লগইন রেজিস্ট্রেশন

ইসলামী আন্দোলন-পুলিশ সংঘর্ষে ভোলা রণক্ষেত্র : ১০ পুলিশসহ আহত দেড় শতাধিক

লিখেছেন: ' এম এম নুর হোসেন' @ বৃহস্পতিবার, মে ১২, ২০১১ (৪:২৬ অপরাহ্ণ)

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। দফায় দফায় সংঘর্ষে ভোলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করেছে ১৫ জনকে। গতকাল সন্ধ্যার আগে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঢাকার মুক্তাঙ্গণে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা, নারী নীতিমালা ও সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলায় গতকাল বিকালে কালিনাথ বাজার হাটখোলা মসজিদের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে পাল্টা সভার আহ্বান করে। পুলিশ সকাল থেকেই সমাবেশস্থলসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয়। নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় শহরের কালিনাথ রায়ের বাজার, তিনখাম্বা ও নতুন বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

নির্ধারিত স্থানে সভা করতে না পেরে বিকাল সাড়ে ৫টায় মহাজনপট্টি বড় মসজিদের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা করে ইসলামী আন্দোলন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সদর রোডে গেলে বরিশাল দালানের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায় মিছিল। বাংলা স্কুল মোড়ে দ্বিতীয় দফা পুলিশ বাধা দেয়। সেখানেও একই অবস্থা হলে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি। সেখান থেকে নতুন বাজার হয়ে বকুলতলা মসজিদের সামনে গেলে পুলিশ চারদিক থেকে কর্ডন করে ফেললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই সংঘর্ষ কালিনাথ বাজার, তিনখাম্বা ও মোল্লাপট্টিতে ছড়িয়ে পরে। ঘণ্ট্যাব্যাপী সংঘর্ষকালে পুলিশের একটি রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে কালিনাথ বাজার পুকুরে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ অস্ত্রটি উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা তাজ উদ্দিন জানান, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে খাল ও পুকুরে ফেলে নির্যাতন চালায়। এতে তাদের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা তাজ উদ্দিন, মাওলানা মিজানুর রহমান, মো. ইব্রাহিম, হেলাল, মাইন উদ্দিন, ফরিদ হোসেনের নাম জানা গেছে। আহত ১০ পুলিশ সদস্যের মধ্যে কুদ্দুস, আওয়াল, খলিল, সামসুর নাম জানা গেছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. মেসবাহুল ইসলাম জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখরঞ্জন সমাদ্দার জানান, পুলিশের অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের বিছিন্নভাবে হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনে নেয়া হচ্ছে। ওসি মোবাশ্বের আলী জানান, তাদের একটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরে পাওয়া গেছে। তিনি নিজেও আহত হন।
আমার দেশ

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৪৫ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

২ টি মন্তব্য

  1. মুসলমানদের জেগে উঠতে দেখে জালিম শাহীর মসনদ কেফে উঠেছে ।সেই জন্যই সারাদেশে আলিম-ওলামাদের উপর তার পেটুয়া বাহিনি দিয়ে নির্মম র্নিযাতনের পথ বেছে নিয়েছে । হামলা,মামলা,জুলুম,ও র্নিযাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা ইংশাআল্লাহ ।আমরা এসকল জুলুমের তীব্র নিন্দা জানাই ।

  2. নির্যাতন করে কখনো আন্দোলন কে বন্ধ করা যায়না। বরং আন্দোলন আরো বেগবান হয়। তাই প্রত্যেকের উচিৎ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে যাওয়া। ধন্যবাদ (F)