই কথাটি উল্লেখ করেছেন জানালে উপকৃত হব।
@humaid, এই উক্তি আমি একটি বহুল প্রচারিত মাসিক পত্রিকার মনষীদের বানী থেকে সংগ্রহ করছি ।আপনার প্রয়োজন হলে পত্রিকাটি বিস্তারি তথ্য দিতে পারবো । শুকরিয়া ।